অনলাইন ডেস্ক
যুবসমাজকে টানতে ‘অসামাজিক’ ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলে ইনস্টাগ্রামে আত্মপ্রকাশ করল জাপানের রাজপরিবার। গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি পোস্ট দেয় বিশ্বের এই প্রাচীনতম রাজতন্ত্র। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
জাপানের রাজপরিবারের দায়িত্বে থাকা ইম্পিরিয়াল হাউসহোল্ড এজেন্সি নামের সরকারি সংস্থাটি গত তিন মাসে সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর ৬০টি ছবি ও পাঁচটি ভিডিও পোস্ট করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, জনসাধারণ যেন রাজপরিবারের অফিশিয়াল দায়িত্ব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এ জন্য ছবি ও ভিডিওগুলো পোস্ট করা হয়। আর তরুণদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলের মধ্যেই তাদের ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্ট ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি ফলোয়ার হয়।
প্রথম প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নববর্ষের দিনটিকে উদ্যাপন করতে (জাপানের নতুন বছর শুরু হয় এপ্রিলের ১ তারিখ) রাজকীয় দম্পতি তাদের ২২ বছর বয়সী কন্যা রাজকুমারী আইকোর সঙ্গে একটি সোফায় বসে আছে। অন্যান্য পোস্টিংগুলোয় ব্রুনাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স হাজ্জি আল-মুহতাদি বিল্লাহের স্ত্রীসহ ও অন্যান্য বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজকীয় দম্পতিকে বৈঠক করতে দেখা যায়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নারুহিতোর জন্মদিন উদযাপনে সময় শুভানুধ্যায়ীদের সম্বোধন করার একটি ভিডিও একদিনেরও কম সময়ে ২১ হাজারের বেশি ভিউ পেয়েছে।
রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক কর্তব্য পালনের বিষয়টিই এসব ছবিতে উঠে এসেছে। এসব ছবিতে কোনো ব্যক্তিগত বা ঘরোয়া মুহূর্ত দেখানো হয়নি। তবে সংস্থাটি বলছে, এটি অন্যান্য রাজকীয় সদস্যদের কার্যক্রম যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে।
২১ বছর বয়সী ছাত্র কোকি ইয়োনেউরা বলেন, ‘এসব ছবির মাধ্যমে আমরা তাদের ক্রিয়াকলাপগুলির কিছুটা দেখতে পেয়েছি। তারা কী করছে সে সম্পর্ক আমরা খুবই কম জানি। এখন তাঁদেরকে আমাদের একটু কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে।’
রাজকুমারী আইকোর পোস্ট দেখে খুশি হয়ে ইউকিনো ইয়োশিউরা নামের এক ছাত্রী বলেন, ‘আইকো-সামা আমাদের বয়সের কাছাকাছি সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছে, তাই আমি তার ছবি দেখতে পেরে খুব খুশি।’ তিনি রাজকন্যাকে ‘সামা’ বলে ডাকেন যা জাপানে সম্মান জানানোর ব্যবহার করা হয়।
২০০৯ সালে ব্রিটেনের রাজপরিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) যোগ দেওয়ার ১৫ বছর পরে জাপানি রাজপরিবারের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল।
নারুহিতোর বাবা, সম্রাট ইমেরিটাস আকিহিতো ২০১৯ সালে সিংহাসন থেকে পদত্যাগ করেন। আকিহিতোর স্ত্রী সে সময়ে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। তবে বর্তমানে রাজপরিবারের ভক্তরা মূলত পুরোনো প্রজন্মের।
প্রাসাদ কর্মকর্তারা পরিবার ও তাদের ক্রিয়াকলাপে আরও বেশি লোককে আগ্রহী করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার কথা ভাবছিলেন। গত বছর সংস্থাটি রাজপরিবারের সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারে প্রভাবগুলো অধ্যয়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করেন।
সম্রাটের ভাগনি মাকো কমুরো একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলেকে বিয়ে করেন। সেসময় কমুরোর স্বামী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং শাশুড়ির আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে পত্রিকাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে। কমুরো যৌতুক গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তার বিয়েটি জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এই ঘটনার পর সরকারি সংস্থাটি রাজপরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় আরও সতর্ক হয়ে যায়।
সাবেক এই রাজকন্যা বলেন, সে সময় অনলাইনসহ বিভিন্ন মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে তিনি মানসিক আঘাত পান।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাজপরিবারকে জনগণের কাছাকাছি আনতে সাহায্য করতে পারে এবং এজেন্সিকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার এবং বিভ্রান্তির তথ্য ছড়ানো কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে কীভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম রাজতন্ত্র তার আভিজাত্য না হারিয়ে বন্ধুত্বসুলভ হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
রাজপরিবারের অ্যাকাউন্টটি অন্য কাউকে ফলো করছে না বা জনসাধারণের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে। ব্যবহারকারীরা পোস্টে কমেন্ট করতে পারবে না। শুধু লাইক বাটনে ট্যাপ করতে পারবে।
রাজপরিবারকে মেসেজ পাঠাতে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।
যুবসমাজকে টানতে ‘অসামাজিক’ ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলে ইনস্টাগ্রামে আত্মপ্রকাশ করল জাপানের রাজপরিবার। গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি পোস্ট দেয় বিশ্বের এই প্রাচীনতম রাজতন্ত্র। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
জাপানের রাজপরিবারের দায়িত্বে থাকা ইম্পিরিয়াল হাউসহোল্ড এজেন্সি নামের সরকারি সংস্থাটি গত তিন মাসে সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর ৬০টি ছবি ও পাঁচটি ভিডিও পোস্ট করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, জনসাধারণ যেন রাজপরিবারের অফিশিয়াল দায়িত্ব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এ জন্য ছবি ও ভিডিওগুলো পোস্ট করা হয়। আর তরুণদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলের মধ্যেই তাদের ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্ট ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি ফলোয়ার হয়।
প্রথম প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নববর্ষের দিনটিকে উদ্যাপন করতে (জাপানের নতুন বছর শুরু হয় এপ্রিলের ১ তারিখ) রাজকীয় দম্পতি তাদের ২২ বছর বয়সী কন্যা রাজকুমারী আইকোর সঙ্গে একটি সোফায় বসে আছে। অন্যান্য পোস্টিংগুলোয় ব্রুনাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স হাজ্জি আল-মুহতাদি বিল্লাহের স্ত্রীসহ ও অন্যান্য বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজকীয় দম্পতিকে বৈঠক করতে দেখা যায়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নারুহিতোর জন্মদিন উদযাপনে সময় শুভানুধ্যায়ীদের সম্বোধন করার একটি ভিডিও একদিনেরও কম সময়ে ২১ হাজারের বেশি ভিউ পেয়েছে।
রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক কর্তব্য পালনের বিষয়টিই এসব ছবিতে উঠে এসেছে। এসব ছবিতে কোনো ব্যক্তিগত বা ঘরোয়া মুহূর্ত দেখানো হয়নি। তবে সংস্থাটি বলছে, এটি অন্যান্য রাজকীয় সদস্যদের কার্যক্রম যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে।
২১ বছর বয়সী ছাত্র কোকি ইয়োনেউরা বলেন, ‘এসব ছবির মাধ্যমে আমরা তাদের ক্রিয়াকলাপগুলির কিছুটা দেখতে পেয়েছি। তারা কী করছে সে সম্পর্ক আমরা খুবই কম জানি। এখন তাঁদেরকে আমাদের একটু কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে।’
রাজকুমারী আইকোর পোস্ট দেখে খুশি হয়ে ইউকিনো ইয়োশিউরা নামের এক ছাত্রী বলেন, ‘আইকো-সামা আমাদের বয়সের কাছাকাছি সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছে, তাই আমি তার ছবি দেখতে পেরে খুব খুশি।’ তিনি রাজকন্যাকে ‘সামা’ বলে ডাকেন যা জাপানে সম্মান জানানোর ব্যবহার করা হয়।
২০০৯ সালে ব্রিটেনের রাজপরিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) যোগ দেওয়ার ১৫ বছর পরে জাপানি রাজপরিবারের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল।
নারুহিতোর বাবা, সম্রাট ইমেরিটাস আকিহিতো ২০১৯ সালে সিংহাসন থেকে পদত্যাগ করেন। আকিহিতোর স্ত্রী সে সময়ে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। তবে বর্তমানে রাজপরিবারের ভক্তরা মূলত পুরোনো প্রজন্মের।
প্রাসাদ কর্মকর্তারা পরিবার ও তাদের ক্রিয়াকলাপে আরও বেশি লোককে আগ্রহী করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার কথা ভাবছিলেন। গত বছর সংস্থাটি রাজপরিবারের সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারে প্রভাবগুলো অধ্যয়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করেন।
সম্রাটের ভাগনি মাকো কমুরো একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলেকে বিয়ে করেন। সেসময় কমুরোর স্বামী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং শাশুড়ির আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে পত্রিকাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে। কমুরো যৌতুক গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তার বিয়েটি জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এই ঘটনার পর সরকারি সংস্থাটি রাজপরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় আরও সতর্ক হয়ে যায়।
সাবেক এই রাজকন্যা বলেন, সে সময় অনলাইনসহ বিভিন্ন মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে তিনি মানসিক আঘাত পান।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাজপরিবারকে জনগণের কাছাকাছি আনতে সাহায্য করতে পারে এবং এজেন্সিকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার এবং বিভ্রান্তির তথ্য ছড়ানো কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে কীভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম রাজতন্ত্র তার আভিজাত্য না হারিয়ে বন্ধুত্বসুলভ হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
রাজপরিবারের অ্যাকাউন্টটি অন্য কাউকে ফলো করছে না বা জনসাধারণের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে। ব্যবহারকারীরা পোস্টে কমেন্ট করতে পারবে না। শুধু লাইক বাটনে ট্যাপ করতে পারবে।
রাজপরিবারকে মেসেজ পাঠাতে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ইভি চার্জিংয়ের জন্য নতুন ধরনের সোলার পেইন্ট (সূর্যশক্তি শোষণকারী রং) তৈরি করছে জার্মানির গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্সিডিজ-বেঞ্চ। এই বিশেষ রঙটিতে ফোটোভোলটাইক সেল (সোলার প্যানেল) রয়েছে, যা সূর্যালোক শোষণ করে
৮ ঘণ্টা আগেইন্টেল ও এএমডি এর মতো মহাকাশে চিপ পাঠিয়েছে চীনের চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি লুনসন। এটি মহাকাশে পাঠানো ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য কাজ করবে। গত শুক্রবার কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগেভুলক্রমে বয়ফ্রেন্ডের ৫৬৯ মিলিয়ন বা ৫৬ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডের মূল্যের বিটকয়েন ‘কী’ ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছিলেন এক নারী। এখন বয়ফ্রেন্ড বিটকয়েনগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত টেনে নেওয়া হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তির জগতের অন্যতম পরিচিত নাম চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেনসেন হুয়াং। তবে শুধু এনভিডিয়ার সাফল্যই তাঁর পুরো জীবনের গল্প নয়, বরং কলেজজীবনের একটি রোমান্টিক ও মজাদার অধ্যায়ও হুয়াংয়ের রয়েছে। যখন ১৭ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র হুয়াং তাঁর ১৯ বছরের হবু স্ত্রী লরি হুয়াংয়ের মন জয়...
১১ ঘণ্টা আগে