ভানু গোপাল রায়, ঢাকা
ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের প্রতিটি দলই গ্রুপ পর্বের দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। বাকি আছে আর একটি। আজ শুরু হচ্ছে গ্রুপের শেষ ম্যাচের খেলা।
অনেকের ভাগ্য শেষ ম্যাচে ঝুলে থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিনটি দল—ফ্রান্স, ব্রাজিল ও পর্তুগাল। এই তিন দলের সঙ্গে আর ১৩ দল যাবে পরের পর্বে। এর জন্য অবশ্য দলগুলোকে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে। সব মিলিয়ে এখনো ২৭ দলের সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে যাওয়ার। এর মধ্যে আছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিরা।
এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কানাডা আর স্বাগতিক কাতারের। তবে বাকি দলগুলোর মতো টুর্নামেন্টে নিয়ম রক্ষার ম্যাচটি বাকি আছে তাদেরও।
দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে—
১. গোল ব্যবধান
২. মোট গোল
৩. মুখোমুখি ফল
তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে একটা ছোট তালিকা তৈরি করা হবে। সে তালিকায় উল্লিখিত নিয়মের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে ‘ফেয়ার প্লে পয়েন্ট’। ফেয়ার প্লের পয়েন্টগুলো হিসেব করা হবে কার্ডের ভিত্তিতে। এক হলুদ কার্ডে ১ পয়েন্ট কাটা যাবে। দুই হলুদ কার্ডে লাল কার্ড পেলে ৩ পয়েন্ট কাটা যাবে। সরাসরি লাল কার্ড পেলে ৪ পয়েন্ট কাটা যাবে। আর একটি করে হলুদ ও লাল কার্ড পেলে ৫ পয়েন্ট কাটা যাবে। এতেও যদি সবকিছু মিলে যায় তাহলে সবশেষে লটারির মাধ্যমে দল বাছাই করা হবে।
গ্রুপ ‘এ’: নেদারল্যান্ডস ৪, ইকুয়েডর ৪, সেনেগাল ৩, কাতার ০
ম্যাচ বাকি: নেদারল্যান্ডস-কাতার, ইকুয়েডর-সেনেগাল
নেদারল্যান্ডস: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে যদি ইকুয়েডর জিতে সেনেগালের বিপক্ষে। ইকুয়েডর-সেনেগাল ম্যাচ ড্র হলে ডাচরা এক গোলে হারলেও পরের পর্বে যাবে। নেদারল্যান্ডস দুই গোলে ও ইকুয়েডর হেরে গেলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে। এরপরও যদি মিলে যায় হেড টু হেড দেখা হবে। তবে দুইয়ের বেশি ব্যবধানে হারলেই বাদ পড়বে।
ইকুয়েডর: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। আর যদি তারা হেরে যায় ওপরের মতো একই সমীকরণ প্রযোজ্য।
সেনেগাল: জিতলে অবশ্যই উঠবে, হারলে বাদ। ড্র হলেও চলবে যদি অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দুই গোলের বেশি ব্যবধানে হেরে যায়।
গ্রুপ-বি: ইংল্যান্ড ৪, ইরান ৩, যুক্তরাষ্ট্র ২, ওয়েলস ১
ম্যাচ বাকি: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড-ওয়েলস
ইংল্যান্ড: জিতলে বা ড্র করলেই চলবে। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে যদি ব্যবধানটা তিন বা তার চেয়ে কম গোলের হয়। অন্য ম্যাচে ইরান বা যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো দল জিতলেও যাবে।
ইরান: জিতলে উঠে যাবে, ড্র করলেও চলবে যদি ওয়েলস ড্র বা হারে। আর হারলেই প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে খেলার আশা ভঙ্গ হবে।
যুক্তরাষ্ট্র: একমাত্র পথ জিততেই হবে।
ওয়েলস: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কমপক্ষে চার বা বেশি গোলে জিতলে সরাসরি যাবে। অন্য ম্যাচে যদি ইরান অথবা যুক্তরাষ্ট্র জিতেও। আর যদি কম ব্যবধানে জেতে তবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ ড্র হতে হবে।
গ্রুপ-সি: পোল্যান্ড ৪, আর্জেন্টিনা ৩, সৌদি আরব ৩, মেক্সিকো ১
ম্যাচ বাকি: আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড, সৌদি আরব-মেক্সিকো
আর্জেন্টিনা: জিতলে সরাসরি সুযোগ পাবে। আর ড্র হলে অন্য ম্যাচটিও ড্র হতে হবে। আর্জেন্টিনা ড্র করে আর সৌদি আরব জেতে তাহলে বাদ পড়বে। আর্জেন্টিনা যদি ড্র করে আর মেক্সিকো ১ ও ২ গোলে জিতে তাহলে মেসিরা নক-আউটে যাবে। কিন্তু মেক্সিকো যদি দুই গোলের বেশি জেতে তবে আলবিসেলেস্তারা বাদ পড়বে। আর পোল্যান্ডের বিপক্ষে হারলে তো সব শেষ হবে।
পোল্যান্ড: জয় বা ড্র করলেই চলবে। যদি ১ বা ২ গোলে হারে অন্য ম্যাচে ড্র হলেই চলবে। যদি পোলিশরা তিন গোলে হারে ও সৌদি আরব-মেক্সিকো ড্র হয় তাহলে গোল ব্যবধান, মোট গোল এরপর হেড টু হেড দেখা হবে। আর চার বা তার বেশি গোলে হারলে এবং অন্য ম্যাচ ড্র হলেই বিদায়। পোল্যান্ড হারলে আর সৌদি আরব জিতলে বাদ।
সৌদি আরব: জিতলে নিশ্চিত। ড্র করলেও হবে যদি আর্জেন্টিনা পোল্যান্ডের কাছে হারে। আবার ড্র করে চার বা তার বেশি গোলে পোল্যান্ড হারলেও চলবে। আর পোল্যান্ড তিন গোলে হারলে ওপরের সমীকরণগুলোর হিসেব আসবে। যদি পোল্যান্ড এক ও দুই গোলে হারে সৌদি যেতে পারবে না। নিজেরা হারলে বা ড্র করলে বাদ পড়বে যদি অন্য ম্যাচটিও ড্র হয়।
মেক্সিকো: ম্যাচে চার বা তার বেশি গোলে জিতলেই সরাসরি সুযোগ পাবে। আর সৌদি আরবের বিপক্ষে যেকোনো ব্যবধানে জিতলে ও অন্য ম্যাচে পোল্যান্ড জিতলে যাবে। তারা তিন গোলে জিতলে এবং পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচ ড্র হলে গোল ব্যবধানের হিসেবগুলো আসবে।
গ্রুপ-ডি: ফ্রান্স ৬, অস্ট্রেলিয়া ৩, ডেনমার্ক ১, তিউনিসিয়া ১
ম্যাচ বাকি: অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক, তিউনিসিয়া-ফ্রান্স
ফ্রান্স: এক ম্যাচ হাতে রেখেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে।
অস্ট্রেলিয়া: জিতলে কোনো কথা নেই। তবে ড্র করলে অন্য ম্যাচও ড্র করতে হবে।
ডেনমার্ক: যদি তারা জিতে এবং ফ্রান্সও জয় বা ড্র পায় তিউনিসিয়ার সঙ্গে তাহলে পরের রাউন্ডে যাবে। যদি তারা ও তিউনিসিয়া জয় পায় তাহলে গোল পার্থক্য ও মোট গোলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে ভাগ্য।
তিউনিসিয়া: যদি তারা জিতে এবং অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচ ড্র হয় তাহলে পরের পর্বে যাবে। যদি তারা ও ডেনমার্ক ম্যাচ জিতে তাহলে গোল ব্যবধান ও অন্যান্য হিসেবগুলো আসবে। আর নিজেরা জিতেও যেতে পারবে না যদি অস্ট্রেলিয়া জেতে।
গ্রুপ-ই: স্পেন ৪, জাপান ৩, কোস্টারিকা ৩, জার্মানি ১
ম্যাচ বাকি: স্পেন-জাপান, জার্মানি-কোস্টারিকা
স্পেন: জিতলেই যাবে। ড্র করলেও যাবে যদি কোস্টারিকা ড্র ও কিংবা হারে। এমনকি হেরে গেলেও সুযোগ আছে যদি গ্রুপের অন্য ম্যাচটি ড্র হয়। আর ১৩ বা বেশি গোলে হারলে তবেই বাদ পড়ার সুযোগ থাকবে।
জাপান: পরের রাউন্ডে যেতে হলে জিততে হবে। আর ড্র করলে অন্য ম্যাচটিও ড্র লাগবে। যদি নিজেরা ড্র করে আর জার্মানি এক গোলে জিতে তখন সমীকরণের হিসেব আসবে।
কোস্টারিকা: পরের পর্বে খেলতে হলে জিততেই হবে। ড্র হলেও যেতে পারবে যদি জাপানকে হারাতে পরে স্পেন অথবা ১৩ বা তার চেয়েও বেশি গোলে হারে স্পেন।
জার্মানি: নিজেদের ম্যাচ জয়ের সঙ্গে স্পেনকেও জিততে হবে। যদি তারা ও জাপান জিতে তবে সমীকরণে হিসেব মেলাতে হবে। জার্মানি জিতে এবং স্পেন-জাপান ম্যাচ ড্র হয় তখন গোল ব্যবধান, মোট গোল ইত্যাদিতে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত হবে।
গ্রুপ-এফ: ক্রোয়েশিয়া ৪, মরক্কো ৪, বেলজিয়াম ৩, কানাডা ০
ম্যাচ বাকি: কানাডা-মরক্কো, ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম
ক্রোয়েশিয়া: বেলজিয়ামের সঙ্গে জিতলে বা ড্র করলেই হবে। ক্রোয়াটরা হারলে এবং কানাডা জিতলে তখন সমীকরণের হিসেব হবে।
মরক্কো: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। আর হারলেও জেতে পারবে যদি ক্রোয়েশিয়া জিতে। আবার যদি তারা হারে এবং ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম ম্যাচ ড্র হয় তখন গোল ব্যবধান, গোলসহ বাকি হিসেবগুলো আসবে।
বেলজিয়াম: জিতলে সুযোগ পাবে। আর মরক্কো যদি হারে এবং নিজেরা ড্র করে তবে সমীকরণের হিসেব আসবে।
কানাডা: দ্বিতীয় দল হিসেবে বাদ পড়েছে।
গ্রুপ-জি: ব্রাজিল ৬, সুইজারল্যান্ড ৩, ক্যামেরুন ১, সার্বিয়া ১
ম্যাচ বাকি: ব্রাজিল-ক্যামেরুন, সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড
ব্রাজিল: এক ম্যাচ বাকি রেখেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।
সুইজারল্যান্ড: জিতলে সরাসরি যাবে আর ড্র করলেও সুযোগ থাকবে যদি ব্রাজিল জিতে কিংবা ম্যাচটি ড্র হয়। ম্যাচ ড্র করলে এবং ক্যামেরুন জিতলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে।
ক্যামেরুন: নিজেদের জিতলেই হবে না সুইজারল্যান্ডকে হারতে হবে। যদি ক্যামেরুন ও সার্বিয়া উভয় দল জিতে তখন সমীকরণের হিসেব আসবে।
সার্বিয়া: জিততেই হবে। ব্রাজিল যদি জিতে কিংবা ড্র করে তবে দ্বিতীয় পর্বে যেতে পারবে। আর ক্যামেরুন ও সার্বিয়া জিতলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে।
গ্রুপ-এইচ: পর্তুগাল ৬, ঘানা ৩, উরুগুয়ে ১, দ. কোরিয়া ১
ম্যাচ বাকি: পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়া, উরুগুয়ে-ঘানা
পর্তুগাল: ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো এক গোল হাতে রেখে পর্তুগালও পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে।
ঘানা: জিতলে নিশ্চিত। আর ড্র করলেও হবে যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পর্তুগাল জিতে কিংবা ড্র করে।
উরুগুয়ে: নিজেদের ম্যাচ জয়ের সঙ্গে পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় কামনা করতে হবে।
দ. কোরিয়া: জিততেই হবে। আবার জিতলেও তবে জিতলেও অন্য ম্যাচের হিসেব রয়েছে। নিজদের জয় এবং উরুগুয়ে যদি জিতে তবে গোল ব্যবধানের সমীকরণ মেলাতে হবে। আবার নিজেদের জয়ের সঙ্গে যদি অন্য ম্যাচটি ড্র হয় তাহলেও গোলের ব্যবধানের হিসেব আসবে। আর ঘানা যদি উরুগুয়েকে হারায় সব হিসেব নিকাশ শেষ হবে।
ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের প্রতিটি দলই গ্রুপ পর্বের দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। বাকি আছে আর একটি। আজ শুরু হচ্ছে গ্রুপের শেষ ম্যাচের খেলা।
অনেকের ভাগ্য শেষ ম্যাচে ঝুলে থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিনটি দল—ফ্রান্স, ব্রাজিল ও পর্তুগাল। এই তিন দলের সঙ্গে আর ১৩ দল যাবে পরের পর্বে। এর জন্য অবশ্য দলগুলোকে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে। সব মিলিয়ে এখনো ২৭ দলের সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে যাওয়ার। এর মধ্যে আছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিরা।
এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কানাডা আর স্বাগতিক কাতারের। তবে বাকি দলগুলোর মতো টুর্নামেন্টে নিয়ম রক্ষার ম্যাচটি বাকি আছে তাদেরও।
দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে—
১. গোল ব্যবধান
২. মোট গোল
৩. মুখোমুখি ফল
তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে একটা ছোট তালিকা তৈরি করা হবে। সে তালিকায় উল্লিখিত নিয়মের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে ‘ফেয়ার প্লে পয়েন্ট’। ফেয়ার প্লের পয়েন্টগুলো হিসেব করা হবে কার্ডের ভিত্তিতে। এক হলুদ কার্ডে ১ পয়েন্ট কাটা যাবে। দুই হলুদ কার্ডে লাল কার্ড পেলে ৩ পয়েন্ট কাটা যাবে। সরাসরি লাল কার্ড পেলে ৪ পয়েন্ট কাটা যাবে। আর একটি করে হলুদ ও লাল কার্ড পেলে ৫ পয়েন্ট কাটা যাবে। এতেও যদি সবকিছু মিলে যায় তাহলে সবশেষে লটারির মাধ্যমে দল বাছাই করা হবে।
গ্রুপ ‘এ’: নেদারল্যান্ডস ৪, ইকুয়েডর ৪, সেনেগাল ৩, কাতার ০
ম্যাচ বাকি: নেদারল্যান্ডস-কাতার, ইকুয়েডর-সেনেগাল
নেদারল্যান্ডস: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে যদি ইকুয়েডর জিতে সেনেগালের বিপক্ষে। ইকুয়েডর-সেনেগাল ম্যাচ ড্র হলে ডাচরা এক গোলে হারলেও পরের পর্বে যাবে। নেদারল্যান্ডস দুই গোলে ও ইকুয়েডর হেরে গেলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে। এরপরও যদি মিলে যায় হেড টু হেড দেখা হবে। তবে দুইয়ের বেশি ব্যবধানে হারলেই বাদ পড়বে।
ইকুয়েডর: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। আর যদি তারা হেরে যায় ওপরের মতো একই সমীকরণ প্রযোজ্য।
সেনেগাল: জিতলে অবশ্যই উঠবে, হারলে বাদ। ড্র হলেও চলবে যদি অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দুই গোলের বেশি ব্যবধানে হেরে যায়।
গ্রুপ-বি: ইংল্যান্ড ৪, ইরান ৩, যুক্তরাষ্ট্র ২, ওয়েলস ১
ম্যাচ বাকি: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড-ওয়েলস
ইংল্যান্ড: জিতলে বা ড্র করলেই চলবে। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে যদি ব্যবধানটা তিন বা তার চেয়ে কম গোলের হয়। অন্য ম্যাচে ইরান বা যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো দল জিতলেও যাবে।
ইরান: জিতলে উঠে যাবে, ড্র করলেও চলবে যদি ওয়েলস ড্র বা হারে। আর হারলেই প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে খেলার আশা ভঙ্গ হবে।
যুক্তরাষ্ট্র: একমাত্র পথ জিততেই হবে।
ওয়েলস: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কমপক্ষে চার বা বেশি গোলে জিতলে সরাসরি যাবে। অন্য ম্যাচে যদি ইরান অথবা যুক্তরাষ্ট্র জিতেও। আর যদি কম ব্যবধানে জেতে তবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ ড্র হতে হবে।
গ্রুপ-সি: পোল্যান্ড ৪, আর্জেন্টিনা ৩, সৌদি আরব ৩, মেক্সিকো ১
ম্যাচ বাকি: আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড, সৌদি আরব-মেক্সিকো
আর্জেন্টিনা: জিতলে সরাসরি সুযোগ পাবে। আর ড্র হলে অন্য ম্যাচটিও ড্র হতে হবে। আর্জেন্টিনা ড্র করে আর সৌদি আরব জেতে তাহলে বাদ পড়বে। আর্জেন্টিনা যদি ড্র করে আর মেক্সিকো ১ ও ২ গোলে জিতে তাহলে মেসিরা নক-আউটে যাবে। কিন্তু মেক্সিকো যদি দুই গোলের বেশি জেতে তবে আলবিসেলেস্তারা বাদ পড়বে। আর পোল্যান্ডের বিপক্ষে হারলে তো সব শেষ হবে।
পোল্যান্ড: জয় বা ড্র করলেই চলবে। যদি ১ বা ২ গোলে হারে অন্য ম্যাচে ড্র হলেই চলবে। যদি পোলিশরা তিন গোলে হারে ও সৌদি আরব-মেক্সিকো ড্র হয় তাহলে গোল ব্যবধান, মোট গোল এরপর হেড টু হেড দেখা হবে। আর চার বা তার বেশি গোলে হারলে এবং অন্য ম্যাচ ড্র হলেই বিদায়। পোল্যান্ড হারলে আর সৌদি আরব জিতলে বাদ।
সৌদি আরব: জিতলে নিশ্চিত। ড্র করলেও হবে যদি আর্জেন্টিনা পোল্যান্ডের কাছে হারে। আবার ড্র করে চার বা তার বেশি গোলে পোল্যান্ড হারলেও চলবে। আর পোল্যান্ড তিন গোলে হারলে ওপরের সমীকরণগুলোর হিসেব আসবে। যদি পোল্যান্ড এক ও দুই গোলে হারে সৌদি যেতে পারবে না। নিজেরা হারলে বা ড্র করলে বাদ পড়বে যদি অন্য ম্যাচটিও ড্র হয়।
মেক্সিকো: ম্যাচে চার বা তার বেশি গোলে জিতলেই সরাসরি সুযোগ পাবে। আর সৌদি আরবের বিপক্ষে যেকোনো ব্যবধানে জিতলে ও অন্য ম্যাচে পোল্যান্ড জিতলে যাবে। তারা তিন গোলে জিতলে এবং পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচ ড্র হলে গোল ব্যবধানের হিসেবগুলো আসবে।
গ্রুপ-ডি: ফ্রান্স ৬, অস্ট্রেলিয়া ৩, ডেনমার্ক ১, তিউনিসিয়া ১
ম্যাচ বাকি: অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক, তিউনিসিয়া-ফ্রান্স
ফ্রান্স: এক ম্যাচ হাতে রেখেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে।
অস্ট্রেলিয়া: জিতলে কোনো কথা নেই। তবে ড্র করলে অন্য ম্যাচও ড্র করতে হবে।
ডেনমার্ক: যদি তারা জিতে এবং ফ্রান্সও জয় বা ড্র পায় তিউনিসিয়ার সঙ্গে তাহলে পরের রাউন্ডে যাবে। যদি তারা ও তিউনিসিয়া জয় পায় তাহলে গোল পার্থক্য ও মোট গোলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে ভাগ্য।
তিউনিসিয়া: যদি তারা জিতে এবং অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচ ড্র হয় তাহলে পরের পর্বে যাবে। যদি তারা ও ডেনমার্ক ম্যাচ জিতে তাহলে গোল ব্যবধান ও অন্যান্য হিসেবগুলো আসবে। আর নিজেরা জিতেও যেতে পারবে না যদি অস্ট্রেলিয়া জেতে।
গ্রুপ-ই: স্পেন ৪, জাপান ৩, কোস্টারিকা ৩, জার্মানি ১
ম্যাচ বাকি: স্পেন-জাপান, জার্মানি-কোস্টারিকা
স্পেন: জিতলেই যাবে। ড্র করলেও যাবে যদি কোস্টারিকা ড্র ও কিংবা হারে। এমনকি হেরে গেলেও সুযোগ আছে যদি গ্রুপের অন্য ম্যাচটি ড্র হয়। আর ১৩ বা বেশি গোলে হারলে তবেই বাদ পড়ার সুযোগ থাকবে।
জাপান: পরের রাউন্ডে যেতে হলে জিততে হবে। আর ড্র করলে অন্য ম্যাচটিও ড্র লাগবে। যদি নিজেরা ড্র করে আর জার্মানি এক গোলে জিতে তখন সমীকরণের হিসেব আসবে।
কোস্টারিকা: পরের পর্বে খেলতে হলে জিততেই হবে। ড্র হলেও যেতে পারবে যদি জাপানকে হারাতে পরে স্পেন অথবা ১৩ বা তার চেয়েও বেশি গোলে হারে স্পেন।
জার্মানি: নিজেদের ম্যাচ জয়ের সঙ্গে স্পেনকেও জিততে হবে। যদি তারা ও জাপান জিতে তবে সমীকরণে হিসেব মেলাতে হবে। জার্মানি জিতে এবং স্পেন-জাপান ম্যাচ ড্র হয় তখন গোল ব্যবধান, মোট গোল ইত্যাদিতে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত হবে।
গ্রুপ-এফ: ক্রোয়েশিয়া ৪, মরক্কো ৪, বেলজিয়াম ৩, কানাডা ০
ম্যাচ বাকি: কানাডা-মরক্কো, ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম
ক্রোয়েশিয়া: বেলজিয়ামের সঙ্গে জিতলে বা ড্র করলেই হবে। ক্রোয়াটরা হারলে এবং কানাডা জিতলে তখন সমীকরণের হিসেব হবে।
মরক্কো: জিতলে বা ড্র করলেই হবে। আর হারলেও জেতে পারবে যদি ক্রোয়েশিয়া জিতে। আবার যদি তারা হারে এবং ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম ম্যাচ ড্র হয় তখন গোল ব্যবধান, গোলসহ বাকি হিসেবগুলো আসবে।
বেলজিয়াম: জিতলে সুযোগ পাবে। আর মরক্কো যদি হারে এবং নিজেরা ড্র করে তবে সমীকরণের হিসেব আসবে।
কানাডা: দ্বিতীয় দল হিসেবে বাদ পড়েছে।
গ্রুপ-জি: ব্রাজিল ৬, সুইজারল্যান্ড ৩, ক্যামেরুন ১, সার্বিয়া ১
ম্যাচ বাকি: ব্রাজিল-ক্যামেরুন, সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড
ব্রাজিল: এক ম্যাচ বাকি রেখেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।
সুইজারল্যান্ড: জিতলে সরাসরি যাবে আর ড্র করলেও সুযোগ থাকবে যদি ব্রাজিল জিতে কিংবা ম্যাচটি ড্র হয়। ম্যাচ ড্র করলে এবং ক্যামেরুন জিতলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে।
ক্যামেরুন: নিজেদের জিতলেই হবে না সুইজারল্যান্ডকে হারতে হবে। যদি ক্যামেরুন ও সার্বিয়া উভয় দল জিতে তখন সমীকরণের হিসেব আসবে।
সার্বিয়া: জিততেই হবে। ব্রাজিল যদি জিতে কিংবা ড্র করে তবে দ্বিতীয় পর্বে যেতে পারবে। আর ক্যামেরুন ও সার্বিয়া জিতলে গোল ব্যবধানের হিসেব আসবে।
গ্রুপ-এইচ: পর্তুগাল ৬, ঘানা ৩, উরুগুয়ে ১, দ. কোরিয়া ১
ম্যাচ বাকি: পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়া, উরুগুয়ে-ঘানা
পর্তুগাল: ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো এক গোল হাতে রেখে পর্তুগালও পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে।
ঘানা: জিতলে নিশ্চিত। আর ড্র করলেও হবে যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পর্তুগাল জিতে কিংবা ড্র করে।
উরুগুয়ে: নিজেদের ম্যাচ জয়ের সঙ্গে পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় কামনা করতে হবে।
দ. কোরিয়া: জিততেই হবে। আবার জিতলেও তবে জিতলেও অন্য ম্যাচের হিসেব রয়েছে। নিজদের জয় এবং উরুগুয়ে যদি জিতে তবে গোল ব্যবধানের সমীকরণ মেলাতে হবে। আবার নিজেদের জয়ের সঙ্গে যদি অন্য ম্যাচটি ড্র হয় তাহলেও গোলের ব্যবধানের হিসেব আসবে। আর ঘানা যদি উরুগুয়েকে হারায় সব হিসেব নিকাশ শেষ হবে।
চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে আগে থেকে উপসংহারে আসা অনেক কঠিন। যে দলটি কদিন আগে ধুঁকছিল লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ সব টুর্নামেন্টে, তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। ‘রয়্যাল মাদ্রিদ’ তকমা পাওয়া দলটি এখন নিশ্বাস ফেলছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার ঘাড়ে।
১১ মিনিট আগে‘আমাদের এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং এখান থেকে বেরোতে হবে’—ভারী কণ্ঠে পেপ গার্দিওলার বলা এই কথায় বলে দিচ্ছিল সবকিছু। এই সাধারণ সত্যটা বলতে হয়তো বুক ফেটে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি কোচের। একটু আগে যেটি হয়েছে, তার জন্য যে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তিনি!
২ ঘণ্টা আগেএটাও কি সম্ভব? মাত্র ৭ রানেই গল্প শেষ আইভোরি কোস্টের! ম্যাচ দেখা তো দূরে থাক, এই স্কোরকার্ড সামাজিক মাধ্যমে কারও নজরে পড়লে তাঁর চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার মতো অবস্থা হবে।
২ ঘণ্টা আগে