
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেমইনুল হাসান, ফ্রান্স

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
৮ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
৯ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে