ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দিলেই পড়তে হবে নিষেধাজ্ঞায়—বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ইউরোপ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক উয়েফার এই হুমকিকে ‘বেআইনি’ ও ফুটবল মার্কেটে ‘কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থানের অপব্যবহার’ বলে রায় দিয়েছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতের এই রায়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের একচেটিয়াতন্ত্র শেষ হবে জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, ‘ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের একচেটিয়া বাজার বেশি দিন থাকবে না।’ নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এমনটাই যে চেয়ে আসছেন তিনি!
২০২১ সালে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অভিজাত ও ধনী ২০ ক্লাব নিয়ে সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনাকারীদের একজন পেরেজ। যার মধ্যে ১২ দল থাকবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সে বছরের আগস্টে টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ মাঠে গড়ানোর কথা। কিন্তু ফিফা ও উয়েফা সুপার লিগকে নিষিদ্ধ করায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সমালোচনার মুখে সুপার লিগ থেকে সবার আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ছয় ইংলিশ ক্লাব। এরপর বাকিরা সরে দাঁড়ালেও স্পেনের রিয়াল, বার্সেলোনা ও ইতালির জুভেন্টাস থেকে যায়।
ফিফা ও উয়েফার নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন পেরেজ। গতকাল এই ইস্যুর রায়ে আদালত বলেছেন, ‘অনুমতি সাপেক্ষে সুপার লিগের মতো যেকোনো আন্তঃক্লাব ফুটবল প্রকল্প এগিয়ে যেতে পারে। তাতে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের এসব প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা বেআইনি।’
আদালতের এ রায় যেন আবারও ইউরোপের ফুটবলে দ্বন্দ্ব উসকে দিল। উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘ফুটবল বিক্রির জন্য নয়। আমরা তাদের থামাব না। তারা যা খুশি সৃষ্টি করতে পারে। সমর্থকেরা খেলাটার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের তাদের বিরোধিতা স্পষ্ট করেছে।’
তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, উয়েফা ও ফিফার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে কোনো কিছু পাল্টাবে না। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, ‘ইউরোপিয়ান আদালতের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আজকের রায়টি কোনো কিছুই পাল্টাবে না, সত্যি। ঐতিহাসিকভাবে আমরা সেরা বিশ্বে সেরা প্রতিযোগিতায় আয়োজন করছি এবং সেটা ভবিষ্যতেও হবে।’
তবে আদালতের রায়ে সুপার লিগ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই পারেন পেরেজ। শুরু থেকে ‘বিদ্রোহী’ তকমা পাওয়া এই লিগ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত এ২২ স্পোর্টস নামের পৃষ্ঠপোষক কোম্পানিটিও এ রায়ে নিজেদের জয়ী দাবি করে গতকাল মাদ্রিদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ফার্মটির প্রধান নির্বাহী বার্নড রেইচার্ড বলেছেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছি। উয়েফার একচেটিয়াতন্ত্র শেষ। ফুটবল এখন মুক্ত।’
আদালত রায় দিলেও কি এত সহজে কি সুপার লিগ আয়োজন সম্ভব? নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অবশ্য থেমে থাকেনি সুপার লিগের আয়োজন পরিকল্পনা। এ বছরের শুরুর দিকে নতুনভাবে এই ক্লাব প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা জানান রেইচার্ড। এবার রায়ের পর এ২২ স্পোর্টসের পরিকল্পনা, ২০ দলের পরিবর্তে ৬৪ দল নিয়ে সুপার লিগ আয়োজনের।
কিন্তু পেরেজ নিজ দেশের ঘরের লিগের সহায়তা কতটুকু পাবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়। কারণ রায়ের পর সুপার লিগকে ‘স্বার্থপর ও অভিজাত মডেল’ উল্লেখ করে পোস্ট করেছে লা লিগা। বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, সুপার লিগ জাতীয় লিগের ওপর আক্রমণ। আর উয়েফার প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দিলেই পড়তে হবে নিষেধাজ্ঞায়—বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ইউরোপ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক উয়েফার এই হুমকিকে ‘বেআইনি’ ও ফুটবল মার্কেটে ‘কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থানের অপব্যবহার’ বলে রায় দিয়েছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতের এই রায়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের একচেটিয়াতন্ত্র শেষ হবে জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, ‘ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের একচেটিয়া বাজার বেশি দিন থাকবে না।’ নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এমনটাই যে চেয়ে আসছেন তিনি!
২০২১ সালে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অভিজাত ও ধনী ২০ ক্লাব নিয়ে সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনাকারীদের একজন পেরেজ। যার মধ্যে ১২ দল থাকবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সে বছরের আগস্টে টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ মাঠে গড়ানোর কথা। কিন্তু ফিফা ও উয়েফা সুপার লিগকে নিষিদ্ধ করায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সমালোচনার মুখে সুপার লিগ থেকে সবার আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ছয় ইংলিশ ক্লাব। এরপর বাকিরা সরে দাঁড়ালেও স্পেনের রিয়াল, বার্সেলোনা ও ইতালির জুভেন্টাস থেকে যায়।
ফিফা ও উয়েফার নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন পেরেজ। গতকাল এই ইস্যুর রায়ে আদালত বলেছেন, ‘অনুমতি সাপেক্ষে সুপার লিগের মতো যেকোনো আন্তঃক্লাব ফুটবল প্রকল্প এগিয়ে যেতে পারে। তাতে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের এসব প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা বেআইনি।’
আদালতের এ রায় যেন আবারও ইউরোপের ফুটবলে দ্বন্দ্ব উসকে দিল। উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘ফুটবল বিক্রির জন্য নয়। আমরা তাদের থামাব না। তারা যা খুশি সৃষ্টি করতে পারে। সমর্থকেরা খেলাটার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের তাদের বিরোধিতা স্পষ্ট করেছে।’
তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, উয়েফা ও ফিফার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে কোনো কিছু পাল্টাবে না। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, ‘ইউরোপিয়ান আদালতের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আজকের রায়টি কোনো কিছুই পাল্টাবে না, সত্যি। ঐতিহাসিকভাবে আমরা সেরা বিশ্বে সেরা প্রতিযোগিতায় আয়োজন করছি এবং সেটা ভবিষ্যতেও হবে।’
তবে আদালতের রায়ে সুপার লিগ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই পারেন পেরেজ। শুরু থেকে ‘বিদ্রোহী’ তকমা পাওয়া এই লিগ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত এ২২ স্পোর্টস নামের পৃষ্ঠপোষক কোম্পানিটিও এ রায়ে নিজেদের জয়ী দাবি করে গতকাল মাদ্রিদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ফার্মটির প্রধান নির্বাহী বার্নড রেইচার্ড বলেছেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছি। উয়েফার একচেটিয়াতন্ত্র শেষ। ফুটবল এখন মুক্ত।’
আদালত রায় দিলেও কি এত সহজে কি সুপার লিগ আয়োজন সম্ভব? নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অবশ্য থেমে থাকেনি সুপার লিগের আয়োজন পরিকল্পনা। এ বছরের শুরুর দিকে নতুনভাবে এই ক্লাব প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা জানান রেইচার্ড। এবার রায়ের পর এ২২ স্পোর্টসের পরিকল্পনা, ২০ দলের পরিবর্তে ৬৪ দল নিয়ে সুপার লিগ আয়োজনের।
কিন্তু পেরেজ নিজ দেশের ঘরের লিগের সহায়তা কতটুকু পাবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়। কারণ রায়ের পর সুপার লিগকে ‘স্বার্থপর ও অভিজাত মডেল’ উল্লেখ করে পোস্ট করেছে লা লিগা। বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, সুপার লিগ জাতীয় লিগের ওপর আক্রমণ। আর উয়েফার প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
৬ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
৮ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
৮ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
৯ ঘণ্টা আগে