কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
কৃষকদের মধ্যে ভরসার জায়গা তৈরি করে তাঁদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয় অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য চুকিয়ে ক্রেতাদের কাছে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় যাত্রা শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মের। ২০২১ সালের মে থেকে প্রতিষ্ঠা-প্রক্রিয়া শুরু হয় অ্যাগ্রো শিফট অ্যান্ড টেকনোলজি নামের প্রতিষ্ঠানটির। ২০২২ সালের মার্চে অফিশিয়ালি কাজ শুরুর পর অক্টোবরে প্রথম বিনিয়োগ পায়। একই বছরের নভেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরই কনজ্যুমার টেকনোলজিতে বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’-এ সেরা সাত তরুণের তালিকায় নাম লেখান প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা দীপ্ত সাহা।
প্রকৌশলী না হয়ে কৃষি উদ্যোক্তা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে লেখাপড়া শেষ করেন। এরপর হুট করেই ব্যবসা করার চিন্তা মাথায় আসে নেত্রকোনার ছেলে দীপ্তর। ২০১৮ সালে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে ১১ মাস কাজ করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইএলওর একটি প্রকল্পে। এরপর প্রথমে গরুর দুধ আর মাংস নিয়ে একটি সাপ্লাই চেইন তৈরির চেষ্টা করেন। দুধ কিনে তা মিষ্টির দোকানের কাছে বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি। তাতে সফল হতে পারেননি। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থেকে দীপ্ত বুঝতে পারেন, কেনার পর টন টন কৃষিপণ্য বিক্রি করার বড় বাজার না থাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। প্রথমটি হলো, দেশের আড়তগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে পারাটা কষ্টসাধ্য বিষয় এবং দ্বিতীয়টি সুপারশপের সংখ্যা কম থাকা। একই সমস্যার কথা তিনি জানতে পারেন অন্যান্য উদ্যোক্তার কাছেও।
এ সময় একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করার সুযোগ আসে দীপ্তর। তিনি খেয়াল করেন, পোশাক কারখানার বাইরে সারি সারি ভ্যান। কাজ শেষে প্রায় সবাই কম দামে ভ্যান থেকে সবজি কিনে বাসায় ফিরছেন। ফলে সেই সব ভ্যান থেকে মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। তিনি পণ্যের উৎস আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই মডেলে একটি চেইন তৈরি করার কথা চিন্তা করতে থাকেন।
২০২২ সালে এইচএনএম ও ব্র্যাক আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় দীপ্ত সেরা ছয়জনের একজন নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের কিছু বড় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ পান। তখনই বুঝতে পারেন, কিছু একটা করা সম্ভব। ভাবতে ভাবতে মূলত কৃষিপণ্য বিক্রির সমস্যা সমাধানের চেষ্টা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজির। এই প্রতিষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও দুজন। তাঁরা হলেন কাজী বুলান্দ মুসাব্বির, ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার; রামিজ হক, কো-ফাউন্ডার ও দীপ্ত সাহা, কো-ফাউন্ডার। অ্যাগ্রো শিফট বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোতে ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
কৃষকের সঙ্গে শ্রমিকের সম্পর্ক
কৃষকদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রথমেই তাঁদের ভরসার জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে দীপ্ত ও তাঁর টিমকে। অনেক লম্বা সময় তাঁদের সঙ্গে চলতে হয়েছে, বুঝতে হয়েছে তাঁদের ভাষা। তিনি গভীরভাবে বুঝতে পারেন, কৃষক নিজের ফসল একসঙ্গে বিক্রি করে পুরো টাকা হাতে পেতে চান। নির্দিষ্ট দিন পর পর তাঁদের টাকা দেওয়া হবে, সেই ব্যবস্থায় তাঁরা আস্থা ও স্বস্তি কোনোটাই পান না। অ্যাগ্রো শিফট যেহেতু চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করে, তাই তারা কৃষকদের সম্পূর্ণ ফসল একবারেই কিনে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় দীপ্ত ও তাঁর টিম ধীরে ধীরে কৃষকদের ভরসার জায়গা হয়ে ওঠেন। আর এভাবেই কৃষকের সঙ্গে শ্রমিকের একটা যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন, পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রমিকেরা পাচ্ছেন কম দামে ভালো পণ্য।
অ্যাগ্রো শিফটের পণ্য
কিছু কিছু জায়গায় এমনও মানুষ আছে, যারা এলপিজি গ্যাসের টাকা বাঁচানোর জন্য এক বিশেষ ধরনের চালের ভাত খায়, যা সেদ্ধ হতে কম গ্যাস খরচ হয়। অ্যাগ্রো শিফট সেসব জায়গায় সেই বিশেষ ধরনের চালই বিক্রি করে থাকে। এভাবে অনেক পণ্যের উৎস আর চাহিদা চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি বর্তমানে তিন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করছে। একটি মাসের বাজার, যেখানে থাকে চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, আলু, পেঁয়াজ; অন্যটি বিভিন্ন ফল ও সবজি এবং আরেকটি হলো গরু ও খাসির মাংস। এই পণ্যের সঙ্গে মাছ-মুরগিও যুক্ত করতে চায় তারা। সাভার, গাজীপুর, ভালুকার আশপাশের এলাকা থেকে তারা কৃষিপণ্যগুলো সংগ্রহ করে থাকে।
বাংলাদেশে যতগুলো ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা আছে, এর সব কটিই ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসছে। ইতিমধ্যে যোগাযোগ, খাদ্যসহ অনেক ব্যবসায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। কৃষিপণ্যের বাজারও তার বাইরে নয় বলে মনে করেন দীপ্ত। যখন অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি শুরু হয়, তখন কৃষিপণ্যের তেমন বড় কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না। এখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা–দুটি পাওয়া কঠিন ছিল, পণ্য পরিবহন ছিল আরও কঠিন। এই পুরো ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করতে তাঁদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কঠিন কাজে মানুষ কম আসে। অ্যাগ্রো শিফট সে কাজটিই করছে।
শুধু ঢাকায় নয়
শুধু ঢাকা শহরে আবদ্ধ থাকতে চান না দীপ্ত। অ্যাগ্রো শিফটের কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান পুরো দেশে। ছোট ছোট জায়গা তৈরি করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে অ্যাগ্রো শিফট। ক্রেতা আগের দিন অর্ডার করে পরের দিনই কাঙ্ক্ষিত পণ্য পেয়ে যাবেন হাতে। বেশি পরিমাণে কিনে কম দামে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করবেন তাঁরা। কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে ডিজিটাল পেমেন্ট।
মাটির কাছাকাছি
মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করতে পারাটাকে এই প্রকল্পের ‘সবচেয়ে ভালো লাগা’র দিক হিসেবে উল্লেখ করেন দীপ্ত। ফোর্বসের এই সম্মাননা যেমন তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি দিয়েছে, তেমনি সেই মানুষগুলোকেও একটা সম্মান দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তৃপ্তি নিয়ে দীপ্ত বলেছেন, ‘আমরা সেই সব মানুষের সঙ্গে কাজ করছি, যাঁদের গল্পগুলো কেউ তেমন জানে না।’
কৃষকদের মধ্যে ভরসার জায়গা তৈরি করে তাঁদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয় অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য চুকিয়ে ক্রেতাদের কাছে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় যাত্রা শুরু হয় এই প্ল্যাটফর্মের। ২০২১ সালের মে থেকে প্রতিষ্ঠা-প্রক্রিয়া শুরু হয় অ্যাগ্রো শিফট অ্যান্ড টেকনোলজি নামের প্রতিষ্ঠানটির। ২০২২ সালের মার্চে অফিশিয়ালি কাজ শুরুর পর অক্টোবরে প্রথম বিনিয়োগ পায়। একই বছরের নভেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরই কনজ্যুমার টেকনোলজিতে বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’-এ সেরা সাত তরুণের তালিকায় নাম লেখান প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা দীপ্ত সাহা।
প্রকৌশলী না হয়ে কৃষি উদ্যোক্তা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে লেখাপড়া শেষ করেন। এরপর হুট করেই ব্যবসা করার চিন্তা মাথায় আসে নেত্রকোনার ছেলে দীপ্তর। ২০১৮ সালে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে ১১ মাস কাজ করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইএলওর একটি প্রকল্পে। এরপর প্রথমে গরুর দুধ আর মাংস নিয়ে একটি সাপ্লাই চেইন তৈরির চেষ্টা করেন। দুধ কিনে তা মিষ্টির দোকানের কাছে বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি। তাতে সফল হতে পারেননি। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থেকে দীপ্ত বুঝতে পারেন, কেনার পর টন টন কৃষিপণ্য বিক্রি করার বড় বাজার না থাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। প্রথমটি হলো, দেশের আড়তগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে পারাটা কষ্টসাধ্য বিষয় এবং দ্বিতীয়টি সুপারশপের সংখ্যা কম থাকা। একই সমস্যার কথা তিনি জানতে পারেন অন্যান্য উদ্যোক্তার কাছেও।
এ সময় একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করার সুযোগ আসে দীপ্তর। তিনি খেয়াল করেন, পোশাক কারখানার বাইরে সারি সারি ভ্যান। কাজ শেষে প্রায় সবাই কম দামে ভ্যান থেকে সবজি কিনে বাসায় ফিরছেন। ফলে সেই সব ভ্যান থেকে মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। তিনি পণ্যের উৎস আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই মডেলে একটি চেইন তৈরি করার কথা চিন্তা করতে থাকেন।
২০২২ সালে এইচএনএম ও ব্র্যাক আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় দীপ্ত সেরা ছয়জনের একজন নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের কিছু বড় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ পান। তখনই বুঝতে পারেন, কিছু একটা করা সম্ভব। ভাবতে ভাবতে মূলত কৃষিপণ্য বিক্রির সমস্যা সমাধানের চেষ্টা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজির। এই প্রতিষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও দুজন। তাঁরা হলেন কাজী বুলান্দ মুসাব্বির, ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার; রামিজ হক, কো-ফাউন্ডার ও দীপ্ত সাহা, কো-ফাউন্ডার। অ্যাগ্রো শিফট বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোতে ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
কৃষকের সঙ্গে শ্রমিকের সম্পর্ক
কৃষকদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রথমেই তাঁদের ভরসার জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে দীপ্ত ও তাঁর টিমকে। অনেক লম্বা সময় তাঁদের সঙ্গে চলতে হয়েছে, বুঝতে হয়েছে তাঁদের ভাষা। তিনি গভীরভাবে বুঝতে পারেন, কৃষক নিজের ফসল একসঙ্গে বিক্রি করে পুরো টাকা হাতে পেতে চান। নির্দিষ্ট দিন পর পর তাঁদের টাকা দেওয়া হবে, সেই ব্যবস্থায় তাঁরা আস্থা ও স্বস্তি কোনোটাই পান না। অ্যাগ্রো শিফট যেহেতু চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করে, তাই তারা কৃষকদের সম্পূর্ণ ফসল একবারেই কিনে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় দীপ্ত ও তাঁর টিম ধীরে ধীরে কৃষকদের ভরসার জায়গা হয়ে ওঠেন। আর এভাবেই কৃষকের সঙ্গে শ্রমিকের একটা যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন, পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রমিকেরা পাচ্ছেন কম দামে ভালো পণ্য।
অ্যাগ্রো শিফটের পণ্য
কিছু কিছু জায়গায় এমনও মানুষ আছে, যারা এলপিজি গ্যাসের টাকা বাঁচানোর জন্য এক বিশেষ ধরনের চালের ভাত খায়, যা সেদ্ধ হতে কম গ্যাস খরচ হয়। অ্যাগ্রো শিফট সেসব জায়গায় সেই বিশেষ ধরনের চালই বিক্রি করে থাকে। এভাবে অনেক পণ্যের উৎস আর চাহিদা চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি বর্তমানে তিন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করছে। একটি মাসের বাজার, যেখানে থাকে চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, আলু, পেঁয়াজ; অন্যটি বিভিন্ন ফল ও সবজি এবং আরেকটি হলো গরু ও খাসির মাংস। এই পণ্যের সঙ্গে মাছ-মুরগিও যুক্ত করতে চায় তারা। সাভার, গাজীপুর, ভালুকার আশপাশের এলাকা থেকে তারা কৃষিপণ্যগুলো সংগ্রহ করে থাকে।
বাংলাদেশে যতগুলো ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা আছে, এর সব কটিই ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসছে। ইতিমধ্যে যোগাযোগ, খাদ্যসহ অনেক ব্যবসায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। কৃষিপণ্যের বাজারও তার বাইরে নয় বলে মনে করেন দীপ্ত। যখন অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজি শুরু হয়, তখন কৃষিপণ্যের তেমন বড় কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না। এখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা–দুটি পাওয়া কঠিন ছিল, পণ্য পরিবহন ছিল আরও কঠিন। এই পুরো ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করতে তাঁদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কঠিন কাজে মানুষ কম আসে। অ্যাগ্রো শিফট সে কাজটিই করছে।
শুধু ঢাকায় নয়
শুধু ঢাকা শহরে আবদ্ধ থাকতে চান না দীপ্ত। অ্যাগ্রো শিফটের কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান পুরো দেশে। ছোট ছোট জায়গা তৈরি করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে অ্যাগ্রো শিফট। ক্রেতা আগের দিন অর্ডার করে পরের দিনই কাঙ্ক্ষিত পণ্য পেয়ে যাবেন হাতে। বেশি পরিমাণে কিনে কম দামে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করবেন তাঁরা। কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে ডিজিটাল পেমেন্ট।
মাটির কাছাকাছি
মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করতে পারাটাকে এই প্রকল্পের ‘সবচেয়ে ভালো লাগা’র দিক হিসেবে উল্লেখ করেন দীপ্ত। ফোর্বসের এই সম্মাননা যেমন তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি দিয়েছে, তেমনি সেই মানুষগুলোকেও একটা সম্মান দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তৃপ্তি নিয়ে দীপ্ত বলেছেন, ‘আমরা সেই সব মানুষের সঙ্গে কাজ করছি, যাঁদের গল্পগুলো কেউ তেমন জানে না।’
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সিমিলার ওয়েবের মতে, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের দিক থেকে থ্রেডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে ব্লুস্কাই। বর্তমানে ব্লুস্কাইয়ের অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ। এরপরেই রয়েছে থ্রেডস।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
১ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১ দিন আগে