নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাচ শেষ হতেই আবাহনীর ফুটবলাররা ঘিরে ধরলেন রেফারি সায়মুন হাসানসহ অন্য রেফারিদের। গ্যালারিতে আবাহনী সমর্থকেরা তখন ভীষণ ক্ষুব্ধ, মুখ খারাপ করে অশ্রাব্য সব খিস্তি ছুড়ছেন রেফারিকে লক্ষ্য করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন এই রেফারিরা।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান-আবাহনীর ঢাকা ডার্বি নিয়ে স্থানীয় দর্শকদের খুব বেশি মাথা ব্যথা ছিল না। আগ্রহ যতটুকু ছিল সেটা ঢাকা থেকে যাওয়া দুই দলের কয়েক শ ‘কট্টর’ সমর্থকদের। এই অল্প সমর্থকেরা দেখলেন উত্তেজনায় ভরা এক ম্যাচ। আবাহনীর দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া, দুই পেনাল্টিতে মোহামেডানের সমতায় ফেরা, আবাহনী ম্যানেজারের লাল কার্ড দেখা—ঢাকা ডার্বি শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়।
পয়েন্ট ভাগাভাগি করে আবাহনীর খেলোয়াড়েরা ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। ম্যাচের ৬৬ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে এগিয়ে থাকা আকাশি-নীলদের এক পয়েন্টে খুশি থাকতে বাধ্য করেছেন রেফারি সায়মুন হাসান। মোহামেডানের সমতায় ফেরা দুই গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। আবাহনী আজ জিততে পারলে যেমন পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে যেতে পারত, তেমনি লিগে মোহামেডানের অপরাজেয় দৌড় থামিয়ে দিতে পারত এক মোক্ষম জবাবও। ঠিক ১০ দিন আগে ফেডারেশন কাপে পিছিয়ে পড়েও আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে আকাশি-নীল সমর্থকদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছিল সাদা-কালো শিবির। সেই হারের শোধ নেওয়ার বন্দোবস্ত যখন হয়েই গেছে, এবারও ফেডারেশন কাপের মতো ম্যাচে ফিরেছে মোহামেডান। অক্ষত রেখেছে লিগে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও।
৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে এবারের বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্ব শেষ করেছে মোহামেডান। সমান ম্যাচ আবাহনীর পয়েন্ট ১৫। জিততে পারলে আবাহনী উঠে যেত দুইয়ে, মোহামেডান নেমে যেত তিনে।
ম্যাচের শেষটায় উত্তেজনা ছড়াবে, শুরুতে কিন্তু একদমই বোঝা যায়নি। বরং ম্যাচটা শুরু হয়েছিল মোহামেডানের অসহায়ত্ব দিয়ে। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে কিছু বোঝার আগেই চোখ ধাঁধানো এক ফ্রি কিক গোলে মোহামেডানকে চমকে দেন আবাহনীর ব্রুনো রোকা। বক্সের অনেক বাইরে থেকে বাঁ প্রান্ত ধরে সরাসরি পোস্টে শট নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। হাওয়ায় ভেসে বল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেনের মাথার ওপর দিয়ে ডান পোস্ট দিয়ে সোজা জড়ায় জালে!
শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর মোহামেডান বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখলেও প্রথমার্ধে আহামরি তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১১ মিনিটে মুজাফফরভের ফ্রি কিকে ক্রসবারে লেগে চলে যায় বাইরে। ৩৮ মিনিটে গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন বাঁচান আবাহনীকে। বড় ভাই সুজন হোসেন যখন মোহামেডানকে বাঁচাতে ব্যর্থ, পাপ্পু ছড়ালেন আলো। কামরুল ইসলামের ক্রস প্রথম দফায় ফেরান পাপ্পু, ওই বল পেয়ে মুজাফফরভের ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান এই গোলরক্ষক। ম্যাচের ৫১ মিনিটে মোহামেডানের আরেকটি আক্রমণ ঠেকান পাপ্পু। মুজাফফরভের ফ্রি কিক থেকে ইম্যানুয়েল টনির হেড আটকে দেন আবাহনী গোলরক্ষক।
আক্রমণে গতি বাড়িয়ে উল্টো বিপদে পরে মোহামেডান। রক্ষণ শিথিল হতেই ৫৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় আবাহনী। ওয়াশিংটন ব্রান্দাওয়ের ক্রস থেকে বল বক্সে ফেলেন ব্রুনো রোকা। বল গ্লাভসে নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন কিন্তু তার সামনে ছিলেন এক সতীর্থ। সুজন বল গ্লাভসে নেওয়ার আগেই আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠান কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মোহামেডান ম্যাচে ফিরল ৬৮ মিনিটে। ৬৬ মিনিটে বক্সে থাকা ইম্যানুয়েল সানডেকে ফেলে দেন মো. হৃদয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মুন। পেনাল্টি থেকে শট নিয়ে ব্যবধান কমান সুলেমান দিয়াবাতে।
সেই পর্যন্ত ম্যাচের সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গোলমাল বাধে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। কামরুল ইসলামের শট থেকে ইম্যানুয়েল সানডের হেডে বল লাগে আবাহনী ডিফেন্ডার মিলাদ শেখের হাতে। রেফারি সায়মুন হাসান আরেকটি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আবাহনীর ডাগআউট। রেফারিকে বাজে মন্তব্য করে লিগে দ্বিতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখেন আবাহনী ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতা কাপে শেখ জামালের বিপক্ষে একই রেফারির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন নজরুল ইসলাম। উত্তেজনা থামতেই পেনাল্টিতে মোহামেডানের হার এড়ান দিয়াবাতে। এক সপ্তাহ আগেই চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি আবাহনী। আজও ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট হাত ফসকে বেড়িয়ে গেল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দলের।
ম্যাচ শেষ হতেই আবাহনীর ফুটবলাররা ঘিরে ধরলেন রেফারি সায়মুন হাসানসহ অন্য রেফারিদের। গ্যালারিতে আবাহনী সমর্থকেরা তখন ভীষণ ক্ষুব্ধ, মুখ খারাপ করে অশ্রাব্য সব খিস্তি ছুড়ছেন রেফারিকে লক্ষ্য করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন এই রেফারিরা।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান-আবাহনীর ঢাকা ডার্বি নিয়ে স্থানীয় দর্শকদের খুব বেশি মাথা ব্যথা ছিল না। আগ্রহ যতটুকু ছিল সেটা ঢাকা থেকে যাওয়া দুই দলের কয়েক শ ‘কট্টর’ সমর্থকদের। এই অল্প সমর্থকেরা দেখলেন উত্তেজনায় ভরা এক ম্যাচ। আবাহনীর দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া, দুই পেনাল্টিতে মোহামেডানের সমতায় ফেরা, আবাহনী ম্যানেজারের লাল কার্ড দেখা—ঢাকা ডার্বি শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়।
পয়েন্ট ভাগাভাগি করে আবাহনীর খেলোয়াড়েরা ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। ম্যাচের ৬৬ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে এগিয়ে থাকা আকাশি-নীলদের এক পয়েন্টে খুশি থাকতে বাধ্য করেছেন রেফারি সায়মুন হাসান। মোহামেডানের সমতায় ফেরা দুই গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। আবাহনী আজ জিততে পারলে যেমন পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে যেতে পারত, তেমনি লিগে মোহামেডানের অপরাজেয় দৌড় থামিয়ে দিতে পারত এক মোক্ষম জবাবও। ঠিক ১০ দিন আগে ফেডারেশন কাপে পিছিয়ে পড়েও আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে আকাশি-নীল সমর্থকদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছিল সাদা-কালো শিবির। সেই হারের শোধ নেওয়ার বন্দোবস্ত যখন হয়েই গেছে, এবারও ফেডারেশন কাপের মতো ম্যাচে ফিরেছে মোহামেডান। অক্ষত রেখেছে লিগে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও।
৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে এবারের বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্ব শেষ করেছে মোহামেডান। সমান ম্যাচ আবাহনীর পয়েন্ট ১৫। জিততে পারলে আবাহনী উঠে যেত দুইয়ে, মোহামেডান নেমে যেত তিনে।
ম্যাচের শেষটায় উত্তেজনা ছড়াবে, শুরুতে কিন্তু একদমই বোঝা যায়নি। বরং ম্যাচটা শুরু হয়েছিল মোহামেডানের অসহায়ত্ব দিয়ে। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে কিছু বোঝার আগেই চোখ ধাঁধানো এক ফ্রি কিক গোলে মোহামেডানকে চমকে দেন আবাহনীর ব্রুনো রোকা। বক্সের অনেক বাইরে থেকে বাঁ প্রান্ত ধরে সরাসরি পোস্টে শট নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। হাওয়ায় ভেসে বল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেনের মাথার ওপর দিয়ে ডান পোস্ট দিয়ে সোজা জড়ায় জালে!
শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর মোহামেডান বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখলেও প্রথমার্ধে আহামরি তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১১ মিনিটে মুজাফফরভের ফ্রি কিকে ক্রসবারে লেগে চলে যায় বাইরে। ৩৮ মিনিটে গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন বাঁচান আবাহনীকে। বড় ভাই সুজন হোসেন যখন মোহামেডানকে বাঁচাতে ব্যর্থ, পাপ্পু ছড়ালেন আলো। কামরুল ইসলামের ক্রস প্রথম দফায় ফেরান পাপ্পু, ওই বল পেয়ে মুজাফফরভের ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান এই গোলরক্ষক। ম্যাচের ৫১ মিনিটে মোহামেডানের আরেকটি আক্রমণ ঠেকান পাপ্পু। মুজাফফরভের ফ্রি কিক থেকে ইম্যানুয়েল টনির হেড আটকে দেন আবাহনী গোলরক্ষক।
আক্রমণে গতি বাড়িয়ে উল্টো বিপদে পরে মোহামেডান। রক্ষণ শিথিল হতেই ৫৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় আবাহনী। ওয়াশিংটন ব্রান্দাওয়ের ক্রস থেকে বল বক্সে ফেলেন ব্রুনো রোকা। বল গ্লাভসে নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন কিন্তু তার সামনে ছিলেন এক সতীর্থ। সুজন বল গ্লাভসে নেওয়ার আগেই আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠান কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মোহামেডান ম্যাচে ফিরল ৬৮ মিনিটে। ৬৬ মিনিটে বক্সে থাকা ইম্যানুয়েল সানডেকে ফেলে দেন মো. হৃদয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মুন। পেনাল্টি থেকে শট নিয়ে ব্যবধান কমান সুলেমান দিয়াবাতে।
সেই পর্যন্ত ম্যাচের সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গোলমাল বাধে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। কামরুল ইসলামের শট থেকে ইম্যানুয়েল সানডের হেডে বল লাগে আবাহনী ডিফেন্ডার মিলাদ শেখের হাতে। রেফারি সায়মুন হাসান আরেকটি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আবাহনীর ডাগআউট। রেফারিকে বাজে মন্তব্য করে লিগে দ্বিতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখেন আবাহনী ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতা কাপে শেখ জামালের বিপক্ষে একই রেফারির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন নজরুল ইসলাম। উত্তেজনা থামতেই পেনাল্টিতে মোহামেডানের হার এড়ান দিয়াবাতে। এক সপ্তাহ আগেই চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি আবাহনী। আজও ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট হাত ফসকে বেড়িয়ে গেল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দলের।
সাফজয়ী মেয়েদের বরণের জন্য বাফুফের প্রস্তুত রাখা ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না কোচ পিটার বাটলার। আজ সকালে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
২৮ মিনিট আগেযত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে-গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার এই গল্পের নামটাই এখন আপনাদের বেশি করে মনে পড়বে। কারণ সেই কাঠমাণ্ডুতে টানা দুইবার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। দুইবারই টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেহতাশাজনক এক সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও জয়ের দেখা পাচ্ছে না নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন সময়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জিতল সাফের শিরোপা। সাবিনা খাতুনদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
২ ঘণ্টা আগে‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
১০ ঘণ্টা আগে