অনলাইন ডেস্ক
ভাবুনতো, শীতল ও সবুজ এক শহরে আপনি থাকেন। সেখানে এক সুতোয় গাঁথা পার্ক, প্রশস্ত ফুটপাথ, মোটরসাইকেলের লেন ও বাসের চলাচল; দোকান, স্কুল ও পরিষেবা কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল গন্তব্যে ১৫ মিনিটের মধ্যে সবাই পৌঁছাতে পারে। অনায়াসে সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও পরিষেবার পূরণ করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত এমন এক নগরের পরিকল্পনা মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে সায়েন্স অ্যালার্ট এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। এতে বলা হয়, চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন নগর পরিকল্পনাবিদদের চাহিদা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে তাড়াতাড়ি ধরতে পেরেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি নকশার কার্যকারিতা মানুষের তৈরি নকশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
পরিষেবাগুলোতে মানুষের পৌঁছাতে পারা, সবুজের উপস্থিতি এবং ট্র্যাফিক- এই তিন মাত্রার ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া মডেলে দেখা গেছে, তা মানুষের তৈরি পরিকল্পনার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি কার্যকর। মেশিন লার্নিং কীভাবে অত্যন্ত কম সময়ে মানুষের চেয়ে বেশি দক্ষতার সঙ্গে কোনো জায়গার বিন্যাস তৈরি করতে পারে; দ্রুত ঘনবসতিপূর্ণ এবং কংক্রিটের জঙ্গল হয়ে ওঠা আমাদের শহরগুলোর অবস্থার উন্নতি কীভাবে ঘটানো যায় সে ব্যাপারে সমাধান খুঁজতে চেয়েছেন অটোমেশন বিজ্ঞানী ইউ ঝেং ও তার সহকর্মীরা। নগর-পরিকল্পনার সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও গণনামূলক কাজগুলোর জন্য তারা একটি এআই সিস্টেম তৈরি করেন।
এআই সিস্টেমকে প্রথমে ছোট আকারেই কাজ দিয়েছিল ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। মাত্র কয়েক বর্গ কিলোমিটার (প্রায় ৩ × ৩ ব্লক) আয়তনের একটি শহরের নকশা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই দিনের প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকটি নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এআই সিস্টেমটি সেই ‘১৫ মিনিটের শহরের’ ধারণার সঙ্গে মানানসই হয় এ রকম রাস্তার বিন্যাস ও জমির ব্যবহার খুঁজে বের করেছে।
ঝেং এবং সহকর্মীদের বানানো এআই মডেলের মধ্যে আরও বড় আকারে কাজ করার বৈশিষ্ট্য দেওয়া থাকলেও ভাবা হয়েছিল, একটি সম্পূর্ণ শহরের নকশা তৈরির কাজটা হবে আরও অনেক বেশি জটিল। গবেষকেরা অনুমান করেছিলেন, ৪ × ৪ ব্লকের একটি শহরের নকশার খসড়া তৈরিতে ৩ × ৩ ব্লকের চেয়ে দ্বিগুণ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত থাকবে। কিন্তু দেখা গেল, দারুণ দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যে কাজ করতে একজন নগর পরিকল্পনাবিদের ৫০ থেকে ১০০ মিনিট লেগে যায়, সেটাই কয়েক সেকেন্ডে করে ফেলছে এআই মডেল!
গবেষকেরা বলছেন, নগর-পরিকল্পনার সবচেয়ে সময়সাপেক্ষ কাজগুলোর দায়িত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ছেড়ে দিলে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বা মানবকেন্দ্রিক বিষয় যেমন, জনসাধারণের সম্পৃক্ততা এবং নান্দনিকতার মতো বিষয়গুলোতে পরিকল্পনাকারীরা আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন।
মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা নয় বরং, নগর পরিকল্পনাবিদের কাজের 'সহকারী' হিসেবেই এটিকে কাজে লাগাতে চান ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। সহকারী হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে সবচেয়ে কার্যকর নকশার খসড়া তৈরি করা। সেটা আবার বাসিন্দাদের মতামত অনুসারে পর্যালোচনা, সমন্বয় এবং মূল্যায়ন করবে বিশেষজ্ঞরা।
শেষের এই ধাপটিকে ভালো পরিকল্পনার মূল হিসেবে দেখছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানী পাওলো সান্তি। ইউ ঝেং এবং তার সহকর্মীদের গবেষণা প্রসঙ্গে পাওলো বলেছেন, ‘নগর-পরিকল্পনা মানে শুধু বিল্ডিং, পার্ক এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোর জন্য জায়গা বরাদ্দই নয়। এই পরিকল্পনায় এমন একটি নকশা তৈরি করতে হবে যেখানে শহরের মানুষেরা বসবাস, কাজ, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি বিকশিতও হবে।’
মানুষ এবং এআই একসঙ্গে যে কাজ করতে পারে তার সঙ্গে শুধুমাত্র মানুষের তৈরি করা নকশার তুলনা করেছেন ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, মৌলিক পরিষেবাকে শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া ১২ শতাংশ বাড়াতে পারে মানুষ ও এআইয়ের সমন্বয়ের নকশা। অন্যদিকে শুধু মানুষের করা নকশায় নাগরিকদের কাছে এসব সেবা পৌঁছানো বাড়বে ৫ শতাংশ।
গবেষকেরা ১০০ জন নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়ে একটি গবেষণাও করেছেন। সেখানে কয়েকটি নকশা এই ১০০ জন নগর পরিকল্পনাবিদকে দিয়ে কোনগুলো ভালো লাগে তা বেছে নিতে বলা হয়। এখানেও অনেক বেশি ভোট পেয়ে জিতেছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
তবে এই নকশাগুলো থেকে শহর তৈরি হলে সেসবে শব্দ, তাপ এবং দূষণের হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি কতটা হয়েছে, সেই ভিত্তিতেই হবে সত্যিকারের পরীক্ষা।
সূত্র: নেচার কম্পিউটেশনাল সায়েন্স
ভাবুনতো, শীতল ও সবুজ এক শহরে আপনি থাকেন। সেখানে এক সুতোয় গাঁথা পার্ক, প্রশস্ত ফুটপাথ, মোটরসাইকেলের লেন ও বাসের চলাচল; দোকান, স্কুল ও পরিষেবা কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল গন্তব্যে ১৫ মিনিটের মধ্যে সবাই পৌঁছাতে পারে। অনায়াসে সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও পরিষেবার পূরণ করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত এমন এক নগরের পরিকল্পনা মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে সায়েন্স অ্যালার্ট এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। এতে বলা হয়, চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন নগর পরিকল্পনাবিদদের চাহিদা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে তাড়াতাড়ি ধরতে পেরেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি নকশার কার্যকারিতা মানুষের তৈরি নকশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
পরিষেবাগুলোতে মানুষের পৌঁছাতে পারা, সবুজের উপস্থিতি এবং ট্র্যাফিক- এই তিন মাত্রার ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া মডেলে দেখা গেছে, তা মানুষের তৈরি পরিকল্পনার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি কার্যকর। মেশিন লার্নিং কীভাবে অত্যন্ত কম সময়ে মানুষের চেয়ে বেশি দক্ষতার সঙ্গে কোনো জায়গার বিন্যাস তৈরি করতে পারে; দ্রুত ঘনবসতিপূর্ণ এবং কংক্রিটের জঙ্গল হয়ে ওঠা আমাদের শহরগুলোর অবস্থার উন্নতি কীভাবে ঘটানো যায় সে ব্যাপারে সমাধান খুঁজতে চেয়েছেন অটোমেশন বিজ্ঞানী ইউ ঝেং ও তার সহকর্মীরা। নগর-পরিকল্পনার সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও গণনামূলক কাজগুলোর জন্য তারা একটি এআই সিস্টেম তৈরি করেন।
এআই সিস্টেমকে প্রথমে ছোট আকারেই কাজ দিয়েছিল ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। মাত্র কয়েক বর্গ কিলোমিটার (প্রায় ৩ × ৩ ব্লক) আয়তনের একটি শহরের নকশা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই দিনের প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকটি নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এআই সিস্টেমটি সেই ‘১৫ মিনিটের শহরের’ ধারণার সঙ্গে মানানসই হয় এ রকম রাস্তার বিন্যাস ও জমির ব্যবহার খুঁজে বের করেছে।
ঝেং এবং সহকর্মীদের বানানো এআই মডেলের মধ্যে আরও বড় আকারে কাজ করার বৈশিষ্ট্য দেওয়া থাকলেও ভাবা হয়েছিল, একটি সম্পূর্ণ শহরের নকশা তৈরির কাজটা হবে আরও অনেক বেশি জটিল। গবেষকেরা অনুমান করেছিলেন, ৪ × ৪ ব্লকের একটি শহরের নকশার খসড়া তৈরিতে ৩ × ৩ ব্লকের চেয়ে দ্বিগুণ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত থাকবে। কিন্তু দেখা গেল, দারুণ দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যে কাজ করতে একজন নগর পরিকল্পনাবিদের ৫০ থেকে ১০০ মিনিট লেগে যায়, সেটাই কয়েক সেকেন্ডে করে ফেলছে এআই মডেল!
গবেষকেরা বলছেন, নগর-পরিকল্পনার সবচেয়ে সময়সাপেক্ষ কাজগুলোর দায়িত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ছেড়ে দিলে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বা মানবকেন্দ্রিক বিষয় যেমন, জনসাধারণের সম্পৃক্ততা এবং নান্দনিকতার মতো বিষয়গুলোতে পরিকল্পনাকারীরা আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন।
মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা নয় বরং, নগর পরিকল্পনাবিদের কাজের 'সহকারী' হিসেবেই এটিকে কাজে লাগাতে চান ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। সহকারী হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে সবচেয়ে কার্যকর নকশার খসড়া তৈরি করা। সেটা আবার বাসিন্দাদের মতামত অনুসারে পর্যালোচনা, সমন্বয় এবং মূল্যায়ন করবে বিশেষজ্ঞরা।
শেষের এই ধাপটিকে ভালো পরিকল্পনার মূল হিসেবে দেখছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানী পাওলো সান্তি। ইউ ঝেং এবং তার সহকর্মীদের গবেষণা প্রসঙ্গে পাওলো বলেছেন, ‘নগর-পরিকল্পনা মানে শুধু বিল্ডিং, পার্ক এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোর জন্য জায়গা বরাদ্দই নয়। এই পরিকল্পনায় এমন একটি নকশা তৈরি করতে হবে যেখানে শহরের মানুষেরা বসবাস, কাজ, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি বিকশিতও হবে।’
মানুষ এবং এআই একসঙ্গে যে কাজ করতে পারে তার সঙ্গে শুধুমাত্র মানুষের তৈরি করা নকশার তুলনা করেছেন ঝেং এবং তার সহকর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, মৌলিক পরিষেবাকে শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া ১২ শতাংশ বাড়াতে পারে মানুষ ও এআইয়ের সমন্বয়ের নকশা। অন্যদিকে শুধু মানুষের করা নকশায় নাগরিকদের কাছে এসব সেবা পৌঁছানো বাড়বে ৫ শতাংশ।
গবেষকেরা ১০০ জন নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়ে একটি গবেষণাও করেছেন। সেখানে কয়েকটি নকশা এই ১০০ জন নগর পরিকল্পনাবিদকে দিয়ে কোনগুলো ভালো লাগে তা বেছে নিতে বলা হয়। এখানেও অনেক বেশি ভোট পেয়ে জিতেছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
তবে এই নকশাগুলো থেকে শহর তৈরি হলে সেসবে শব্দ, তাপ এবং দূষণের হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি কতটা হয়েছে, সেই ভিত্তিতেই হবে সত্যিকারের পরীক্ষা।
সূত্র: নেচার কম্পিউটেশনাল সায়েন্স
বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ইভি চার্জিংয়ের জন্য নতুন ধরনের সোলার পেইন্ট (সূর্যশক্তি শোষণকারী রং) তৈরি করছে জার্মানির গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্সিডিজ-বেঞ্চ। এই বিশেষ রঙটিতে ফোটোভোলটাইক সেল (সোলার প্যানেল) রয়েছে, যা সূর্যালোক শোষণ করে
৭ ঘণ্টা আগেইন্টেল ও এএমডি এর মতো মহাকাশে চিপ পাঠিয়েছে চীনের চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি লুনসন। এটি মহাকাশে পাঠানো ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য কাজ করবে। গত শুক্রবার কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগেভুলক্রমে বয়ফ্রেন্ডের ৫৬৯ মিলিয়ন বা ৫৬ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডের মূল্যের বিটকয়েন ‘কী’ ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছিলেন এক নারী। এখন বয়ফ্রেন্ড বিটকয়েনগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত টেনে নেওয়া হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তির জগতের অন্যতম পরিচিত নাম চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেনসেন হুয়াং। তবে শুধু এনভিডিয়ার সাফল্যই তাঁর পুরো জীবনের গল্প নয়, বরং কলেজজীবনের একটি রোমান্টিক ও মজাদার অধ্যায়ও হুয়াংয়ের রয়েছে। যখন ১৭ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র হুয়াং তাঁর ১৯ বছরের হবু স্ত্রী লরি হুয়াংয়ের মন জয়...
১০ ঘণ্টা আগে