Ajker Patrika

শিলংয়ে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ‘বিরক্ত’ বাংলাদেশের ফুটবলাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিলংয়ে অনুশীলনে বাংলাদেশের ফুটবল দল৷ ছবি: বাফুফে
শিলংয়ে অনুশীলনে বাংলাদেশের ফুটবল দল৷ ছবি: বাফুফে

ভারতের গিয়ে একের পর এক ঝামেলার মধ্যে পড়ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এর প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়ছে প্রস্তুতিতে৷ মানসিকভাবে অবশ্য খুব বেশি চাপ নিচ্ছেন না ফুটবলাররা। কিন্তু একটু তো বিরক্তি লাগছেই।

শিলংয়ে পা রেখে প্রথম দিন যে মাঠে অনুশীলন করেছিল বাংলাদেশ, সেই অসমতল ও উঁচু-নিচু মাঠে অনুশীলন না করাই ভালো ছিল। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সরাসরিই অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ দ্বিতীয় দিনে ঘাসের মাঠেই অনুশীলন করতে চেয়েছিল দল, কেননা জওহরলাল স্টেডিয়ামের মাঠটি সবুজ প্রাকৃতিক ঘাসেই মোড়ানো। কিন্তু এবারও কপালে জুটেনি তা। উল্টো টার্ফের মাঠেই সারতে হয় প্রস্তুতি।

তাই বিরক্তি আর আড়াল করে রাখতে পারেননি সাদ উদ্দিন। জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বিরক্তিকর। আজ অনুশীলন করার কথা ছিল সাড়ে ৫টায়, সাড়ে ৪টার দিকে আমাদের মিটিং ছিল, সেটা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম, তখন কোচ আমাদের বললেন, অনুশীলন সাড়ে ৭টায়। এতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। কেননা, যে সময় আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার কথা, ওই সময়ে আমরা যেতে পারছি না। তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

এমনটা যে হবে, তেমন মানসিকতা আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন ফুটবলাররা। সাদ বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের জন্য ভালো নয়। ঘাসের মাঠে ট্রেনিং করতে পারলে ভালো হতো। আমরা এরকম সমস্যার মুখোমুখি এখানে এসে হব, এমন মানসিকতা নিয়েই আমরা এসেছি, তাই এগুলো আমাদের জন্য সমস্যা না। এতে মনোযোগ (ধরে রাখা কঠিন হচ্ছে না)…, যখনই আমরা অনুশীলন করি, মনোযোগ একই থাকে। টাইমিং একটা বিষয়, তবে অনুশীলনের প্রতি আমাদের ফোকাস সবসময় থাকে।’

টার্ফের অনুশীলনের কারণে প্রস্তুতিতে ঘাটতি হবে। তবে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম দল। সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, ‘কৃত্রিম টার্ফে চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকে। পেশিতে টান পড়তে পারে৷ পুরো দলকে আগে থেকেই বলে আসছি যে এই সমস্যাগুলো হতে পারে। তাই আমাদের এগুলো মানিয়ে নিতে হচ্ছে। খেলোয়াড়েরা এনিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত আছে। হ্যাঁ৷ প্রাকৃতিক ঘাসে অনুশীলন করা উচিত। কিন্তু আমরা পাচ্ছি না, এটা আমাদের ঘাটতি। তারপরও এটা ঘাটতি হিসেবে দেখব না, আমরা জানি এটা ওদের কৌশল।’

ভারত ম্যাচেই অভিষেক হতে যাচ্ছে হামজা চৌধুরীর। দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আলোচনার মধ্যে আছেন তিনি। ইতোমধ্যে বেশ ভালোভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলার।

হাসান আল মামুন বলেন, ‘হামজা দলের সঙ্গে মিশে গেছে। সে জানে, তার নিজস্ব একটি দায়িত্ববোধ রয়েছে দলের জন্য, দেশের জন্য। সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে সে প্রথম দিন থেকেই উজ্জীবিত এবং নিজ থেকে সবাইকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।’

হামজার সরলতা নিয়ে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় বলেন, ‘হামজা ভাইয়ের যে বিষয়টা, উনি অনেক উপরের লেভেলে ফুটবল খেলছেন, আমরা সবাই চেষ্টা করছি, উনার সঙ্গস মানিয়ে নেওয়ার। উনি একদমই সরলভাবে চলাচল করেন। হামজা ভাইকে সবসময় জিজ্ঞেস করছি, কি করলে ভালো হয়, কোনটা আমাদের জন্য সেরা, যেহেতু একইসঙ্গে মিডফিল্ড পজিশনে আমরা খেলছি, সবকিছু ইতিবাচক আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় নেই, দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে তামিম

উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পালানোকালে আটক ৫ পুলিশ সদস্য

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বিরুদ্ধে ৪৭ ব্রিটিশ এমপিকে ‘সন্দেহজনক’ ই-মেইল

১৭ বছরে ভোটার চান ড. ইউনূস, এনসিপির প্রস্তাব ১৬ বছর: যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত