রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে মেসি-জাদুতে মায়ামির প্রথম  

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ৫৪
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১১: ৪৪

‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’—গিওদিস পার্কে লিগস কাপের ফাইনালে ইন্টার মায়ামি-ন্যাশভিল এসসি লড়াইটা ছিল এমনই। মূল ম্যাচ ড্র হলে টাইব্রেকারে গড়িয়েছে। সেখানেও তারা খেলছিল হার না মানা মানসিকতা নিয়ে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে ইন্টার মায়ামি। একই সঙ্গে নতুন ক্লাবে এসেই প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন লিওনেল মেসি।

লিগস কাপের অন্যান্য ম্যাচের মতো ফাইনালেও মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। মায়ামির জার্সিতে এখন পর্যন্ত সব ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। আজও তাঁর গোলেই  প্রথমে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। ২৩ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্য ভেদ করেন মেসি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে অল্প সময়েই সমতায় ফেরে ন্যাশভিল এসসি। ৫৭ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন ফাফা পিকাল্ট। গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন স্যাম কারিজ। এরপর গোল করতে দুই দলই মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে কোনো দলই গোল করতে পারছিল না। কখনো গোলরক্ষকদের দৃঢ়তা, কখনো বা খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো লক্ষ্য ভেদ করতে পারেননি। এই ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল মায়ামি ও বার্সা, ন্যাশভিল বল দখলে রেখেছিল ৪১ শতাংশ। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর মায়ামি শট করেছে ২টি ও আর ন্যাশভিল করেছে ৬টি শট।

৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সব রোমাঞ্চ যেন জমা ছিল টাইব্রেকারের জন্যই। প্রথমে শট নিয়েছিলেন মেসি। বাঁ পায়ের শটে গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে নেন তিনি। এরপর ন্যাশভিলের হয়ে গোল করেন হ্যানি মুখতার।  সার্জিও বুসকেতসের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। তবে ন্যাশভিলের জার্সিতে দ্বিতীয় গোল করতে পারেননি র‍্যান্ডাল লিল। তারপর লিওনার্দো কাম্পানা, কামাল মিলারের জোড়া গোলে আরও একটু এগিয়ে যায় মায়ামি। অন্যদিকে নাশভিলের অ্যানিব্যাল গোডয়, ওয়াকার জিমারম্যান—এ দুই ফুটবলারও গোল করেছেন।

প্রথম ৪ গোলের মধ্যে ন্যাশভিল ৩ গোল করলেও  ইন্টার মায়ামি ৪টি গোলই করতে পেরেছে। টানা গোল করতে থাকা মায়ামি এবার গোল করতে পারেনি।  ভিক্টোর উলোয়ার শট ন্যাশভিল গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্যাম কারিজ গোল করলে টাইব্রেকারে ৪-৪ সমতা হয় ন্যাশভিল ও মায়ামির। এরপর সার্ভি ক্রিস্তফ, জর্দি আলবা, দিয়েগো গোমেজ, ডেভিড রুইজ, দেআন্দ্রে ইয়েদলিন-মায়ামির পাঁচ গোল করেছেন। সমান তালে গোল করতে থাকে ন্যাশভিলও। এরপর গোল করতে আসেন দুই দলের গোলরক্ষক। মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার গোল করেছেন। অন্যদিকে ন্যাশভিল গোলরক্ষক এল পিনাকোর শট ঠেকিয়ে দেন ক্যালেন্ডার। তাতেই নিশ্চিত হয় মায়ামির লিগ কাপ শিরোপা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত