Ajker Patrika

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ঠেকাতে হাই-টেক মোজা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ২০: ৩৩
স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ঠেকাতে হাই-টেক মোজা

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের গবেষকেরা এই মোজা তৈরি করেন। গবেষকদের দাবি, এই মোজা মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা, ঘামের পরিমাণ ও গতিবিধি সম্পর্কিত ডেটা পাওয়া যায়। তা ডিমেনশিয়ার রোগীদের পড়ে যাওয়া ও অসুস্থতা ঠেকাতে সাহায্য করবে। 

স্কাই নিউজের প্রতিবেদককে মোজাটির অন্যতম প্রস্তুতকারক ডা. জেকে স্টিয়ার বলেন, সেবা প্রদানকারী এক রুমে না থাকলেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। 

হাই–টেক বা স্মার্ট মোজাগুলোর সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে । ছবি: স্কাই নিউজতিনি বলেন, স্মার্ট মোজার মাধ্যমে অসুস্থতার লক্ষণগুলো শনাক্ত করা হয় যা ডিমেনশিয়ার রোগীরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা জরুরি। কারণ, এর ফলে সেবা প্রদানকারী রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সমর্থন দিতে পারবে। 

স্টিয়ার আরও বলেন, তিনি এই মোজাটি শুধু ডিমেনশিয়া রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেননি। তিনি এই মোজাটি অন্যদের ঘরেও ব্যবহার দেখতে চান। ডিমমেনশিয়া ছাড়াও সম্ভাব্য অন্যান্য অবস্থা যেমন অটিজম ও শেখার অক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই মোজা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, এসব সমস্যায়  আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে না।  

ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়। ছবি: স্কাই নিউজরোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা 
যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলে অবস্থিত বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা দ্য গার্ডেন হাউস কেয়ার হোম এই মোজাটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার  হচ্ছে। 

সংস্থাটির ম্যানেজার ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই মোজাটি রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেছে। কারণ, মোজাটির অ্যাপ আগেই সতর্ক করে দেয়। তা দেখে সেবা প্রদানকারীরা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে রোগী ও সেবা প্রদানকারী দুজনের ওপরেই চাপ কমে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়। 

ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ । ছবি: স্কাই নিউজইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ বলেন, তাঁরা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের কেয়ার হোমের (বৃদ্ধাশ্রম) ডেটাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুতর ডিমেনশিয়া রোগীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করা কঠিন। তাই এ মোজাটি রোগীদের উদ্বেগ ও যন্ত্রণা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে। 

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন নাসিং হোমে তাঁদের মোজার পরীক্ষামূলক ব্যবহার বৃদ্ধি করবেন। 

প্রযুক্তিটি সেবা প্রদানকারীদেরও সাহায্য করবে
স্মার্ট মোজার আবিষ্কারক মিলবোটিক্স কোম্পানি। কোম্পানির একটি টিম লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘দ্য ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কেয়ার রিসার্চ ও টেকনোলজি সেন্টার’-এর সঙ্গে গবেষণা করছেন। 

গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। ছবি: স্কাই নিউজসেখানকার গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। প্রতিটি ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য সব সময় আলাদা আলাদা সেবা প্রদানকারী নিয়োজিত থাকতে পারে না। তাই রোগীদের কোনো সমস্যায় এই প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারে। 

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের ভালো ওষুধ ও সেবা প্রদান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে ও পরামর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিটি সাহায্য করে। তারা রোগীর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত