গুগলের বিরুদ্ধে অ্যাপস্টোরে একচেটিয়া আধিপত্য সৃষ্টির মামলা জিতেছে ফোর্টনাইটের মতো জনপ্রিয় ভিডিও গেম প্রস্তুতকারক কোম্পানি এপিক গেমস। প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ স্টোরগুলোর ওপর বেআইনি প্রভাব খাটানোর প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ ইনস্টল করতে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষ গুগলের প্লে স্টোর ব্যবহার করে। রায়ের ফলে গুগল বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।

২০২০ সালে প্লে স্টোরে অ্যাপ বিতরণে এবং ইন-অ্যাপ বিলিংয়ের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণে একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ তুলে এপিক গেমস গুগলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অ্যাপের মধ্যে বাড়তি কিছু যোগ করার জন্য যে অর্থ পরিশোধ করতে হয় সেটাকে ইন-অ্যাপ বিলিং বলা হচ্ছে। যেমন- গেমের কোনো অ্যাপে বাড়তি শক্তি যোগানোর জন্য তলোয়ার কেনা।

গুগলের গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও পাবলিক পলিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট উইলসন হোয়াইট বলেন, অ্যান্ড্রয়েড ও গুগল প্লে স্টোর অন্য যেকোনো বড় মোবাইল প্ল্যাটফর্মের চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং অ্যাপ পছন্দ করার সুযোগ দেয়।

মামলায় বলা হয়, অ্যাপল ও এর অ্যাপ স্টোরের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এবং গেমিং কনসোলগুলোর অ্যাপ স্টোরগুলো সঙ্গে গুগল তীব্রভাবে প্রতিযোগিতা করে।

গুগল বলছে, কোম্পানিটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবসায়িক মডেলকে রক্ষা করবে এবং গ্রাহক, অংশীদার ও বৃহত্তর অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। 

এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্মের এক পোস্টে এপিক প্রধান নির্বাহী টিম সুইনি বলেছেন, গুগলের বিরুদ্ধে মামলায় এপিক জয়ী হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার জুরি সব ক্ষেত্রে গুগলের প্লে স্টোরের একচেটিয়া ব্যবসার প্রমাণ পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হবে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিচার শেষে গত সোমবার দুই কোম্পানির আইনজীবীরা তাদের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন করেন। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের লেনদেনের ওপর গুগল ৩০ শতাংশ ফি নির্ধারণ করে। এই মামলায় এই বিষয়টি নিয়েও চ্যালেঞ্জ করা হয়।

অভিযোগে এপিক বলেছে, গুগল ‘গোপনীয় ও প্রতিযোগিতামূলক চুক্তির’ মাধ্যমে ‘উদ্ভাবন ও বাছাই করার সুযোগকে বাঁধা দেয়’। এপিকের আগে টেক জায়ান্টির বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা করে ডেটিং অ্যাপ ‘ম্যাচ’।

২০২০ সালে এপিক গেমস অ্যাপলের বিরুদ্ধেও অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের এই ধরনের মামলা করে। তবে ২০২১ সালে অ্যাপলের পক্ষে রায় দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।