নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: নিহাত জামান উচ্ছ্বাসকে যখন কাল ফোনে পাওয়া গেল, কণ্ঠটা তাঁর ম্রিয়মান। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ভেসে এল ঘুঘু পাখির ডাক। পাখির ডাকটাই বলে দেয় গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে লকডাউনের সময়টা কাটাচ্ছেন আরামবাগের এই ফুটবলার।
প্রায় সারা বছর মাঠের ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় বের করতে পারা মধুর হলেও উচ্ছ্বাসের কণ্ঠে ‘উচ্ছ্বাস’টা আর নেই। দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগ বাতিল—পারিশ্রমিক না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় বিমর্ষ তরুণ এই স্ট্রাইকার।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের প্রথম ভাগে যে কজন স্থানীয় স্ট্রাইকার আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন, উচ্ছ্বাস তাঁদের একজন। লিগে ১০ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন। আছেন দারুণ ছন্দে। এখন পারফরম্যান্সের কথা বাদ দিয়ে তাঁর পারিশ্রমিক আর ফিটনেস নিয়েই যত চিন্তা। লকডাউনে লিগ স্থগিত মানে মৌসুমের বাকি সময় আর্থিক দুর্ভাবনা নিয়ে কাটানো।
কবে খেলা মাঠে গড়াবে, আপাতত সেটার নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বড় ক্লাবগুলো নিজ খরচায় খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে রাখলেও তুলনামূলক ছোট ক্লাবগুলোর কাছে এ যেন বিলাসিতা! খরচ বাঁচাতে খেলোয়াড়দের যাঁর যাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে আরামবাগ-ব্রাদার্সের মতো আর্থিকভাবে নড়বড়ে ক্লাবগুলো।
দুই বছর আগে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়াচক্র তাদের একটি। তরুণদের নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটতে চলা ক্লাবটি কেলেঙ্কারির ধাক্কা সামলাতে না পেরে এক ঝটকায় মুখ থুবড়ে পড়ে মাটিতে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার চেষ্টা থাকলেও খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণেও ব্যর্থ আরামবাগ।
গত বছর প্রথম দফা লকডাউনে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধে নড়বড়ে অবস্থানে ছিল আরামবাগ। অবনমন অঞ্চলে থাকলেও করোনায় লিগ বাতিল হওয়ায় সে যাত্রায় রক্ষা। এবার অবস্থা আগের চেয়ে করুণ। ১৩ দলের মধ্যে সবার শেষে থেকে লিগের প্রথম ভাগ শেষ করা ক্লাবটি যখন অবনমন এড়ানোর চেষ্টায়, তখনই করোনা–ধাক্কা।
খরচ বাঁচানোর উপায় হিসেবে আরামবাগের ক্লাব কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের নিজ নিজ শহরে পাঠিয়ে দেওয়াটা শ্রেয় মনে করেছে। ছুটিতে নিজ গ্রামে ফেরার পথে শুধু পকেট খরচাটাই পেয়েছেন ক্লাবের খেলোয়াড়রা। লিগ কবে গড়াবে, নাকি বাতিল হবে গতবারের মতো; আর বাতিল হলে মৌসুমের বাকি টাকাটা আদৌ পাওয়া সম্ভব? নানা প্রশ্ন খেলোয়াড়দের মনে।
আরামবাগের স্ট্রাইকার উচ্ছ্বাস তাই বললেন, ‘আরামবাগের অবস্থা সবাই জানে। চেষ্টা করি ক্লাবটা যেন পরের লিগে থাকতে পারে। দ্বিতীয় ভাগে চেষ্টা চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু পকেটে যে টাকা এনেছি জানি না কীভাবে কী করব। নিজের ফিটনেস নিয়ে কী করব, কী খাব–না খাব...যদি গতবারের মতো লিগ বাতিল হয় তাহলে কী হবে, জানি না।’
পয়েন্ট টেবিলে আরামবাগের ঠিক ওপর অবস্থান ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্সের। ১২ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে গোপীবাগের দলটার মাথায় ঝুলে আছে অবনমনের খড়্গ। অবনমন এড়াতে পুরোনো সৈনিক এমিলি-আরিফুলদের ফেরালেও ক্লাবের আর্থিক অবস্থা অনেকটা আরামবাগের মতোই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাবের এক খেলোয়াড়ের দুশ্চিন্তা, রোজা-ঈদ কীভাবে পার করবেন, সে উত্তর তাঁর কাছে অজানা!
