Ajker Patrika

প্রোগ্রামিংয়ে দ্রুতবর্ধনশীল দেশের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৪, ১৫: ১০
প্রোগ্রামিংয়ে দ্রুতবর্ধনশীল দেশের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রোগ্রামিংয়ে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল দেশের তালিকার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে ডেভেলপারের সংখ্যা আগের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের বৈশ্বিক প্ল্যাটফরম গিটহাবের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। 

গিট হাবের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের ডেভেলপারদের সংখ্যা খুব দ্রুত বেড়েছে। ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে মাত্র ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন ডেভেলপার ছিলেন। ২০২৩ সালের একই সময়ে গিটহাবে বাংলাদেশি ডেভেলপারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৬। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে ডেভেলপারের সংখ্যা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। 

প্রোগ্রামিং কাজ শুরু করার জন্য সারা বিশ্বের বেশির ভাগ ডেভেলপার গিটহাবে প্রোফাইল তৈরি করে। গিটহাব প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘকাল ধরে স্বতন্ত্র প্রোগ্রামারদের মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে গিটহাব। তবে প্ল্যাটফরমের ডেটা পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ডেভেলপারদের কাজগুলোও দেখায়। এই প্ল্যাটফরমের ডেটা থেকে বোঝা যায়, কোন কোন দেশে ডেভেলপারদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গিটহাব একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে ত্রৈমাসিকভাবে ডেটা প্রকাশ করে, যা এটিকে ইনোভেশন গ্রাফ বলা হয়। এটি চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। 

কিন্তু গিটহাবের দেওয়া তথ্যের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই ডেটাতে শুধু গিটহাবে তৈরি করা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা গণনা করা হয়। কিন্তু কারা প্ল্যাটফর্মটিতে কোড তৈরি করে সক্রিয় থাকে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। যার ফলে প্রকৃত ডেভেলপারদের সংখ্যা বৃদ্ধির সামগ্রিক ও প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়নি। 

তবে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের সামগ্রিক ও প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে ‘রেস্ট অফ দা ওয়ার্ল্ড’। এই সংস্থা ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর) গিটহাবের ডেভেলপারদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। গিটহাবে সফটওয়্যার ডেভেলপারের সংখ্যায় এগিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে প্রায় দুই কোটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গিটহাব ব্যবহার করে। 

যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের অবস্থান। ভারতে গিটহাব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখেরও বেশি। এ ছাড়া চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার ৬৯ লাখের ওপরে, ব্রাজিলে ৫৪ লাখ। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার গিটহাবে ডেভেলপার সংখ্যা ১০ লাখেরও কম। 

হুট করে গিটহাবের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে দেশের প্রযুক্তি খাতের প্রসারের ইঙ্গিত দেয়ে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। তবে এটি প্রকৃত কাজের কমে যাওয়ারও নির্দেশনা হতে পারে। কারণ ডেভেলপাররা কাজ খুঁজে না পেলেই সাধারণত অবৈতনিক কাজের দিকে ঝুঁকে নিজের কাজের প্রচারণা করে। 

ডেভেলপার পলিসির গিটহাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক লিংকসভায়ার রেস্ট অব ওয়ার্ল্ডকে বলে, কোনো দেশের প্রযুক্তি খাতে এই সংখ্যা কী অর্থ বহন করে তা বলা কঠিন।’ 

২০২৩ সালের একই সময়ে গিটহাবে বাংলাদেশি ডেভেলপারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৬ জনে।  ছবি: গিটহাব বাংলাদেশে জিডিপিতে অবিচ্ছিন্ন বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ তরুণ প্রথমবারের মতো ডিজিটাল টুলগুলো ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। ফলে দেশের আইটি খাতের প্রসার হচ্ছে। 

এড–টেকের প্রতিষ্ঠাতা রেস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কে বলেন, ১৮ কোটি ডেভেলপার পাওয়া গেছে ও এর মধ্যে ৯ কোটি ডেভেলপারদের বয়স ২৫ বছরের নিচে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নবরাত্রির জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষা, পিরিয়ডের কারণে পালন করতে না পেরে আত্মহত্যা

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির আপত্তি ও শর্ত

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খই-মুড়ির মতো বোমা ফুটছে জাজিরায়

চুরির অপবাদে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন ছাত্রদল নেতার, টাকা দিয়ে মুক্তি

৩০টির বেশি মার্কিন পণ্যের আমদানি শুল্ক পর্যালোচনার উদ্যোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত