টি এইচ মাহির
কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সেটি সাধারণ কোনো ভাইরাল ছবি বা কারও আঁকা শিল্পকর্ম অথবা পৃথিবীর কোনো মুহূর্তের ছবি ছিল না। ছবিটি ছিল ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরের ওরিয়ন নীহারিকার ছবি। সাধারণত নাসা অথবা বিদেশি কোনো মহাকাশ সংস্থার বদৌলতে এই ধরনের ছবি আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যেসব ছবি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, সেগুলো তুলেছিলেন জুবায়ের কাওলিন নামের এ দেশের একজন অ্যাস্ট্রো-ফটোগ্রাফার! গত ২৮ অক্টোবর নিজ বাসার ছাদ থেকে নিজের তৈরি টেলিস্কোপ দিয়ে ওরিয়ন নীহারিকার ছবি তোলেন জুবায়ের। মহাকাশের অন্যতম বড় ও উজ্জ্বল এ নীহারিকার চমৎকার সব ছবি তুলে সাড়া ফেলে দেন তিনি।
ওরিয়ন নীহারিকার ছবি চার ঘণ্টায়
মহাকাশ নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের কাছে বেশ পরিচিত নীহারিকা ওরিয়ন। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এর দৃশ্য ধারণ করতে প্রয়োজন হয় আধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপ। জুবায়ের সেই টেলিস্কোপ বানিয়েছেন নিজেই। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে তা দিয়েই তৈরি করেছেন নিজের টেলিস্কোপ। জুবায়ের বলেন, ওরিয়ন নীহারিকার ছবিটি তুলতে ৪ ঘণ্টা লেগেছিল। এটি ঢাকায় নিজ বাসার ১৩ তলার ছাদ থেকে রাত ১০টার পর তোলা।
পেশায় ফিল্মমেকার, শখে অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার
সব ধরনের আয়োজন করে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের চমৎকার সব ছবি তুললেও এটি জুবায়ের কাওলিনের শখের কাজ। পেশায় তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অ্যানিমেটর। শখ থেকে টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশের নানান বস্তুর ছবি তোলেন। শখের শুরু ছোটবেলা থেকে। কল্পবিজ্ঞান এবং মহাকাশ সম্পর্কিত টিভি শো, ডকুমেন্টারি দেখে বড় হয়েছেন।
তখন থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মে তাঁর। ১২ বছর বয়সে কার্ডবোর্ডের টিউব ও চশমার লেন্স দিয়ে প্রথম টেলিস্কোপ তৈরি করেন। সেই টেলিস্কোপ দিয়ে রাতের অদৃশ্য তারা দেখতেন আর স্বপ্নের বীজ বুনতেন—একদিন টেলিস্কোপ তৈরি করবেন।
সেটি দিয়ে মহাবিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ভিন্ন বিষয়ে হলেও মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন নিজ উদ্যোগে। বিভিন্ন বই ও জার্নাল সংগ্রহ করেছেন, ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়েছেন।
যেভাবে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরি করলেন
যে টেলিস্কোপে ধরা পড়ে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র বা নীহারিকার ছবি, সেটি তৈরি করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ২০১৯ সালে সেই পথে নামেন জুবায়ের। জানার চেষ্টা করেন কীভাবে টেলিস্কোপ দিয়ে ছবি তোলা হয়। সে অনুযায়ী টেলিস্কোপ ডিজাইন করা শুরু করেন। প্রথমে ‘থ্রিডি ক্যাড’ সফটওয়্যারে টেলিস্কোপের সব যন্ত্রাংশ ডিজাইন করেন। তারপর একটি থ্রিডি প্রিন্টার কেনেন। এই প্রিন্টার তাঁকে টেলিস্কোপের যন্ত্রপাতি প্রিন্ট করতে সহায়তা করেছে।
এরপর হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে পিভিসি পাইপ কেনা হয়। সেটি দিয়ে তৈরি করা হয় টেলিস্কোপের টিউব। সেই সঙ্গে চীনের একটি অনলাইন স্টোর থেকে কেনেন ১০২ মিলিমিটার অ্যাপারচার এবং ৯০০ মিলিমিটার ফোকাল লেন্থ অ্যাক্রোম্যাটিক ডাবলু অবজেকটিভ লেন্স। এর
সঙ্গে তিনি ব্যবহার করেন টেলিস্কোপ ট্র্যাকিং মাউন্ট এবং একটি ছোট কম্পিউটার। শহরের আলোকদূষণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করেন একটি ন্যারোব্যান্ড ফিল্টার।
টেলিস্কোপে তোলা প্রথম ছবি
২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। জুবায়েরের টেলিস্কোপের কাজ তখনো খানিকটা বাকি। কিন্তু
