আমিনুল ইসলাম বুলবুল
শুরুতে আমার কোচিং জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি তখন আবাহনীর কোচ, তখন দলের অধিনায়ক ছিল খালেদ মাসুদ পাইলট বা মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় বছরে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল, প্রিমিয়ার লিগে আমাদের সুপার লিগের সব ম্যাচ না জিতলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। আমরা ৪ নম্বর দল হিসেবে সুপার লিগে গিয়েছিলাম। আমাদের সব সমীকরণ মেলাতে হবে।
তখন ড্রেসিংরুমে আমরা একটা নতুন নিয়ম চালু করলাম, কেউ যদি ১ রান করে, তাকে বলতে হবে শূন্যের চেয়ে ভালো। কেউ যদি শূন্য রানও করে, গোল্ডেন ডাকের চেয়ে ভালো। কেউ যদি গোল্ডেন ডাকে আউট হয়, তাহলে দুর্ভাগ্য। কোনো নেতিবাচক অ্যাপ্রোচ, কোনো নেতিবাচক মন্তব্য দলের মধ্যে চলবে না। আল্লাহর রহমতে পাঁচ ম্যাচে টানা জিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম সেবার।
এই একই জিনিস বাংলাদেশ দল আজ করুক; নিউজিল্যান্ডে কী হয়েছে, এশিয়া কাপে কী হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়েতে কী হয়েছিল, সব ভুলে একটা ইতিবাচক, মন থেকে বিশ্বাস করে সমর্থক, অংশীদার, খেলোয়াড়—সবাই মিলে আজ আমরা একটা ইতিবাচক দিন শুরু করব এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের সেরা যেটা আছে, সেটা আমরা খেলব।
কে কীভাবে দলে এসেছে, কোচ কে, কে কোন কনসালট্যান্ট—এগুলো নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। আমাদের একটাই জিনিস আজ, সেরাটা দেব। একটা সহযোগী সদস্যের সঙ্গে জেতার সুযোগ পেয়েছি এবং আশা করি জিতব আমরা।
আর টেকনিক্যাল জায়গার কথা যদি বলি, ব্যাটিংয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা হওয়া উচিত, যদি আমরা প্রথমে বা পরে ব্যাটিং করি, পাওয়ার প্লেতে আমাদের ১০০ করতে হবে না, ৭০ রানও করতে হবে না। ১ উইকেটে ৫৫ রান করলে চলবে। এ ধরনের একটা শুরু যদি আমরা করতে পারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে গবেষণা—৭ থেকে ১৩, ১৩ থেকে ১৬, এই ওভারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দেখা যাচ্ছে ব্যাটার সেট হয়ে আউট হয়। শেষ পর্যন্ত যারা বহন করে, একটা উদাহরণ দিই, নিউজিল্যান্ডের প্রথম ম্যাচের ডেভন কনওয়ে। সে শেষ করে এল, রান কিন্তু ২০০। অস্ট্রেলিয়ার কেউ শুরু করে শেষ করতে পারেনি। আমরা ৬ ওভার ভালো খেললাম। তবে ১৩, ১৬ ও ১৯ ওভারে যেন উইকেট না হারাই। যেমন পরশু একটা ইনিংস দেখলাম কেন উইলিয়ামসনের। ২৩ বলে ২৩ রান। ওটা ছিল একটা ইনিংসের ভিত্তি।
আমরা এত বিশ্লেষণ করি, অমুকের স্ট্রাইকরেট এটা কেন, ওটা কেন। মূল কথা হলো, যে শুরু করবে, তাকে শেষ করে আসতে হবে। যেহেতু এটা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলা। ব্যাটিংয়ে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট। যখন প্রথম রাউন্ড চলছিল, যে বিষয়টা আমার চোখে পড়েছে, তা হলো নির্ভার ক্রিকেট খেলা।
এখানে যে উইকেট তৈরি হয়, তারা শুধু গ্রাউন্ডস কিউরেটরের ওপর নির্ভর করে না, এদের পৌরসভায় যারা কাজ করে, তাদেরও বিশেষ কিউরেটর থাকে। উইকেট ভালো থাকে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট। এখানে পরে-আগে ব্যাট করা কোনো ব্যাপার না। এখানে একটা কথা বলে রাখি, উইকেটটা ভালো হবে; কিন্তু বিগব্যাশ দলগুলো রাতের আলোয় ব্যাট করে, তারা রান তাড়া করে। যদিও আজ বাংলাদেশের দিনে খেলা হচ্ছে। তবু আমার মনে হচ্ছে, পরে ব্যাট করা ভালো হবে।আমাদের হয় কি, সাকিবের
সঙ্গে যে দ্বিতীয় স্পিনার—নাসুম খেললে তো খেলল। যদি না খেলে, আমাদের হাফ স্পিনার বল করে। নেদারল্যান্ডসের যে দল, এ ম্যাচে আমাদের অন্তত আড়াইটা স্পিন রাখা উচিত। ৯-১০ ওভার যদি স্পিন করে, তাহলে দলটার বিপক্ষে ভালো করতে পারব। আমাদের ফাস্ট বোলাররা দারুণ করছে। তাদের কাছে ভালো আশা রাখি। ওদের তিনটা খেলোয়াড় আছে—টিম প্রিঙ্গল, স্কট এডওয়ার্ডস, বাস ডি লিড। তারা ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলে, এখানে ক্রিকেট খেলে। এই কন্ডিশনে অভিজ্ঞ। এ তিনজন খেলোয়াড়ের ওপর আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত।
শুরুতে আমার কোচিং জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি তখন আবাহনীর কোচ, তখন দলের অধিনায়ক ছিল খালেদ মাসুদ পাইলট বা মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় বছরে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল, প্রিমিয়ার লিগে আমাদের সুপার লিগের সব ম্যাচ না জিতলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। আমরা ৪ নম্বর দল হিসেবে সুপার লিগে গিয়েছিলাম। আমাদের সব সমীকরণ মেলাতে হবে।
তখন ড্রেসিংরুমে আমরা একটা নতুন নিয়ম চালু করলাম, কেউ যদি ১ রান করে, তাকে বলতে হবে শূন্যের চেয়ে ভালো। কেউ যদি শূন্য রানও করে, গোল্ডেন ডাকের চেয়ে ভালো। কেউ যদি গোল্ডেন ডাকে আউট হয়, তাহলে দুর্ভাগ্য। কোনো নেতিবাচক অ্যাপ্রোচ, কোনো নেতিবাচক মন্তব্য দলের মধ্যে চলবে না। আল্লাহর রহমতে পাঁচ ম্যাচে টানা জিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম সেবার।
এই একই জিনিস বাংলাদেশ দল আজ করুক; নিউজিল্যান্ডে কী হয়েছে, এশিয়া কাপে কী হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়েতে কী হয়েছিল, সব ভুলে একটা ইতিবাচক, মন থেকে বিশ্বাস করে সমর্থক, অংশীদার, খেলোয়াড়—সবাই মিলে আজ আমরা একটা ইতিবাচক দিন শুরু করব এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের সেরা যেটা আছে, সেটা আমরা খেলব।
কে কীভাবে দলে এসেছে, কোচ কে, কে কোন কনসালট্যান্ট—এগুলো নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। আমাদের একটাই জিনিস আজ, সেরাটা দেব। একটা সহযোগী সদস্যের সঙ্গে জেতার সুযোগ পেয়েছি এবং আশা করি জিতব আমরা।
আর টেকনিক্যাল জায়গার কথা যদি বলি, ব্যাটিংয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা হওয়া উচিত, যদি আমরা প্রথমে বা পরে ব্যাটিং করি, পাওয়ার প্লেতে আমাদের ১০০ করতে হবে না, ৭০ রানও করতে হবে না। ১ উইকেটে ৫৫ রান করলে চলবে। এ ধরনের একটা শুরু যদি আমরা করতে পারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে গবেষণা—৭ থেকে ১৩, ১৩ থেকে ১৬, এই ওভারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দেখা যাচ্ছে ব্যাটার সেট হয়ে আউট হয়। শেষ পর্যন্ত যারা বহন করে, একটা উদাহরণ দিই, নিউজিল্যান্ডের প্রথম ম্যাচের ডেভন কনওয়ে। সে শেষ করে এল, রান কিন্তু ২০০। অস্ট্রেলিয়ার কেউ শুরু করে শেষ করতে পারেনি। আমরা ৬ ওভার ভালো খেললাম। তবে ১৩, ১৬ ও ১৯ ওভারে যেন উইকেট না হারাই। যেমন পরশু একটা ইনিংস দেখলাম কেন উইলিয়ামসনের। ২৩ বলে ২৩ রান। ওটা ছিল একটা ইনিংসের ভিত্তি।
আমরা এত বিশ্লেষণ করি, অমুকের স্ট্রাইকরেট এটা কেন, ওটা কেন। মূল কথা হলো, যে শুরু করবে, তাকে শেষ করে আসতে হবে। যেহেতু এটা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলা। ব্যাটিংয়ে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট। যখন প্রথম রাউন্ড চলছিল, যে বিষয়টা আমার চোখে পড়েছে, তা হলো নির্ভার ক্রিকেট খেলা।
এখানে যে উইকেট তৈরি হয়, তারা শুধু গ্রাউন্ডস কিউরেটরের ওপর নির্ভর করে না, এদের পৌরসভায় যারা কাজ করে, তাদেরও বিশেষ কিউরেটর থাকে। উইকেট ভালো থাকে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট। এখানে পরে-আগে ব্যাট করা কোনো ব্যাপার না। এখানে একটা কথা বলে রাখি, উইকেটটা ভালো হবে; কিন্তু বিগব্যাশ দলগুলো রাতের আলোয় ব্যাট করে, তারা রান তাড়া করে। যদিও আজ বাংলাদেশের দিনে খেলা হচ্ছে। তবু আমার মনে হচ্ছে, পরে ব্যাট করা ভালো হবে।আমাদের হয় কি, সাকিবের
সঙ্গে যে দ্বিতীয় স্পিনার—নাসুম খেললে তো খেলল। যদি না খেলে, আমাদের হাফ স্পিনার বল করে। নেদারল্যান্ডসের যে দল, এ ম্যাচে আমাদের অন্তত আড়াইটা স্পিন রাখা উচিত। ৯-১০ ওভার যদি স্পিন করে, তাহলে দলটার বিপক্ষে ভালো করতে পারব। আমাদের ফাস্ট বোলাররা দারুণ করছে। তাদের কাছে ভালো আশা রাখি। ওদের তিনটা খেলোয়াড় আছে—টিম প্রিঙ্গল, স্কট এডওয়ার্ডস, বাস ডি লিড। তারা ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলে, এখানে ক্রিকেট খেলে। এই কন্ডিশনে অভিজ্ঞ। এ তিনজন খেলোয়াড়ের ওপর আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত।
টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অভ্যাসটা ভালোই রপ্ত করেছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে তো বটেই, বাজবল ঘরানার এই ব্যাটিং মাঝেমধ্যে ছাপিয়ে যায় টি-টোয়েন্টিকেও। অনেক সময় ইংল্যান্ড তাই সাদা পোশাকে ব্যাটিং করলেও ধন্দে পড়ে যেতে হয় এই ভেবে যে এখানে কোন সংস্করণের খেলাটা আসলে হচ্ছে।
১৭ মিনিট আগেশুরুতেই হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে খুবই পরিচিত দৃশ্য। বিশেষ করে টেস্টে এই রোগ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারছে না কিছুতেই। জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা গেছে একই ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও মিস করেছেন একের পর এক ক্যাচ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তবে টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ ও উইকেট এখনো ভেজা ও নরম থাকায় টসের সময় পেছানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ যখন আজ জ্যামাইকায় ঘুরে দাঁড়ানোর টেস্ট খেলতে নামছে, তখন দেশে আলোচনা সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে দলে না থাকা নিয়ে। আগামী ৮ ডিসেম্বর শুরু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব নেই—এটা নিশ্চিত। তারকা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরও নির্বাচকেরা দল ঘোষণা করতে পারেননি।
১৩ ঘণ্টা আগে