ক্রীড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসির নতুন গন্তব্য এখন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এখানেই মেসি সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন পুরোনো বন্ধু নেইমারকে। একই সঙ্গে পাচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এর মধ্যে এই তিনজনকে এক সঙ্গে খেলতে দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে ফুটবল দুনিয়া।
মেসিও নিজেও অবশ্য এ নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গে খেলার উত্তেজনা লুকাতে পারেননি। পিএসজির সঙ্গে কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ব্যাপারটা দারুণ রোমাঞ্চকর হবে। নেইমার ও এমবাপ্পের মতো দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। ভাবতেই ভালো লাগছে, তাদের মতো অসাধারণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদিন খেলতে পারব।’
ভক্তরা তো এর মধ্যে পিএসজির আক্রমণভাগের নাম দিয়ে দিয়েছেন ‘এমএমএন’। ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় এমনই এক ত্রয়ী গড়ে উঠেছিল। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ত্রয়ী। এখনকার ‘এমএমএন’–এর মতো ভক্তরা যে ত্রয়ীর নাম দিয়েছিল ‘এমএসএন’। ২০১৭ সালে নেইমার বার্সা ছাড়ার আগ পর্যন্ত এক সঙ্গে তিন মৌসুম খেলেছিলেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। তিনজন মিলে প্রতিপক্ষের রক্ষণে রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিয়েছিলেন। এক সঙ্গে খেলছেন ৪৫০ ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৬৪টি। একজন আরেকজনকে গোল বানিয়ে দেওয়ায়ও পিছিয়ে ছিলেন না মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। তিন মৌসুমে ১৭৪টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনজন মিলে।
এক সঙ্গে খেলার সময়ে প্রতি সিজনে গড়ে ৫১টি গোল করে করেছিলেন মেসি। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর প্রতি মৌসুমে মেসির গোল গড় কমে আসে ৪০-এ। এমনিতেই প্রতি সিজনে গড়ে ৪০ গোল দুর্দান্ত ব্যাপার। কিন্তু নামটা যে মেসি। তাঁর কাছে চাওয়াটা যে আকাশ ছোঁয়া।
মেসির মতো আকাশ ছোঁয়া ব্যাপারটা ছিল নেইমারের সঙ্গেও। তিন মৌসুমে গড়ে ৩০ গোল করে করেছিলেন মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে খেলে। সেই নেইমার চোট সমস্যা আর নানা ঝামেলা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খেলতেই পেরেছেন ৭০ ম্যাচ। ২০টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি পিএসজিতে খেলা এখন পর্যন্ত চার মৌসুমের কোনোটিতেই। সর্বশেষ মৌসুমে গোল করেছেন ১৭টি। ২০১৩-২০১৪ মৌসুমের পর এর চেয়ে খারাপ সময় দেখেননি নেইমার।
শুধু গোল করা আর করানো নয়, বার্সার ট্রফি শোকেসও সমৃদ্ধ করেছেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। দুইটি লিগ ট্রফির সঙ্গে বার্সাকে জিতিয়েছেন তিনটি কোপা দেল রে, একটি করে সুপার কোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ।
বার্সাতে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল নেইমারের। খেলার বাইরে সময় পেলে তিনজনই এক সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার পরও এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। মেসির সঙ্গে খেলাটা সব সময় উপভোগ করেন নেইমার। গত কয়েক বছরে বার্সায় আসতে চাওয়ার আকুলতাই তার প্রমাণ! মেসির সঙ্গে আরেকবার জুটি বেঁধে খেলবেন বলে নেইমার বার্সায় আসতে এত ব্যাকুল, এ তো আর নতুন করে গবেষণার দরকার নেই! নানা ঝামেলায় নেইমারের সেই চাওয়াটা আর পূর্ণতা পায়নি।
নেইমার নিশ্চিতভাবেই মেসির সঙ্গে আবার খেলার আশাটা লালন করছিলেন। পরশু যখন পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি আদৌ হচ্ছে কি হচ্ছে না জানতে সবাই ব্যস্ত, ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে চুক্তিটা যে হয়ে গেছে নিশ্চিত করেন নেইমার।
মেসিও নিজে নেইমারের সঙ্গ উপভোগ করেন। কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনও মেসি। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পেছনে নেইমারের ভূমিকা অকপটেই জানিয়েছেন। এসব ব্যাপার থেকেই মেসি-নেইমার জমাট রসায়ন ফুটে ওঠে। এবার সুয়ারেজের জায়গায় এই বন্ধুত্বে যোগ হচ্ছে তরুণ তুর্কি এমবাপ্পে। এমবাপ্পেকে নিয়ে ‘এমএসএন’ এর মতো আরেকটি ‘এমএমএন’ ত্রয়ীর স্বপ্ন দেখছেন পিএসজি সমর্থকেরা। শুধু পিএসজি সমর্থকেরাই বা কেন, ২২ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে নিয়ে আরেকটি দারুণ ত্রয়ীর অপেক্ষায় আছে পুরো ফুটবল দুনিয়াই।
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে তিনজনই আছেন দারুণ ছন্দে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ১৩৮ ম্যাচে মেসি করেছেন ১২৫ গোল। এই সময়ে ১০৯ মাচে ৯১ গোল করেছেন এই জুটির নতুন সঙ্গী এমবাপ্পে। গোল করায় বরং একটু পেছনেই আছেন নেইমার। ৭০ ম্যাচে করেছেন ৫৬ গোল। আবার মেসিকে সঙ্গে পেয়ে নিজেকে যে এবার ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন নেইমার, সেটা আর না বললেও চলছে!
লিওনেল মেসির নতুন গন্তব্য এখন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এখানেই মেসি সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন পুরোনো বন্ধু নেইমারকে। একই সঙ্গে পাচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এর মধ্যে এই তিনজনকে এক সঙ্গে খেলতে দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে ফুটবল দুনিয়া।
মেসিও নিজেও অবশ্য এ নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গে খেলার উত্তেজনা লুকাতে পারেননি। পিএসজির সঙ্গে কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ব্যাপারটা দারুণ রোমাঞ্চকর হবে। নেইমার ও এমবাপ্পের মতো দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। ভাবতেই ভালো লাগছে, তাদের মতো অসাধারণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদিন খেলতে পারব।’
ভক্তরা তো এর মধ্যে পিএসজির আক্রমণভাগের নাম দিয়ে দিয়েছেন ‘এমএমএন’। ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় এমনই এক ত্রয়ী গড়ে উঠেছিল। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ত্রয়ী। এখনকার ‘এমএমএন’–এর মতো ভক্তরা যে ত্রয়ীর নাম দিয়েছিল ‘এমএসএন’। ২০১৭ সালে নেইমার বার্সা ছাড়ার আগ পর্যন্ত এক সঙ্গে তিন মৌসুম খেলেছিলেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। তিনজন মিলে প্রতিপক্ষের রক্ষণে রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিয়েছিলেন। এক সঙ্গে খেলছেন ৪৫০ ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৬৪টি। একজন আরেকজনকে গোল বানিয়ে দেওয়ায়ও পিছিয়ে ছিলেন না মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। তিন মৌসুমে ১৭৪টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনজন মিলে।
এক সঙ্গে খেলার সময়ে প্রতি সিজনে গড়ে ৫১টি গোল করে করেছিলেন মেসি। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর প্রতি মৌসুমে মেসির গোল গড় কমে আসে ৪০-এ। এমনিতেই প্রতি সিজনে গড়ে ৪০ গোল দুর্দান্ত ব্যাপার। কিন্তু নামটা যে মেসি। তাঁর কাছে চাওয়াটা যে আকাশ ছোঁয়া।
মেসির মতো আকাশ ছোঁয়া ব্যাপারটা ছিল নেইমারের সঙ্গেও। তিন মৌসুমে গড়ে ৩০ গোল করে করেছিলেন মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে খেলে। সেই নেইমার চোট সমস্যা আর নানা ঝামেলা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খেলতেই পেরেছেন ৭০ ম্যাচ। ২০টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি পিএসজিতে খেলা এখন পর্যন্ত চার মৌসুমের কোনোটিতেই। সর্বশেষ মৌসুমে গোল করেছেন ১৭টি। ২০১৩-২০১৪ মৌসুমের পর এর চেয়ে খারাপ সময় দেখেননি নেইমার।
শুধু গোল করা আর করানো নয়, বার্সার ট্রফি শোকেসও সমৃদ্ধ করেছেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। দুইটি লিগ ট্রফির সঙ্গে বার্সাকে জিতিয়েছেন তিনটি কোপা দেল রে, একটি করে সুপার কোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ।
বার্সাতে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল নেইমারের। খেলার বাইরে সময় পেলে তিনজনই এক সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার পরও এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। মেসির সঙ্গে খেলাটা সব সময় উপভোগ করেন নেইমার। গত কয়েক বছরে বার্সায় আসতে চাওয়ার আকুলতাই তার প্রমাণ! মেসির সঙ্গে আরেকবার জুটি বেঁধে খেলবেন বলে নেইমার বার্সায় আসতে এত ব্যাকুল, এ তো আর নতুন করে গবেষণার দরকার নেই! নানা ঝামেলায় নেইমারের সেই চাওয়াটা আর পূর্ণতা পায়নি।
নেইমার নিশ্চিতভাবেই মেসির সঙ্গে আবার খেলার আশাটা লালন করছিলেন। পরশু যখন পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি আদৌ হচ্ছে কি হচ্ছে না জানতে সবাই ব্যস্ত, ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে চুক্তিটা যে হয়ে গেছে নিশ্চিত করেন নেইমার।
মেসিও নিজে নেইমারের সঙ্গ উপভোগ করেন। কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনও মেসি। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পেছনে নেইমারের ভূমিকা অকপটেই জানিয়েছেন। এসব ব্যাপার থেকেই মেসি-নেইমার জমাট রসায়ন ফুটে ওঠে। এবার সুয়ারেজের জায়গায় এই বন্ধুত্বে যোগ হচ্ছে তরুণ তুর্কি এমবাপ্পে। এমবাপ্পেকে নিয়ে ‘এমএসএন’ এর মতো আরেকটি ‘এমএমএন’ ত্রয়ীর স্বপ্ন দেখছেন পিএসজি সমর্থকেরা। শুধু পিএসজি সমর্থকেরাই বা কেন, ২২ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে নিয়ে আরেকটি দারুণ ত্রয়ীর অপেক্ষায় আছে পুরো ফুটবল দুনিয়াই।
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে তিনজনই আছেন দারুণ ছন্দে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ১৩৮ ম্যাচে মেসি করেছেন ১২৫ গোল। এই সময়ে ১০৯ মাচে ৯১ গোল করেছেন এই জুটির নতুন সঙ্গী এমবাপ্পে। গোল করায় বরং একটু পেছনেই আছেন নেইমার। ৭০ ম্যাচে করেছেন ৫৬ গোল। আবার মেসিকে সঙ্গে পেয়ে নিজেকে যে এবার ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন নেইমার, সেটা আর না বললেও চলছে!
টেস্টে রেকর্ড গড়তে যেন প্রতিপক্ষ দলগুলো বাংলাদেশকেই বেছে নেয়। দেশের মাঠে হোক বা বাইরে-ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফুটে ওঠে বাংলাদেশের হতশ্রী চিত্র। অ্যান্টিগায় চলমান প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাঙল ১৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথম দিন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন দুই ক্যারিবীয় ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক আথানেজ। আশা জাগিয়েও দুজনে আউট হয়েছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে। তবে লুইস ও আথানেজের পথে হাঁটেননি জাস্টিন গ্রিভস। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশ করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০২ রানে ব্যাট
১০ ঘণ্টা আগেব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে ১২ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রান। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। আজ আবুধাবি টি-টেনে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তাঁর দল বাংলা টাইগার্স।
১৩ ঘণ্টা আগে