সমস্ত খরচ, ক্রয়াদেশ, ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এনে তবেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) অনুদান পেতে আবেদন করার পরামর্শ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার। ফিফার মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশন, ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে এটাই জানিয়েছেন বাফুফের শীর্ষ কর্তারা।

আর্থিক হিসাবে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানিয়ে ৩০ এপ্রিল বাফুফেকে চিঠি পাঠিয়েছে ফিফা। অভিযোগ উঠেছে, ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দ বার্ষিক অনুদানের ৪ লাখ ডলারও বন্ধ দিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে যে অনুদান বরাদ্দ ছিল সদস্য দেশগুলোর জন্য, বাফুফে বঞ্চিত হয়েছে সেই অর্থ থেকেও।

ফিফার বরাদ্দ করোনা অনুদান থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেন ঠিকই, তবে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম মূর্শেদি ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ দুজনই দাবি করেছেন, নিয়মিত অনুদান বন্ধের বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি! এক সঙ্গে দাবি করলেন অনুদান বন্ধ নয়; ফিফার পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাফুফেকে আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্ব দিতে। এসব বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকলে ভবিষ্যতে অনুদান ছাড়করণে সুবিধা পাবে বাফুফে; বিশেষভাবে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছে ফিফা ও এএফসি।

ফিফা বাফুফেকে সাধারণত চার কিস্তিতে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। অনুদানের বিপরীতে হিসাব দিতে হয়। অনুদান বন্ধের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে সালাম মূর্শেদির দাবি, ‘অর্থ ছাড় হচ্ছে না বলে যে কথাগুলো শুনেছেন সে তথ্য সঠিক নয়। ১৫ দিন আগেও ফিফা থেকে আমরা একটা বরাদ্দ পেয়েছি। ওই বরাদ্দের কাগজপত্রে ৪ এপ্রিল স্বাক্ষরও করেছি।’

আর আবু নাঈম সোহাগ বলছেন, ‘আমরা কোভিড অনুদান চেয়েও পাইনি। ভবিষ্যৎ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আমাদের ২০ লাখ ডলার আটকে আছে। ফিফা আমাদের বলেছে, যদি এসব বিষয়গুলো যদি পরিষ্কার না হয় তাহলে আমরা টাকাগুলো তুলতে পারব না।’

ফেডারেশনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ফাইন্যান্স কমিটির সাম্মানিক চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সালাম মূর্শেদি। তবে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি ‘ আশা ছিল তাঁরা (কর্মকর্তারা) নিজেদের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। বিষয়টি ভীষণ স্পর্শকাতর’!