ভালোবাসার উপহার বেচে দিয়ে মিলিয়নিয়ার তিনি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ২৭

ভালোবাসার জোরে তো কত কিছুই হয়! তবে ভালো খবরটা খুব একটা কান পর্যন্ত পৌঁছায় না, যতটা পত্রিকার পাতায়, সোশ্যাল মিডিয়ার দেয়ালে উঠে আসে নেতিবাচক খবরগুলো। আজকালতো প্রেমের কারণে খুন-খারাবি ডালভাত হয়ে গেছে! 

ভালোবাসার জোরে যে ভালো কিছু হয়, তার সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হতে পারে জনপ্রিয় শব্দ ধাঁধার খেলা ওয়ার্ডল। সম্প্রতি এই নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে গেমটি বেচে দিয়েছেন এর নির্মাতা। রাতারাতি মিলিয়নিয়ার বনে গেছেন তিনি! যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিনের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জশ ওয়ার্ডল এই জনপ্রিয় গেমের নির্মাতা। এটি তিনি বানিয়েছিলেন তাঁর বান্ধবীর জন্য। লকডাউনে ঘরবন্দী জীবনের অলস সময়টাকে একটু উপভোগ্য করে তুলতে প্রেমিকার পছন্দের শব্দ ধাঁধায় মেতে উঠেছিলেন তিনিও। গেমের নামটাও ‘ওয়ার্ডল’ রাখা মূলত প্রিয়জনকে চমকে দেওয়ার জন্যই। 

গত বছরের ১ নভেম্বর গেমটি অ্যাপ স্টোরে আপলোড করেন জম ওয়ার্ডল। সেদিন খেলেছিল মাত্র ৯০ জন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে দৈনিক সক্রিয় গেমারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখের বেশি! 

জশ ওয়ার্ডল এর আগে রেডিটে একটি অ্যাপ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। ওই সময় একদল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। তবে এবার শব্দজব্দ তৈরি করতে কারও সহায়তা নেননি। একাই খেটেখুটে করেছেন। প্রিয়জনের জন্য উপহার বলে কথা! গোটা লকডাউন কালটা বান্ধবী পলক শাহর সঙ্গে শব্দ ধাঁধা খেলে কাটিয়েছেন তিনি। 

অবশ্য ২০১৩ সালেই এমন একটা প্রোটোটাইপ বানিয়েছিলেন ওয়ার্ডল। কিন্তু বন্ধুরা তাতে আগ্রহ না দেখানোর কারণে সেই প্রজেক্ট বাতিল করেন। ২০২০ সালে পলক শাহ এবং তিনি নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার স্পেলিং বি এবং দৈনিক ক্রসওয়ার্ডে গেমের ভক্ত হয়ে যান। তখনই ওয়ার্ডল বানানোর কাজে নেমে পড়েন। তাতে পলকেরও অংশগ্রহণ ছিল। 

ওয়ার্ডল নিজেও স্বীকার করেছেন, পলক এই গেমের ‘ভাগ্যবান প্রথম প্রাপক’ হলেও সাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করার পেছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। প্রিয়জনের এই চমৎকার উপহার পাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে পলক বলেন, এখন দৈনন্দিন রুটিনে নতুন একটা বিষয় যুক্ত হয়েছে। সকালে জেগে ওঠেন নতুন আগ্রহ নিয়ে। স্পেলিং বি দিয়ে ওয়ার্মআপ হন। বলতে গেলে ওয়ার্ডলের জন্য এটা তাঁর প্রস্তুতি। নিউইয়র্ক টাইমসের ক্রসওয়ার্ড এবং ক্রিপ্টিক ক্রসওয়ার্ডও পছন্দ করেন পলক। 

গেমটি এখন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। লাখ লাখ মানুষ খেলছে। এটি নিয়ে মোটেও মনঃক্ষুণ্ন নন পলক। তিনি বলেন, ‘এটা যদিও মূলত শুধু আমার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যিই মিষ্টি। জশ এভাবেই ভালোবাসা প্রকাশ করে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত