সিশেলসের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৩৮

ডি-বক্সের সামনে হতাশ হয়ে বসে সোহেল রানা। তাঁর পাশে তপু বর্মণ যে সিশেলসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন তাতে যেন খেয়ালই নেই এই মিডফিল্ডারের। তপুকে সাহায্য করতে দৌড়ে এলেন বিশ্বনাথ ঘোষ। শৌখিন এক দলের কাছে হারের পর দৃষ্টিকটু এক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশ জাতীয় দল! 

শঙ্কাটা উঁকি দিচ্ছিল প্রথম ম্যাচ থেকেই। ১-০ গোলে হারলেও বাংলাদেশকে ভালোই চোখ রাঙানি দিয়েছিল সিশেলস। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের ঠেসেই ধরল শখের ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দলটা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল সিশেলস। পেনাল্টি উপহার দিয়ে সিশেলসের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন। 

২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই গোল করে তারকা বনে গিয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। সেই গোলের পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন সাদ। বাংলাদেশের ডি-বক্সে করেছেন একের পর এক শিশুতোষ ভুল। ২০২১ সালে সাফে তাঁর ফাউলে পেনাল্টি পেয়েছিল নেপাল। সেই গোলে সাফের ফাইনালে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এরপর চার জাতি টুর্নামেন্টেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাস্যকর হ্যান্ডবল করেছিলেন সাদ। পেনাল্টি পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই পেনাল্টিই শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠতে দেয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। দেশে ফিরে সাদের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল। 

এত ভুলের পরও যে সাদ ভুল থেকে শিক্ষা নেননি তার প্রমাণ পাওয়া গেল আজও। শৌখিন ফুটবলারদের নিয়ে সাজানো সিশেলসের সঙ্গে যেখানে গোলশূন্য ড্র হলেও সিরিজ জেতে বাংলাদেশ, সেখানে অহেতুক এক ফাউল করে সিশেলসকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংস ডিফেন্ডার সাদ। 

নিজেদের বক্সের সামনে লাফিয়ে ওঠা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ড্যারিল লুইসকে মাথায় লাথি মারেন সাদ উদ্দিন। তাতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ৬২ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় সফল স্পট কিকে সিশেলসকে এগিয়ে নেন সাবেক চেলসি ডিফেন্ডার মাইকেল মানসিয়েন। 

হারে দায় আছে বাংলাদেশের কৌশলও। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল আজ একাদশে ছিলেন জামাল, শুরু থেকে খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রবিউল হাসান। পরিবর্তিত এই একাদশটা শুরু থেকেই ছিল নখদন্তহীন। 

পিছিয়ে পড়ে অনেক চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেও পার্থক্য গড়তে পারেননি এলিটা কিংসলে। ৭৬ মিনিটে সোহেল রানার ক্রস বক্সে পেয়েছিলেন এলিটা, কিন্তু বাঁ পায়ের শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। চার মিনিট পর সোহেলের ক্রস বক্সে কিংসলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বিপদমুক্ত করেন সিশেলসের এক ডিফেন্ডার। 

 ৮৭ তম মিনিটে বক্সের একটু ওপর থেকে জামালের ভলির যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ওয়ারেন এরিক মেলিয়ের ফ্লিক আটকে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি জিকো। ম্যাচ শেষ হতেই হাতাহাতিতে জড়ান ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত ভাগাভাগি করতে হয়েছে ট্রফি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত