আইফোন ১৫: যা থাকছে, যা থাকছে না

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ১৪

গত সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৪ সিরিজ উন্মোচন করেছে অ্যাপল। আইফোনের ১৫ সিরিজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। অ্যাপলের নতুন সিরিজ সম্পর্কে একাধিক তথ্যও অনলাইনে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। আইফোনের নতুন এই সিরিজে কি কি সুবিধা থাকছে বা থাকছে না তা প্রকাশ পেয়েছে। নতুন আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো এবং প্রো ম্যাক্স সংস্করণে ভলিউম এবং পাওয়ার বাটন নাও থাকতে পারে বলে প্রযুক্তি বিষয়ক পোর্টালগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

নাইনটুম্যাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভলিউম এবং পাওয়ার বাটনের বদলে আসতে পারে ‘সলিড-স্টেট বাটন’ ও ‘হ্যাপটিক ফিডব্যাক’ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমেই ভলিউম ও পাওয়ার কন্ট্রোল করতে হবে। জনপ্রিয় অ্যাপল প্রোডাক্ট বিশ্লেষক মিং-চি কুও বলেন, ‘অ্যাপলের আইফোন ১৫ প্রো এবং ১৫ প্রো ম্যাক্সে সলিড-স্টেট পাওয়ার এবং ভলিউম রকার বাটন এর দেখা পাওয়া যাবে। বর্তমান প্রজন্মের আইফোনে একটি ফিজিক্যাল বাটন রয়েছে। নতুন সলিড-স্টেট বাটনের ডিজাইন আইফোন ৭ এবং ৮-এর ‘হোম বাটন’ ডিজাইনের মতো হবে।’ 

এক টুইটে কুও বলেন, ‘আইফোনের আসন্ন মডেল দুটির ডান ও বাম পাশে দুটি ট্যাপটিক ইঞ্জিন যোগ করবে অ্যাপল। ফিজিক্যাল পাওয়ার এবং ভলিউম বাটন অপসারণ করা হলে পানি ও ধুলোময়লা জমবে না, যার ফলে নতুন আইফোন আরও টেকসই হবে।’

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ল্যাশগিয়ারের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোন ১৫ প্রোতে থাকবে ১২ মেগাপিক্সেলের ফাইভএক্স পেরিস্কোপ ক্যামেরা। প্রযুক্তি বিশ্লেষক জেফ পু বলেন, ‘আইফোন ১৫ এবং আইফোন ১৫ প্লাস এ ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল ক্যামেরায় থাকতে পারে একটি নতুন ৪৮-মেগাপিক্সেল থ্রি-স্ট্যাকড সেন্সর। এ ছাড়া আইফোন ১৫ প্রো মডেলে থাকবে পেরিস্কোপ লেন্স, যার জুম ফাইভএক্স অপটিক্যাল।’

পু আরও জানিয়েছেন, মূলত আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো মডেলগুলোতেই থাকতে পারে এ ফাইভএক্স পেরিস্কোপ লেন্স। এ সিরিজে দুটি প্রো মডেল থাকবে—আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স। এই বিশ্লেষকের দাবি অনুযায়ী, অ্যাপল এ নিয়ে চীনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘লান্তে অপটিকস’ এর সