ক্রীড়া ডেস্ক
এ যেন রাতে এক পড়া পড়ে পরীক্ষায় অন্য বিষয়ে প্রশ্ন আসার মতো বিপর্যয়! সৌদি আরবের বিপক্ষে ভূরি ভূরি গোল দেবে আর্জেন্টিনা—এমন প্রত্যাশায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের তো বটেই, পুরো বিশ্বকেই যেন চমকে দিয়েছে আরব বিশ্বের দেশটি। থামিয়েছে আর্জেন্টিনার ৩৬ ম্যাচের অপরাজিত দৌড়।
৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামের অধিকাংশই ছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের দখলে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টেলিভিশন পর্দায় বসেছিলেন বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিদের প্রথম ম্যাচ দেখার অপেক্ষায়। সবাইকে হতাশ করে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। ২-১ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে তো বটেই, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম জয় পেয়েছে হার্ভে রেনার্দের দল। ১৯৭৪ সালের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুই গোল খেল আর্জেন্টিনা।
অথচ পরিসংখ্যান কিংবা র্যাঙ্কিং, আর্জেন্টিনার ধারেকাছেও ছিল না সৌদি আরব। যেখানে গত তিন বছরে ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত মেসিরা, সেখানে শেষ পাঁচ ম্যাচের দুটিতেই হেরেছিল আর্জেন্টিনার থেকে ৪৮ ধাপ পেছানো সৌদি। কিন্তু লুসাইলে আর্জেন্টিনাকে রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে এশিয়ান দলটি। হাই লাইন ডিফেন্সে আর্জেন্টাইনদের অফসাইডের ফাঁদে ফেলে যেমন তিনটি গোল বাতিল করিয়েছে দলটি, তেমনি চার মিনিটের ঝড়ে তছনছ করেছে আর্জেন্টিনার রক্ষণ।
হারের পেছনে আর্জেন্টিনা দোষ দিতে পারে প্রযুক্তিকেও। ম্যাচের ফলটাও হতে পারত ভিন্ন। প্রথমার্ধে তাদের চার গোলের তিনটিই বাতিল হয়েছে অফসাইডের ফাঁদে। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য মেসির একটি ও লাউতারো মার্তিনেজের দুই গোল বাতিল করে দেন স্লোভেনিয়ান রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ।
অথচ ম্যাচটা শুরু হয়েছিল মেসির মাইলফলক আর আর্জেন্টিনার দাপটের মধ্য দিয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচান সৌদি গোলরক্ষক মোহামেদ আল ওয়াইস। আনহেল ডি মারিয়ার পাস থেকে মেসির নেওয়া বাঁ পায়ের শটে গতি না থাকায় রক্ষা সৌদির।
তবে ১০ মিনিটে পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সের ভেতর লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার আলি আল বুলায়হি। ভিআরের সহায়তা নিয়ে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মেসি। এই গোলে এক নতুন এক মাইলফলকও গড়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একমাত্র আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার বিরল অর্জনটা এখন কেবল তাঁরই।
২২ মিনিটেও বল জালে জড়ান মেসি। কিন্তু অফসাইডের কারণে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন রেফারি। পাঁচ মিনিট পরেই অধিনায়কের মতো আক্ষেপে পুড়েছেন লাউতারো মার্টিনেজ। ২৭ মিনিটে গোল পেলেও ভিএআরের সাহায্যে আর্জেন্টিনাকে আবারও হতাশায় পোড়ান রেফারিরা। ৩৫ মিনিটেও মেসির পাস থেকে মার্তিনেজের গোল বাতিল হয় একই কারণে। সৌদির হাই লাইন ডিফেন্সে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পা দেওয়ায় প্রথমার্ধে ব্যবধানটা বড় করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনা শিবিরকে স্তব্ধ করে দিয়ে সমতায় ফেরে সৌদি আরব। ৪৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফেরাস আল ব্রিকানের বাড়ানো বলে গায়ে লেগে থাকা ক্রিস্টিয়ান রোমেরোকে ঝেড়ে ফেলেন সালেহ আল শেহরি। এরপর বাঁ প্রান্ত ধরে তাঁর নেওয়া কোনাকুনি শটে হার মানেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
পাঁচ মিনিট পর আর্জেন্টিনাকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় সৌদি আরব। আর্জেন্টাইন ডি-বক্সের ভেতর দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে চোখজুড়ানো দুর্দান্ত এক শট নেন সালেম আল দাওসারি। তাঁর জোরের সঙ্গে নেওয়া শট ঠেকানোর কোনো সাধ্যই ছিল না আর্জেন্টিনা গোলরক্ষকের।
আর্জেন্টিনা ফুটবল সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর ভলি গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন সৌদি গোলরক্ষক মোহামেদ আল ওয়াইস। ৭২ মিনিটে ডি মারিয়ার শটও আটকে দেন তিনি। ৮৪ মিনিটে হেড নিয়েও মোহামেদ আল ওয়াইসকে হার মানাতে পারেননি মেসি!
অতিরিক্ত সময়েও ভাগ্যকে পাশে পায়নি আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেজের শট গোল লাইন থেকে হেডে ফিরিয়ে দেন আল আমির। শেষ সময়েও আলভারেজের হেড ঠেকিয়ে দেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মোহামেদ আল ওয়াইস। সৌদির কাছে হেরে পরের পর্বটা কঠিন হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। নক আউটে যেতে হলে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের শক্ত বাধা পার হতে হবে মেসিদের।
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
এ যেন রাতে এক পড়া পড়ে পরীক্ষায় অন্য বিষয়ে প্রশ্ন আসার মতো বিপর্যয়! সৌদি আরবের বিপক্ষে ভূরি ভূরি গোল দেবে আর্জেন্টিনা—এমন প্রত্যাশায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের তো বটেই, পুরো বিশ্বকেই যেন চমকে দিয়েছে আরব বিশ্বের দেশটি। থামিয়েছে আর্জেন্টিনার ৩৬ ম্যাচের অপরাজিত দৌড়।
৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামের অধিকাংশই ছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের দখলে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টেলিভিশন পর্দায় বসেছিলেন বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিদের প্রথম ম্যাচ দেখার অপেক্ষায়। সবাইকে হতাশ করে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। ২-১ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে তো বটেই, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম জয় পেয়েছে হার্ভে রেনার্দের দল। ১৯৭৪ সালের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুই গোল খেল আর্জেন্টিনা।
অথচ পরিসংখ্যান কিংবা র্যাঙ্কিং, আর্জেন্টিনার ধারেকাছেও ছিল না সৌদি আরব। যেখানে গত তিন বছরে ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত মেসিরা, সেখানে শেষ পাঁচ ম্যাচের দুটিতেই হেরেছিল আর্জেন্টিনার থেকে ৪৮ ধাপ পেছানো সৌদি। কিন্তু লুসাইলে আর্জেন্টিনাকে রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে এশিয়ান দলটি। হাই লাইন ডিফেন্সে আর্জেন্টাইনদের অফসাইডের ফাঁদে ফেলে যেমন তিনটি গোল বাতিল করিয়েছে দলটি, তেমনি চার মিনিটের ঝড়ে তছনছ করেছে আর্জেন্টিনার রক্ষণ।
হারের পেছনে আর্জেন্টিনা দোষ দিতে পারে প্রযুক্তিকেও। ম্যাচের ফলটাও হতে পারত ভিন্ন। প্রথমার্ধে তাদের চার গোলের তিনটিই বাতিল হয়েছে অফসাইডের ফাঁদে। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য মেসির একটি ও লাউতারো মার্তিনেজের দুই গোল বাতিল করে দেন স্লোভেনিয়ান রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ।
অথচ ম্যাচটা শুরু হয়েছিল মেসির মাইলফলক আর আর্জেন্টিনার দাপটের মধ্য দিয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচান সৌদি গোলরক্ষক মোহামেদ আল ওয়াইস। আনহেল ডি মারিয়ার পাস থেকে মেসির নেওয়া বাঁ পায়ের শটে গতি না থাকায় রক্ষা সৌদির।
তবে ১০ মিনিটে পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সের ভেতর লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার আলি আল বুলায়হি। ভিআরের সহায়তা নিয়ে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মেসি। এই গোলে এক নতুন এক মাইলফলকও গড়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একমাত্র আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার বিরল অর্জনটা এখন কেবল তাঁরই।
২২ মিনিটেও বল জালে জড়ান মেসি। কিন্তু অফসাইডের কারণে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন রেফারি। পাঁচ মিনিট পরেই অধিনায়কের মতো আক্ষেপে পুড়েছেন লাউতারো মার্টিনেজ। ২৭ মিনিটে গোল পেলেও ভিএআরের সাহায্যে আর্জেন্টিনাকে আবারও হতাশায় পোড়ান রেফারিরা। ৩৫ মিনিটেও মেসির পাস থেকে মার্তিনেজের গোল বাতিল হয় একই কারণে। সৌদির হাই লাইন ডিফেন্সে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পা দেওয়ায় প্রথমার্ধে ব্যবধানটা বড় করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনা শিবিরকে স্তব্ধ করে দিয়ে সমতায় ফেরে সৌদি আরব। ৪৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফেরাস আল ব্রিকানের বাড়ানো বলে গায়ে লেগে থাকা ক্রিস্টিয়ান রোমেরোকে ঝেড়ে ফেলেন সালেহ আল শেহরি। এরপর বাঁ প্রান্ত ধরে তাঁর নেওয়া কোনাকুনি শটে হার মানেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
পাঁচ মিনিট পর আর্জেন্টিনাকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় সৌদি আরব। আর্জেন্টাইন ডি-বক্সের ভেতর দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে চোখজুড়ানো দুর্দান্ত এক শট নেন সালেম আল দাওসারি। তাঁর জোরের সঙ্গে নেওয়া শট ঠেকানোর কোনো সাধ্যই ছিল না আর্জেন্টিনা গোলরক্ষকের।
আর্জেন্টিনা ফুটবল সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর ভলি গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন সৌদি গোলরক্ষক মোহামেদ আল ওয়াইস। ৭২ মিনিটে ডি মারিয়ার শটও আটকে দেন তিনি। ৮৪ মিনিটে হেড নিয়েও মোহামেদ আল ওয়াইসকে হার মানাতে পারেননি মেসি!
অতিরিক্ত সময়েও ভাগ্যকে পাশে পায়নি আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেজের শট গোল লাইন থেকে হেডে ফিরিয়ে দেন আল আমির। শেষ সময়েও আলভারেজের হেড ঠেকিয়ে দেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মোহামেদ আল ওয়াইস। সৌদির কাছে হেরে পরের পর্বটা কঠিন হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। নক আউটে যেতে হলে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের শক্ত বাধা পার হতে হবে মেসিদের।
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
৮ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
১০ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
১০ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
১১ ঘণ্টা আগে