অনলাইন ডেস্ক
সিলিকন চিপের ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের দিন হয়তো অচিরেই শেষ হবে! বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার উন্নয়নে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে। এই প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যে গুগল সম্ভবত সবার চেয়ে এগিয়ে গেছে।
গুগল একটি নতুন চিপ উন্মোচন করেছে। তারা দাবি করছে, এই চিপ এমন সমস্যার সমাধান পাঁচ মিনিটে করতে পারে, যা বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের জন্যও ১০ সেপটিলিয়ন বছর সময় লাগবে! অর্থাৎ বর্তমান দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের সমাধান করতে যেখানে ১০,০০০, ০০০,০০০, ০০০,০০০, ০০০,০০০, ০০০ বছর লাগবে, সেখানে গুগলের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেটি মাত্র ৫ মিনিটে করে দিতে পারবে।
এই চিপটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে সর্ব সাম্প্রতিক উন্নয়ন। কণা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলো ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চলছে। এটিই হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
গুগল তাদের নতুন কোয়ান্টাম চিপের নাম দিয়েছে ‘উইলো’। তারা বলছে, এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ‘অগ্রগতি’ রয়েছে এবং একটি কার্যকরী, বৃহৎ পরিসরে ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইলো আপাতত পরীক্ষামূলক ডিভাইস। এর মানে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার, যা বাস্তব জীবনের সমস্যার বিস্তৃত পরিসরের সমাধান করতে পারে, তা এখনো কয়েক বছর দূরে। এতে হয়তো আরও কয়েকশ কোটি ডলার করা লাগতে পারে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করে।
পদার্থের অতি ক্ষুদ্র কণার অদ্ভুত আচরণ—বিজ্ঞানের যে শাখাকে বলে কোয়ান্টাম মেকানিক্স—সেটি ব্যবহার করে প্রচলিত ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। এই নীতির আলোকেই সাধারণ ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চলছে।
আশা করা হয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটার একদিন জটিল সমস্যাগুলোর উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত সমাধান করে দিতে পারবে। বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞান, পরিবেশ এবং ওষুধ ও টিকা শিল্পে এই কম্পিউটার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
তবে প্রাথমিকভাবে এই ধরনের কম্পিউটার খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হতে পারে। যেমন: সাধারণ কম্পিউটারে তথ্য সুরক্ষিত রাখতে যে এনক্রিপশন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেটি সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপল ঘোষণা দিয়েছিল, আই–মেসেজ চ্যাটের এনক্রিপশনকে ‘কোয়ান্টাম প্রুফ’ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়েও সেগুলো পড়া না যায়।
হার্টমুট নেভেন গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ল্যাবেই তৈরি হয়েছে উইলো। নেভেন নতুন চিপ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।
তিনি বিবিসিকে বলেন, উইলো কিছু বাস্তবসম্মত প্রয়োগে ব্যবহার করা হবে। তবে তিনি আপাতত বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন।
তবে বাণিজ্যিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহার যোগ্য চিপ বানাতে চলতি দশক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানান নেভেন।
প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো হবে যেসব ব্যবস্থার সিমুলেশন, যেখানে কোয়ান্টাম প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পারমাণবিক ফিউশন রিয়্যাক্টরের নকশা, নতুন ওষুধ তৈরি ও এর কার্যকারিতা বোঝা ইত্যাদি। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যাটারি তৈরিসহ এমন আরও অনেক কাজে কোয়ান্টাম কম্পিউটার বড় ভূমিকার রাখতে পারে।
সিলিকন চিপের ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের দিন হয়তো অচিরেই শেষ হবে! বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার উন্নয়নে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে। এই প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যে গুগল সম্ভবত সবার চেয়ে এগিয়ে গেছে।
গুগল একটি নতুন চিপ উন্মোচন করেছে। তারা দাবি করছে, এই চিপ এমন সমস্যার সমাধান পাঁচ মিনিটে করতে পারে, যা বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের জন্যও ১০ সেপটিলিয়ন বছর সময় লাগবে! অর্থাৎ বর্তমান দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের সমাধান করতে যেখানে ১০,০০০, ০০০,০০০, ০০০,০০০, ০০০,০০০, ০০০ বছর লাগবে, সেখানে গুগলের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেটি মাত্র ৫ মিনিটে করে দিতে পারবে।
এই চিপটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে সর্ব সাম্প্রতিক উন্নয়ন। কণা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলো ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চলছে। এটিই হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
গুগল তাদের নতুন কোয়ান্টাম চিপের নাম দিয়েছে ‘উইলো’। তারা বলছে, এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ‘অগ্রগতি’ রয়েছে এবং একটি কার্যকরী, বৃহৎ পরিসরে ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইলো আপাতত পরীক্ষামূলক ডিভাইস। এর মানে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার, যা বাস্তব জীবনের সমস্যার বিস্তৃত পরিসরের সমাধান করতে পারে, তা এখনো কয়েক বছর দূরে। এতে হয়তো আরও কয়েকশ কোটি ডলার করা লাগতে পারে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করে।
পদার্থের অতি ক্ষুদ্র কণার অদ্ভুত আচরণ—বিজ্ঞানের যে শাখাকে বলে কোয়ান্টাম মেকানিক্স—সেটি ব্যবহার করে প্রচলিত ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। এই নীতির আলোকেই সাধারণ ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চলছে।
আশা করা হয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটার একদিন জটিল সমস্যাগুলোর উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত সমাধান করে দিতে পারবে। বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞান, পরিবেশ এবং ওষুধ ও টিকা শিল্পে এই কম্পিউটার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
তবে প্রাথমিকভাবে এই ধরনের কম্পিউটার খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হতে পারে। যেমন: সাধারণ কম্পিউটারে তথ্য সুরক্ষিত রাখতে যে এনক্রিপশন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেটি সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপল ঘোষণা দিয়েছিল, আই–মেসেজ চ্যাটের এনক্রিপশনকে ‘কোয়ান্টাম প্রুফ’ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়েও সেগুলো পড়া না যায়।
হার্টমুট নেভেন গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ল্যাবেই তৈরি হয়েছে উইলো। নেভেন নতুন চিপ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।
তিনি বিবিসিকে বলেন, উইলো কিছু বাস্তবসম্মত প্রয়োগে ব্যবহার করা হবে। তবে তিনি আপাতত বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন।
তবে বাণিজ্যিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহার যোগ্য চিপ বানাতে চলতি দশক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানান নেভেন।
প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো হবে যেসব ব্যবস্থার সিমুলেশন, যেখানে কোয়ান্টাম প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পারমাণবিক ফিউশন রিয়্যাক্টরের নকশা, নতুন ওষুধ তৈরি ও এর কার্যকারিতা বোঝা ইত্যাদি। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যাটারি তৈরিসহ এমন আরও অনেক কাজে কোয়ান্টাম কম্পিউটার বড় ভূমিকার রাখতে পারে।
প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর নতুন বছর মানে নতুন মডেলের ইলেকট্রনিক পণ্যের সমাহার। ২০২৫ সালও এর ব্যতিক্রম হবে না। বছর জুড়ে নিত্যনতুন পণ্য উন্মোচন হলেও বিশ্বের নামীদামি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরে এক বিশেষ ইভেন্টে।
১৬ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন সাধারণ কাজের জন্য হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবটের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে চীনের রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান অ্যাগিবট। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের টেসলার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেক্কা দেবে চীন। ২০২৬ সালের মধ্যে অপটিমাস রোবট বাজারে নিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। তবে এর আগেই
১৮ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। এবার নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে কল করেই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। অর্থাৎ স্মার্টফোন ছাড়াও টেলিফোন থেকে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া যাবে। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এখন চ্যাটবটটিত
১৯ ঘণ্টা আগেশিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় শৈশব অত্যন্ত জরুরি। তবে শৈশবে স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে বিলিয়নয়ের হতে পারতেন না বলে মনে করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি কমানোর জন্য অভিভ
২০ ঘণ্টা আগে