নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
না এমিলিয়ানো, না লিসান্দ্রো, না লাওতারো—গতকাল কানাডার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার কোপার সেমিফাইনালটি কোনো মার্তিনেজেরই ছিল না। তবে মার্তিনেজদের দিন যায় না যেদিন, আর্জেন্টিনাকে জেতানোর পালা সেদিন অন্যদের। এবারের কোপায় গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে গোল পাওয়া আলভারেজ সেমিতে কানাডাকে পেয়ে করলেন আরও এক গোল; প্রথম গোলের মুখ দেখলেন লিওনেল মেসি। আর তাতেই আর্জেন্টিনা যথারীতি কোপার ফাইনালে। আগামী সোমবার ফাইনাল। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে-কলম্বিয়ার সেমিফাইনাল বিজয়ী।
সবশেষ পাঁচ কোপায় এটি তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠা আর্জেন্টিনার। জিতলে রেকর্ড ১৬ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। পরিসংখ্যানে হয়তো এটি হবে স্রেফ নতুন আরেকটি শিরোপা। তবে এটির মাহাত্ম্য কোপার আর দশটা শিরোপার চেয়ে বেশিই হওয়ার কথা মেসিদের কাছে। ১৫ জুলাই ফাইনাল খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলবেন আনহেল দি মারিয়া। বিদায়ের পূর্বঘোষণা না দিলেও ধরা হচ্ছে, এটাই শেষ কোপা নিকোলাস ওতামেন্দির; খুব সম্ভবত মেসিরও। এবারের শিরোপাই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে এক সোনালি প্রজন্মের স্মারক হয়ে থাকবে। তা ছাড়া কোনো দলের কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপ-কোপা আমেরিকা—এমন ত্রিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব নেই। এবার জিতলে সেই অভূতপূর্ব কীর্তি গড়বে আর্জেন্টিনা; ইউরোপীয় ফুটবলে যেমন ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো ত্রিমুকুট জয়ের কীর্তি স্পেনের।
কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা জিতবে, এটা অনুমিতই ছিল। তবে সাধ্যমতো লড়াই করেছে কানাডা। বল পজেশনে আর্জেন্টিনার (৫০.৭ শতাংশ) কাছাকাছিই থেকেছে কানাডা (৪৯.৩ শতাংশ)। গোলে আর্জেন্টিনার শট ৩টি, কানাডার ২টি। তবে দর্শকদের চোখের প্রশান্তি এনে দেয় ৫১ মিনিটে মেসির গোল। এই গোলের আগেও কানাডার রক্ষণ কাঁপিয়েছেন তিনি। ৪৪ মিনিটে কানাডার বক্সে ফেলা দি মারিয়ার পাস আলভারেজ ডামি করলে বল পেয়ে যান মেসি। ডিফেন্ডার জনস্টনকে ছাপিয়ে মেসি শট নিলেও সেটি পোস্টের বাইরে চলে যায়। বিরতির পর গোল পান মেসি। গোলের জন্য ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট করেছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। কানাডার গোলরক্ষক ম্যাক্সিম ক্রেপিউ বল আটকানোর জন্য জায়গামতো ঝাঁপও দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে অসাধারণ রিফ্লেক্সে পা ছুঁইয়ে বলে গতিপথ একটু বদলে দেন মেসি। বল গোলরক্ষকের শরীর ছুঁলেও তা আটকাতে পারেননি ক্রেপিউ। নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়াম প্রকম্পিত করে তখন ‘মেসি’, ‘মেসি’ ধ্বনি আর্জেন্টাইনদের।
মেসির আগে ২২ মিনিটে প্রথম গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন আলভারেজ। সতীর্থ রদ্রিগো দি পল মাঝমাঠ থেকে তাঁর উদ্দেশেই বল বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। বক্সের বাইরে সুযোগসন্ধানী আলভারেজ বল রিসিভ করে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠান্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে দেন বল। সবশেষ গোলে মেসি, রোমারিও ও দিয়াগো ফোরলানের পর বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে গোল করা চতুর্থ ফুটবলার হলেন আলভারেজ।
আলভারেজের গোলের পর মেসিও গোল করলে আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। কোপায় কানাডার স্বপ্নযাত্রা শেষ হলেও দলকে নিয়ে গর্বিত জেসি মার্শ, ‘দলকে নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। আমরা দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স দেখিয়েছি।’ সেটি আরও একবার মার্শের দল দেখানোর সুযোগ পাবেন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে, যেটি হবে আগামী শনিবার।
আর সেমিফাইনাল জিতে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বললেন, ‘ফাইনালে ওঠা খুব কঠিন। আমরা জানি, এখানে পৌঁছানো কতটা কঠিন ছিল। সবাই সহজ একটা ম্যাচের কথা ভেবেছিল। কিন্তু এটা একদমই এমন ছিল না।’
আর মেসি বলছেন ‘শেষের’ লড়াইগুলো উপভোগ করার কথা, ‘আবারও ফাইনালে ওঠা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ নয়। গত বিশ্বকাপ এবং সর্বশেষ কোপায় যেভাবে কাটিয়েছি, আমি এই সময়টাও সেভাবেই কাটাচ্ছি...এগুলো শেষ লড়াই এবং আমি এসব সর্বতোভাবে উপভোগ করছি।’ এই উপভোগের শেষটা যে শিরোপায়, সেটি কি আর বলতে!
না এমিলিয়ানো, না লিসান্দ্রো, না লাওতারো—গতকাল কানাডার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার কোপার সেমিফাইনালটি কোনো মার্তিনেজেরই ছিল না। তবে মার্তিনেজদের দিন যায় না যেদিন, আর্জেন্টিনাকে জেতানোর পালা সেদিন অন্যদের। এবারের কোপায় গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে গোল পাওয়া আলভারেজ সেমিতে কানাডাকে পেয়ে করলেন আরও এক গোল; প্রথম গোলের মুখ দেখলেন লিওনেল মেসি। আর তাতেই আর্জেন্টিনা যথারীতি কোপার ফাইনালে। আগামী সোমবার ফাইনাল। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে-কলম্বিয়ার সেমিফাইনাল বিজয়ী।
সবশেষ পাঁচ কোপায় এটি তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠা আর্জেন্টিনার। জিতলে রেকর্ড ১৬ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। পরিসংখ্যানে হয়তো এটি হবে স্রেফ নতুন আরেকটি শিরোপা। তবে এটির মাহাত্ম্য কোপার আর দশটা শিরোপার চেয়ে বেশিই হওয়ার কথা মেসিদের কাছে। ১৫ জুলাই ফাইনাল খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলবেন আনহেল দি মারিয়া। বিদায়ের পূর্বঘোষণা না দিলেও ধরা হচ্ছে, এটাই শেষ কোপা নিকোলাস ওতামেন্দির; খুব সম্ভবত মেসিরও। এবারের শিরোপাই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে এক সোনালি প্রজন্মের স্মারক হয়ে থাকবে। তা ছাড়া কোনো দলের কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপ-কোপা আমেরিকা—এমন ত্রিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব নেই। এবার জিতলে সেই অভূতপূর্ব কীর্তি গড়বে আর্জেন্টিনা; ইউরোপীয় ফুটবলে যেমন ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো ত্রিমুকুট জয়ের কীর্তি স্পেনের।
কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা জিতবে, এটা অনুমিতই ছিল। তবে সাধ্যমতো লড়াই করেছে কানাডা। বল পজেশনে আর্জেন্টিনার (৫০.৭ শতাংশ) কাছাকাছিই থেকেছে কানাডা (৪৯.৩ শতাংশ)। গোলে আর্জেন্টিনার শট ৩টি, কানাডার ২টি। তবে দর্শকদের চোখের প্রশান্তি এনে দেয় ৫১ মিনিটে মেসির গোল। এই গোলের আগেও কানাডার রক্ষণ কাঁপিয়েছেন তিনি। ৪৪ মিনিটে কানাডার বক্সে ফেলা দি মারিয়ার পাস আলভারেজ ডামি করলে বল পেয়ে যান মেসি। ডিফেন্ডার জনস্টনকে ছাপিয়ে মেসি শট নিলেও সেটি পোস্টের বাইরে চলে যায়। বিরতির পর গোল পান মেসি। গোলের জন্য ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট করেছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। কানাডার গোলরক্ষক ম্যাক্সিম ক্রেপিউ বল আটকানোর জন্য জায়গামতো ঝাঁপও দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে অসাধারণ রিফ্লেক্সে পা ছুঁইয়ে বলে গতিপথ একটু বদলে দেন মেসি। বল গোলরক্ষকের শরীর ছুঁলেও তা আটকাতে পারেননি ক্রেপিউ। নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়াম প্রকম্পিত করে তখন ‘মেসি’, ‘মেসি’ ধ্বনি আর্জেন্টাইনদের।
মেসির আগে ২২ মিনিটে প্রথম গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন আলভারেজ। সতীর্থ রদ্রিগো দি পল মাঝমাঠ থেকে তাঁর উদ্দেশেই বল বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। বক্সের বাইরে সুযোগসন্ধানী আলভারেজ বল রিসিভ করে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠান্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে দেন বল। সবশেষ গোলে মেসি, রোমারিও ও দিয়াগো ফোরলানের পর বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে গোল করা চতুর্থ ফুটবলার হলেন আলভারেজ।
আলভারেজের গোলের পর মেসিও গোল করলে আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। কোপায় কানাডার স্বপ্নযাত্রা শেষ হলেও দলকে নিয়ে গর্বিত জেসি মার্শ, ‘দলকে নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। আমরা দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স দেখিয়েছি।’ সেটি আরও একবার মার্শের দল দেখানোর সুযোগ পাবেন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে, যেটি হবে আগামী শনিবার।
আর সেমিফাইনাল জিতে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বললেন, ‘ফাইনালে ওঠা খুব কঠিন। আমরা জানি, এখানে পৌঁছানো কতটা কঠিন ছিল। সবাই সহজ একটা ম্যাচের কথা ভেবেছিল। কিন্তু এটা একদমই এমন ছিল না।’
আর মেসি বলছেন ‘শেষের’ লড়াইগুলো উপভোগ করার কথা, ‘আবারও ফাইনালে ওঠা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ নয়। গত বিশ্বকাপ এবং সর্বশেষ কোপায় যেভাবে কাটিয়েছি, আমি এই সময়টাও সেভাবেই কাটাচ্ছি...এগুলো শেষ লড়াই এবং আমি এসব সর্বতোভাবে উপভোগ করছি।’ এই উপভোগের শেষটা যে শিরোপায়, সেটি কি আর বলতে!
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট
২ মিনিট আগেটি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সাল ভারতের কেটেছে অসাধারণ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে বছরের শেষভাগে এসে টেস্টে হোঁচট খাচ্ছে এশিয়ার দলটি। সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে এসেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত।
২৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ দল অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে আজ। টেস্ট শুরুর আগেই গত রাতে একাদশ ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হবেন তিনি। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, পিটার বাটলার মেয়েদের কোচ হিসেবেই থাকছেন।
১ ঘণ্টা আগে