ক্রীড়াঙ্গনকে ক্রীড়াবান্ধব এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে সংস্কারে হাত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজেও কয়েকবার ফেডারেশনপাড়া পরিদর্শন করেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট ক্রীড়ায় সংস্কারের জন্য গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি। সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দুই মাস সময় পেয়েছে, যার দেড় মাস এরই মধ্যে পেরিয়েছে।
সার্চ কমিটির সুপারিশেই অবশ্য কয়েক ধাপে বিভিন্ন ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনে শুদ্ধি অভিযান চালায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ছেঁটে ফেলা হয় সিংহভাগ সংস্থার সভাপতিকে। বর্তমানে দেশের ৫৫টি ফেডারেশনের মধ্যে ৪৮টিতে নেই সভাপতি। এর বাইরে চারটিতে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারও ফাঁকা। এসব শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় স্বাভাবিক খেলা, অনুশীলন এবং দৈনন্দিন কার্যাদি পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে ফেডারেশনগুলোকে। কোনো কোনো ফেডারেশন খেলায়ও ফিরতে পারেনি। কোনো কোনো ফেডারেশনের কার্যালয়ে এখনো তালা। কোনো কোনো ফেডারেশন আবার ঘরোয়া প্রতিযোগিতা শুরু করা নিয়ে ঘোর সংশয়ে। ব্যতিক্রম নয় ৫২ বছরের পুরোনো বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যুবলীগ নেতা এবং এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ আত্মগোপনে। ফলে হকিতে নামে স্থবিরতা। তাঁর অবর্তমানে হকির দাপ্তরিক কার্যাদি দেখভাল করছেন যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স। তিনিও কমিটির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, ‘সামনে আমাদের দুইটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আমরা সেগুলো নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়। কোনোমতে দেশে একটা ক্যাম্প হচ্ছে। আসলে এত বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি এবং কিছু ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হয়। কমিটি থাকলে হয়তো এই জায়গায় ঘাটতি থাকত না। তবু আমরা চেষ্টা করছি খেলার মধ্যে থাকতে, যাতে সবকিছু সুন্দরভাবে আগের মতো করা যায়।’
সভাপতি না থাকায় কোনো কিছুই আগের মতো চলছে না রাগবি ফেডারেশনেও। আগে এই ফেডারেশন নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করত। এখন নিষ্ক্রিয়। রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুম আলী তাই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন কমিটির, ‘চেষ্টা করছি রাগবি যাতে সচল থাকে। কিন্তু এটা কত দিন পারব জানি না। তাই আগের মতো খেলাধুলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে কমিটি গঠন খুবই দরকার।’
দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমও দুশ্চিন্তায়, ‘সভাপতি একটা ফেডারেশনের মেরুদণ্ড। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়। যদিও দাবার সভাপতিকে অব্যাহতির পরও আমি কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছি। নিজ উদ্যোগে চালিয়ে নিয়েছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর যেসব ফেডারেশনে কমিটিই নেই, তারা তো আরও বেকায়দায়। কোনো খেলা তারা চালাতে পারছে না। তাদের জন্য কমিটি কতটা জরুরি, বুঝিয়ে বলা যাবে না।’
কমিটি পেতে কেন এত দেরি? এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানার। জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন জোবায়েদুর নতুন সভাপতি বা কমিটি পাওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি আশাবাদী, শিগগির কয়েকটা ফেডারেশন অ্যাডহক কমিটি পাবে, ‘আমরা কয়েকটি ফেডারেশনের কমিটি করে উপদেষ্টা মহোদয়ের (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) কাছে পাঠাব। আশা করছি সেই তালিকাগুলো (কমিটি) শিগগির হবে। এরপর তিনি এবং তাঁর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা দেখে বিচার-বিবেচনা করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করবেন।’
সার্চ কমিটির আহ্বায়কের এ কথায় মনে হচ্ছে, আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে ফেডারেশনগুলোকে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ২৫ ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করবে এই বিশেষ কমিটি। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। সেই বৈঠক গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ২২ অক্টোবর। তার আগে কয়েক দফায় ২৪টি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেছে সার্চ কমিটি। সূত্রের দাবি, এই ২৪ ফেডারেশনের ১৪টির খসড়া কমিটি প্রায় প্রস্তুত। সেগুলো তালিকা আকারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যাবে এই সপ্তাহে। এরপর মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বলা যায়, এই প্রক্রিয়াটা এখনো সময়সাপেক্ষ। তবে মন্ত্রণালয়ের হাত ঘুরে গেজেট আকারে প্রকাশিত হলে সবার আগে দাবা, টেনিস, হকি, অ্যাথলেটিকস, কাবাডি, বাস্কেটবল, স্কোয়াশ অ্যান্ড র্যাকেটস, রোলার স্কেটিং, খো খো ও বাংলাদেশ ক্যারম ফেডারেশন পাবে নতুন অ্যাডহক কমিটি।
ক্রীড়াঙ্গনকে ক্রীড়াবান্ধব এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে সংস্কারে হাত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজেও কয়েকবার ফেডারেশনপাড়া পরিদর্শন করেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট ক্রীড়ায় সংস্কারের জন্য গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি। সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দুই মাস সময় পেয়েছে, যার দেড় মাস এরই মধ্যে পেরিয়েছে।
সার্চ কমিটির সুপারিশেই অবশ্য কয়েক ধাপে বিভিন্ন ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনে শুদ্ধি অভিযান চালায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ছেঁটে ফেলা হয় সিংহভাগ সংস্থার সভাপতিকে। বর্তমানে দেশের ৫৫টি ফেডারেশনের মধ্যে ৪৮টিতে নেই সভাপতি। এর বাইরে চারটিতে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারও ফাঁকা। এসব শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় স্বাভাবিক খেলা, অনুশীলন এবং দৈনন্দিন কার্যাদি পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে ফেডারেশনগুলোকে। কোনো কোনো ফেডারেশন খেলায়ও ফিরতে পারেনি। কোনো কোনো ফেডারেশনের কার্যালয়ে এখনো তালা। কোনো কোনো ফেডারেশন আবার ঘরোয়া প্রতিযোগিতা শুরু করা নিয়ে ঘোর সংশয়ে। ব্যতিক্রম নয় ৫২ বছরের পুরোনো বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যুবলীগ নেতা এবং এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ আত্মগোপনে। ফলে হকিতে নামে স্থবিরতা। তাঁর অবর্তমানে হকির দাপ্তরিক কার্যাদি দেখভাল করছেন যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স। তিনিও কমিটির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, ‘সামনে আমাদের দুইটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আমরা সেগুলো নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়। কোনোমতে দেশে একটা ক্যাম্প হচ্ছে। আসলে এত বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি এবং কিছু ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হয়। কমিটি থাকলে হয়তো এই জায়গায় ঘাটতি থাকত না। তবু আমরা চেষ্টা করছি খেলার মধ্যে থাকতে, যাতে সবকিছু সুন্দরভাবে আগের মতো করা যায়।’
সভাপতি না থাকায় কোনো কিছুই আগের মতো চলছে না রাগবি ফেডারেশনেও। আগে এই ফেডারেশন নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করত। এখন নিষ্ক্রিয়। রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুম আলী তাই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন কমিটির, ‘চেষ্টা করছি রাগবি যাতে সচল থাকে। কিন্তু এটা কত দিন পারব জানি না। তাই আগের মতো খেলাধুলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে কমিটি গঠন খুবই দরকার।’
দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমও দুশ্চিন্তায়, ‘সভাপতি একটা ফেডারেশনের মেরুদণ্ড। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়। যদিও দাবার সভাপতিকে অব্যাহতির পরও আমি কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছি। নিজ উদ্যোগে চালিয়ে নিয়েছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর যেসব ফেডারেশনে কমিটিই নেই, তারা তো আরও বেকায়দায়। কোনো খেলা তারা চালাতে পারছে না। তাদের জন্য কমিটি কতটা জরুরি, বুঝিয়ে বলা যাবে না।’
কমিটি পেতে কেন এত দেরি? এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানার। জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন জোবায়েদুর নতুন সভাপতি বা কমিটি পাওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি আশাবাদী, শিগগির কয়েকটা ফেডারেশন অ্যাডহক কমিটি পাবে, ‘আমরা কয়েকটি ফেডারেশনের কমিটি করে উপদেষ্টা মহোদয়ের (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) কাছে পাঠাব। আশা করছি সেই তালিকাগুলো (কমিটি) শিগগির হবে। এরপর তিনি এবং তাঁর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা দেখে বিচার-বিবেচনা করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করবেন।’
সার্চ কমিটির আহ্বায়কের এ কথায় মনে হচ্ছে, আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে ফেডারেশনগুলোকে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ২৫ ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করবে এই বিশেষ কমিটি। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। সেই বৈঠক গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ২২ অক্টোবর। তার আগে কয়েক দফায় ২৪টি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেছে সার্চ কমিটি। সূত্রের দাবি, এই ২৪ ফেডারেশনের ১৪টির খসড়া কমিটি প্রায় প্রস্তুত। সেগুলো তালিকা আকারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যাবে এই সপ্তাহে। এরপর মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বলা যায়, এই প্রক্রিয়াটা এখনো সময়সাপেক্ষ। তবে মন্ত্রণালয়ের হাত ঘুরে গেজেট আকারে প্রকাশিত হলে সবার আগে দাবা, টেনিস, হকি, অ্যাথলেটিকস, কাবাডি, বাস্কেটবল, স্কোয়াশ অ্যান্ড র্যাকেটস, রোলার স্কেটিং, খো খো ও বাংলাদেশ ক্যারম ফেডারেশন পাবে নতুন অ্যাডহক কমিটি।
বিপিএলে নাহিদ রানা যেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক। এক ম্যাচ আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং লাইনআপকে প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন। আগের ম্যাচের মতো এদিন অবশ্য বেশি উইকেট পাননি; নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। ফিরিয়েছেন তারকাখচিত ফরচুন বরিশালের দুই ব্যাটার তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে...
৬ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে দুর্দান্তই খেলছেন তাসকিন। তারপরও তিনি কি ভাবতে পেরেছিলেন বিপিএলে আজ ৭ উইকেট পেয়ে যাবেন?
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় ক্রিকেট দল এক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ড্রেসিংরুমেও অশান্তি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টের আগে বোমা ফাটালেন ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর।
৯ ঘণ্টা আগে