ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: চলছে ইউরোর ক্ষণগণনা। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে অনেক অঘটনই এখন পর্যন্ত ঘটেছে। ২০১৬ ইউরোতে ‘আন্ডারডগ’রা ২৯ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইউরোতে ‘পচা শামুকে পা কাটা’র পাঁচটি ঘটনা থাকলে এখানে।
ইংল্যান্ড ১-২ আইসল্যান্ড (বাজির দর ছিল ১৭.৪)
২০১৬ ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড–আইসল্যান্ড। ম্যাচ শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবে জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। বাজির দরে ইংল্যান্ড এগিয়ে ছিল ৮২.৬ শতাংশ। পার্থক্য বুঝিয়ে দিতেই যেন ৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ওয়েইন রুনি এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। তবে ইংলিশদের প্রথম ধাক্কাটা দেন রাগনার সিগার্ডসন। ম্যাচের ৬ মিনিটে গোল করে আইসল্যান্ডকে সমতায় ফেরান এই ডিফেন্ডার। ১৮ মিনিটেই যেন ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেন কলবেইন সিকতোরসন। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনেরই জন্ম দিয়েছিল ৩৫০০০০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ তাদের হিসাবেই রাখেনি। ‘আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। পুরো পৃথিবী বিশ্বাস করেনি কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি’—ম্যাচ শেষে আইসল্যান্ড ডিফেন্ডার কারি আরনেসনের অনুপ্রেরণাদায়ী কথাটিই ফুটবলের ইতিহাস বিশেষভাবে মনে রেখেছে। ইংলিশদের ফুটবল ইতিহাসের বড় দাগটাই হয়ে গেছে ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটির ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যালেন শিয়ারার তো আর এমনি বলেননি, ‘আমার দেখা এটিই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পারফরম্যান্স।’
ফ্রান্স ০-১ গ্রিস (বাজির দর ১৯.১ শতাংশ)
আইসল্যান্ডের মতো গ্রিসের ফুটবল ইতিহাসের সেরা মুহূর্তটি আসে ইউরোতেই। ২০০৪ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জিনেদিন জিদানদের কাঁদিয়ে মাঠকে আনন্দরাজ্য বানিয়েছিলেন গ্রিস ফুটবলাররা। ১–০ গোলে হারিয়ে পুরস্কার মঞ্চে ম্যাচসেরা অ্যাঞ্জেলস কারিসতাস গ্রিকদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেন। কারিসতাস তখনো ভাবেননি ইতিহাসের আরও কিছু বাকি আছে! ২০০৪ ইউরোতে গ্রিক রূপকথার শেষাংশ মঞ্চায়িত হয়েছিল লিসবনে। ফাইনালে স্বাগতিক পর্তুগালকে কাঁদিয়ে প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে গ্রিস।
বেলজিয়াম ১-৩ ওয়েলস (বাজির দর ১৯.৬ শতাংশ)
২০১৬ ইউরোর চমকের আরেকটির দেখা মেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ওয়েলস। ওয়েলসের এই জয়টি ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের তালিকায় তিনে আছে। হার্টসনের পাস থেকে রবসন কানুর দুর্দান্ত গোল পুরো ম্যাচের হাইলাইটস। কানুর সেই গোলটিকে ওয়েলস ফরোয়ার্ড হার্টসন ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে, ‘আমি যদি প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের চেয়ারম্যান হতাম পর দিন কানুকে বাসায় গিয়ে কিনে নিতাম।’ যদিও কানুর সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবুও সেই জয়টি ওয়েলসের ৭৫ বছরের ফুটবল ইতিহাসে সেরা মুহূর্ত হয়ে আছে।
বেলজিয়াম ০-২ তুরস্ক (বাজির দর ১৯.৭ শতাংশ)
২০১৬ ইউরোর আগে অবশ্য ইউরোতে বেলজিয়াম সবচেয়ে বড় অঘটনের শিকার হয়েছিল ২০০০ সালে। ম্যাচ শুরুর আগে তুরস্কের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ১৯.৭ শতাংশ। মাঠে নেমে গেলে কোন দল এগিয়ে কোনো দল পিছিয়ে এসব নাকি ওই হিসেব পর্যন্তই! সেদিন তুরস্ক সেটাই প্রমাণ করেছিল। বেলজিয়ামকে তুরস্ক হারিয়েছিল ২–০ গোলের ব্যবধানে। তুরস্কের ৭৭ বছরে ফুটবল ইতিহাসে এমনটা আর কখনো ঘটেনি। ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ফুটবল বিশ্বকে আরেকবার চমকে দেয় তুর্কিরা।
নেদারল্যান্ডস ০-১ ডেনমার্ক (বাজির দর ১৯.৯ শতাংশ)
‘ডাচ টিম দেখে আসলে কিছুটা হিংসা হয়। আমরা তাদের চেয়ে সবকিছুতেই পিছিয়ে। তারাই এই ম্যাচের ফেবারিট। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই’—২০১২ ইউরোতে ম্যাচ শুরুর আগে এমনিই সহজ স্বীকারোক্তি ছিল ডেনমার্ক কোচ মর্টান ওলসেনের। ম্যাচের আগে ‘পিছিয়ে থাকা’ ডেনমার্কই পরে ডাচদের ১–০ গোলে হারিয়েই ছাড়ল।
ঢাকা: চলছে ইউরোর ক্ষণগণনা। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে অনেক অঘটনই এখন পর্যন্ত ঘটেছে। ২০১৬ ইউরোতে ‘আন্ডারডগ’রা ২৯ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইউরোতে ‘পচা শামুকে পা কাটা’র পাঁচটি ঘটনা থাকলে এখানে।
ইংল্যান্ড ১-২ আইসল্যান্ড (বাজির দর ছিল ১৭.৪)
২০১৬ ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড–আইসল্যান্ড। ম্যাচ শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবে জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। বাজির দরে ইংল্যান্ড এগিয়ে ছিল ৮২.৬ শতাংশ। পার্থক্য বুঝিয়ে দিতেই যেন ৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ওয়েইন রুনি এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। তবে ইংলিশদের প্রথম ধাক্কাটা দেন রাগনার সিগার্ডসন। ম্যাচের ৬ মিনিটে গোল করে আইসল্যান্ডকে সমতায় ফেরান এই ডিফেন্ডার। ১৮ মিনিটেই যেন ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেন কলবেইন সিকতোরসন। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনেরই জন্ম দিয়েছিল ৩৫০০০০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ তাদের হিসাবেই রাখেনি। ‘আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। পুরো পৃথিবী বিশ্বাস করেনি কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি’—ম্যাচ শেষে আইসল্যান্ড ডিফেন্ডার কারি আরনেসনের অনুপ্রেরণাদায়ী কথাটিই ফুটবলের ইতিহাস বিশেষভাবে মনে রেখেছে। ইংলিশদের ফুটবল ইতিহাসের বড় দাগটাই হয়ে গেছে ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটির ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যালেন শিয়ারার তো আর এমনি বলেননি, ‘আমার দেখা এটিই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পারফরম্যান্স।’
ফ্রান্স ০-১ গ্রিস (বাজির দর ১৯.১ শতাংশ)
আইসল্যান্ডের মতো গ্রিসের ফুটবল ইতিহাসের সেরা মুহূর্তটি আসে ইউরোতেই। ২০০৪ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জিনেদিন জিদানদের কাঁদিয়ে মাঠকে আনন্দরাজ্য বানিয়েছিলেন গ্রিস ফুটবলাররা। ১–০ গোলে হারিয়ে পুরস্কার মঞ্চে ম্যাচসেরা অ্যাঞ্জেলস কারিসতাস গ্রিকদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেন। কারিসতাস তখনো ভাবেননি ইতিহাসের আরও কিছু বাকি আছে! ২০০৪ ইউরোতে গ্রিক রূপকথার শেষাংশ মঞ্চায়িত হয়েছিল লিসবনে। ফাইনালে স্বাগতিক পর্তুগালকে কাঁদিয়ে প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে গ্রিস।
বেলজিয়াম ১-৩ ওয়েলস (বাজির দর ১৯.৬ শতাংশ)
২০১৬ ইউরোর চমকের আরেকটির দেখা মেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ওয়েলস। ওয়েলসের এই জয়টি ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের তালিকায় তিনে আছে। হার্টসনের পাস থেকে রবসন কানুর দুর্দান্ত গোল পুরো ম্যাচের হাইলাইটস। কানুর সেই গোলটিকে ওয়েলস ফরোয়ার্ড হার্টসন ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে, ‘আমি যদি প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের চেয়ারম্যান হতাম পর দিন কানুকে বাসায় গিয়ে কিনে নিতাম।’ যদিও কানুর সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবুও সেই জয়টি ওয়েলসের ৭৫ বছরের ফুটবল ইতিহাসে সেরা মুহূর্ত হয়ে আছে।
বেলজিয়াম ০-২ তুরস্ক (বাজির দর ১৯.৭ শতাংশ)
২০১৬ ইউরোর আগে অবশ্য ইউরোতে বেলজিয়াম সবচেয়ে বড় অঘটনের শিকার হয়েছিল ২০০০ সালে। ম্যাচ শুরুর আগে তুরস্কের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ১৯.৭ শতাংশ। মাঠে নেমে গেলে কোন দল এগিয়ে কোনো দল পিছিয়ে এসব নাকি ওই হিসেব পর্যন্তই! সেদিন তুরস্ক সেটাই প্রমাণ করেছিল। বেলজিয়ামকে তুরস্ক হারিয়েছিল ২–০ গোলের ব্যবধানে। তুরস্কের ৭৭ বছরে ফুটবল ইতিহাসে এমনটা আর কখনো ঘটেনি। ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ফুটবল বিশ্বকে আরেকবার চমকে দেয় তুর্কিরা।
নেদারল্যান্ডস ০-১ ডেনমার্ক (বাজির দর ১৯.৯ শতাংশ)
‘ডাচ টিম দেখে আসলে কিছুটা হিংসা হয়। আমরা তাদের চেয়ে সবকিছুতেই পিছিয়ে। তারাই এই ম্যাচের ফেবারিট। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই’—২০১২ ইউরোতে ম্যাচ শুরুর আগে এমনিই সহজ স্বীকারোক্তি ছিল ডেনমার্ক কোচ মর্টান ওলসেনের। ম্যাচের আগে ‘পিছিয়ে থাকা’ ডেনমার্কই পরে ডাচদের ১–০ গোলে হারিয়েই ছাড়ল।
‘আমাদের এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং এখান থেকে বেরোতে হবে’—ভারী কণ্ঠে পেপ গার্দিওলার বলা এই কথায় বলে দিচ্ছিল সবকিছু। এই সাধারণ সত্যটা বলতে হয়তো বুক ফেটে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি কোচের। একটু আগে যেটি হয়েছে, তার জন্য যে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তিনি!
১ ঘণ্টা আগেএটাও কি সম্ভব? মাত্র ৭ রানেই গল্প শেষ আইভোরি কোস্টের! ম্যাচ দেখা তো দূরে থাক, এই স্কোরকার্ড সামাজিক মাধ্যমে কারও নজরে পড়লে তাঁর চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার মতো অবস্থা হবে।
২ ঘণ্টা আগেসাবলীলভাবে খেলতে খেলতে হঠাৎই খেই হারানোর ঘটনা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে দেখা গেছে একই ঘটনা। কোনোমতে ফলোঅন এড়ালেও স্বাগতিকেরা কতক্ষণ টিকবে প্রথম ইনিংসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২ ঘণ্টা আগেবুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
১৫ ঘণ্টা আগে