Ajker Patrika

‘মেসি আমাকে বলেছিলেন, তোমাকে বিশ্বসেরা হতে সহায়তা করব’

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ২৫
লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়ার। ছবি: এএফপি
লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়ার। ছবি: এএফপি

ক্যারিয়ারের শুরুতে নেইমার জুনিয়রের নাম উচ্চারিত হতো লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। শুরুটা এমন উজ্জ্বলই ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলে চার বছরে নিজেও হয়েছেন বেশ পরিপক্ব। জিতেছেন দুটি লা লিগা শিরোপা, তিনটি কোপা দেল রে এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ।

২০১৭ সালে তিনি ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয়—রেকর্ড ট্রান্সফারে পিএসজিতে চলে যান নেইমার। যদিও লিওনেল মেসি তখন তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। নেইমার সেই অনুরোধ রাখেননি। পরবর্তীতে পিএসজিতেও গিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝামেলায় জড়াতে হয়েছে নেইমারকে।

বার্সা ছেড়ে যাওয়ার পর নেইমারের ক্যারিয়ারটা আর সেভাবে মসৃণ ছিল না। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন, এমবাপ্পের সঙ্গে ঝামেলা, মেসির অনুরোধ এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ৩২ বছর বয়সী ফুটবল তারকা। স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিওর সাক্ষাৎকারে নেইমার স্বীকার করেছেন, তাঁর ফুটবল যাত্রায় ইগো, হিংসা এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো কতটা প্রভাব ফেলেছে।

নেইমার জানিয়েছেন, বার্সেলোনার হয়ে খেলার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয় ২০১৩ সালে, যখন তিনি রিয়াল মাদ্রিদের বদলে কাতালান ক্লাবটিকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু শুরুর সময়টা মোটেই মসৃণ ছিল না। ইউটিউব চ্যানেল ‘রোমারিও টিভি’তে নেইমার বলেন, ‘বার্সেলোনায় প্রথম ছয় মাস ভয়াবহ ছিল। আমি ঠিকমতো ড্রিবল করতে পারতাম না, পাস দিতে পারতাম না, আর মনে হতো সবকিছু ভুল করছি। একদিন আমি খুব হতাশ ছিলাম। প্রথমার্ধ চলছিল। আজও মনে আছে, অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে...আমি নিজের উপর রেগে ড্রেসিংরুমে ঢুকেছিলাম। আমি খুব খারাপ খেলছিলাম। আমি কী করছি? ভেবে কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলাম। তারপর দরজায় ধাক্কা, লিও মেসি এল।’

সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন মেসি। সে ঘটনা উল্লেখ করে নেইমার বললেন, ‘তুমি কাঁদছ কেন? আমি (নেইমার) বলেছি, না, আমি ঠিক আছি, আমি ঠিক আছি। এরপর দানি আলভেস এলেন এবং মেসি বললেন, শান্ত হও, আমরা তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি। আমরা চাই তুমি সান্তোসে যেমন করেছ তেমনই কোনো চাপ ছাড়াই তোমার সেরা ফুটবল খেলো। আমি তোমাকে সান্তোসের মতো খেলতে সাহায্য করব। যদি তোমার কিছু লাগে, তুমি আমার ওপর নির্ভর করতে পার। তারপর আমি আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। খেলতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠি এবং সবকিছু ঠিকঠাক হতে শুরু করে।’

এত অর্জনের পরও বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। মেসি অনুরোধ করেছিলেন থেকে যেতে। সে প্রসঙ্গ টেনে নেইমার বলেন, ‘মেসি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কেন যাচ্ছ? তুমি কি বিশ্বসেরা হতে চাও? আমি তোমাকে তা অর্জনে সহায়তা করতে পারি। কিন্তু আমার জন্য এটা ওই রকম ব্যাপার ছিল না। এটা ছিল ব্যক্তিগত। পিএসজি আমাকে বেশি কিছু প্রস্তাব করেছিল। অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে আমি বার্সেলোনায় যা পেতাম তার চেয়ে ভালো ছিল...এবং সেখানে ব্রাজিলিয়ানরাও (ফুটবলার) ছিল। থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মার্কিনহোস ও লুকাস মৌরার মতো ব্রাজিলিয়ানদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম। তারা সবাই আমার বন্ধু ছিল।’

২০২১ সালে মেসিও বার্সেলোনা অধ্যায়ের পর পিএসজিতে নাম লেখান। পিএসজির আক্রমণভাগে তখন বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পেও ছিলেন। ফরাসি তারকার সঙ্গে নেইমার ও মেসির তিক্ত সম্পর্কের কথা অনেকবার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। মেসি পিএসজিতে ভেড়ার পর এমবাপ্পে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বলেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার কিছু ব্যাপার ছিল, আমাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হতো। তাকে যখন প্রথমে পাই তখন বয়স অনেক কম ছিল। শুরুতে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। তার সঙ্গে আমার কথা হতো, তার সঙ্গে খেলা হতো। তাকে বলতাম, সে সেরাদের একজন হবে। আমি সব সময় সাহায্য করতাম, সব সময় তার সঙ্গে কথা বলতাম। তবে যখন লিও এল, সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠল। সে আমার ভাগ কাউকে দিতে চায়নি (হাসি দিয়ে)। এভাবেই দুজনের (নেইমার-এমবাপ্পে) মধ্যে ঝগড়ার শুরু, আচরণে পরিবর্তন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লায়ন-কামিন্সের দাপুটে বোলিংয়ে অ্যাশেজ হারের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৬
৪ উইকেট হাতে রেখে আরও ২২৮ রান করতে হবে অতিথিদের। ছবি: ক্রিকইনফো
৪ উইকেট হাতে রেখে আরও ২২৮ রান করতে হবে অতিথিদের। ছবি: ক্রিকইনফো

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগিতেকরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।

২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আরও সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।

তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘অবিশ্বাস্য’, পেনাল্টি ঠেকিয়ে হাত ভাঙা গোলরক্ষক প্রসঙ্গে পিএসজি কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
চারটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন সাফোনভ। ছবি: এক্স
চারটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন সাফোনভ। ছবি: এক্স

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।

পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’

সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হজের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে জবাব দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
১৯৪ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো
১৯৪ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩৮১ রান। এখনো ১৯৪ রানে পিছিয়ে অতিথিরা। তাদের ভরসা হয়ে টিকে আছেন হজ। ১০৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিশাল লক্ষ্যের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। আগের দিনের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করেই আজ শুরুতেই ফেরেন ক্যাম্পবেল। কিং-ও বেশিদূর আগাতে পারেননি। ৬৩ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেন জ্যাকড ডাফি।

১৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর টেভিন ইমলাচ, আলিক আথানেজ, জাস্টিন গ্রিভসরা ব্যাট হাতে টিকে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হজের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে ২৭ রান করে ফেরেন ইমলাচ। চতুর্থ উইকেটে আথানেজকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন হজ। যেখানে আথানেজের অবদান ৪৫ রান।

পঞ্চম উইকেটে গ্রিভস নিয়ে ৮১ রান তোলেন হজ। গ্রিভস ৪৩ রান করে ফিরলে এই জুটির সমাপ্তি হয়। হাল ধরতে ব্যর্থ হন রস্টন চেজ। ২ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে নিয়ে দিনের বাকিটা পথ পাড়ি দেন হজ। ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ২৫৪ বলের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে ১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজ এখন সেরা তিনে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
প্রথম ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে সেরা বোলারদের তালিকায় ঢুকেছেন মোস্তাফিজ।

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মরুর দেশের এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় তাঁর। দুবাইয়ের হয়ে শুধু ১৩ ডিসেম্বর আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে খরুচে ছিলেন। বাকি ৫ ম্যাচেই হিসেবি বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।

প্রথম ৬ ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। সেরা বোলারদের তালিকার তিনে অবস্থান করছেন তিনি। ৮.১৯ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১৭২ রান। শীর্ষে আছেন মোস্তাফিজের সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল। ৭ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন দুবাইয়ের এই আফগান স্পিনার। মোস্তাফিজের সমান ১১ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন খুজাইমা তানভীর। ৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

শারজার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও বল হাতে অবদান রাখেন মোস্তাফিজ। ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ ব্যাটারকে ফেরান সাতক্ষীরার এই পেসার। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা বোলিংটা করেছেন এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। গত ১৭ ডিসেম্বর কাইরন পোলার্ডদের কাছে দল ৭ রানে হারলেও ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

সময়টা এখন যেন মোস্তাফিজের হয়েই কথা বলছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম থেকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এই বোলারকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। আইপিএলের ইতিহাসে অতীতে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার এত বেশি টাকায় বিক্রি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত