নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুল ছাত্রদের নিয়ে দাবার আসর হয়েছে আগেও। তবে দলগত স্কুল দাবার প্রথম আসর শুরু হয়েছিল গত আগস্টে। পাঁচ মাসের দীর্ঘ প্রতিযোগিতা শেষে ফাইনাল হয়ে গেল আজ। ফাইনালটা হলো ফাইনালের মতোই। শেষটা হলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে।
সারা দেশের ২০৬২ স্কুল নিয়ে গত বছরের ২১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল স্কুল ভিত্তিক দলগত দাবার টুর্নামেন্ট মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস প্রতিযোগিতা। দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে ও আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৩টি জেলায় প্রাথমিক পর্বের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো সরাসরি সুযোগ পেয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ে। বাকি ১১টি জেলাকে ভাগ করা হয়েছে ১৭টি অঞ্চলে। এই ১৭টি অঞ্চলের খেলা হয়েছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা ১৭টি চ্যাম্পিয়ন দল বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেছে ৭০টি স্কুল। সেখান থেকে ৮ বিভাগের সেরা ১৬টি স্কুল সুযোগ পেয়েছে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে খেলার। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকারই সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও ডিপিএস আইটিএস স্কুল। দেশভিত্তিক স্কুল দাবার প্রথম প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারতে হারতে ডিপিএসের সঙ্গে ২-২ গেমে ড্র করেছিল সেন্ট জোসেফ। সেখান থেকে টাইব্রেকে জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।।
সেন্ট জোসেফের দাবা দলটাকে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পুত্র তাহসিন তাজওয়ার। ‘অলৌকিকভাবে’ ফাইনাল জিতে ১০ লাখ টাকার প্রাইজমানি জয়ের পর দারুণ খুশি বলে জানাল সে, ‘অনেক ভালো লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি। শুরুতে আমরা এতটা আশাবাদী ছিলাম না। আমরা হারের দিকে ছিলাম বলতে গেলে।
অলৌকিকভাবে আমরা জিতে যাই। এখন ভবিষ্যতে অনেকে দাবাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করবে। অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন বলে জানালেন টুর্নামেন্টের সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল। নিয়মিত এই টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দাবার বিপ্লব হবে বলে মনে করেন আবু সুফিয়ান, ‘আমাদের লক্ষ্য অনেকটা সফল হয়েছে। কিন্তু আমাদের এটা ধারাবাহিক ভাবে চালাতে হবে। এটা যদি আমরা ৫ বছর চালাই তাহলে দেখবেন দাবাড়ুদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না। এমন অবস্থা তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার যে প্রত্যাশা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিকে চিন্তা করেছিলাম যে, ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোতে খেলোয়াড় পাব কিনা। ঢাকায় তো অনেক স্কুলেই খেলে। একটা স্কুলে হয়তো এক বা দুজন খেলে। বাকি খেলোয়াড় কই পাব এটা নিয়ে সমস্যা হবে ভেবেছিলাম। একটা দল গড়তে ছয়জন লাগে। কিন্তু দেখা গেছে অনেকেই খেলা পারে, হয়তো তারা পারিবারিকভাবে খেলা শিখেছে। এই তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। যখন টুর্নামেন্ট করতে গেছি তখন দেখি অনেক স্কুল দল গঠন করে এসেছে। এটা দেখে আমরা অবাক হয়েছি। এটাই আমরা চাচ্ছিলাম। স্কুলগুলোতে টার্গেট করেছি কারণ, স্কুলের অবকাঠামো দাবার জন্য আদর্শ।’ টুর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান দাবাড়ুদের নিয়ে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সেন্ট জোসেফের হয়ে খেলেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পুত্র ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। দাবার প্রতি স্কুল ছাত্রদের আগ্রহ ও নিবেদন ছুঁয়ে গেছে জিয়াকেও। নিজেও ছিলেন একই স্কুলের ছাত্র। স্কুল টুর্নামেন্টকে ধরে রাখা গেলে ভবিষ্যতে দাবার পাইপলাইনে খেলোয়াড়ের ঘাটতি হবে না বলে মনে করেন দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার, ‘ইতিবাচক দিক হচ্ছে এখন স্কুল টুর্নামেন্টে অনেক প্রতিযোগী অংশ নেবে। সব স্কুলই চিন্তা করবে এই খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। দরকার হলে যারা ভালো খেলে তাদের ছাড় দেওয়া যায়। দেখলাম বাচ্চারা খুবই আগ্রহী। গত এক মাস ধরে এই বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে খেলা শিখেছে। তাদের এই আগ্রহ দেখে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
‘এখন ফেডারেশনের দায়িত্ব হবে জুনিয়র পর্যায়ের ৪-৫ জন খেলোয়াড়কে পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থা করে দেওয়া, তাদেরকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। ইউরোপে খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। এটার ব্যবস্থা করে দেওয়া গেলে বাংলাদেশের দাবা অনেক এগিয়ে যাবে।’
স্কুল ছাত্রদের নিয়ে দাবার আসর হয়েছে আগেও। তবে দলগত স্কুল দাবার প্রথম আসর শুরু হয়েছিল গত আগস্টে। পাঁচ মাসের দীর্ঘ প্রতিযোগিতা শেষে ফাইনাল হয়ে গেল আজ। ফাইনালটা হলো ফাইনালের মতোই। শেষটা হলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে।
সারা দেশের ২০৬২ স্কুল নিয়ে গত বছরের ২১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল স্কুল ভিত্তিক দলগত দাবার টুর্নামেন্ট মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস প্রতিযোগিতা। দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে ও আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৩টি জেলায় প্রাথমিক পর্বের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো সরাসরি সুযোগ পেয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ে। বাকি ১১টি জেলাকে ভাগ করা হয়েছে ১৭টি অঞ্চলে। এই ১৭টি অঞ্চলের খেলা হয়েছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা ১৭টি চ্যাম্পিয়ন দল বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেছে ৭০টি স্কুল। সেখান থেকে ৮ বিভাগের সেরা ১৬টি স্কুল সুযোগ পেয়েছে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে খেলার। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকারই সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও ডিপিএস আইটিএস স্কুল। দেশভিত্তিক স্কুল দাবার প্রথম প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারতে হারতে ডিপিএসের সঙ্গে ২-২ গেমে ড্র করেছিল সেন্ট জোসেফ। সেখান থেকে টাইব্রেকে জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।।
সেন্ট জোসেফের দাবা দলটাকে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পুত্র তাহসিন তাজওয়ার। ‘অলৌকিকভাবে’ ফাইনাল জিতে ১০ লাখ টাকার প্রাইজমানি জয়ের পর দারুণ খুশি বলে জানাল সে, ‘অনেক ভালো লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি। শুরুতে আমরা এতটা আশাবাদী ছিলাম না। আমরা হারের দিকে ছিলাম বলতে গেলে।
অলৌকিকভাবে আমরা জিতে যাই। এখন ভবিষ্যতে অনেকে দাবাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করবে। অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন বলে জানালেন টুর্নামেন্টের সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল। নিয়মিত এই টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দাবার বিপ্লব হবে বলে মনে করেন আবু সুফিয়ান, ‘আমাদের লক্ষ্য অনেকটা সফল হয়েছে। কিন্তু আমাদের এটা ধারাবাহিক ভাবে চালাতে হবে। এটা যদি আমরা ৫ বছর চালাই তাহলে দেখবেন দাবাড়ুদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না। এমন অবস্থা তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার যে প্রত্যাশা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিকে চিন্তা করেছিলাম যে, ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোতে খেলোয়াড় পাব কিনা। ঢাকায় তো অনেক স্কুলেই খেলে। একটা স্কুলে হয়তো এক বা দুজন খেলে। বাকি খেলোয়াড় কই পাব এটা নিয়ে সমস্যা হবে ভেবেছিলাম। একটা দল গড়তে ছয়জন লাগে। কিন্তু দেখা গেছে অনেকেই খেলা পারে, হয়তো তারা পারিবারিকভাবে খেলা শিখেছে। এই তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। যখন টুর্নামেন্ট করতে গেছি তখন দেখি অনেক স্কুল দল গঠন করে এসেছে। এটা দেখে আমরা অবাক হয়েছি। এটাই আমরা চাচ্ছিলাম। স্কুলগুলোতে টার্গেট করেছি কারণ, স্কুলের অবকাঠামো দাবার জন্য আদর্শ।’ টুর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান দাবাড়ুদের নিয়ে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সেন্ট জোসেফের হয়ে খেলেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পুত্র ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। দাবার প্রতি স্কুল ছাত্রদের আগ্রহ ও নিবেদন ছুঁয়ে গেছে জিয়াকেও। নিজেও ছিলেন একই স্কুলের ছাত্র। স্কুল টুর্নামেন্টকে ধরে রাখা গেলে ভবিষ্যতে দাবার পাইপলাইনে খেলোয়াড়ের ঘাটতি হবে না বলে মনে করেন দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার, ‘ইতিবাচক দিক হচ্ছে এখন স্কুল টুর্নামেন্টে অনেক প্রতিযোগী অংশ নেবে। সব স্কুলই চিন্তা করবে এই খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। দরকার হলে যারা ভালো খেলে তাদের ছাড় দেওয়া যায়। দেখলাম বাচ্চারা খুবই আগ্রহী। গত এক মাস ধরে এই বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে খেলা শিখেছে। তাদের এই আগ্রহ দেখে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
‘এখন ফেডারেশনের দায়িত্ব হবে জুনিয়র পর্যায়ের ৪-৫ জন খেলোয়াড়কে পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থা করে দেওয়া, তাদেরকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। ইউরোপে খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। এটার ব্যবস্থা করে দেওয়া গেলে বাংলাদেশের দাবা অনেক এগিয়ে যাবে।’
স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারলেন বিরাট কোহলি। কিছু মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। একটু পর বুঝতে পারলেন তাঁর সেঞ্চুরির ঘটনা। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর ব্যাট উঁচিয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন। তাতে ছাড়িয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডম্যানকে।
১ ঘণ্টা আগেমিরপুরে গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলনের কারণে সিরিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। বিসিবি একাডেমি মাঠে আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও গতকাল সফরকারীরা আইরিশরা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন...
২ ঘণ্টা আগেকোনো কিছু ঘটলে চুপ করে বসে থাকার পাত্র তো সুনীল গাভাস্কার নন। উল্টোপাল্টা ঘটনা দেখলেই প্রতিবাদ করতে বিন্দুমাত্র দেরী করেন না গাভাস্কার। এবার তাঁর নামে ভুয়া আর্টিকেল প্রচারের কারণে বেজায় চটেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেস্মৃতির পাতা উল্টে পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে একবার ঘুরে আসা যাক। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ উল্লাসে মত্ত, তখন হতাশায় মুষড়ে পড়েন যশস্বী জয়সওয়ালসহ ভারতীয় ক্রিকেটাররা। অথচ চার বছর পর দেখা যাচ্ছে দুই দলের ক্রিকেটারদের আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
৩ ঘণ্টা আগে