ঢাকা: নিহাত জামান উচ্ছ্বাসকে যখন কাল ফোনে পাওয়া গেল, কণ্ঠটা তাঁর ম্রিয়মান। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ভেসে এল ঘুঘু পাখির ডাক। পাখির ডাকটাই বলে দেয় গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে লকডাউনের সময়টা কাটাচ্ছেন আরামবাগের এই ফুটবলার।
প্রায় সারা বছর মাঠের ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় বের করতে পারা মধুর হলেও উচ্ছ্বাসের কণ্ঠে ‘উচ্ছ্বাস’টা আর নেই। দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগ বাতিল—পারিশ্রমিক না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় বিমর্ষ তরুণ এই স্ট্রাইকার।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের প্রথম ভাগে যে কজন স্থানীয় স্ট্রাইকার আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন, উচ্ছ্বাস তাঁদের একজন। লিগে ১০ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন। আছেন দারুণ ছন্দে। এখন পারফরম্যান্সের কথা বাদ দিয়ে তাঁর পারিশ্রমিক আর ফিটনেস নিয়েই যত চিন্তা। লকডাউনে লিগ স্থগিত মানে মৌসুমের বাকি সময় আর্থিক দুর্ভাবনা নিয়ে কাটানো।
কবে খেলা মাঠে গড়াবে, আপাতত সেটার নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বড় ক্লাবগুলো নিজ খরচায় খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে রাখলেও তুলনামূলক ছোট ক্লাবগুলোর কাছে এ যেন বিলাসিতা! খরচ বাঁচাতে খেলোয়াড়দের যাঁর যাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে আরামবাগ-ব্রাদার্সের মতো আর্থিকভাবে নড়বড়ে ক্লাবগুলো।
দুই বছর আগে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়াচক্র তাদের একটি। তরুণদের নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটতে চলা ক্লাবটি কেলেঙ্কারির ধাক্কা সামলাতে না পেরে এক ঝটকায় মুখ থুবড়ে পড়ে মাটিতে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার চেষ্টা থাকলেও খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণেও ব্যর্থ আরামবাগ।
গত বছর প্রথম দফা লকডাউনে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধে নড়বড়ে অবস্থানে ছিল আরামবাগ। অবনমন অঞ্চলে থাকলেও করোনায় লিগ বাতিল হওয়ায় সে যাত্রায় রক্ষা। এবার অবস্থা আগের চেয়ে করুণ। ১৩ দলের মধ্যে সবার শেষে থেকে লিগের প্রথম ভাগ শেষ করা ক্লাবটি যখন অবনমন এড়ানোর চেষ্টায়, তখনই করোনা–ধাক্কা।
খরচ বাঁচানোর উপায় হিসেবে আরামবাগের ক্লাব কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের নিজ নিজ শহরে পাঠিয়ে দেওয়াটা শ্রেয় মনে করেছে। ছুটিতে নিজ গ্রামে ফেরার পথে শুধু পকেট খরচাটাই পেয়েছেন ক্লাবের খেলোয়াড়রা। লিগ কবে গড়াবে, নাকি বাতিল হবে গতবারের মতো; আর বাতিল হলে মৌসুমের বাকি টাকাটা আদৌ পাওয়া সম্ভব? নানা প্রশ্ন খেলোয়াড়দের মনে।
আরামবাগের স্ট্রাইকার উচ্ছ্বাস তাই বললেন, ‘আরামবাগের অবস্থা সবাই জানে। চেষ্টা করি ক্লাবটা যেন পরের লিগে থাকতে পারে। দ্বিতীয় ভাগে চেষ্টা চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু পকেটে যে টাকা এনেছি জানি না কীভাবে কী করব। নিজের ফিটনেস নিয়ে কী করব, কী খাব–না খাব...যদি গতবারের মতো লিগ বাতিল হয় তাহলে কী হবে, জানি না।’
পয়েন্ট টেবিলে আরামবাগের ঠিক ওপর অবস্থান ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্সের। ১২ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে গোপীবাগের দলটার মাথায় ঝুলে আছে অবনমনের খড়্গ। অবনমন এড়াতে পুরোনো সৈনিক এমিলি-আরিফুলদের ফেরালেও ক্লাবের আর্থিক অবস্থা অনেকটা আরামবাগের মতোই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাবের এক খেলোয়াড়ের দুশ্চিন্তা, রোজা-ঈদ কীভাবে পার করবেন, সে উত্তর তাঁর কাছে অজানা!
৩, ২, ০, ১, ১৩, ৭, ০, ০, ০, ১০, ০—এই হলো ডারবান টেস্টে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের প্রথম ইনিংসের রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে এক সেশনও টিকতে পারেনি সফরকারীরা। আজ দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের পর ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানরা অলআউট হয়েছে মাত্র ৪২ রানে! যার মধ্যে আবার ৬ রানই এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় ২০১ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়রা নিজেদের মাঠে টেস্ট খেলছে, অথচ গ্যালারি খাঁ-খাঁ করছে। টেস্টে এমনি দর্শক কম হয়, তাই বলে ৫০ জন দর্শকও কি মাঠে আসবে না? জ্যামাইকায় পরশু শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট। আয়োজকেরা স্যাবাইনা পার্কে সুলভ মূল্যে
৩ ঘণ্টা আগেশিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, ওলি রবিনসনের যমজ ভাই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছেন কি না। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। নতুন ওলি রবিনসনের সঙ্গে আগের ওলি রবিনসনের কোনো সম্পর্ক নেই।
৫ ঘণ্টা আগে