Ajker Patrika

বিশ্ব অর্থনীতি নির্ভর করে যে কোডে, এখন কেউ জানে না সেই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ

বিশ্ব অর্থনীতি নির্ভর করে যে কোডে, এখন কেউ জানে না সেই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ

বিশ্বে প্রতিদিন ৩ লাখ কোটি ডলারের লেনদেন হয় প্রায় ৬৪ বছরের পুরোনো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। প্রাচীন এ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজনেরই জানা আছে। কোবল (কমন বিজনেস ওরিয়েন্টেড ল্যাঙ্গুয়েজ) নামের এ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজটি কয়েক দশক আগেই বেশির ভাগ স্কুল কলেজের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে। 

ব্যাংকিং, অটোমোটিভ, ইনস্যুরেন্স, সরকারি, স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সংস্থা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজটি দিয়ে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্স, কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (আইজেএআরএসসিটি) তথ্য অনুসারে, ব্যাংকের ৪৩ শতাংশ কার্যক্রমেই কোবল ব্যবহার করা হয় এবং এর মাধ্যমেই দৈনিক ৩ লাখ কোটি ডলার লেনদেন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ শতাংশ এটিএম কার্যক্রম ও ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের ৮০ শতাংশ কোবল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে হয়। 

এ ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যাটি হলো খুব কম মানুষই আজকাল কোবল শিখতে চায়। কোবলের মাধ্যমে কোডিং বেশ কষ্টসাধ্য। এর কোডিং ফরম্যাটটিও বেশ জটিল ও অনমনীয় এবং অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের চেয়ে এটি কম্পাইল করতে তুলনামূলক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। 

কোবল ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার প্রতি অনাগ্রহের কারণে এ নিয়ে কাজ করতে পারে এমন প্রোগ্রামার খুঁজে পাওয়া এখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। যারা এ ল্যাঙ্গুয়েজ পারেন বেশির ভাগেরই এখন অবসরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তাঁদের বিকল্প হিসেবে জায়গা নেওয়ার মতো জনবলের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। 

বাণিজ্য ও আর্থিক খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ কোডটির ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্য যে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন তা এখন আর নেই। এ সমস্যাটি এআইয়ের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন (আইবিএম)। 

আইবিএম এমন এক ধরনের এআই কোড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ওয়াটসন এক্স) তৈরি করেছে যা ব্যবহার করে পুরোনো কোবল ল্যাঙ্গুয়েজকে আধুনিক কোনো ল্যাঙ্গুয়েজের রূপ দেওয়া যায়। এতে কোডারদের বিপুল সময়ও বাঁচে। সহজ কথায় বলতে গেলে, ইংরেজি ভাষায় কোনো বর্ণনা চ্যাটজিপিটিতে প্রবেশ করানোর মতোই প্রোগ্রামাররা কোবল ল্যাঙ্গুয়েজের কোড ওয়াটসনএক্সে দিলে এটি জাভা কোডে পরিণত হয়। 

তবে তা বলা যত সহজ বাস্তবায়ন ততটা সহজ নয়। আইবিএমের আইটি অটোমেশনের পণ্য ব্যবস্থাপনার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেরি ওলসন বলেন, ‘ওয়াটসনএক্স একটি এন্ড–টু–এন্ড সমাধান। এতে অনেকগুলো ধাপ অনুসরণ করে জটিল কোড অনুবাদ করা হয়। আইবিএম ও অন্যান্য গ্রাহকেরা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার, ডেটা প্রবাহ ও বিদ্যমান ডিপেনডেন্সিগুলো বোঝার পর আমরা গ্রাহকদের অ্যাপ্লিকেশন পুনর্গঠন করতে সাহায্য করব। এর মানে হলো, অ্যাপ্লিকেশনটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলা, যেন গ্রাহকেরা প্রয়োজনমতো অংশকে কোবল ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে জাভায় রূপান্তর করতে পারেন।’ 

আইবিএমের আইবিএমজেড সফটওয়্যারের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কাইলা লুমিস বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এটি ডেভেলপার অ্যাসিস্ট্যান্ট টুল। এটি আইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এর ডেভেলপারের সহায়তা প্রয়োজন। অ্যাপ্লিকেশনের টুলিং ও গ্রাহকদের সেবা বেছে নিতে ডেভেলপার প্রয়োজন।’ 

কোডের যে অংশের রূপান্তর প্রয়োজন তা ওয়াটসনএক্স অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করাতে হবে। এআই রূপান্তরিত যে কোড দেবে তাতেও ডেভেলপারের ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন করতে হতে পারে বলে জানান লুমিস। তিনি বলেন, ‘এআই প্রয়োজনের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করে দিতে পারে। তবু এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন করতে হতে পারে। এটি প্রোগ্রামের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে, ডেভেলপারের বিকল্প হিসেবে নয়।’ 

যদি প্রকল্পটি সফল হয়, তবে ভবিষ্যতে ওয়াটসনএক্স কোড অ্যাসিস্ট্যান্টটি বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। তবে এখনো অনেকে এ অ্যাপ্লিকেশনটির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ এর আগে আইবিএমের এআই অ্যাপ্লিকেশন ওয়াটসন হেলথ মুখ থুবড়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

এআই শক্তিশালী করতে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে গুগল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গুগলের এসব পদক্ষেপ ক্যালিফোর্নিয়া সমান বেতন আইন লঙ্ঘন করেছে। ছবি: পাইমিন্টস ডট কম
গুগলের এসব পদক্ষেপ ক্যালিফোর্নিয়া সমান বেতন আইন লঙ্ঘন করেছে। ছবি: পাইমিন্টস ডট কম

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।

গত শুক্রবার গুগল জানায়, উত্তর টেক্সাসে নতুন ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস তৈরিতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে টেক্সাসে তাদের কার্যক্রম থাকলেও এ বিনিয়োগের মাধ্যমে উপস্থিতি আরও ব্যাপক হবে।

এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, ‘টেক্সাসে আমাদের নতুন বিনিয়োগ রাজ্যের কর্মশক্তি ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এআই নেতৃত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ভিত্তি নিশ্চিত করবে।’

টেক্সাসের অনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বাজার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বিস্তৃত ব্যবহার ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য রাজ্যটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে ডেটা সেন্টারের বাড়তি বিদ্যুৎ চাহিদা স্থানীয় গ্রিডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে—বিশেষ করে ২০২১ সালের ভয়াবহ শীতঝড়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পর থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

টেক্সাসে বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। ওপেনএআই তাদের উচ্চাভিলাষী ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্পের কেন্দ্র হিসেবে টেক্সাসের অ্যাবিলিনকে বেছে নিয়েছে। ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ফোর্ট ওয়ার্থে ডেটা সেন্টার নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। টেসলা ২০২১ সালে সদর দপ্তর অস্টিনে সরিয়ে সেখানে বিশাল কারখানা তৈরি করেছে। ওরাকলও একইভাবে সদর দপ্তর অস্টিনে নিয়েছে। আর স্যামসাং টেক্সাসের টেলর শহরে ১৭ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করছে।

ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ চাপ মোকাবিলায় গুগল তার প্রতিশ্রুত ৩০ মিলিয়ন ডলারের ‘এনার্জি ইমপ্যাক্ট ফান্ড’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই তহবিল স্থানীয় জ্বালানি উদ্যোগকে সহায়তা করবে এবং সম্প্রদায়ের জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। গুগল আরও জানিয়েছে, তাদের প্রকল্পের কারণে গ্রিডে নতুন জ্বালানি সম্পদ যুক্ত করা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয় কোম্পানিটিই বহন করবে।

সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে গুগল জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তাদের মূলধনি ব্যয় দাঁড়াতে পারে ৯১-৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা ডেটা সেন্টার ও কম্পিউটিং শক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রতিফলন—এআই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে যা প্রয়োজনীয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

২৮ হাজার টাকার আইফোন পকেট, এক দিনেই দোকান খালি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: ব্লুমবার্গের সৌজন্যে
ছবি: ব্লুমবার্গের সৌজন্যে

নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরের সামনে শুক্রবার সকাল থেকে ক্রেতাদের সারি। উদ্দেশ্য, অ্যাপলের নতুন পণ্য ‘আইফোন পকেট’ কেনা। সীমিত সংস্করণের এই পণ্য বাজারে আসার পরই অ্যাপল স্টোরগুলোতে এমন ভিড় দেখা গেছে। ১৫০ থেকে ২৩‍০ ডলার মূল্যের এই পণ্য দেখতে মোজার মতো। অ্যাপল বলছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।

আসলে আইফোন পকেট হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।

মিয়াকে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের আইকনিক কালো টার্টলনেক (লম্বা কলারওয়ালা সোয়েটার) তৈরির জন্য সুপরিচিত। এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী থাকায় আইফোন পকেট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে।

নিউইয়র্কের ২৬ বছর বয়সী ফ্যাশন ডিজাইনার লি আইজনার বলেন, ‘এটি খুবই চমৎকার ডিজাইনের। কারণ, এটি ইসি মিয়াকের তৈরি। আমি শুনলাম, এটি ইতিমধ্যেই সোল্ড আউট। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমারও এই জিনিস চাই।’ লি জানান, তিনি কালো রঙের বড় আইফোন পকেটটি কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই স্টক শেষ হয়ে গেছে।

অ্যাপল দুটি সাইজ, বেশ কয়েকটি কালারে আইফোন পকেটটি বাজারে এনেছে। শর্ট বা ছোটটির দাম ১৫০ ডলার, লং বা বড়টির দাম ২৩‍০ ডলার।

এটি রংধনুর মতো নানা রঙে পাওয়া যায় এবং থ্রিডি-নিটেড বা ত্রিমাত্রিক বুনন প্রযুক্তির হওয়ায় যেকোনো সাইজের আইফোন এতে রাখা যায়। প্রয়োজন হলে এতে এয়ারপড বা লিপ বামও রাখা যাবে। এর আকৃতি এবং টেক্সচার অনেকটা কারাতে বেল্টের মতো। এটি শরীরে ঝুলিয়ে, ব্যাগে বেঁধে বা হাতে ধরে—বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।

অ্যাপলের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১০টি রিটেইলে এই পণ্য পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধু নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরে এটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে লন্ডন, মিলান, টোকিও, হংকং ও প্যারিসের মতো শহরগুলোর বিভিন্ন স্টোরে পাওয়া যাবে।

এদিকে পণ্যটি অনলাইনে কিনতে গেলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব কালার ও সাইজ সোল্ড আউট দেখাচ্ছিল।

নিউইয়র্কের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী ওয়েন স্যান্ডার্স জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য হিউস্টন স্ট্রিটের স্টোর থেকে একটি ছোট গোলাপি রঙের আইফোন পকেট কিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ইসি মিয়াকের ডিজাইন ভীষণ পছন্দ করে। আজও যখন কেউ কালো টার্টলনেক পরে, মানুষ বলে—স্টিভ জবসের মতো লাগছে। আর সেটার কারণ এই মিয়াকে। এটাই আমার কাছে অর্থবহ।’

অ্যাপলের নতুন এই পণ্যের দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই লিখেছেন, এটি কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ‘বেমানান’। অনেকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, অ্যাপল মজা করে এটা বানিয়েছে।’

তবে ইসি মিয়াকে-ভক্তরা বলছেন, সবাই এর মূল্য বুঝবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাইকেল জশ বলেন, ‘এটি শুধু অ্যাকসেসরিস নয়, এটি একটি শিল্পকর্ম বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন আইটেম।’

অ্যাপল অতীতেও এমন দামি অ্যাকসেসরিস তৈরি করেছিল। যেমন এর আগে অ্যাপল তৈরি করেছিল ১৯ ডলারের পলিশিং ক্লথ, ৯৯৯ ডলারের মনিটর স্ট্যান্ড।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আইফোনকে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তর করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বরে অ্যাপল একটি আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা) বাজারে আনে, যা বহু বছর ধরে এশিয়ায় জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড। এর দাম ছিল ৫৯ ডলার।

তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

মোজার মতো দেখতে ‘আইফোন পকেট’, দাম ২২৯ ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক ডিজাইনের পণ্য তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত অ্যাপল। তবে তাদের সর্বশেষ পণ্যটি বেশ একটু ভিন্নধর্মী। অনেকের কাছেই অ্যাপলের এই পণ্যকে অদ্ভুত মনে হয়েছে।

অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।

গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের যেকোনো মডেলের আইফোনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি এই ‘পকেট’ আগামীকাল শুক্রবার বাজারে আসছে। এটি পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙে।

অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন মলি অ্যান্ডারসন বলেন, ‘অ্যাপল ও ইসি মিয়াকে কারুশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা তৈরি করে। এই অভিনব পকেট সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এটি আমাদের পণ্যের সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে মানিয়ে যায় এবং আইফোন, এয়ারপডসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস বহনের এক নতুন ও সুন্দর উপায়।’

তবে পণ্যটির দাম শুনে অনেকে বিস্মিত। অ্যাপল জানিয়েছে, এই পকেটের ছোট সংস্করণের দাম ১৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার আর লম্বা বা বড় সংস্করণের দাম ২২৯ দশমিক ৯৫ ডলার (প্রায় ২৮ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এই পণ্যের দাম নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন লিখেছেন, ‘একখানা কাটা মোজার দাম ২৩০ ডলার! অ্যাপলের ভক্তরা অ্যাপলের নাম থাকলেই সবকিছুর জন্য টাকা দেবে।’

আরও এক ব্যবহারকারী মজা করে আইফোন পকেটকে সাচা ব্যারন কোহেনের (জনপ্রিয় অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা) চরিত্র বোরাটের নিয়ন-সবুজ ম্যানকিনি পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি পাশাপাশি দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একই রকম ভাইব।’

তবে কেউ কেউ অ্যাপলের এই পণ্যের ধারণাটিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।

প্রযুক্তি বিশ্লেষক এমজি সিগলার তাঁর স্পাইগ্লাস নিউজলেটারে একে ‘অবিশ্বাস্য দামি মোজা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর পেছনের চিন্তাধারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সিগলার লেখেন, ইসি মিয়াকে ছিলেন স্টিভ জবসের প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের একজন। এই পণ্য আসলে আইফোনকে ধীরে ধীরে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তরিত করার চলমান প্রবণতার অংশ।

সিগলার আরও বলেন, যেখানে একসময় দৌড়বিদেরা হাতে ব্যান্ড বেঁধে ফোন রাখতেন, এখন অনেকেই প্রতিদিন আইফোন বহনের জন্য স্ট্র্যাপ (একধরনের ফিতা) ব্যবহার করছেন। এর আগে চলতি বছর অ্যাপল বাজারে এনেছিল আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা), যার দাম ছিল ৫৯ ডলার।

সিগলার বলেন, ‘এটি আরও একটি অ্যাকসেসরিজ—আপনার পোশাকে একটু রঙ ও নতুনত্ব যোগ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

ভুয়া তথ্য, গুজব ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে সরকারের বিশেষ সেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫০
ভুয়া তথ্য, গুজব ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে সরকারের বিশেষ সেল

জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ও গুজব প্রতিরোধে একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত এই সেলের কার্যক্রম চলবে। এই সেল সার্বক্ষণিকভাবে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ, তথ্য যাচাই-বাছাই এবং সত্যতা নিশ্চিতকরণের কাজ করবে।

আজ মঙ্গলবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে।

এনসিএসএ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, প্রেস ইনফরমেশন বাংলাদেশ (পিআইবি), বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

এনসিএসএ সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে—কোনো তথ্য বা কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার আগে অবশ্যই তার উৎস যাচাই করতে। পাশাপাশি সন্দেহজনক, উসকানিমূলক বা দেশবিরোধী কনটেন্ট দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে এনসিএসএকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দেশবিরোধী চক্রের ফাঁদে পড়ে ভুল বা ভুয়া তথ্য, ফটো কার্ড এবং ভিডিও প্রচার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জনগণের দ্রুত সহায়তার জন্য এনসিএসএ ২৪ / ৭ হেল্পলাইন সেবা চালু রয়েছে। নাগরিকদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য চারটি পৃথক ই-মেইল ঠিকানা খোলা হয়েছে—

১.report_betting@ncsa.gov.bd–অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য।

২.report_misinfo@ncsa.gov.bd–ভুয়া তথ্য, গুজব বা misinformation/disinformation সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য।

৩. report_harassment@ncsa.gov.bd–ফেইক প্রোফাইল, অশ্লীল বা ক্ষতিকর কনটেন্ট ও অনলাইন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য।

৪. report_cii@ncsa.gov.bd–গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (CII) প্রতিষ্ঠানসমূহে সাইবার হামলা সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত