Ajker Patrika

আইফোনে নিষেধাজ্ঞা তুলতে ইন্দোনেশিয়ায় ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যাপল

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ১০
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে আইফোন ১৬ এর বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয় ইন্দোনেশিয়া। ছবি: আইফিউচার অ্যাপল স্টোর
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে আইফোন ১৬ এর বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয় ইন্দোনেশিয়া। ছবি: আইফিউচার অ্যাপল স্টোর

ইন্দোনেশিয়ায় স্মার্টফোন এবং অন্যান্য পণ্যের উপাদান উৎপাদনের জন্য ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। গত বৃহস্পতিবার দেশটির বিনিয়োগ মন্ত্রী রোসান রোসলানি এ ঘোষণা দিয়েছেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া সরকারের আরোপিত আইফোন ১৬-এর বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে অ্যাপল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

রোসান রোসলানি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ ঠিক ১০০ কোটি ডলার।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে আইফোন ১৬ এর বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয় ইন্দোনেশিয়া। দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বিদেশি কোনো কোম্পানি যদি তাদের পণ্য দেশটিতে বিক্রি করতে চায়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই পণ্য প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা উপাদান কিনতে হবে। তবে এ আইন মেনে চলেনি অ্যাপল ও গুগল। তাই গত মাসে আইফোন ১৬ ও পিক্সেল ফোন বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইন্দোনেশিয়া।

এ সপ্তাহে দেশটির সরকার জানায়, তারা স্থানীয় উপাদানের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

রোসলানি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আগামী সপ্তাহে পুরো বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। গত সপ্তাহে অ্যাপল ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলারের একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব পাঠালে সরকার তা গ্রহণ করেনি। কারণ তা আইফোন ১৬ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যথেষ্ট নয়।

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের কোনো উৎপাদন কারখানা নেই। তবে ২০১৮ সাল থেকে দেশটি অ্যাপল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। অ্যাপল এখন পর্যন্ত দেশের ডেভেলপার অ্যাকাডেমি মাধ্যমে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন রুপিয়া বিনিয়োগ করেছে। তবে অ্যাপল ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন রুপিয়া বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়া মনে করে, অ্যাপলের এই উদ্যোগ পুরোনো আইফোন মডেলের বিক্রি চালু রাখতে স্থানীয় উপাদানের চাহিদা পূরণের চেষ্টা।

তবে বিষয়টি নিয়ে অ্যাপল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এ ছাড়া, সাধারণত প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় অংশীদারত্ব বা স্থানীয় উপাদান সরবরাহকারীদের মাধ্যমে স্থানীয় উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নবরাত্রির জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষা, পিরিয়ডের কারণে পালন করতে না পেরে আত্মহত্যা

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির আপত্তি ও শর্ত

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খই-মুড়ির মতো বোমা ফুটছে জাজিরায়

চুরির অপবাদে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন ছাত্রদল নেতার, টাকা দিয়ে মুক্তি

সারা দেশে ৩২৯ উপজেলায় হচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: মহাপরিচালক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত