
গাণিতিক সমস্যার সমাধানে এবার আশ্রয় নেওয়া যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। বিষয়টি সহজ করতেই গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড এনেছে ‘ফানসার্চ’ নামে নতুন একটি ব্যবস্থা। লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে তৈরি করা এই ব্যবস্থা গণিতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও মানুষের জানার বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সাধারণত এআইভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ও গুগল বার্ড নতুন কোনো তথ্য বা জ্ঞান তৈরি করতে পারে না। তাই এলএলএম মডেলগুলো নতুন কোনো তথ্য তৈরি করতে পারে কি না, তা নিয়ে গুগলের ডিপমাইন্ডের বিজ্ঞানীদের গবেষণা চালান। সেই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নতুন ‘ফানসার্চ’ সিস্টেমটি তৈরি করেন।
ডিপমাইন্ডের এআই ফর সায়েন্সের প্রধান পুশমিত কোহলি বলেন, ‘যখন প্রকল্পটি শুরু করা হয়, তখন এমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না যে এটি নতুন কিছু তৈরি করবে। প্রথমবারের মতো লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলের মাধ্যমে একটি প্রকৃত ও নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়েছে।’
লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল বা এলএলএম একটি শক্তিশালী নিউরাল নেটওয়ার্ক, যা কম্পিউটার কোডসহ, টেক্সট ও অন্যান্য ডেটা থেকে বিভিন্ন ভাষার প্যাটার্ন বা গঠন শেখে। গত বছর চ্যাটজিপিটি উন্মোচনের পর প্রযুক্তিটি সফটওয়্যারের ত্রুটি সংশোধন করেছে। চ্যাটবটকে সবাই বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করেছে। তবে চ্যাটবটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেলেও সেগুলো কোনো নতুন জ্ঞান তৈরি করে না, বরং অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তাই চ্যাটবটগুলোর উত্তর সাবলীল ও যুক্তিযুক্ত হলেও কিছু ক্ষেত্রে তা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যও দেয়।
‘সার্চিং ইন দ্য ফাংশন স্পেসের’ সংক্ষিপ্ত নাম হলো ফানসার্চ। এটি তৈরি করতে ডিপমাউন্ড একটি এলএলএম ব্যবহার করে যা কম্পিউটারের প্রোগ্রামের মতো সমস্যার সমাধান লিখতে পারে। এর সঙ্গে একটি ‘ইভালুয়েটর’ যুক্ত করা হয়। এটি প্রোগ্রামগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কতটা ভালো কাজ করে তা মূল্যায়ন করে। তারপর সবচেয়ে ভালো প্রোগ্রামগুলো একত্রে এনে সেগুলোকে আরও উন্নত করার জন্য এলএলএমে ফেরত দেওয়া হয়। এর ফলে দুর্বল প্রোগ্রামগুলো আরও শক্তিশালী প্রোগ্রামে পরিণত হয়ে নতুন জ্ঞান তৈরি করতে পারে।
গবেষকেরা ফানসার্চকে দুইটি ধাঁধা সমাধান করতে দেন। প্রথমটি ছিল ক্যাপ সেট সমস্যা। এটি বিশুদ্ধ গণিতের একটি দীর্ঘস্থায়ী ও রহস্যময় একটি সমস্যা। দ্বিতীয় ধাঁধাটি ছিল বিন প্যাকিং সমস্যা, যা বিভিন্ন আকারের আইটেম কোনো একটি বক্সে প্যাক করার সর্বোত্তম উপায়গুলো সন্ধান করে। দুটি ক্ষেত্রেই ফানসার্চ দারুণ সমাধান দেয়।
ফানসার্চের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক স্যার টিম গাওয়ারস বলেন, ‘গত দুই বা তিন বছরে গণিতবিদেরা এআইয়ের সঙ্গে কাজ করে অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানে বেশ অগ্রগতি লাভ করেছেন।’ তবে ফানসার্চ কতটুকু বৈজ্ঞানিক সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রটির লেখক জর্ডান এলেনবার্গ বলেন, ‘এই ফলাফল নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। আমরা যা আশা করেছি এটি তার চেয়েও বেশি। এটি গণিতের ক্ষেত্রে মানুষ ও যন্ত্রের মিথস্ক্রিয়া তৈরির নতুন পথ খুলে দিয়েছে। একটি মাত্র সমাধান দেওয়ার পরিবর্তে ফানসার্চ একটি প্রোগ্রাম তৈরি করে, যা অনেক বিষয়ের সমাধান খুঁজে দেয়। এই প্রোগ্রাম এমন সমাধান খুঁজে বের করে, যা মানুষ পড়তে পারে ও ব্যাখ্যা করতে পারে।’

গাণিতিক সমস্যার সমাধানে এবার আশ্রয় নেওয়া যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। বিষয়টি সহজ করতেই গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড এনেছে ‘ফানসার্চ’ নামে নতুন একটি ব্যবস্থা। লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে তৈরি করা এই ব্যবস্থা গণিতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও মানুষের জানার বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সাধারণত এআইভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ও গুগল বার্ড নতুন কোনো তথ্য বা জ্ঞান তৈরি করতে পারে না। তাই এলএলএম মডেলগুলো নতুন কোনো তথ্য তৈরি করতে পারে কি না, তা নিয়ে গুগলের ডিপমাইন্ডের বিজ্ঞানীদের গবেষণা চালান। সেই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নতুন ‘ফানসার্চ’ সিস্টেমটি তৈরি করেন।
ডিপমাইন্ডের এআই ফর সায়েন্সের প্রধান পুশমিত কোহলি বলেন, ‘যখন প্রকল্পটি শুরু করা হয়, তখন এমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না যে এটি নতুন কিছু তৈরি করবে। প্রথমবারের মতো লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলের মাধ্যমে একটি প্রকৃত ও নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়েছে।’
লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল বা এলএলএম একটি শক্তিশালী নিউরাল নেটওয়ার্ক, যা কম্পিউটার কোডসহ, টেক্সট ও অন্যান্য ডেটা থেকে বিভিন্ন ভাষার প্যাটার্ন বা গঠন শেখে। গত বছর চ্যাটজিপিটি উন্মোচনের পর প্রযুক্তিটি সফটওয়্যারের ত্রুটি সংশোধন করেছে। চ্যাটবটকে সবাই বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করেছে। তবে চ্যাটবটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেলেও সেগুলো কোনো নতুন জ্ঞান তৈরি করে না, বরং অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তাই চ্যাটবটগুলোর উত্তর সাবলীল ও যুক্তিযুক্ত হলেও কিছু ক্ষেত্রে তা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যও দেয়।
‘সার্চিং ইন দ্য ফাংশন স্পেসের’ সংক্ষিপ্ত নাম হলো ফানসার্চ। এটি তৈরি করতে ডিপমাউন্ড একটি এলএলএম ব্যবহার করে যা কম্পিউটারের প্রোগ্রামের মতো সমস্যার সমাধান লিখতে পারে। এর সঙ্গে একটি ‘ইভালুয়েটর’ যুক্ত করা হয়। এটি প্রোগ্রামগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কতটা ভালো কাজ করে তা মূল্যায়ন করে। তারপর সবচেয়ে ভালো প্রোগ্রামগুলো একত্রে এনে সেগুলোকে আরও উন্নত করার জন্য এলএলএমে ফেরত দেওয়া হয়। এর ফলে দুর্বল প্রোগ্রামগুলো আরও শক্তিশালী প্রোগ্রামে পরিণত হয়ে নতুন জ্ঞান তৈরি করতে পারে।
গবেষকেরা ফানসার্চকে দুইটি ধাঁধা সমাধান করতে দেন। প্রথমটি ছিল ক্যাপ সেট সমস্যা। এটি বিশুদ্ধ গণিতের একটি দীর্ঘস্থায়ী ও রহস্যময় একটি সমস্যা। দ্বিতীয় ধাঁধাটি ছিল বিন প্যাকিং সমস্যা, যা বিভিন্ন আকারের আইটেম কোনো একটি বক্সে প্যাক করার সর্বোত্তম উপায়গুলো সন্ধান করে। দুটি ক্ষেত্রেই ফানসার্চ দারুণ সমাধান দেয়।
ফানসার্চের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক স্যার টিম গাওয়ারস বলেন, ‘গত দুই বা তিন বছরে গণিতবিদেরা এআইয়ের সঙ্গে কাজ করে অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানে বেশ অগ্রগতি লাভ করেছেন।’ তবে ফানসার্চ কতটুকু বৈজ্ঞানিক সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রটির লেখক জর্ডান এলেনবার্গ বলেন, ‘এই ফলাফল নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। আমরা যা আশা করেছি এটি তার চেয়েও বেশি। এটি গণিতের ক্ষেত্রে মানুষ ও যন্ত্রের মিথস্ক্রিয়া তৈরির নতুন পথ খুলে দিয়েছে। একটি মাত্র সমাধান দেওয়ার পরিবর্তে ফানসার্চ একটি প্রোগ্রাম তৈরি করে, যা অনেক বিষয়ের সমাধান খুঁজে দেয়। এই প্রোগ্রাম এমন সমাধান খুঁজে বের করে, যা মানুষ পড়তে পারে ও ব্যাখ্যা করতে পারে।’

ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ বার্তা দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
৬ ঘণ্টা আগে
ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
৬ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব পেজ লোডিংয়ের সময় কমিয়ে আনে।
আজকের ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইটই হলো একটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচয়। কিন্তু এই পরিচিতিকে দ্রুত ও নিরাপদ রাখা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এখানেই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আমেরিকান ওয়েব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সিকিউরিটি কোম্পানি ক্লাউডফ্লেয়ার। এটি একটি কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), ক্লাউড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ডোমেইন নেম সার্ভার (ডিএনএস) প্রদানকারী হিসেবে পরিচিত।
ক্লাউডফ্লেয়ার কী?
ক্লাউডফ্লেয়ার হলো একধরনের রিভার্স প্রক্সি পরিষেবা। সহজ ভাষায়, এটি ওয়েবসাইট এবং ভিজিটরদের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। যখন কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চান, তখন তাঁদের রিকোয়েস্ট সরাসরি মূল সার্ভারে (Origin Server) না গিয়ে প্রথমে ক্লাউডফ্লেয়ারের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কে পৌঁছায়। ক্লাউডফ্লেয়ার সেই রিকোয়েস্ট যাচাই করে মূল সার্ভারে প্রবেশাধিকার দেয়।
ক্লাউডফ্লেয়ারের মূল লক্ষ্য হলো—ইন্টারনেটকে আরও দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলা।
কীভাবে কাজ করে?
ক্লাউডফ্লেয়ারের কাজ করার পদ্ধতি মূলত দুটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে: গতির অপটিমাইজেশন এবং নিরাপত্তা।
ক্লাউডফ্লেয়ার একটি বিশাল কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন) পরিচালনা করে। এই নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে ৩০০-রও বেশি শহরে স্থাপিত এজ সার্ভার (Edge Server) বা ডেটা সেন্টার নিয়ে গঠিত। এরপরই আসে ক্যাশিং (Caching) বা সংরক্ষণ। ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটের স্থির ফাইল (যেমন—ছবি, সিএসএস ফাইল, জাভাস্ক্রিপ্ট) তার নিকটস্থ এজ সার্ভারগুলোতে সংরক্ষণ করে রাখে।
যখন কোনো ভিজিটর ওয়েবসাইটে ঢুকতে চান, তখন রিকোয়েস্টটি মূল সার্ভারের পরিবর্তে ভৌগোলিকভাবে তার সবচেয়ে কাছের এজ সার্ভার থেকে পরিবেশন করা হয়। এতে মূল সার্ভারের দূরত্ব কমে যাওয়ায় ডেটা আদান-প্রদানে সময় কমে লাগে। ফলে, ওয়েবসাইট চোখের পলকে লোড হয়।
রিভার্স প্রক্সি হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে ক্লাউডফ্লেয়ার। রিভার্স প্রক্সি হিসেবে ক্লাউডফ্লেয়ার মূল সার্ভারকে সরাসরি ইন্টারনেট থেকে আড়াল করে রাখে।
এ ছাড়া এটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (DDoS) আক্রমণ থেকে ওয়েবসাইটকে রক্ষা করে। ক্ষতিকারক ট্র্যাফিক মূল সার্ভারে পৌঁছানোর আগেই ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্ক তা শুষে নেয় এবং ফিল্টার করে ব্লক করে দেয়। ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল ব্যবহার করে, যা SQL ইনজেকশন বা ক্রস-সাইট স্ক্রিপ্টিং (XSS)-এর মতো সাধারণ ওয়েব দুর্বলতাগুলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
এটি ক্ষতিকারক বট এবং অতিরিক্ত ক্রলার ভিজিট থেকে ওয়েবসাইটকে রক্ষা করে, যা সার্ভারের ওপর চাপ কমায়। ক্লাউডফ্লেয়ার বিনা মূল্যে SSL/TLS এনক্রিপশন সার্টিফিকেট সরবরাহ করে, যা ভিজিটর ও ওয়েবসাইটের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনকে নিরাপদ ও এনক্রিপ্টেড রাখে।
ক্লাউডফ্লেয়ারের পরিধি কতটুকু?
ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এবং এর সেবার বৈচিত্র্য একে ইন্টারনেটের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামোতে পরিণত করেছে।
বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিসংখ্যান প্রদানকারী সংস্থা W3Techs-এর মতে, বিশ্বের মোট ওয়েবসাইটের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার বর্তমানে ইন্টারনেটের ১৯% থেকে ২৫%-এর বেশি ওয়েবসাইটকে তাদের ওয়েব সার্ভার বা সিকিউরিটি পরিষেবার মাধ্যমে সাপোর্ট করে।
শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০ লাখ ওয়েবসাইটের প্রায় ৩২%-এর বেশি বা এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি ওয়েবসাইটকে পরিষেবা দেয়।
তবে কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা সিডিএন বাজারে ক্লাউডফ্লেয়ারের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি। যেসব ওয়েবসাইট CDN বা রিভার্স প্রক্সি ব্যবহার করে, তাদের ৭৯% থেকে ৮০%-এর বেশি ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহার করে।
সক্রিয় ওয়েবসাইটের সংখ্যাগত দিক থেকে ক্লাউডফ্লেয়ার বিশ্বব্যাপী ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন থেকে ২৪ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ওয়েবসাইট চালায়।
ক্লাউডফ্লেয়ার বিশ্বব্যাপী ৩০০টিরও বেশি শহরে ডেটা সেন্টার নিয়ে গঠিত একটি বিশাল গ্লোবাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। এটি ইন্টারনেটের ট্র্যাফিকের একটি বিশাল অংশ, গড়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লেখা HTTP রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে থাকে।
শুধু সিডিএন ও নিরাপত্তা নয়, ক্লাউডফ্লেয়ারের বাইরেও অসংখ্য পরিষেবা দেয়, যেমন—দ্রুত এবং গোপনীয় ডোমেইন নেম সার্ভার DNS সার্ভিস (1.1.1.1) প্রদান। এজ কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডেভেলপারদের এজ সার্ভারে সরাসরি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও স্থাপন করতে দেয়। জিরো ট্রাস্ট সিকিউরিটি হিসেবে করপোরেট নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আধুনিক নিরাপত্তা সমাধান।
বিশ্বের লাখ লাখ ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং অনলাইন পরিষেবা তাদের গতি ও নিরাপত্তার জন্য ক্লাউডফ্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে। ছোট ব্লগ থেকে শুরু করে বৃহৎ ই-কমার্স সাইট এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানও এর সেবা গ্রহণ করে।
মোটকথা, ক্লাউডফ্লেয়ার আধুনিক ইন্টারনেটের গতি, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে দ্রুত ও নিরাপদ করাই এর মূলমন্ত্র।

ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব পেজ লোডিংয়ের সময় কমিয়ে আনে।
আজকের ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইটই হলো একটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচয়। কিন্তু এই পরিচিতিকে দ্রুত ও নিরাপদ রাখা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এখানেই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আমেরিকান ওয়েব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সিকিউরিটি কোম্পানি ক্লাউডফ্লেয়ার। এটি একটি কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), ক্লাউড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ডোমেইন নেম সার্ভার (ডিএনএস) প্রদানকারী হিসেবে পরিচিত।
ক্লাউডফ্লেয়ার কী?
ক্লাউডফ্লেয়ার হলো একধরনের রিভার্স প্রক্সি পরিষেবা। সহজ ভাষায়, এটি ওয়েবসাইট এবং ভিজিটরদের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। যখন কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চান, তখন তাঁদের রিকোয়েস্ট সরাসরি মূল সার্ভারে (Origin Server) না গিয়ে প্রথমে ক্লাউডফ্লেয়ারের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কে পৌঁছায়। ক্লাউডফ্লেয়ার সেই রিকোয়েস্ট যাচাই করে মূল সার্ভারে প্রবেশাধিকার দেয়।
ক্লাউডফ্লেয়ারের মূল লক্ষ্য হলো—ইন্টারনেটকে আরও দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলা।
কীভাবে কাজ করে?
ক্লাউডফ্লেয়ারের কাজ করার পদ্ধতি মূলত দুটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে: গতির অপটিমাইজেশন এবং নিরাপত্তা।
ক্লাউডফ্লেয়ার একটি বিশাল কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন) পরিচালনা করে। এই নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে ৩০০-রও বেশি শহরে স্থাপিত এজ সার্ভার (Edge Server) বা ডেটা সেন্টার নিয়ে গঠিত। এরপরই আসে ক্যাশিং (Caching) বা সংরক্ষণ। ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটের স্থির ফাইল (যেমন—ছবি, সিএসএস ফাইল, জাভাস্ক্রিপ্ট) তার নিকটস্থ এজ সার্ভারগুলোতে সংরক্ষণ করে রাখে।
যখন কোনো ভিজিটর ওয়েবসাইটে ঢুকতে চান, তখন রিকোয়েস্টটি মূল সার্ভারের পরিবর্তে ভৌগোলিকভাবে তার সবচেয়ে কাছের এজ সার্ভার থেকে পরিবেশন করা হয়। এতে মূল সার্ভারের দূরত্ব কমে যাওয়ায় ডেটা আদান-প্রদানে সময় কমে লাগে। ফলে, ওয়েবসাইট চোখের পলকে লোড হয়।
রিভার্স প্রক্সি হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে ক্লাউডফ্লেয়ার। রিভার্স প্রক্সি হিসেবে ক্লাউডফ্লেয়ার মূল সার্ভারকে সরাসরি ইন্টারনেট থেকে আড়াল করে রাখে।
এ ছাড়া এটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (DDoS) আক্রমণ থেকে ওয়েবসাইটকে রক্ষা করে। ক্ষতিকারক ট্র্যাফিক মূল সার্ভারে পৌঁছানোর আগেই ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্ক তা শুষে নেয় এবং ফিল্টার করে ব্লক করে দেয়। ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল ব্যবহার করে, যা SQL ইনজেকশন বা ক্রস-সাইট স্ক্রিপ্টিং (XSS)-এর মতো সাধারণ ওয়েব দুর্বলতাগুলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
এটি ক্ষতিকারক বট এবং অতিরিক্ত ক্রলার ভিজিট থেকে ওয়েবসাইটকে রক্ষা করে, যা সার্ভারের ওপর চাপ কমায়। ক্লাউডফ্লেয়ার বিনা মূল্যে SSL/TLS এনক্রিপশন সার্টিফিকেট সরবরাহ করে, যা ভিজিটর ও ওয়েবসাইটের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনকে নিরাপদ ও এনক্রিপ্টেড রাখে।
ক্লাউডফ্লেয়ারের পরিধি কতটুকু?
ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এবং এর সেবার বৈচিত্র্য একে ইন্টারনেটের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামোতে পরিণত করেছে।
বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিসংখ্যান প্রদানকারী সংস্থা W3Techs-এর মতে, বিশ্বের মোট ওয়েবসাইটের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার বর্তমানে ইন্টারনেটের ১৯% থেকে ২৫%-এর বেশি ওয়েবসাইটকে তাদের ওয়েব সার্ভার বা সিকিউরিটি পরিষেবার মাধ্যমে সাপোর্ট করে।
শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০ লাখ ওয়েবসাইটের প্রায় ৩২%-এর বেশি বা এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি ওয়েবসাইটকে পরিষেবা দেয়।
তবে কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা সিডিএন বাজারে ক্লাউডফ্লেয়ারের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি। যেসব ওয়েবসাইট CDN বা রিভার্স প্রক্সি ব্যবহার করে, তাদের ৭৯% থেকে ৮০%-এর বেশি ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহার করে।
সক্রিয় ওয়েবসাইটের সংখ্যাগত দিক থেকে ক্লাউডফ্লেয়ার বিশ্বব্যাপী ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন থেকে ২৪ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ওয়েবসাইট চালায়।
ক্লাউডফ্লেয়ার বিশ্বব্যাপী ৩০০টিরও বেশি শহরে ডেটা সেন্টার নিয়ে গঠিত একটি বিশাল গ্লোবাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। এটি ইন্টারনেটের ট্র্যাফিকের একটি বিশাল অংশ, গড়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লেখা HTTP রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে থাকে।
শুধু সিডিএন ও নিরাপত্তা নয়, ক্লাউডফ্লেয়ারের বাইরেও অসংখ্য পরিষেবা দেয়, যেমন—দ্রুত এবং গোপনীয় ডোমেইন নেম সার্ভার DNS সার্ভিস (1.1.1.1) প্রদান। এজ কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডেভেলপারদের এজ সার্ভারে সরাসরি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও স্থাপন করতে দেয়। জিরো ট্রাস্ট সিকিউরিটি হিসেবে করপোরেট নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আধুনিক নিরাপত্তা সমাধান।
বিশ্বের লাখ লাখ ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং অনলাইন পরিষেবা তাদের গতি ও নিরাপত্তার জন্য ক্লাউডফ্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে। ছোট ব্লগ থেকে শুরু করে বৃহৎ ই-কমার্স সাইট এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানও এর সেবা গ্রহণ করে।
মোটকথা, ক্লাউডফ্লেয়ার আধুনিক ইন্টারনেটের গতি, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে দ্রুত ও নিরাপদ করাই এর মূলমন্ত্র।

লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) নতুন সিস্টেম ‘ফানসার্চ’। এআই গবেষকেরা দাবি করেন, এই সিস্টেম গণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও মানুষের জ্ঞানের বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ বার্তা দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
৬ ঘণ্টা আগে
ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
৬ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ এমন বার্তা দেখা যায়।
প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটগুলোকে সাইবার সুরক্ষা, কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), ডোমেইন নেম সিস্টেমসহ (ডিএনএস) বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। দেশের বেশ কটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম তাদের ওয়েবসাইট চালাতে ক্লাউডফ্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে। ফলে সেবাটি ব্যাহত হলে ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশে বিঘ্ন তৈরি হয়।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাউডফ্লেয়ার ডাউন হলে সাধারণত দুটি প্রভাব দেখা যায়। একটি হলো, ওয়েবসাইটের সার্ভার ঠিক থাকলেও ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কে সমস্যা তৈরি হওয়ায় সাইটে প্রবেশ করা যায় না। দ্বিতীয়টি হলো, সিডিএন এবং ডিএনএস সেবা বন্ধ থাকায় ওয়েবসাইট ধীর গতির হয় বা একেবারেই লোড হয় না।
ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, আজকের ঘটনাতেও সে রকমই দেখা যাচ্ছে।
ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে আজকের পত্রিকা, ডেইলি স্টার, বিডিনিউজ ২৪, বাংলা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যদিও ওয়েবসাইটগুলো নিজস্ব সার্ভার ঠিক ছিল।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, বড় ধরনের সিডিএন এবং ডিএনএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডাউন হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক ওয়েবসাইটে এর প্রভাব পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে সমস্যা সমাধান হলে ওয়েবসাইটগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে।

দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ এমন বার্তা দেখা যায়।
প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটগুলোকে সাইবার সুরক্ষা, কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), ডোমেইন নেম সিস্টেমসহ (ডিএনএস) বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। দেশের বেশ কটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম তাদের ওয়েবসাইট চালাতে ক্লাউডফ্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে। ফলে সেবাটি ব্যাহত হলে ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশে বিঘ্ন তৈরি হয়।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাউডফ্লেয়ার ডাউন হলে সাধারণত দুটি প্রভাব দেখা যায়। একটি হলো, ওয়েবসাইটের সার্ভার ঠিক থাকলেও ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কে সমস্যা তৈরি হওয়ায় সাইটে প্রবেশ করা যায় না। দ্বিতীয়টি হলো, সিডিএন এবং ডিএনএস সেবা বন্ধ থাকায় ওয়েবসাইট ধীর গতির হয় বা একেবারেই লোড হয় না।
ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, আজকের ঘটনাতেও সে রকমই দেখা যাচ্ছে।
ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে আজকের পত্রিকা, ডেইলি স্টার, বিডিনিউজ ২৪, বাংলা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যদিও ওয়েবসাইটগুলো নিজস্ব সার্ভার ঠিক ছিল।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, বড় ধরনের সিডিএন এবং ডিএনএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডাউন হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক ওয়েবসাইটে এর প্রভাব পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে সমস্যা সমাধান হলে ওয়েবসাইটগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে।

লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) নতুন সিস্টেম ‘ফানসার্চ’। এআই গবেষকেরা দাবি করেন, এই সিস্টেম গণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও মানুষের জ্ঞানের বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব
৫ ঘণ্টা আগে
ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
৬ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ক্লাউডফ্লেয়ারে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, তাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছু আগে এক স্ট্যাটাস আপডেটে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘বিভিন্ন গ্রাহককে প্রভাবিত করতে পারে এমন একটি সমস্যার বিষয়ে ক্লাউডফ্লেয়ার অবগত এবং তা তদন্ত করছে। আমরা সমস্যার পূর্ণমাত্রা বুঝতে এবং সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
প্রায় ২০ মিনিট পরের একটি আপডেটে তারা জানায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ‘আমরা সেবাগুলোকে পুনরুদ্ধার হতে দেখছি, তবে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া চলাকালে গ্রাহকেরা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বিঘ্নতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটগুলোকে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে এবং দ্রুত কনটেন্ট লোড করতে সহায়ক বিভিন্ন টুল সরবরাহ করে।
ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে বহু অনলাইন সেবা প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইলন মাক্সের এক্স (সাবেক টুইটার) এবং অনলাইন গেম লিগ অব লিজেন্ডস।
অনলাইন আউটেজ ট্র্যাকার জানিয়েছে, স্পটিফাই, অ্যামাজন এবং ওপেনএআই-ও বিঘ্নতার মুখে পড়েছিল।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসে (এডব্লিউ) ত্রুটি দেখা দেওয়ার এক মাস পর এই বিপর্যয় দেখা দিল। ওই সময় দীর্ঘ সময় ধরে বড় পরিসরে অনলাইন সেবায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।

ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ক্লাউডফ্লেয়ারে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, তাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছু আগে এক স্ট্যাটাস আপডেটে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘বিভিন্ন গ্রাহককে প্রভাবিত করতে পারে এমন একটি সমস্যার বিষয়ে ক্লাউডফ্লেয়ার অবগত এবং তা তদন্ত করছে। আমরা সমস্যার পূর্ণমাত্রা বুঝতে এবং সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
প্রায় ২০ মিনিট পরের একটি আপডেটে তারা জানায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ‘আমরা সেবাগুলোকে পুনরুদ্ধার হতে দেখছি, তবে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া চলাকালে গ্রাহকেরা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বিঘ্নতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটগুলোকে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে এবং দ্রুত কনটেন্ট লোড করতে সহায়ক বিভিন্ন টুল সরবরাহ করে।
ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে বহু অনলাইন সেবা প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইলন মাক্সের এক্স (সাবেক টুইটার) এবং অনলাইন গেম লিগ অব লিজেন্ডস।
অনলাইন আউটেজ ট্র্যাকার জানিয়েছে, স্পটিফাই, অ্যামাজন এবং ওপেনএআই-ও বিঘ্নতার মুখে পড়েছিল।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসে (এডব্লিউ) ত্রুটি দেখা দেওয়ার এক মাস পর এই বিপর্যয় দেখা দিল। ওই সময় দীর্ঘ সময় ধরে বড় পরিসরে অনলাইন সেবায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।

লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) নতুন সিস্টেম ‘ফানসার্চ’। এআই গবেষকেরা দাবি করেন, এই সিস্টেম গণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও মানুষের জ্ঞানের বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ বার্তা দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
৬ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সুন্দর পিচাই বলেন, এআই মডেলগুলো ‘ভুল করার প্রবণতা’ রাখে। শুধুমাত্র এআই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে অন্যান্য উপায়েও যাচাই করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই মানুষ গুগল সার্চ ব্যবহার করে, আর আমাদের আরও কিছু পণ্য আছে যেগুলো সঠিক তথ্য সরবরাহে বেশি নির্ভরযোগ্য।’
যদিও এআই টুলস সৃজনশীলভাবে কিছু লিখতে চাইলে সহায়ক, তবু পিচাই বলেন, এই টুলগুলো যেসব কাজে ভালো, সেভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং এদের বলা সবকিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যাবে না।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ পরিশ্রম করি। তবে বর্তমান আধুনিক এআই প্রযুক্তিতেও কিছু ভুল হওয়ার প্রবণতা আছে।’
প্রযুক্তি দুনিয়া গুগলের নতুন ভোক্তাবিষয়ক এআই মডেল জেমিনি ৩.০–এর সর্বশেষ উন্মোচনের অপেক্ষায় ছিল। ইতোমধ্যেই এই মডেল চ্যাটজিপিটি থেকে হারানো বাজারের অংশ ফিরে পেতে শুরু করেছে।
এ বছরের মে মাস থেকে গুগল সার্চে নতুন একটি ‘এআই মোড’ যুক্ত করা শুরু করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা যেন কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলছেন এমন অভিজ্ঞতা দিতে জেমিনি চ্যাটবটকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে সময় পিচাই জানান, সার্চে জেমিনির সংযুক্তি এআই প্ল্যাটফর্ম রূপান্তরের এক নতুন ধাপ নির্দেশ করে।
চ্যাটজিপিটির মতো এআই সেবার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুগলের এই উদ্যোগ।
এ বছরের শুরুর দিকে বিবিসির এক গবেষণায় দেখা যায়, এআই চ্যাটবটগুলো সংবাদ প্রতিবেদন ভুলভাবে সংক্ষেপ করেছে। বিবিসির কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, মাইক্রোসফটের কোপাইলট, গুগলের জেমিনি এবং পারপ্লেক্সিটি এআই সবগুলোই ভুল তথ্য দিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা অনুযায়ী এআই–এর দেওয়া উত্তরে ‘উল্লেখযোগ্য ভুলত্রুটি’ ছিল।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুন্দর পিচাই বলেন, প্রযুক্তি যত দ্রুত এগোচ্ছে এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে যে ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত করা হচ্ছে তার মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হচ্ছে।
সুন্দর পিচাই বলেন, অ্যালফাবেটের ক্ষেত্রে এই টানাপোড়েন সামলানোর অর্থ হলো ‘একই সঙ্গে সাহসী এবং দায়িত্বশীল থাকা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সময়টিকে দ্রুত অতিক্রম করছি। আমার মনে হয় ভোক্তারাও এটি চাইছেন।’
পিচাই জানান, এআই–এ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গুগল এআই নিরাপত্তায়ও বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এমন প্রযুক্তি ওপেন সোর্স করছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে কোনো ছবি এআই–এর তৈরি কি না।’
প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক ওপেনএআই–এর প্রতিষ্ঠাতাদের বলেছিলেন, গুগলের মালিকানাধীন ডিপমাইন্ড এআই–নির্ভর এক ধরনের ‘স্বৈরতন্ত্র’ তৈরি করতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিচাই বলেন, ‘এত শক্তিশালী প্রযুক্তির মালিকানা কোনো একক কোম্পানির হাতে থাকা উচিত নয়।’
বর্তমানে এআই নিয়ে বহু কোম্পানি কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি একটিমাত্র কোম্পানি এআই প্রযুক্তি তৈরি করত এবং সবাইকে সেটাই ব্যবহার করতে হতো, তাহলে আমিও উদ্বিগ্ন হতাম। কিন্তু আমরা এখনো সেই পরিস্থিতি থেকে অনেক দূরে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দেওয়া সব তথ্যকে ‘অন্ধভাবে বিশ্বাস’ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সুন্দর পিচাই বলেন, এআই মডেলগুলো ‘ভুল করার প্রবণতা’ রাখে। শুধুমাত্র এআই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে অন্যান্য উপায়েও যাচাই করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই মানুষ গুগল সার্চ ব্যবহার করে, আর আমাদের আরও কিছু পণ্য আছে যেগুলো সঠিক তথ্য সরবরাহে বেশি নির্ভরযোগ্য।’
যদিও এআই টুলস সৃজনশীলভাবে কিছু লিখতে চাইলে সহায়ক, তবু পিচাই বলেন, এই টুলগুলো যেসব কাজে ভালো, সেভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং এদের বলা সবকিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যাবে না।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ পরিশ্রম করি। তবে বর্তমান আধুনিক এআই প্রযুক্তিতেও কিছু ভুল হওয়ার প্রবণতা আছে।’
প্রযুক্তি দুনিয়া গুগলের নতুন ভোক্তাবিষয়ক এআই মডেল জেমিনি ৩.০–এর সর্বশেষ উন্মোচনের অপেক্ষায় ছিল। ইতোমধ্যেই এই মডেল চ্যাটজিপিটি থেকে হারানো বাজারের অংশ ফিরে পেতে শুরু করেছে।
এ বছরের মে মাস থেকে গুগল সার্চে নতুন একটি ‘এআই মোড’ যুক্ত করা শুরু করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা যেন কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলছেন এমন অভিজ্ঞতা দিতে জেমিনি চ্যাটবটকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে সময় পিচাই জানান, সার্চে জেমিনির সংযুক্তি এআই প্ল্যাটফর্ম রূপান্তরের এক নতুন ধাপ নির্দেশ করে।
চ্যাটজিপিটির মতো এআই সেবার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুগলের এই উদ্যোগ।
এ বছরের শুরুর দিকে বিবিসির এক গবেষণায় দেখা যায়, এআই চ্যাটবটগুলো সংবাদ প্রতিবেদন ভুলভাবে সংক্ষেপ করেছে। বিবিসির কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, মাইক্রোসফটের কোপাইলট, গুগলের জেমিনি এবং পারপ্লেক্সিটি এআই সবগুলোই ভুল তথ্য দিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা অনুযায়ী এআই–এর দেওয়া উত্তরে ‘উল্লেখযোগ্য ভুলত্রুটি’ ছিল।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুন্দর পিচাই বলেন, প্রযুক্তি যত দ্রুত এগোচ্ছে এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে যে ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত করা হচ্ছে তার মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হচ্ছে।
সুন্দর পিচাই বলেন, অ্যালফাবেটের ক্ষেত্রে এই টানাপোড়েন সামলানোর অর্থ হলো ‘একই সঙ্গে সাহসী এবং দায়িত্বশীল থাকা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সময়টিকে দ্রুত অতিক্রম করছি। আমার মনে হয় ভোক্তারাও এটি চাইছেন।’
পিচাই জানান, এআই–এ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গুগল এআই নিরাপত্তায়ও বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এমন প্রযুক্তি ওপেন সোর্স করছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে কোনো ছবি এআই–এর তৈরি কি না।’
প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক ওপেনএআই–এর প্রতিষ্ঠাতাদের বলেছিলেন, গুগলের মালিকানাধীন ডিপমাইন্ড এআই–নির্ভর এক ধরনের ‘স্বৈরতন্ত্র’ তৈরি করতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিচাই বলেন, ‘এত শক্তিশালী প্রযুক্তির মালিকানা কোনো একক কোম্পানির হাতে থাকা উচিত নয়।’
বর্তমানে এআই নিয়ে বহু কোম্পানি কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি একটিমাত্র কোম্পানি এআই প্রযুক্তি তৈরি করত এবং সবাইকে সেটাই ব্যবহার করতে হতো, তাহলে আমিও উদ্বিগ্ন হতাম। কিন্তু আমরা এখনো সেই পরিস্থিতি থেকে অনেক দূরে।’

লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) নতুন সিস্টেম ‘ফানসার্চ’। এআই গবেষকেরা দাবি করেন, এই সিস্টেম গণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও মানুষের জ্ঞানের বাইরে নতুন তথ্য তৈরি করতে সক্ষম। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ওয়েবসাইটের মেমোরি, গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যে প্রযুক্তি, তার নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। বিশ্বজুড়ে নানা ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার অন্যতম একটি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি একটি অদৃশ্য ঢালের মতো কাজ করে, যা সাইবার হামলা ঠেকিয়ে ওয়েব
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে অচল হয়ে পড়ে। পাঠকেরা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে ‘Cloudflare Error’ বার্তা দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বিপর্যয়ের কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) সেবার সাময়িক বিভ্রাট।
৬ ঘণ্টা আগে
ওয়েবসাইটগুলোর ইন্টারনেট ট্রাফিক সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অগণিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
৬ ঘণ্টা আগে