Ajker Patrika

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ কোচ ও সাবিনাদের বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক
সাবিনা খাতুনদের কোচিং করাতে চান না পিটার বাটলার। ছবি: সংগৃহীত
সাবিনা খাতুনদের কোচিং করাতে চান না পিটার বাটলার। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহখানেক হয়ে গেলেও এখনো কাটেনি নারী ফুটবলের অচলাবস্থা। জটিলতা নিরসনে গঠিত বিশেষ কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছেন গতকাল। তাই এখন সব সিদ্ধান্ত বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের হাতে।

পাল্টাপাল্টি অবস্থানে থাকা কোচ পিটার বাটলার ও বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ কমিটি প্রতিবেদনে এমনটাই তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছে বাফুফের এক সূত্র।

প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়েই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, ‘নারী ফুটবল দল কিন্তু আমাদের অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সুযোগই নেই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শৃঙ্খলা, সেখানে (তদন্ত প্রতিবেদনে) সাফল্য-ব্যর্থতা মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার অন্তত মনে হয় না।’

ইমরুল আরও বলেন, ‘এখানে কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এখানে এসেছেন। আমরা মনে করি, মেয়েদের বিষয়গুলো নিয়ে আবেগ যেমন ছিল, সাফল্য যেমন ছিল, তেমনি শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, আমরা সব দিক বিবেচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করেছি। নিজেদের দায়িত্বের প্রতি নির্মোহ ছিলাম আমরা।’

দুদিন আগেই কোচ পিটার বাটলার তপ্ত আগুনে ঘি ঢেলে আরও। হয় তারা (বিদ্রোহী ফুটবলার) থাকবে, না হয় আমি থাকব— এমন মন্তব্য করে বসেন তিনি। তার সঙ্গে ফুটবলারদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি আগে থেকেই জানত নারী উইং। কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। প্রতিবেদনে তাদের ভুলও তুলে ধরেছে বিশেষ কমিটি। ইমরুল হাসান বলেন,  ‘আমাদের প্রতিবেদনে নারী উইংয়ের করণীয় কী ছিল সেটাও আলোকপাত করেছি।’

তিন সপ্তাহ পর দেশে ফিরলেও গতকাল ফেডারেশনে আসেননি বাফুফে সভাপতি। ইমরুল বলেন,  ‘যেহেতু আমরা সভাপতি বরাবর প্রতিবেদন দিয়েছি। সভাপতি চাইলে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আবার প্রয়োজনে নির্বাহী সভায় সবার মতামতও চাইতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে তার ওপর। আবার প্রয়োজনবোধে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গেও একবার কথা বলতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত