Ajker Patrika

উত্তেজনার ফাইনাল জিতে বসুন্ধরার ট্রেবল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ১৯: ০৯
উত্তেজনার ফাইনাল জিতে বসুন্ধরার ট্রেবল 

আক্রমণ, গোল এবং আবারও গোল; একটি ফাইনাল উপভোগ্য হতে আর কী লাগে! বসুন্ধরা কিংস আর মোহামেডানের ফেডারেশন কাপ ফাইনালকে বর্ণনা করতে হলে আরও কিছু লিখতে হবে, রুদ্ধশ্বাস ও একই সঙ্গে উত্তেজনার। এই ম্যাচে হাতাহাতি থেকে শুরু করে সবই হলো। খেলা একসময় থামিয়েও দিতে হলো। টান টান উত্তেজনার ম্যাচ খেলেও কিন্তু বসুন্ধরাকে ইতিহাস গড়া থামাতে পারল না মোহামেডান।

রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালারি আজ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। কাঠফাটা রোদে মাথায় নিয়ে এই দর্শকেরা এসেছিলেন উপভোগ্য এক ফাইনালের প্রত্যাশা নিয়ে যেমনটা হয়েছিল এক বছর আগে কুমিল্লায়। ৪-৪ গোলের সমতায় থাকা সেই ফাইনালে আবাহনীকে টাইব্রেকারে জিতে নিয়েছিল মোহামেডান। সাদা-কালোদের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আজ প্রতিপক্ষ ছিল ট্রেবল জিতে ইতিহাসের অপেক্ষায় থাকা বসুন্ধরা। পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।

২০০৭ সালে পেশাদার লিগ শুরুর পর ২০১৩ সালে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতল বসুন্ধরা। ইতিহাস গড়তে ব্রুজোনের দলকে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরা, সেখান থেকে ম্যাচ জিতে নেওয়া, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই ট্রেবল জিতেছে বসুন্ধরা।

এই মৌসুমে আজকের ম্যাচের আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বসুন্ধরা-মোহামেডান। একবার স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে, দুইবার লিগে। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বসুন্ধরা, মোহামেডান সেই শোধটা তুলেছিল লিগে বসুন্ধরাকে একমাত্র হার উপহার দিয়ে। পরের দুই ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা। সব মিলিয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে এই মৌসুমে তিনবার ম্যাচ জিতল ব্রুজোনের দল। কাকতালীয়ভাবে বসুন্ধরা সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার সুযোগটা বসুন্ধরার। ২৭ মিনিটে রাকিব হোসেনের লম্বা করে বাড়ানো বলে দরিয়েলতন গোমেজের সামনে ছিলেন কেবল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। দরিয়েলতন শট নিলেন বটে কিন্তু সুজনকে হারাতে পারলেন না।

মোহামেডানও কাজে লাগাতে পারেনি তাদের প্রথম সুযোগটি। ৪১ মিনিটে মুজাফফরভের বাড়ানো বলে সুলেমান দিয়াবাতের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে পোস্টে জোরালো শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। সেই শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বল জালে জড়াতে দেননি বসুন্ধরা গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

দুই মিনিট বাদে শ্রাবণই আরেকবার হতাশ করেন মোহামেডান সমর্থকদের। আরিফ হোসেনের ভাসিয়ে বাড়ানো ক্রসে সুলেমান দিয়াবাতে ভলি করেছিলেন লক্ষ্যেই। তবে সতর্ক শ্রাবণ সহজেই বলের নিয়ন্ত্রণ নেন গ্লাভসে।

বিরতির পর প্রথম সুযোগটা বসুন্ধরার। ৪৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে তপু বর্মণের বাতাসে বাড়ানো বলে দর্শনীয় সাইড ভলি নিলেও বলকে জালে জড়াতে পারেননি দরিয়েলতন।

আশরাফুল হক আসিফের বদলি হিসেবে নেমে শাহরিয়ার ইমন নামার পরই বদলে যায় মোহামেডানের খেলার ধরন। ইমন প্রথমেই সুযোগ পেয়ে যান মোহামেডানকে এগিয়ে দেওয়ার। যদিও প্রথম শটে ইমন আটকে যান বসুন্ধরার রক্ষণে। পরের মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণ।

এরপর শ্রাবণকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে একের পর এক শট ঠেকাতে। ৬২ মিনিটে মুজাররফের শটও ঠেকান শ্রাবণ। কিন্তু পরের মিনিটে শেষ পর্যন্ত অবশ্য হারতে মানতে হয় তাঁকে।

৬৩ মিনিটে ইমনের বাড়ানো বলে বসুন্ধরার দুই ফুটবলকে হার মানিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে এক শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শটে এতটাই গতি থাকল যে শ্রাবণ ঝাঁপালেন কিন্তু ঠেকাতে পারলেন না। গোলের আনন্দে মাতে মাঠে থাকা হাজার হাজার মোহামেডান সমর্থক।

গোলের পর যেন আরও ক্ষুরধার মোহামেডানের আক্রমণ। আবারও পরীক্ষার মুখে শ্রাবণ ৭২ মিনিটে মিনহাজুর আবেদিন রাকিবের শট ফেরান বসুন্ধরা গোলরক্ষক।

মোহামেডানের আক্রমণের তোড়ে তিন পরিবর্তন আনতে বাধ্য হোন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন, ইয়াসির আরাফাত ও মাসুক মিয়া জনি। আক্রমণে গতি বাড়ে বসুন্ধরার। ৭৭ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগটা পায়ে ঠেলেন দরিয়েলতন। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনকে একা পেয়েও মেরে বসেন গোলরক্ষকের গায়ে।

পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মোহামেডান আরও একবার কাঁপিয়ে দেয় বসুন্ধরার রক্ষণকে। নিজেদের অর্ধ থেকে মিনহাজুরের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তপু বর্মণ।

ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা-মোহামেডান। ছবি: বাফুফে৮১ মিনিটে পোস্টে আটকে যায় বসুন্ধরার গোল। সতীর্থদের সুযোগ নষ্টের মহড়া দেখে নিজেই শট নেন বসুন্ধরা অধিনায়ক রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের শট মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনের হাতে লেগে দিক পাল্টে আটকে যায় পোস্টে। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে ওঠে মোহামেডান। সুলেমান দিয়াবাতের সামনে ছিলেন কেবল শ্রাবণ। মোহামেডান অধিনায়কও হারান ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ।

মোহামেডানকে চাপে রাখার ফল বসুন্ধরা পায় ৮৭ মিনিটে। এই গোলের পুরো কৃতিত্বটা পুরোই মিগেল দামাশিনোর। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে একে একে কাটান মোহামেডানের চার খেলোয়াড়কে। এরপর বক্সের ভেতর ঢুকে নেন বাঁ পায়ের বুলেট গতির এক শট। এতটাই গতি মিশে থাকল শটে যে গ্লাভস ছোঁয়ার সুযোগই পেলেন না মোহামেডান গোলরক্ষক। এই গোলেই হার দেখতে থাকা বসুন্ধরা খেলা নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে।

খেলা অতিরিক্ত সময়ে বদলি ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে খেলা থামিয়ে দেয় মোহামেডান। ১০৬ মিনিটে মিগেল দামাশিনোর কর্নার গ্লাভসে নিতে গিয়ে বল হাতছাড়া করেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। ফাঁকায় থাকা জাহিদ এই সুযোগ নষ্ট করেননি, ডান পায়ের শটে বল জড়ান জালে। রেফারি জসিম আক্তার গোলের বাঁশি দিতেই তাঁর দিকে ছুটে যান মোহামেডানের ফুটবলাররা। মাঠে নেমে পড়েন মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদও। গ্যালারি থেকে মোহামেডান সমর্থকেরা বোতল ছুঁড়ে মারা শুরু করেন বসুন্ধরার ডাগআউটে। উত্তেজিত মোহামেডানের ফুটবলাররা এক সময় মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। পরে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে মাঠে নামে মোহামেডান।

জাহিদের গোলটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। মোহামেডান একদম শেষ সময়ে মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করে আটকাতে পারেনি বসুন্ধরাকে। ১২০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আড়াআড়ি শট নেন শাহরিয়ার ইমন। কিন্তু সাদা-কালোদের হতাশার চিত্র হয়ে রইল ইমনের নখদন্তহীন শট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।

গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।

একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।

শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত