নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ২০২০–২১ অর্থবছরে দেশের ক্রীড়া খাতে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ২৩৩ কোটি টাকা। মোট বাজেট ছিল ১ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকার। ২০২১-২২ প্রস্তাবিত বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় বাড়লেও কমেছে টাকার অঙ্ক। এবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা, গত বছরের তুলনায় যা ৩৫৬ কোটি টাকা কম।
৫ বছরের সবচেয়ে কম বাজেট
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে মোট বাজেটের পরিমাণ বাড়লেও ক্রীড়া খাতে কাটছাঁট হবে—গত কদিন শোনা যাচ্ছিল এটি। অনুমানটাই সত্যি হয়েছে। কাল জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১২২ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে ক্রীড়া উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ ব্যয় হবে অবকাঠামোগত খাতে। মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪২ কোটি টাকা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় তিন মাস থমকে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। নড়বড়ে পরিস্থিতিতেও যুব ও ক্রীড়া খাতে ১৪৭৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় যেটি ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পরে অবশ্য সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকায়।
সর্বশেষ পাঁচ বছরের এবারই সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেল ক্রীড়া খাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ছিল ৩২৭ কোটি টাকা। পরের বছর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। কিন্তু কমেছিল উন্নয়ন ব্যয়। ২০১৯-২০ বাজেট দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে এবার বাজেট কমলেও করোনা পরিস্থিতিতেও উন্নয়ন বরাদ্দ ইতিবাচকই বলতে হবে। গত পাঁচ বছরে ক্রীড়াঙ্গনে বাজেটের আকার বাড়লেও কমছিল অবকাঠামোগত ব্যয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ২১৪ কোটি। পরের বছর বরাদ্দ হয়েছিল ২৩৩ কোটি টাকার। এবারের অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।
কোথায় হবে খরচ
উন্নয়ন ব্যয় বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’। ১৮৬টি উপজেলায় চলছে এ ধরনের স্টেডিয়াম নির্মাণ। কাল অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়ামসহ ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। তাই বাড়ানো হয়েছে প্রকল্প ব্যয়। গতানুগতিক বাজেটের এবারের চমক বলতে এই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। বরাদ্দের বাকি অংশ খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয়ের পরিকল্পনা আছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। তবে অর্থ ব্যয়ে এবার সতর্ক অবস্থানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত বরাদ্দ কমে যেতে পারে সংশোধিত বাজেটে। বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে, কীভাবে ব্যয় হবে সেদিকে এবার সতর্ক নজর রাখবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বরাদ্দ অর্থ কমতে পারে ফুটবলে। নতুন স্বপ্ন নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫০ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে গত দুই অর্থবছরে বাফুফের ব্যয়ে খুশি নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। আর অন্য ফেডারেশনগুলোর জন্য রাখা হয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। কোনো ফেডারেশনের খেলোয়াড়েরা ভালো করলে দেওয়া হবে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ। একইভাবে পরের বছর হিসাবে গরমিল মিললে কমে যাবে বরাদ্দ।
ঢাকা: ২০২০–২১ অর্থবছরে দেশের ক্রীড়া খাতে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ২৩৩ কোটি টাকা। মোট বাজেট ছিল ১ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকার। ২০২১-২২ প্রস্তাবিত বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় বাড়লেও কমেছে টাকার অঙ্ক। এবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা, গত বছরের তুলনায় যা ৩৫৬ কোটি টাকা কম।
৫ বছরের সবচেয়ে কম বাজেট
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে মোট বাজেটের পরিমাণ বাড়লেও ক্রীড়া খাতে কাটছাঁট হবে—গত কদিন শোনা যাচ্ছিল এটি। অনুমানটাই সত্যি হয়েছে। কাল জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১২২ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে ক্রীড়া উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ ব্যয় হবে অবকাঠামোগত খাতে। মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪২ কোটি টাকা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় তিন মাস থমকে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। নড়বড়ে পরিস্থিতিতেও যুব ও ক্রীড়া খাতে ১৪৭৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় যেটি ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পরে অবশ্য সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকায়।
সর্বশেষ পাঁচ বছরের এবারই সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেল ক্রীড়া খাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ছিল ৩২৭ কোটি টাকা। পরের বছর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। কিন্তু কমেছিল উন্নয়ন ব্যয়। ২০১৯-২০ বাজেট দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে এবার বাজেট কমলেও করোনা পরিস্থিতিতেও উন্নয়ন বরাদ্দ ইতিবাচকই বলতে হবে। গত পাঁচ বছরে ক্রীড়াঙ্গনে বাজেটের আকার বাড়লেও কমছিল অবকাঠামোগত ব্যয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ২১৪ কোটি। পরের বছর বরাদ্দ হয়েছিল ২৩৩ কোটি টাকার। এবারের অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।
কোথায় হবে খরচ
উন্নয়ন ব্যয় বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’। ১৮৬টি উপজেলায় চলছে এ ধরনের স্টেডিয়াম নির্মাণ। কাল অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়ামসহ ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। তাই বাড়ানো হয়েছে প্রকল্প ব্যয়। গতানুগতিক বাজেটের এবারের চমক বলতে এই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। বরাদ্দের বাকি অংশ খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয়ের পরিকল্পনা আছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। তবে অর্থ ব্যয়ে এবার সতর্ক অবস্থানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত বরাদ্দ কমে যেতে পারে সংশোধিত বাজেটে। বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে, কীভাবে ব্যয় হবে সেদিকে এবার সতর্ক নজর রাখবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বরাদ্দ অর্থ কমতে পারে ফুটবলে। নতুন স্বপ্ন নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫০ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে গত দুই অর্থবছরে বাফুফের ব্যয়ে খুশি নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। আর অন্য ফেডারেশনগুলোর জন্য রাখা হয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। কোনো ফেডারেশনের খেলোয়াড়েরা ভালো করলে দেওয়া হবে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ। একইভাবে পরের বছর হিসাবে গরমিল মিললে কমে যাবে বরাদ্দ।
মিরপুরে আজ থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। ভোরে ক্রাইস্টচার্চ শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ। খেলাগুলো দেখবেন যেসব টিভি চ্যানেলে—
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে না, এটা চূড়ান্ত। কিন্তু হাইব্রিড মডেলে আইসিসির বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে পাকিস্তানের যে আপত্তি, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেটা ‘চূড়ান্ত’ নয়। সেটা পাকিস্তান চূড়ান্ত করতে গেলে টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান থেকে সরে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে২০১৭-১৮ ও ২০২১-২২ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুবারই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল লিভারপুল। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ অলরেডরা পেয়েছিল গত বছর। তবে রিয়ালের বিপক্ষে দুই লেগেই হেরে শেষ ষোলোয় বিদায় নেয় লিভারপুল।
২ ঘণ্টা আগেএবারের লিগ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব আর ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের জন্য একদিকে যেমন আনন্দের, অন্যদিকে আক্ষেপেরও। আক্ষেপ এই কারণে, দীর্ঘদিন পর প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া দুটি ক্লাবই দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে নিজেদের চাওয়ামতো দল গড়তে পারেনি। তবু অংশগ্রহণেই উচ্ছ্বসিত।
২ ঘণ্টা আগে