Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

নিজেকে আমি এ প্লাস দেব

নিজেকে আমি এ প্লাস দেব

প্রতিদ্বন্দ্বীদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গত বছর এই দিনে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ৩৬টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর গত একটা বছর কেমন গেল, সেটি জানতে গত বৃহস্পতিবার ফোন দেওয়া হয়েছিল বাফুফে সভাপতিকে। সাফ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে এই মুহূর্তে মালদ্বীপে থাকা সালাউদ্দিন ফিরে দেখলেন তাঁর নতুন মেয়াদের এক বছর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।

রানা আব্বাস
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১০

প্রশ্ন: লম্বা সময় বাংলাদেশ শিরোপা-খরায় আছে। সাফ টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন কোচের অধীনে নতুন একটা অধ্যায় শুরু হলো বাংলাদেশের। আপনি এবার কতটা আশাবাদী?

কাজী সালাউদ্দিন:
আশাবাদী সব সময়ই থাকি। আশাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো দল কেমন খেলে। দলের খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানেজমেন্ট সব সময়ই আশাবাদী থাকে। আশাবাদী বলেই দল গড়ে। আমরা একটা ভালো লড়াই উপহার দেব, ভালো ফুটবল খেলব। আশা করি খুব ভালো খেলা হবে। 

প্রশ্ন: তাহলে কি আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আশা করতে পারি?
সালাউদ্দিন:
এটাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। প্রথম খেলায় জেতা, এরপর দ্বিতীয় খেলায় জেতা—এভাবেই আমরা ফুটবলাররা যাই। আমরা সোজা ফাইনালে চলে যাই না। আমার মন বলছে দল ভালো করবে। 

প্রশ্ন: নতুন মেয়াদে সভাপতি হিসেবে এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই এক বছরে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সালাউদ্দিন:
আমার সব কর্মকর্তা, ফেডারেশনের সব সদস্যের কৃতিত্ব দেব। এই করোনার মধ্যে একমাত্র আমরাই সব খেলা চালিয়েছি। ছেলে বলুন, মেয়ে বলুন—সব রকম লিগ আমরা আয়োজন করেছি। সাহস দেখিয়ে আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। আমি তো আর মাঠে খেলে দিতে পারব না। শুধু আয়োজন করে দিতে পারব। একজন সংগঠক হিসেবে আমার যেটা কর্তব্য যদি বলি ছেলেদের খেলা, মেয়েদের খেলা কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮-১০টা—সব মিলিয়ে ভালো কাজ করেছি। এর একটা কারণ, আমার ফেডারেশনে একটু কম রাজনীতিবিদ আছে। লোকজন ফুটবল আয়োজন করতেই বেশি পছন্দ করে। 

প্রশ্ন: এক বছরের মূল্যায়নে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
সালাউদ্দিন:
এই করোনার মধ্যে নিজেকে ৮.৫ দেব। 

প্রশ্ন: নিজেকে ‘এ প্লাস’ দিচ্ছেন?
সালাউদ্দিন:
অবশ্যই। এ প্লাসই দিয়েছি সব সময়। ফল তো আমার না, ফল খেলোয়াড়দের। আমার কাজ খেলোয়াড়দের ১০টা ম্যাচ খেলানো, লিগ করে দেওয়া, সবকিছু জোগাড় করে দেওয়া। আমার মনে হয়, এখানে সাড়ে আটও কম!  

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার অন্যতম কারণ আইসিসি থেকে পাওয়া তহবিলের ভালো ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে তারা। বাফুফেও ফিফার কাছ থেকে তহবিল পায়। বাফুফে কি তহবিল ঠিকঠাক ব্যবস্থাপনা করতে পারছে নাকি সাংগঠনিক দুর্বলতা এখানে বড় সমস্যা?
সালাউদ্দিন:
ক্রিকেট খেলেই ১৪টা দেশ। ফুটবলে সদস্যসংখ্যা ২১১। ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমি পাই ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেট পায় ২০০-৩০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমরা পাই ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেটের ৭০০ কোটি, ৯০০ কোটি টাকা। ক্রিকেটের টাকাটা ভাগ হয় ৮-১০টা দেশে। ফিফার টাকা ভাগ হয় ২১১টা দেশে। ক্রিকেটের সঙ্গে যখন ফুটবলকে মেলানো হয় তখন খুব দুঃখ লাগে। কিসের সঙ্গে কী মেলানো হয়! এখানে তো কোনো তুলনা হয় না। আর রেজাল্টের কথা বলছেন? বাংলাদেশ কখনোই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো ছিল না। আগে ৭ গোল, ৮ গোল, ১০ গোল খেতে হতো। আজ বাংলাদেশ ৮-১০ গোল খায় না। পরিসংখ্যানটা দেখুন। ক্রিকেট-ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা করা যাবে না। ক্রিকেট খুব ভালো খেলছে তারা, বিশ্বকাপ জিতবে। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা খুবই অপেশাদারি কথাবার্তা। 

প্রশ্ন: ভালো করছে বলেই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিকেটের পেছনে ছুটছে। কথায় বলে, উইন টেকস কেয়ার অব এভরিথিং।
সালাউদ্দিন:
ক্রিকেটের টাকা আছে। এই যে তুলনাটা হলো...যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বিশ্বকাপ (২০১৮) খেলতে পারেনি গতবার। ইতালিও সুযোগ পায়নি। কার সঙ্গে কী মেলানো হচ্ছে? আফগানিস্তান, অমুক-তমুক! তবে আমার দেশের ক্রিকেটের বিপক্ষে কিছু বলব না। কারণ, আমার দেশ এই খেলাটা খেলে। ব্যক্তিগতভাবে চাই ক্রিকেটে (বাংলাদেশ) বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হোক। ক্রিকেটে আমরা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তবু আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাই। আর আমি একটা জাতীয় দল পাঠালে হোটেল ভাড়া দিতে পারি না টাকার অভাবে! মিস ম্যানেজমেন্টের কথায় আমি খুব দুঃখ পাই। আমাদের নিয়মিত অডিট হয়। দয়া করে এই তুলনাটা যেন না করা হয়। এটা খুব দুঃখজনক। ২১১টা দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবল। ফিফা থেকে আমি পাই ১০ লাখ ডলার। মিস ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করব? 

প্রশ্ন: দেশের ফুটবলে এখন করপোরেট দলগুলো এগোচ্ছে। বসুন্ধরা-সাইফের মতো দলগুলো দাপট দেখাচ্ছে। আবার আবাহনী–মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো পেছাচ্ছে। আপনি নিজেও একাধিক ঐতিহ্যবাহী দলে খেলেছেন। সেই দলগুলোর অবস্থা এখন বেহাল!
সালাউদ্দিন:
ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর কোনো প্রাণ নেই। এখন প্রতিযোগিতার দুনিয়া। আজ ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল নিয়ন্ত্রণ করছে ম্যানসিটি, চেলসির মতো দলগুলো। কয়েক বছর আগেও এরা এতটা শক্তিশালী ছিল না। ঐতিহ্য থাকতে পারে, কিন্তু কাজ তো করতে হবে। ঐতিহ্যকে ভেজে খাওয়া যায় না! আমার ঐতিহ্য থাকতে পারে, আমি সালাউদ্দিন ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আর খেলোয়াড় নই। আজ খেলোয়াড় হিসেবে আমি ফালতু! আমাকে তো খেলতে হবে, তাই না? ঐতিহ্যবাহী দলগুলো কেন নিজেদের যত্ন নেয় না? আর পৃথিবী কারও জন্য অপেক্ষা করে না। নিজেরা যখন নিজেদের যত্ন নিই নাই, আরেকজন সেই নিয়ন্ত্রণটা নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক করপোরেট দল আসবে। ইউরোপে এখন এটাই হচ্ছে। ধরুন, আমি একজন নামকরা সংগঠক কিন্তু কাজ করলাম না, ঘুমিয়ে থাকব, তাহলে সবাই আমাকে সংগঠক হিসেবে মানবে কীভাবে? কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আবাহনী-মোহামেডান ঐতিহ্য নিয়ে থাকবে, ফল আরেক দল নিয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে ফিরি, কোচ অস্কার ব্রুজোন যদি এই সাফে ভালো ফল উপহার দেন, তাহলে কি তাঁকে আরও লম্বা মেয়াদের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দেখা যাবে? 
সালাউদ্দিন: এ প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছি না। সময়ই বলে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।

গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।

একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।

শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত