অনলাইন ডেস্ক
স্বর্ণ বনাম বিটকয়েন। দুর্দিনের সম্বল হিসেবে কোনটি সেরা? শত শত বছর ধরে মানুষ স্বর্ণকে দুর্দিনের সহায় হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে। কিন্তু মানুষের আর্থিক লেনদেন যখন ক্রমশ অনলাইননির্ভর ও ‘হার্ড ক্যাশ’-এর বিপরীতে ‘ডিজিটাল ক্যাশ’ নির্ভর হয়ে উঠছে, তখন ভূ-কৌশলগত সংকটের সময় স্বর্ণ, নাকি ডিজিটাল লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ (বিশেষত বিটকয়েন) উত্তম? এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট এবং তাৎক্ষণিক উত্তর এখনই দেওয়া কঠিন। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ইউরোপ ও বিশ্বে সৃষ্ট ভূ-কৌশলগত সংকট দুর্দিনের সম্বল হিসেবে স্বর্ণকে বিটকয়েন ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না, তা নির্ধারণের একটি সুযোগ হাজির করেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। রুশ মুদ্রা রুবলের দাম পড়ে যাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শেয়ারবাজারে দরপতন, তেল-গ্যাস-কয়লার মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব অর্থনীতি। তাই ব্যক্তি পর্যায়ের অনেকেই স্বর্ণ কিনে রাখার দিকে নজর দিয়েছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘সংকটেও ভারতে স্বর্ণ কেনার হিড়িক’।
কিন্তু কেন? ওই নিবন্ধে বলা হয়—‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট শুরুর আগে থেকেই ভারতে স্বর্ণর দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। গত কয়েক মাসে দেশটিতে কয়েক দফায় স্বর্ণর দাম বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় বাজারে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (এমসিএক্স) ১০ গ্রাম স্বর্ণর দাম ৫১ হাজার ৬০০ রুপি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ভারতের বাজারে স্বর্ণর দাম গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কেবল ভারতই নয়, সারা বিশ্বেই প্রায় এক অবস্থা। বিশ্বের শেয়ারবাজারের দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণী সংস্থা ‘মার্কেটওয়াচে’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করে, তখন থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণর দাম বাড়তে শুরু করে। সে সময়ে স্বর্ণর বারের (বুলিয়ন) শেয়ারদর বাড়ে ২ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে স্বর্ণর দাম বাড়ে ৬ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে, বিটকয়েনের শেয়ারের দরপতন হয় ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর বিশ্ববাজারে বিটকয়েনের দাম কমে ৩০ শতাংশেরও বেশি।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকট আসলে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মধ্যে তুলনা করার একটি সূচক মাত্র। তাই এই একটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি নির্ভরযোগ্য তা নির্ধারণ করা কঠিন। মার্কেটওয়াচের ওই নিবন্ধে মার্ক হালবার্ট বলছেন, তিনি ইকোনমিক পলিসি আনসার্টেইনিটি (ইপিইউ) ইনডেক্স ওপর ভিত্তি করে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের ভেতরে কোনটি বেশি নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করতে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষণার খাতিরে তিনি পাঁচ বছর আগের ও বর্তমান বাজারে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের তুলনামূলক নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেন। পাঁচ বছর আগের বাজারে বিটকয়েনের মূল্য ছিল ৫ হাজার ডলার করে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার ডলার। মার্ক হলবার্ট পাঁচ বছর আগের ও বর্তমান বাজারে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের তুলনামূলক সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দেখতে পান, উভয় সময়ই বিটকয়েনের ইপিইউ ইনডেক্সে নেতিবাচক প্রবণতা দেখাচ্ছে। নেতিবাচক ইনডেক্সের অর্থ হলো, যখনই কোনো সংকট আবির্ভূত হয়েছে, তখনই বিটকেয়েনের দাম পড়ে গেছে। বিপরীতে তুলনামূলকভাবে স্বর্ণ ইতিবাচক ইপিইউ ইনডেক্স দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্কট বেকার, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস ব্লুম এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন ডেভিস মিলে কয়েক বছর আগে ইকোনমিক পলিসি আনসার্টেইনিটি (ইপিইউ) ইনডেক্স তৈরি করেন।
মার্ক হলবার্ট আরও বলছেন, বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন সময়ে নির্ভরযোগ্যতা কমলেও সংকট হাজির হওয়ামাত্র স্বর্ণর নির্ভরযোগ্যতা বারবার বেড়েছে। ফলে, বর্তমান সময়ে বিটকয়েনের বাজারদর প্রায় ৪০ হাজার ডলার হলেও তা যে দ্রুতই নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণর জায়গা দখল করতে পারবে—এমনটা মনে হচ্ছে না। এখানে স্বর্ণ বা বিটকয়েনের প্রতি কোনো পক্ষপাত না রেখেই বলা যায়, সংকটকালীন বাজারে বিনিয়োগের কথা ভাবলে আপনাকে অবশ্য দ্বিতীয়বার বিবেচনা করতে হবে।
স্বর্ণ বনাম বিটকয়েন। দুর্দিনের সম্বল হিসেবে কোনটি সেরা? শত শত বছর ধরে মানুষ স্বর্ণকে দুর্দিনের সহায় হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে। কিন্তু মানুষের আর্থিক লেনদেন যখন ক্রমশ অনলাইননির্ভর ও ‘হার্ড ক্যাশ’-এর বিপরীতে ‘ডিজিটাল ক্যাশ’ নির্ভর হয়ে উঠছে, তখন ভূ-কৌশলগত সংকটের সময় স্বর্ণ, নাকি ডিজিটাল লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ (বিশেষত বিটকয়েন) উত্তম? এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট এবং তাৎক্ষণিক উত্তর এখনই দেওয়া কঠিন। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ইউরোপ ও বিশ্বে সৃষ্ট ভূ-কৌশলগত সংকট দুর্দিনের সম্বল হিসেবে স্বর্ণকে বিটকয়েন ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না, তা নির্ধারণের একটি সুযোগ হাজির করেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। রুশ মুদ্রা রুবলের দাম পড়ে যাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শেয়ারবাজারে দরপতন, তেল-গ্যাস-কয়লার মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব অর্থনীতি। তাই ব্যক্তি পর্যায়ের অনেকেই স্বর্ণ কিনে রাখার দিকে নজর দিয়েছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘সংকটেও ভারতে স্বর্ণ কেনার হিড়িক’।
কিন্তু কেন? ওই নিবন্ধে বলা হয়—‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট শুরুর আগে থেকেই ভারতে স্বর্ণর দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। গত কয়েক মাসে দেশটিতে কয়েক দফায় স্বর্ণর দাম বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় বাজারে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (এমসিএক্স) ১০ গ্রাম স্বর্ণর দাম ৫১ হাজার ৬০০ রুপি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ভারতের বাজারে স্বর্ণর দাম গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কেবল ভারতই নয়, সারা বিশ্বেই প্রায় এক অবস্থা। বিশ্বের শেয়ারবাজারের দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণী সংস্থা ‘মার্কেটওয়াচে’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করে, তখন থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণর দাম বাড়তে শুরু করে। সে সময়ে স্বর্ণর বারের (বুলিয়ন) শেয়ারদর বাড়ে ২ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে স্বর্ণর দাম বাড়ে ৬ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে, বিটকয়েনের শেয়ারের দরপতন হয় ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর বিশ্ববাজারে বিটকয়েনের দাম কমে ৩০ শতাংশেরও বেশি।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকট আসলে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মধ্যে তুলনা করার একটি সূচক মাত্র। তাই এই একটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি নির্ভরযোগ্য তা নির্ধারণ করা কঠিন। মার্কেটওয়াচের ওই নিবন্ধে মার্ক হালবার্ট বলছেন, তিনি ইকোনমিক পলিসি আনসার্টেইনিটি (ইপিইউ) ইনডেক্স ওপর ভিত্তি করে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের ভেতরে কোনটি বেশি নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করতে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষণার খাতিরে তিনি পাঁচ বছর আগের ও বর্তমান বাজারে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের তুলনামূলক নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেন। পাঁচ বছর আগের বাজারে বিটকয়েনের মূল্য ছিল ৫ হাজার ডলার করে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার ডলার। মার্ক হলবার্ট পাঁচ বছর আগের ও বর্তমান বাজারে স্বর্ণ ও বিটকয়েনের তুলনামূলক সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দেখতে পান, উভয় সময়ই বিটকয়েনের ইপিইউ ইনডেক্সে নেতিবাচক প্রবণতা দেখাচ্ছে। নেতিবাচক ইনডেক্সের অর্থ হলো, যখনই কোনো সংকট আবির্ভূত হয়েছে, তখনই বিটকেয়েনের দাম পড়ে গেছে। বিপরীতে তুলনামূলকভাবে স্বর্ণ ইতিবাচক ইপিইউ ইনডেক্স দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্কট বেকার, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস ব্লুম এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন ডেভিস মিলে কয়েক বছর আগে ইকোনমিক পলিসি আনসার্টেইনিটি (ইপিইউ) ইনডেক্স তৈরি করেন।
মার্ক হলবার্ট আরও বলছেন, বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন সময়ে নির্ভরযোগ্যতা কমলেও সংকট হাজির হওয়ামাত্র স্বর্ণর নির্ভরযোগ্যতা বারবার বেড়েছে। ফলে, বর্তমান সময়ে বিটকয়েনের বাজারদর প্রায় ৪০ হাজার ডলার হলেও তা যে দ্রুতই নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণর জায়গা দখল করতে পারবে—এমনটা মনে হচ্ছে না। এখানে স্বর্ণ বা বিটকয়েনের প্রতি কোনো পক্ষপাত না রেখেই বলা যায়, সংকটকালীন বাজারে বিনিয়োগের কথা ভাবলে আপনাকে অবশ্য দ্বিতীয়বার বিবেচনা করতে হবে।
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৮ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
১০ ঘণ্টা আগে