অনলাইন ডেস্ক
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়তে পুনর্বহাল করা না হলে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছে কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে প্রায় ৭০০ কর্মী এক খোলা চিঠিতে এ দাবি জানান। তাঁরা স্যাম অল্টম্যানকে পুনর্বহালের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের পদত্যাগের দাবি জানান।
গত শুক্রবার আকস্মিকভাবে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ অল্টম্যানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। আর প্রতিযোগী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে যায়।
ওপেনএআইয়ের বাকি চার পরিচালক সোমবার চিঠিতে বলেছে, ‘আপনারা যে ওপেনএআইয়ের দেখভালে অক্ষম তা এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এমন লোকদের সঙ্গে বা তাদের জন্য কাজ করতে চাই না, যারা কোম্পানির মিশন এবং কর্মীদের দক্ষতার বিষয়ে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।’
বোর্ডের সদস্যদের কাছে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে বলা হয়, স্যাম অল্টম্যান ও ওপেনআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যানের সঙ্গে চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরাও মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগদান করতে পারে।
গত সোমবার বিকেলে মাইক্রোসফটের নির্বাহী সত্য নাদেলা ঘোষণা দেন, স্যামকে তার কোম্পানি নিয়োগ দিতে চায়। আবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদককে বলেন, ওপেনএআইয়ের শাসন কাঠোমো পরিবর্তন হওয়া দরকার।
ওপেনএআইয়ের কর্মীদের এই চিঠি সম্পর্কে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়্যারর্ড প্রথম প্রকাশিত করে।
চিঠিটি জনসম্মুখে এলে এ বিষয়ে সংহতি জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে ওপেনএআইয়ের কর্মীরা বলেন, ‘ওপেনএআই তাদের কর্মীদের ছাড়া কিছু নয়।’
এআই প্রযুক্তি বিষয়ক একজন গবেষক নোয়াম বলেছেন, ‘এটি গৃহযুদ্ধের মত নয়। ওপেনএআইয়ের সবাই একত্রিত। স্যাম ও গ্রেগকে ফিরিয়ে আনা না হলে শাসন করার জন্য কোম্পানিতে কেউ থাকবে।’
ওপেনএআই একটি অলাভজনক কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি বাণিজ্যিক সহায়ক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা গত শুক্রবার পর্যন্ত অল্টম্যান পরিচালনা করত। চ্যাটজজিপিটি চ্যাটবটের সাফল্যের জন্য নির্বাহী হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী অল্টম্যান বিশ্বজুড়ে অনেক সুনাম অর্জন করেন। গত নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি গ্রাহক রয়েছে।
অলাভজনক বোর্ড এখন চার সদস্য নিয়ে গঠিত। তারা হলেন–ওপেনএআইয়ের এর প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুটস্কেভার, প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট কোয়ারার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা তাশা ম্যাককলি এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজির পরিচালক হেলেন টোনার।
আশ্চর্যজনকভাবে, সুটস্কেভার খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর দিয়ে বোর্ড থেকে নিজের অপসারণকে সমর্থন করেছেন। সুটস্কেভার চিঠিতে এর কারণ হিসেবে বলেন, তিনি অল্টম্যানের বরখাস্তে নিজের ভূমিকার জন্য অনুশোচনায় ভুগছেন। এক্স-এর একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘বোর্ডের কর্মকাণ্ডে আমার অংশগ্রহণের জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমি কখনই ওপেনএআইয়ের ক্ষতি করতে চাইনি। আমি একসঙ্গে পছন্দ করি এবং কোম্পানিকে পুনরায় একত্রিত করার জন্য যা করতে পারি তা করব।’
অন্যান্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ওপেনএআই-এর চিফ টেকনোলজি অফিসার মীরা মুরাতিও ছিলেন। অল্টম্যানকে বরখাস্তের পর একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হন মীরা। গত রবিবার ভিডিও গেম স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এমমেট শিয়ারকে মীরার পরিবর্তে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। অল্টম্যান তার বরখাস্তের পরে রবিবার ওপেনএআইয়ের এর সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে টুইট করে বলেন, তাকে অতিথি ব্যাজ পরতে বাধ্য করা হয়েছিল।
শিয়ার এক্স-এর একটি পোস্টে বলেন, অল্টম্যানের বরখাস্তের সঙ্গে কোম্পানির নিরাপত্তা উদ্বেগের কোনো সম্পর্ক নেই।
চ্যাটজিপিটির এর সাফল্য কিছু বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও কারিগরি পেশাদারদের মধ্যে ভয় জাগিয়েছে। তারা মনে করেন, এআইভিত্তিক কোম্পানিগুলি একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় আটকে আছে যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সক্ষম সিস্টেম তৈরি করতে পারে।
অল্টম্যানের নিয়োগের ফলে ওপেনএআই-এর সঙ্গে মাইক্রোসফটের সম্পর্কের ওপর পুরো বিশ্বের নজর পড়েছে। মাইক্রোসফট ওপেনএআইয়ের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং এতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ‘ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ‘একজন বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেছেন, অল্টম্যান এখনো ওপেনএআই-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়তে পুনর্বহাল করা না হলে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছে কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে প্রায় ৭০০ কর্মী এক খোলা চিঠিতে এ দাবি জানান। তাঁরা স্যাম অল্টম্যানকে পুনর্বহালের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের পদত্যাগের দাবি জানান।
গত শুক্রবার আকস্মিকভাবে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ অল্টম্যানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। আর প্রতিযোগী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে যায়।
ওপেনএআইয়ের বাকি চার পরিচালক সোমবার চিঠিতে বলেছে, ‘আপনারা যে ওপেনএআইয়ের দেখভালে অক্ষম তা এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এমন লোকদের সঙ্গে বা তাদের জন্য কাজ করতে চাই না, যারা কোম্পানির মিশন এবং কর্মীদের দক্ষতার বিষয়ে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।’
বোর্ডের সদস্যদের কাছে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে বলা হয়, স্যাম অল্টম্যান ও ওপেনআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যানের সঙ্গে চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরাও মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগদান করতে পারে।
গত সোমবার বিকেলে মাইক্রোসফটের নির্বাহী সত্য নাদেলা ঘোষণা দেন, স্যামকে তার কোম্পানি নিয়োগ দিতে চায়। আবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদককে বলেন, ওপেনএআইয়ের শাসন কাঠোমো পরিবর্তন হওয়া দরকার।
ওপেনএআইয়ের কর্মীদের এই চিঠি সম্পর্কে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়্যারর্ড প্রথম প্রকাশিত করে।
চিঠিটি জনসম্মুখে এলে এ বিষয়ে সংহতি জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে ওপেনএআইয়ের কর্মীরা বলেন, ‘ওপেনএআই তাদের কর্মীদের ছাড়া কিছু নয়।’
এআই প্রযুক্তি বিষয়ক একজন গবেষক নোয়াম বলেছেন, ‘এটি গৃহযুদ্ধের মত নয়। ওপেনএআইয়ের সবাই একত্রিত। স্যাম ও গ্রেগকে ফিরিয়ে আনা না হলে শাসন করার জন্য কোম্পানিতে কেউ থাকবে।’
ওপেনএআই একটি অলাভজনক কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি বাণিজ্যিক সহায়ক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা গত শুক্রবার পর্যন্ত অল্টম্যান পরিচালনা করত। চ্যাটজজিপিটি চ্যাটবটের সাফল্যের জন্য নির্বাহী হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী অল্টম্যান বিশ্বজুড়ে অনেক সুনাম অর্জন করেন। গত নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি গ্রাহক রয়েছে।
অলাভজনক বোর্ড এখন চার সদস্য নিয়ে গঠিত। তারা হলেন–ওপেনএআইয়ের এর প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুটস্কেভার, প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট কোয়ারার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা তাশা ম্যাককলি এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজির পরিচালক হেলেন টোনার।
আশ্চর্যজনকভাবে, সুটস্কেভার খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর দিয়ে বোর্ড থেকে নিজের অপসারণকে সমর্থন করেছেন। সুটস্কেভার চিঠিতে এর কারণ হিসেবে বলেন, তিনি অল্টম্যানের বরখাস্তে নিজের ভূমিকার জন্য অনুশোচনায় ভুগছেন। এক্স-এর একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘বোর্ডের কর্মকাণ্ডে আমার অংশগ্রহণের জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমি কখনই ওপেনএআইয়ের ক্ষতি করতে চাইনি। আমি একসঙ্গে পছন্দ করি এবং কোম্পানিকে পুনরায় একত্রিত করার জন্য যা করতে পারি তা করব।’
অন্যান্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ওপেনএআই-এর চিফ টেকনোলজি অফিসার মীরা মুরাতিও ছিলেন। অল্টম্যানকে বরখাস্তের পর একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হন মীরা। গত রবিবার ভিডিও গেম স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এমমেট শিয়ারকে মীরার পরিবর্তে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। অল্টম্যান তার বরখাস্তের পরে রবিবার ওপেনএআইয়ের এর সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে টুইট করে বলেন, তাকে অতিথি ব্যাজ পরতে বাধ্য করা হয়েছিল।
শিয়ার এক্স-এর একটি পোস্টে বলেন, অল্টম্যানের বরখাস্তের সঙ্গে কোম্পানির নিরাপত্তা উদ্বেগের কোনো সম্পর্ক নেই।
চ্যাটজিপিটির এর সাফল্য কিছু বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও কারিগরি পেশাদারদের মধ্যে ভয় জাগিয়েছে। তারা মনে করেন, এআইভিত্তিক কোম্পানিগুলি একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় আটকে আছে যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সক্ষম সিস্টেম তৈরি করতে পারে।
অল্টম্যানের নিয়োগের ফলে ওপেনএআই-এর সঙ্গে মাইক্রোসফটের সম্পর্কের ওপর পুরো বিশ্বের নজর পড়েছে। মাইক্রোসফট ওপেনএআইয়ের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং এতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ‘ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ‘একজন বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেছেন, অল্টম্যান এখনো ওপেনএআই-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৬ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
৮ ঘণ্টা আগে