Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব

এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টার এ আলাপচারিতায় হেরাথ বিস্তারিত বলেন সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশ স্পিনারদের পারফরম্যান্স, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ দলে তাঁর কোচিং অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ০৭

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েই টানা কয়েকটি সিরিজ জয়ের সঙ্গী হয়েছেন। এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক?

রঙ্গনা হেরাথ: আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর জন্য এটা খুবই ভালো। ক্লাব ক্রিকেট ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটা দেওয়ায়। যদি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি সিরিজের কথা বলেন, খুব ভালো ছিল। জেতার মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এ ধরনের আচরণ ও শরীরী ভাষা আমরা বাংলাদেশ দলে দেখেছি। এটি বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: সবশেষ তিন সিরিজে স্পিনারদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

হেরাথ: যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিকে তাকান, মিরাজ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওয়ানডেতে সাকিব ভালো করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম, মেহেদী, সাকিব সবাই খুব ভালো অবদান রেখেছে। তবে যেটা লক্ষ করেছি, তারা প্রতিদিন উন্নতি করছে। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ট্যাকটিক্যাল ও মানসিকভাবে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেটা শেখাতে। সেসব কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাই; যাঁরা নাসুম, মেহেদী, মিরাজ, সাকিবসহ বাকিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা জাতীয় দলে আসার আগেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই পর্যায়ে আসার আগে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।

প্রশ্ন: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম দারুণ খেলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, যেহেতু কন্ডিশনের সহায়তা পেয়েছেন। দেশের বাইরেও নাসুমের দক্ষতা নিয়ে কতটা আশাবাদী?

হেরাথ: হ্যাঁ, এই কন্ডিশন অনুযায়ী সে ভালো করেছে। তবে আপনাকে অন্য দিকটাও ভাবতে হবে। যখন আপনার এ ধরনের মাইন্ড সেট থাকবে ও আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গেলেও সেই আত্মবিশ্বাস নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, উপমহাদেশের বাইরে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করছি, কীভাবে দেশের বাইরের কন্ডিশন বিবেচনায় তাদের স্কিল ও ট্যাকটিক্যাল জায়গায় উন্নতি করা যায়।

প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?

হেরাথ: যেটা লক্ষ করেছি, আইপিএলের পরই আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলব। আমার ধারণা, দুবাই, শারজা, আবুধাবিতে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে। সহায়তা থাকুক বা না-থাকুক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।

প্রশ্ন: প্রতিটি দল বিশ্বকাপে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই।

হেরাথ: শ্রীলঙ্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ আছে। ভারতেও আছে। তারা (লেগ স্পিনার) খরুচে হতে পারে, আবার তারা উইকেটও এনে দিতে পারে। আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পরও রিস্ট স্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।

প্রশ্ন: আপনি শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলের পরিবেশ কেমন হয়, আপনার জানা আছে। আপনার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?

হেরাথ: আমাদের এখন জেতার মানসিকতা ও সমন্বয় আছে। শরীরী ভাষা ও আচরণও এখানে যুক্ত। এটা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে হবে। আমি তিনটি ফাইনালে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলাম। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছি। সৌভাগ্যবশত ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি। পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং কীভাবে প্রয়োগ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা তাদের (খেলোয়াড়) সঙ্গে শেয়ার করেছি। এখনকার (বাংলাদেশ) দলের দিকে তাকালে সেই মাইন্ড সেট দেখতে পাবেন।

প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশ দলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন?

হেরাথ: আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। বিশ্বকাপের আগে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখন এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব। এটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।

প্রশ্ন: সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের খোঁজ করছে, যিনি লম্বা সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারবেন। এখন নাসুম এসেছেন। আবদুর রাজ্জাক দৃশ্যপট থেকে আড়ালের পর গত ছয় বছরে সাদা বলে বাংলাদেশ পাঁচ-ছয়জন বাঁ-হাতি স্পিনারকে বাজিয়ে দেখেছে। বেশির ভাগই থিতু হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?

হেরাথ: যখন নাসুম বা অন্য কাউকে দলে আনবেন, তখন স্পিনার হিসেবে তাদের অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে। যখন তাদের বেশি খেলাবেন, তখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। এখন দেখছি নাসুম উন্নতি করছে। এখনো উন্নতির জায়গা আছে। বেশি সুযোগ পেলে আরও মেলে ধরতে পারবে। আর একবার আত্মবিশ্বাস পেলে পারফরম্যান্সও ধরে রাখা সম্ভব হবে।

প্রশ্ন: একটা সময় সাকিব-মুশফিকদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন। এখন তাঁদেরই কোচ আপনি। কেমন লাগে বিষয়টা?

হেরাথ: এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। উপভোগ করছি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া আছে। এটা বেশ সহায়ক। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপগুলোও তাই বেশ ভালো হয়।

প্রশ্ন: খেলোয়াড়িজীবনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন, সেটির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মূল পার্থক্য কোথায়?

হেরাথ: বাংলাদেশ এখন নিয়মিত জিতছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে। যখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা থাকবে, তখন তারা নিজেদের শতভাগ দিতে পারবে। তারা এখন ব্যক্তিগতভাবে ভালো করছে এবং দলকেও জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তারা হয়তো তখন নিয়মিত জিততে পারত না। এখন বাংলাদেশ দলে জেতার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।

গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।

একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।

শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত