ধ্রুপদী লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিশোধ

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৪: ৩৬
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৫: ০৩

আলিয়েঞ্জ এরেনায় তুষারের তীব্রতার মাঝেই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মাঠে দর্শক না থাকলেও উত্তেজনা ছিল ভরপুর। ম্যারাথন গোলের ধ্রুপদী লড়াইয়ে গতবারের ফাইনাল হারের শোধ নিয়েছে পিএসজি। ৩-২ গোলে বায়ার্নকে হারানোর পথে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।  গোল না পেলেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন নেইমারও। প্রথম দুই গোল আসে সরাসরি তার সহায়তা থেকে। এ দুজনের নৈপুণ্যের কাছেই হার মানতে হয়েছে বায়ার্নকে। জয়ের পাশাপাশি তিনটি এওয়ে গোল নিয়ে সেমির পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল গতবারের রানার্সআপরা।

আলিয়েঞ্জ এরেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল দুই দল। দ্বিতীয় মিনিটে বায়ার্নের প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে। পাল্টা আক্রমণে বল পেয়ে পিএসজি ডিফেন্সে হানা দেন নেইমার। তার পাস থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। এই গোলে অবশ্য বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়াল নয়্যারেরও দায় রয়েছে। বলের লাইনে থেকেও গোল আটকাতে পারেননি তিনি। একটু পর আরো একবার বায়ার্নের জালে বল জড়ায় পিএসজি। তবে অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় এই গোল।

চোটের কারণে এদিন মাঠে নামা হয়নি বায়ার্নের পোলিশ গোলমেশিন রবার্ট লেভানডভস্কির। শুরু থেকে বেশ কিছু আক্রমণে মুখ থুবড়ে পড়ায় তার অভাব বেশ ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছিল। বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে বারবার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল প্যারিস জায়ান্টরা। তেমনই এক আক্রমণ থেকে আসে দ্বিতীয় গোল। নেইমারের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নয়্যারকে ফাঁকি দিয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে লিড এনে দেন পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনোস। এরপরই চোটের কারণে বেরিয়ে যেতে হয় এই ব্রাজিলিয়ানকে।

এ সময় একাদশে বদল আনে বায়ার্নও। মাঠে নামেন তরুণ তুর্কি আলফেনসো ডেভিস।

একটু পর বায়ার্ন এক গোল শোধ করলে নাটকীয়তা ফেরে ম্যাচে। বেঞ্জামিন পাভার্ডের ক্রসে হেড থেকে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন চুপো মোটিং।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও অল্পের জন্য ব্যর্থ হন এই ব্রাজিলিয়ান।

গোলের জন্য মরিয়া বায়ার্ন পিএসজি ডিফেন্সে বেশ চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে। বাভারিয়ান জায়ান্টদের একাধিক আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। তবে ৬০  মিনিটে আর ঠেকিয়ে রাখা যায়নি থমাস মুলারকে। জশুয়া কিমিচের মাপা ফ্রিকিকে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান এই জার্মান স্ট্রাইকার।

ম্যাচের নাটকীয়তা অবশ্য তখনও বাকি। ৬৮ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ট্রেডমার্ক ভঙ্গিতে বায়ার্ন ডিফেন্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। সামনে থাকা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে বুদ্ধিদীপ্ত শটে ফাঁকি দিয়ে দলকে ফের লিড এনে দেন এই ফ্রেঞ্চম্যান।

শেষ দিকে সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। তবে ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ মাউরিজিউ পচেত্তিনোর কপালের ভাঁজ বাড়াতে পারে এমবাপ্পের খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়া।

আরেক ম্যাচে পোর্তোর মাঠে ২-০ গোলের জয়ে সেমিতে এক পা নিয়ে রাখল চেলসি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত