নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন এই খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার প্রসার এবং সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত থেকে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন।
তাঁরা বলেন, বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ। পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজারের ক্রমান্বয় বৃদ্ধির এ সময়ে নিজেদের দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমেই সেই চাহিদা পূরণ এবং অত্যন্ত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাওয়া রক্ষার্থে, বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এগ্রেসিভ বিপণন ও বাজার কৌশলের সম্মুখে দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকারের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটা মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে, সামনে আমাদের দৌড়ানোর সময়। এ সময়ে শুধুমাত্র সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কমপক্ষে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর কর অব্যাহতির দাবি করছি এবং এ ব্যাপারে বেসিস সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারেও চিঠি দিয়েছে। আশা করছি সরকার স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে কর অব্যাহতির দাবি অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। এই খাতে কর অব্যাহতি মানে শুধু এটা না যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপর এই কর অব্যাহতি, এটা আসলে সমগ্র দেশের উন্নয়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সে ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবলমাত্র এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই আমি মনে করি, এই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।’
বর্তমানে চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। কর ছাড় না দিলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যেতে পারে এবং দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে বলে মনে করে এই খাত সংশ্লিষ্ট নেতারা।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এই খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের ফলেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সরকার মনে করছে এই শিল্প খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মরত পেশাজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এই খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়বে। সুতরাং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও বাধাগ্রস্ত হবে।’
আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি আমি আইএসপিএবি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা (ITES) খাতের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবারও দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক ইন্টারনেট সেবায় আমদানি নির্ভর আইএসপি সেক্টরের যন্ত্রপাতি ও ডলারের ঊর্ধ্বগতির বাস্তবতায় সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যয় বহন করে রেভিনিউয়ের ওপর ১০ শতাংশ লাভ করতে পারে না। ফলে ইন্টারনেট সার্ভিসের বিলের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ (AIT) কর আরোপে সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইন্টারনেট সার্ভিসের ওপর ১০ শতাংশ (AIT) রহিত করার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।’
ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রযুক্তি এবং আরও আনুষঙ্গিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে প্রযুক্তি খাতকে আমাদের আরও কিছুদিন বিশেষ যত্ন ও সুবিধার প্রয়োজন। কর অব্যাহতি হলো তার একটি। এর মাধ্যমে এ খাত টেকসই ও সক্ষম হয়ে উঠবে। এখনই অব্যাহতি রহিত করলে এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের বিশ্বাস সকলে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১০ মার্চ বেসিসসহ পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারকে কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। শীর্ষ আইটি বাণিজ্য সংগঠনগুলো অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলে খাতের প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি হ্রাস পেতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন এই খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার প্রসার এবং সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত থেকে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন।
তাঁরা বলেন, বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ। পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজারের ক্রমান্বয় বৃদ্ধির এ সময়ে নিজেদের দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমেই সেই চাহিদা পূরণ এবং অত্যন্ত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাওয়া রক্ষার্থে, বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এগ্রেসিভ বিপণন ও বাজার কৌশলের সম্মুখে দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকারের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটা মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে, সামনে আমাদের দৌড়ানোর সময়। এ সময়ে শুধুমাত্র সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কমপক্ষে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর কর অব্যাহতির দাবি করছি এবং এ ব্যাপারে বেসিস সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারেও চিঠি দিয়েছে। আশা করছি সরকার স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে কর অব্যাহতির দাবি অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। এই খাতে কর অব্যাহতি মানে শুধু এটা না যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপর এই কর অব্যাহতি, এটা আসলে সমগ্র দেশের উন্নয়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সে ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবলমাত্র এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই আমি মনে করি, এই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।’
বর্তমানে চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। কর ছাড় না দিলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যেতে পারে এবং দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে বলে মনে করে এই খাত সংশ্লিষ্ট নেতারা।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এই খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের ফলেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সরকার মনে করছে এই শিল্প খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মরত পেশাজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এই খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়বে। সুতরাং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও বাধাগ্রস্ত হবে।’
আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি আমি আইএসপিএবি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা (ITES) খাতের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবারও দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক ইন্টারনেট সেবায় আমদানি নির্ভর আইএসপি সেক্টরের যন্ত্রপাতি ও ডলারের ঊর্ধ্বগতির বাস্তবতায় সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যয় বহন করে রেভিনিউয়ের ওপর ১০ শতাংশ লাভ করতে পারে না। ফলে ইন্টারনেট সার্ভিসের বিলের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ (AIT) কর আরোপে সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইন্টারনেট সার্ভিসের ওপর ১০ শতাংশ (AIT) রহিত করার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।’
ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রযুক্তি এবং আরও আনুষঙ্গিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে প্রযুক্তি খাতকে আমাদের আরও কিছুদিন বিশেষ যত্ন ও সুবিধার প্রয়োজন। কর অব্যাহতি হলো তার একটি। এর মাধ্যমে এ খাত টেকসই ও সক্ষম হয়ে উঠবে। এখনই অব্যাহতি রহিত করলে এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের বিশ্বাস সকলে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১০ মার্চ বেসিসসহ পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারকে কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। শীর্ষ আইটি বাণিজ্য সংগঠনগুলো অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলে খাতের প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি হ্রাস পেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
৫ ঘণ্টা আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
৬ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
৭ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স–এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিয়ে করছে মেটার থ্রেডস। ফিচারটি এআই ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে।
১০ ঘণ্টা আগে