অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা কণ্ঠের মিথস্ক্রিয়ায় নতুন গান তৈরি হচ্ছে দেদারসে। সেলিব্রিটিদের কণ্ঠ নকল করে ইউটিউব ও টিকটকে এসব মিউজিক ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু এমন কৌশলে এসব তৈরি শুধু শুনে বুঝা যাবে না যে এগুলো এআই দিয়ে তৈরি। যেমন– ডুয়া লিপার গানে আরিয়ানা গ্রান্ডের কণ্ঠ বা ড্রেকের সঙ্গে উইকেন্ডের দ্বৈত (ডুয়েট) গান।
এসব গানকে অনেকেই সংগীতের নতুন জনরা বা ধরণ হিসেবে অভিহিত করছেন। এসব গানের পক্ষে–বিপক্ষে নানা মত আছে। নানা ধরনের গান নিয়ে দ্রুত ও সহজে ফিউশন তৈরি করা যায় বলে নতুন কম্পোজারদের কাছে এআই আকর্ষণীয়। যাদের সংগীত বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তাদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। তবে অনেকের আগ্রহের বড় কারণ, এসব ফিউশন ছেড়ে অর্থ উপার্জনও করা যায়। সেই কারণে প্রকৃত কণ্ঠশিল্পীদের স্বীকৃতি ও সম্মানি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় হুমকি তৈরি করছে। এই দিক থেকে এআইসৃষ্ট সংগীতে বড় সমালোচনা আছে।
ইউটিউবে এআইভিত্তিক গান তৈরির অনেক চ্যানেল রয়েছে। শ্রোতাদের অনুরোধের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সেলিব্রেটির কণ্ঠ নকল করে গান তৈরি হচ্ছে। এসব গানের ভাণ্ডার এত বড় যে, শিল্পীরা ধরতেই পাচ্ছেন না তাদের কণ্ঠ কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ইউটিউব বা টিকটকের চ্যানেলগুলো লাভবান হচ্ছে। কিন্তু শিল্পীরা তাদের সম্মানি পাচ্ছেন না, কপিরাইট বা স্বত্ত্ব লঙ্ঘন হচ্ছে।
গত এপ্রিলে ঘোস্টরাইটার ছদ্মনামে একজন এআই টুল ব্যবহার করে ড্রেক ও দ্য উইকেন্ডের কণ্ঠ নকল করে ‘হার্ট ওন মাই স্লিভ’ শিরোনামে গান তৈরি করেন। সেটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। শ্রোতারা ভেবে নেন, এই দুই শিল্পী একসঙ্গে গান করেছেন। যদিও এই গান তৈরিতে ড্রেক ও উইকেন্ডের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
তবে এআই ব্যবহার করে ‘ফ্যান জেনারেটেড মিউজিক’ বা ভক্তদের তৈরি সংগীতে শিল্পীদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন ঘোস্টরাইটার। কোন যুক্তিতে তিনি তার এই অবস্থান, তা ম্যাশাবলের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
ঘোস্টরাইটার বলেন, এই ধরনের গানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এআইভিত্তিক ‘ফ্যান জেনারেটেড মিউজিকে’ শিল্পীদের জনপ্রিয়তা বাড়বে। এতে তাদের আয়ের উৎস বাড়বে। কারণ শিল্পীরা চাইলে তাদের কণ্ঠের জন্য এআইভিত্তিক কম্পোজারদের কাছ থেকে আয়ের ভাগ চাইতে পারেন।
ঘোস্টরাইটারের আরও বলেন, তার তৈরি গানের লিরিক বা কথা নিজের। অনেক গুণী লিরিসিস্ট বা গীতিকার আছেন, যাদের লেখা গান প্রচার পায় না। কিন্তু এআইয়ের মাধ্যমে বিখ্যাত শিল্পীদের কণ্ঠ ব্যবহার করে তাঁরা প্রচার বাড়াতে পারেন।
তবে সব শিল্পী যে সংগীতে এআই ব্যবহার করার বিরোধী, তা নয়। কেউ কেউ এর মধ্যেই তাদের কণ্ঠ ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে আয়ও করছেন। এমনই একজন কানাডিয়ান পপ গায়ক গ্রাইমজ। তিনি এআই ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠ নকলের অনুমতি দিয়েছেন।
গ্রাইমজ বলেন, ‘আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে এআই দিয়ে তৈরি কোনো গান সফল হলে, তা থেকে আমি ৫০ শতাংশ রয়্যালিটি বা স্বত্ত্ব পাব।’
তবে জেনারেটিভ এআইয়ের দ্রুত বিকাশে যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। এআইসৃষ্ট নকল কণ্ঠের ছড়াছড়ি বন্ধে গত বৃহস্পতিবার বিল পাস হয়েছে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা ও অন্যান্য পারফরমারদের জন্য এই আইন করা হয়।
সব ক্ষেত্রেই এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। তাই সংগীতাঙ্গনে এর ব্যবহার হবে, তা স্বাভাবিক। তবে এই প্রযুক্তির বিকাশে যেন শিল্পী, কম্পোজার ও শ্রোতা– সব পক্ষই লাভবান হয়, সেজন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা দরকার।
কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা কণ্ঠের মিথস্ক্রিয়ায় নতুন গান তৈরি হচ্ছে দেদারসে। সেলিব্রিটিদের কণ্ঠ নকল করে ইউটিউব ও টিকটকে এসব মিউজিক ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু এমন কৌশলে এসব তৈরি শুধু শুনে বুঝা যাবে না যে এগুলো এআই দিয়ে তৈরি। যেমন– ডুয়া লিপার গানে আরিয়ানা গ্রান্ডের কণ্ঠ বা ড্রেকের সঙ্গে উইকেন্ডের দ্বৈত (ডুয়েট) গান।
এসব গানকে অনেকেই সংগীতের নতুন জনরা বা ধরণ হিসেবে অভিহিত করছেন। এসব গানের পক্ষে–বিপক্ষে নানা মত আছে। নানা ধরনের গান নিয়ে দ্রুত ও সহজে ফিউশন তৈরি করা যায় বলে নতুন কম্পোজারদের কাছে এআই আকর্ষণীয়। যাদের সংগীত বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তাদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। তবে অনেকের আগ্রহের বড় কারণ, এসব ফিউশন ছেড়ে অর্থ উপার্জনও করা যায়। সেই কারণে প্রকৃত কণ্ঠশিল্পীদের স্বীকৃতি ও সম্মানি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় হুমকি তৈরি করছে। এই দিক থেকে এআইসৃষ্ট সংগীতে বড় সমালোচনা আছে।
ইউটিউবে এআইভিত্তিক গান তৈরির অনেক চ্যানেল রয়েছে। শ্রোতাদের অনুরোধের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সেলিব্রেটির কণ্ঠ নকল করে গান তৈরি হচ্ছে। এসব গানের ভাণ্ডার এত বড় যে, শিল্পীরা ধরতেই পাচ্ছেন না তাদের কণ্ঠ কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ইউটিউব বা টিকটকের চ্যানেলগুলো লাভবান হচ্ছে। কিন্তু শিল্পীরা তাদের সম্মানি পাচ্ছেন না, কপিরাইট বা স্বত্ত্ব লঙ্ঘন হচ্ছে।
গত এপ্রিলে ঘোস্টরাইটার ছদ্মনামে একজন এআই টুল ব্যবহার করে ড্রেক ও দ্য উইকেন্ডের কণ্ঠ নকল করে ‘হার্ট ওন মাই স্লিভ’ শিরোনামে গান তৈরি করেন। সেটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। শ্রোতারা ভেবে নেন, এই দুই শিল্পী একসঙ্গে গান করেছেন। যদিও এই গান তৈরিতে ড্রেক ও উইকেন্ডের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
তবে এআই ব্যবহার করে ‘ফ্যান জেনারেটেড মিউজিক’ বা ভক্তদের তৈরি সংগীতে শিল্পীদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন ঘোস্টরাইটার। কোন যুক্তিতে তিনি তার এই অবস্থান, তা ম্যাশাবলের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
ঘোস্টরাইটার বলেন, এই ধরনের গানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এআইভিত্তিক ‘ফ্যান জেনারেটেড মিউজিকে’ শিল্পীদের জনপ্রিয়তা বাড়বে। এতে তাদের আয়ের উৎস বাড়বে। কারণ শিল্পীরা চাইলে তাদের কণ্ঠের জন্য এআইভিত্তিক কম্পোজারদের কাছ থেকে আয়ের ভাগ চাইতে পারেন।
ঘোস্টরাইটারের আরও বলেন, তার তৈরি গানের লিরিক বা কথা নিজের। অনেক গুণী লিরিসিস্ট বা গীতিকার আছেন, যাদের লেখা গান প্রচার পায় না। কিন্তু এআইয়ের মাধ্যমে বিখ্যাত শিল্পীদের কণ্ঠ ব্যবহার করে তাঁরা প্রচার বাড়াতে পারেন।
তবে সব শিল্পী যে সংগীতে এআই ব্যবহার করার বিরোধী, তা নয়। কেউ কেউ এর মধ্যেই তাদের কণ্ঠ ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে আয়ও করছেন। এমনই একজন কানাডিয়ান পপ গায়ক গ্রাইমজ। তিনি এআই ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠ নকলের অনুমতি দিয়েছেন।
গ্রাইমজ বলেন, ‘আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে এআই দিয়ে তৈরি কোনো গান সফল হলে, তা থেকে আমি ৫০ শতাংশ রয়্যালিটি বা স্বত্ত্ব পাব।’
তবে জেনারেটিভ এআইয়ের দ্রুত বিকাশে যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। এআইসৃষ্ট নকল কণ্ঠের ছড়াছড়ি বন্ধে গত বৃহস্পতিবার বিল পাস হয়েছে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা ও অন্যান্য পারফরমারদের জন্য এই আইন করা হয়।
সব ক্ষেত্রেই এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। তাই সংগীতাঙ্গনে এর ব্যবহার হবে, তা স্বাভাবিক। তবে এই প্রযুক্তির বিকাশে যেন শিল্পী, কম্পোজার ও শ্রোতা– সব পক্ষই লাভবান হয়, সেজন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা দরকার।
টাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের অনুমোদন পেল ইলন মাস্কের নিউরো প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। কানাডায় মানব ট্রায়াল চালানোর জন্য অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ার জন্য ‘প্রথম এবং একমাত্র সার্জিক্যাল সাইট’ হবে কানাডার টরন্টো ওয়েস্
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
১ দিন আগে