ক্রীড়া ডেস্ক
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সাফজয়ী মেয়েদের বরণের জন্য বাফুফের প্রস্তুত রাখা ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না কোচ পিটার বাটলার। আজ সকালে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
২৭ মিনিট আগেযত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে-গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার এই গল্পের নামটাই এখন আপনাদের বেশি করে মনে পড়বে। কারণ সেই কাঠমাণ্ডুতে টানা দুইবার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। দুইবারই টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেহতাশাজনক এক সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও জয়ের দেখা পাচ্ছে না নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন সময়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। সাবিনা খাতুনদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
২ ঘণ্টা আগে‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
১০ ঘণ্টা আগে