১০ জন নিয়েই মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ০১
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ০৯

দুই লাল কার্ডের মধ্যে কত বড় ফারাক। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ওডিশা এফসির বিপক্ষে এক লাল কার্ডে ভেঙেছিল বসুন্ধরা কিংসের হৃদয়। মোহামেডানের বিপক্ষে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে একই ঘটনা প্রায় ফিরতেই বসেছিল। 

এএফসি কাপে না পারলেও স্বাধীনতা কাপে কার্ড হতাশা ভাঙতে পারেনি বসুন্ধরাকে। ৪৫ মিনিট এক ফুটবলার কম নিয়ে খেলা, শুরুতে পিছিয়ে পড়া; নাটকের কমতি ছিল না গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে। নাটকের মধুর সমাপ্তিপর হেসেছে বসুন্ধরাই। মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতল অস্কার ব্রুজোনের দল। 

মোহামেডানকে হারিয়ে তাদের রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছে বসুন্ধরা। আজকের আগে স্বাধীনতা কাপে সর্বোচ্চ তিন শিরোপা ছিল সাদা-কালো শিবিরের। এখন সমান শিরোপার ভাগীদার বসুন্ধরাও। তবে যেভাবে দলটা তৃতীয় শিরোপা জিতেছে তা প্রশংসাযোগ্যই। 

গোপালগঞ্জে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষকে পরীক্ষা নিতে যথারীতি সুলেমানে দিয়াবাতেই মূল ভরসা ছিল মোহামেডানের; শুরু থেকে ডান দিক দিয়ে দিয়াবাতেও আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সোহেল রানার কড়া পাহারায় সুবিধা করতে পারছিলেন না। 

ম্যাচের ৪ মিনিটে বক্সের ভেতরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও ভারসাম্য ধরে রেখে ঠিকঠাক শট করতে পারেননি কিংসের রফিকুল ইসলাম, দুর্বল শটে বল যায় পোস্টের বাইরে। ১৪ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরাল শট নেন রবিনহো, ঝাঁপিয়ে আটকান মোহামেডান গোলরক্ষক। 

এরপর দুই দলের খেলার গতি কমে কিছুটা। ৩৬ তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় বসুন্ধরা। কিন্তু সোহেল রানার দারুণ ক্রসে দরিয়েলতন গোমেজের হেড পরীক্ষাই নিতে পারেনি গোলরক্ষক সুজন হোসেনকে। 

বিরতির পরপরই জমে উঠল ফাইনাল। এই অর্ধের শুরুতেই নাটক। ৪৭ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে মোহামেডানের ওমর ফারুক বাবুকে আঘাত করে বসেন বসুন্ধরার উইঙ্গার রফিকুল ইসলাম। তাতে লাল কার্ড দেখলেন রফিক, ১০ জনের দল নিয়ে বড় পরীক্ষায় বসুন্ধরা। 

সুযোগটা খুব দ্রুতই কাজে লাগাল মোহামেডান। মুজাফফরভের কর্নার থেকে বল খুঁজে নিলেন সাদা-কালোদের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইম্যানুয়েল সানডে। তাকে পাহারায় রাখার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা। নিখুঁত হেডে মোহামেডানকে এগিয়ে দিলেন সানডে। 

গোল হজম করেই জেগে বসুন্ধরা। এক ফুটবলার কম নিয়েই দুই মিনিট পর সমতাতেও ফিরল স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫৩ মিনিটে রবসনের শট নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ইম্যানুয়েল টনির গায়ে প্রতিহত হলে বক্সে বল পান রাকিব হোসেন। জটলাকে কাজে লাগিয়ে নেন বাঁ পায়ের শট। রাকিবের শটে বল কোথা থেকে গিয়ে জালে জড়াল তা টেরই পেলেন না মোহামেডান গোলরক্ষক। 

সমতায় থাকা ম্যাচটা যখন ধীরে ধীরে অতিরিক্ত সময়ের দিকে এগোচ্ছে তখনই মোহামেডান শিবিরে আঘাত হানলেন দরিয়েলতন গোমেজ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে হঠাৎ আক্রমণের ১০ জনের বসুন্ধরাকে শিরোপা জেতানো গোল এনে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। স্বদেশি সতীর্থ মিগেল দামাশিনার রক্ষণচেরা পাস থেকে মোহামেডান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল সোজা পাঠালেন জালে। 

শেষ সময়ে খেলার চেয়ে হাতাহাতিই বেশি হলো মাঠে। লাল কার্ড না দেখলেও হলুদ কার্ড দেখলেন দুই দলের ফুটবলাররা। শেষ বাঁশি বাজতে দর্শকেরাও ঢুকে পড়লেন মাঠে। নিজেদের দর্শকের ভিড়ে এক সপ্তাহ আগের দুঃখ কিছুটা হলেও হয়তো ভুলতে পারল বসুন্ধরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত