অলকানন্দা রায়, ঢাকা
গ্রীষ্মের দাবদাহে বাসা, অফিস কিংবা শপিং মল—সর্বত্রই চলছে এসি। ফ্যানও চলছে সমানতালে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। মাস শেষে বিল গুনতে মাথায় হাত পড়ছে অনেকের।
তবে একটু বুদ্ধি করে আলাদাভাবে এসি ও ফ্যান না চালালেও ঘর দ্রুততম সময়ে ঠান্ডা হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখলেও ঘর শীতল থাকবে। এভাবে একসঙ্গে এসি ও ফ্যান—দুটো চালালে মাস শেষে বিলও কমে আসবে। অথচ অনেকে মনে করেন, এসির সঙ্গে ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায় কিংবা এসি ও ফ্যান একই সঙ্গে চালালে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের মত তা বলছে না।
ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম জানান, এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানো যায়। দুটি একসঙ্গে চালানোর ফলে বাতাসের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। তাতে ঘরের ঠান্ডা বাতাস খুব সহজে ঘরের কোনায় কোনায় পৌঁছায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দীর্ঘক্ষণ যেন সরাসরি ফ্যানের বাতাসে কেউ না থাকে। তাতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফ্যান ও এসি একসঙ্গে চালানোর ক্ষেত্রে রুমে বাইরের বাতাস যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
আরিফুল ইসলাম আরও জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা ভালো। তিনি এসি চালানোর আগে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করার পরামর্শ দেন, যেন শীতল বাতাস ঘরে আটকে থাকে এবং বাইরে থেকে গরম হাওয়া ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। সেই সঙ্গে এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, বিশেষত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা এ ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এসিতে গরমে আরাম পাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হলে মন্দ হয় না। সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে—এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ডের এসি পাওয়া যায়, যেগুলোতে নতুন ফিচার যোগ করা থাকে। এ ধরনের এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে। যেমন ভেরিয়েবল-স্পিড মোটর কম বিদ্যুৎ খরচ করে।’ ওয়ালটনের দেড় টনের ইনভার্টার এসির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এই এসি ৮ ঘণ্টা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চললে বিদ্যুৎ বিল আসবে ৩৪ টাকা। যদিও প্রচলিত এসির ক্ষেত্রে তা প্রায় ৪৬ টাকা।’
আরিফুল ইসলামের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রোডাক্ট ম্যানেজার (হোম কমফোর্ট) সানজানা মাহমুদ বলেন, ‘আদর্শ পরিবেশে একই ক্ষমতার নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় গ্রিন ইনভার্টার প্রযুক্তি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে।’ এ ছাড়া নিয়মিত এসি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও বিদ্যুৎ বিল বিশ্লেষণ করা, এসির তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা, নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা এবং মাঝে মাঝে এসি সার্ভিসিং করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে টিপস
ঘর বেশ কিছুটা শীতল হয়ে যাওয়ার পর এসি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালালে দীর্ঘক্ষণ এসি চালিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। এসি বন্ধ করে ফ্যানের স্পিড সামান্য বাড়িয়ে দিলে ভালো হবে।
বিদ্যুৎ বিল যাতে কম আসে, সে জন্য এয়ারকন্ডিশনারের তাপমাত্রা কমাতে হবে। ফলে এসির কম্প্রেসরে চাপ পড়বে না এবং বিদ্যুৎ বিলও কমে আসবে।
বাজারে এমন অনেক এসি রয়েছে, যেগুলোতে টাইমারের সুবিধা দেওয়া থাকে। বাসা বা অফিসে এ ধরনের এসি থাকলে টাইমার সেট করে রাখা যেতে পারে। সময় অনুযায়ী এসি বন্ধ হয়ে গেলে তখন ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
গ্রীষ্মের দাবদাহে বাসা, অফিস কিংবা শপিং মল—সর্বত্রই চলছে এসি। ফ্যানও চলছে সমানতালে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। মাস শেষে বিল গুনতে মাথায় হাত পড়ছে অনেকের।
তবে একটু বুদ্ধি করে আলাদাভাবে এসি ও ফ্যান না চালালেও ঘর দ্রুততম সময়ে ঠান্ডা হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখলেও ঘর শীতল থাকবে। এভাবে একসঙ্গে এসি ও ফ্যান—দুটো চালালে মাস শেষে বিলও কমে আসবে। অথচ অনেকে মনে করেন, এসির সঙ্গে ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায় কিংবা এসি ও ফ্যান একই সঙ্গে চালালে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের মত তা বলছে না।
ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম জানান, এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানো যায়। দুটি একসঙ্গে চালানোর ফলে বাতাসের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। তাতে ঘরের ঠান্ডা বাতাস খুব সহজে ঘরের কোনায় কোনায় পৌঁছায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দীর্ঘক্ষণ যেন সরাসরি ফ্যানের বাতাসে কেউ না থাকে। তাতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফ্যান ও এসি একসঙ্গে চালানোর ক্ষেত্রে রুমে বাইরের বাতাস যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
আরিফুল ইসলাম আরও জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা ভালো। তিনি এসি চালানোর আগে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করার পরামর্শ দেন, যেন শীতল বাতাস ঘরে আটকে থাকে এবং বাইরে থেকে গরম হাওয়া ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। সেই সঙ্গে এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, বিশেষত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা এ ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এসিতে গরমে আরাম পাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হলে মন্দ হয় না। সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে—এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ডের এসি পাওয়া যায়, যেগুলোতে নতুন ফিচার যোগ করা থাকে। এ ধরনের এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে। যেমন ভেরিয়েবল-স্পিড মোটর কম বিদ্যুৎ খরচ করে।’ ওয়ালটনের দেড় টনের ইনভার্টার এসির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এই এসি ৮ ঘণ্টা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চললে বিদ্যুৎ বিল আসবে ৩৪ টাকা। যদিও প্রচলিত এসির ক্ষেত্রে তা প্রায় ৪৬ টাকা।’
আরিফুল ইসলামের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রোডাক্ট ম্যানেজার (হোম কমফোর্ট) সানজানা মাহমুদ বলেন, ‘আদর্শ পরিবেশে একই ক্ষমতার নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় গ্রিন ইনভার্টার প্রযুক্তি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে।’ এ ছাড়া নিয়মিত এসি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও বিদ্যুৎ বিল বিশ্লেষণ করা, এসির তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা, নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা এবং মাঝে মাঝে এসি সার্ভিসিং করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে টিপস
ঘর বেশ কিছুটা শীতল হয়ে যাওয়ার পর এসি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালালে দীর্ঘক্ষণ এসি চালিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। এসি বন্ধ করে ফ্যানের স্পিড সামান্য বাড়িয়ে দিলে ভালো হবে।
বিদ্যুৎ বিল যাতে কম আসে, সে জন্য এয়ারকন্ডিশনারের তাপমাত্রা কমাতে হবে। ফলে এসির কম্প্রেসরে চাপ পড়বে না এবং বিদ্যুৎ বিলও কমে আসবে।
বাজারে এমন অনেক এসি রয়েছে, যেগুলোতে টাইমারের সুবিধা দেওয়া থাকে। বাসা বা অফিসে এ ধরনের এসি থাকলে টাইমার সেট করে রাখা যেতে পারে। সময় অনুযায়ী এসি বন্ধ হয়ে গেলে তখন ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১৭ ঘণ্টা আগেগুগলের নতুন কোডগুলোর প্রায় এক–চতুর্থাংশের বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানায় সিইও সুন্দর পিচাই।
১৯ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেমগুলোর জন্য ব্রডকম ও টিএসএমসি–এর সহযোগিতায় নিজস্ব চিপ তৈরি করছে ওপেনএআই। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের জন্য এনভিডিয়া ও এএমডি–এর চিপগুলোও ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
২০ ঘণ্টা আগেমেটা, টিকটক ও কোয়াইয় নামের চীনের শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে ব্রাজিলের ভোক্তা অধিকার গ্রুপ কালেকটিভ ডিফেন্স ইনস্টিটিউট। মামলার অভিযোগ বলা হয়, কোম্পানিগুলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলায় ৩ বিলিয়ন রেইস বা প্রায় ৫২৫ মি
১ দিন আগে