যা অবস্থা, তাতে ছবি তোলা যাবে। সকালে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝলেন, আংশিক সূর্যগ্রহণ চলছে। পর মুহূর্তেই আকাশের দিকে তাক করলেন নিজের তৈরি টেলিস্কোপটি। সে অবস্থায় তুলে ফেললেন আংশিক সূর্যগ্রহণের ছবি। সেটিই জুবায়েরের তোলা প্রথম ছবি।
জুবায়ের কাওলিনের কথা
‘আমাদের সুন্দর মহাবিশ্বের আরও অনেক ছবি তুলতে চাই। সেগুলো সবাইকে দেখাতে চাই।’ জানালেন জুবায়ের। শুধু তা-ই নয়, জ্যোতির্বিদ্যা এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তি নিয়ে ভবিষ্যতে
কাজের আগ্রহ আছে। সে বিষয়ে অবদান রাখতে পারাটাও তাঁর লক্ষ্য। এ ছাড়া ভবিষ্যতে টেলিস্কোপ তৈরির ওয়ার্কশপ এবং তাঁর তোলা মহাবিশ্বের বিভিন্ন ছবির প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি ইচ্ছা রয়েছে নিজের তোলা ছবিগুলো বই আকারেও প্রকাশ করার।
পড়াশোনার বিষয় হিসেবে জ্যোতির্বিদ্যা আমাদের দেশে তেমন জনপ্রিয় বিষয় নয়। জুবায়ের কাওলিনের হাত ধরে এ বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হবে অনেকের। তাঁর তোলা দারুণ সব ছবি পাবে তরুণ প্রজন্ম। সে প্রতীক্ষায় যে থাকতেই হচ্ছে।
কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সেটি সাধারণ কোনো ভাইরাল ছবি বা কারও আঁকা শিল্পকর্ম অথবা পৃথিবীর কোনো মুহূর্তের ছবি ছিল না। ছবিটি ছিল ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরের ওরিয়ন নীহারিকার ছবি। সাধারণত নাসা অথবা বিদেশি কোনো মহাকাশ সংস্থার বদৌলতে এই ধরনের ছবি আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যেসব ছবি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, সেগুলো তুলেছিলেন জুবায়ের কাওলিন নামের এ দেশের একজন অ্যাস্ট্রো-ফটোগ্রাফার! গত ২৮ অক্টোবর নিজ বাসার ছাদ থেকে নিজের তৈরি টেলিস্কোপ দিয়ে ওরিয়ন নীহারিকার ছবি তোলেন জুবায়ের। মহাকাশের অন্যতম বড় ও উজ্জ্বল এ নীহারিকার চমৎকার সব ছবি তুলে সাড়া ফেলে দেন তিনি।
ওরিয়ন নীহারিকার ছবি চার ঘণ্টায়
মহাকাশ নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের কাছে বেশ পরিচিত নীহারিকা ওরিয়ন। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এর দৃশ্য ধারণ করতে প্রয়োজন হয় আধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপ। জুবায়ের সেই টেলিস্কোপ বানিয়েছেন নিজেই। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে তা দিয়েই তৈরি করেছেন নিজের টেলিস্কোপ। জুবায়ের বলেন, ওরিয়ন নীহারিকার ছবিটি তুলতে ৪ ঘণ্টা লেগেছিল। এটি ঢাকায় নিজ বাসার ১৩ তলার ছাদ থেকে রাত ১০টার পর তোলা।
পেশায় ফিল্মমেকার, শখে অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার
সব ধরনের আয়োজন করে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের চমৎকার সব ছবি তুললেও এটি জুবায়ের কাওলিনের শখের কাজ। পেশায় তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অ্যানিমেটর। শখ থেকে টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশের নানান বস্তুর ছবি তোলেন। শখের শুরু ছোটবেলা থেকে। কল্পবিজ্ঞান এবং মহাকাশ সম্পর্কিত টিভি শো, ডকুমেন্টারি দেখে বড় হয়েছেন।
তখন থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মে তাঁর। ১২ বছর বয়সে কার্ডবোর্ডের টিউব ও চশমার লেন্স দিয়ে প্রথম টেলিস্কোপ তৈরি করেন। সেই টেলিস্কোপ দিয়ে রাতের অদৃশ্য তারা দেখতেন আর স্বপ্নের বীজ বুনতেন—একদিন টেলিস্কোপ তৈরি করবেন।
সেটি দিয়ে মহাবিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ভিন্ন বিষয়ে হলেও মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন নিজ উদ্যোগে। বিভিন্ন বই ও জার্নাল সংগ্রহ করেছেন, ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়েছেন।
যেভাবে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরি করলেন
যে টেলিস্কোপে ধরা পড়ে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র বা নীহারিকার ছবি, সেটি তৈরি করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ২০১৯ সালে সেই পথে নামেন জুবায়ের। জানার চেষ্টা করেন কীভাবে টেলিস্কোপ দিয়ে ছবি তোলা হয়। সে অনুযায়ী টেলিস্কোপ ডিজাইন করা শুরু করেন। প্রথমে ‘থ্রিডি ক্যাড’ সফটওয়্যারে টেলিস্কোপের সব যন্ত্রাংশ ডিজাইন করেন। তারপর একটি থ্রিডি প্রিন্টার কেনেন। এই প্রিন্টার তাঁকে টেলিস্কোপের যন্ত্রপাতি প্রিন্ট করতে সহায়তা করেছে।
এরপর হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে পিভিসি পাইপ কেনা হয়। সেটি দিয়ে তৈরি করা হয় টেলিস্কোপের টিউব। সেই সঙ্গে চীনের একটি অনলাইন স্টোর থেকে কেনেন ১০২ মিলিমিটার অ্যাপারচার এবং ৯০০ মিলিমিটার ফোকাল লেন্থ অ্যাক্রোম্যাটিক ডাবলু অবজেকটিভ লেন্স। এর
সঙ্গে তিনি ব্যবহার করেন টেলিস্কোপ ট্র্যাকিং মাউন্ট এবং একটি ছোট কম্পিউটার। শহরের আলোকদূষণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করেন একটি ন্যারোব্যান্ড ফিল্টার।
টেলিস্কোপে তোলা প্রথম ছবি
২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। জুবায়েরের টেলিস্কোপের কাজ তখনো খানিকটা বাকি। কিন্তু
যা অবস্থা, তাতে ছবি তোলা যাবে। সকালে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝলেন, আংশিক সূর্যগ্রহণ চলছে। পর মুহূর্তেই আকাশের দিকে তাক করলেন নিজের তৈরি টেলিস্কোপটি। সে অবস্থায় তুলে ফেললেন আংশিক সূর্যগ্রহণের ছবি। সেটিই জুবায়েরের তোলা প্রথম ছবি।
জুবায়ের কাওলিনের কথা
‘আমাদের সুন্দর মহাবিশ্বের আরও অনেক ছবি তুলতে চাই। সেগুলো সবাইকে দেখাতে চাই।’ জানালেন জুবায়ের। শুধু তা-ই নয়, জ্যোতির্বিদ্যা এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তি নিয়ে ভবিষ্যতে
কাজের আগ্রহ আছে। সে বিষয়ে অবদান রাখতে পারাটাও তাঁর লক্ষ্য। এ ছাড়া ভবিষ্যতে টেলিস্কোপ তৈরির ওয়ার্কশপ এবং তাঁর তোলা মহাবিশ্বের বিভিন্ন ছবির প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি ইচ্ছা রয়েছে নিজের তোলা ছবিগুলো বই আকারেও প্রকাশ করার।
পড়াশোনার বিষয় হিসেবে জ্যোতির্বিদ্যা আমাদের দেশে তেমন জনপ্রিয় বিষয় নয়। জুবায়ের কাওলিনের হাত ধরে এ বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হবে অনেকের। তাঁর তোলা দারুণ সব ছবি পাবে তরুণ প্রজন্ম। সে প্রতীক্ষায় যে থাকতেই হচ্ছে।
প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর নতুন বছর মানে নতুন মডেলের ইলেকট্রনিক পণ্যের সমাহার। ২০২৫ সালও এর ব্যতিক্রম হবে না। বছর জুড়ে নিত্যনতুন পণ্য উন্মোচন হলেও বিশ্বের নামীদামি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরে এক বিশেষ ইভেন্টে।
১ দিন আগেদৈনন্দিন সাধারণ কাজের জন্য হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবটের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে চীনের রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান অ্যাগিবট। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের টেসলার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেক্কা দেবে চীন। ২০২৬ সালের মধ্যে অপটিমাস রোবট বাজারে নিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। তবে এর আগেই
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। এবার নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে কল করেই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। অর্থাৎ স্মার্টফোন ছাড়াও টেলিফোন থেকে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া যাবে। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এখন চ্যাটবটটিত
১ দিন আগেশিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় শৈশব অত্যন্ত জরুরি। তবে শৈশবে স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে বিলিয়নয়ের হতে পারতেন না বলে মনে করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি কমানোর জন্য অভিভ
১ দিন আগে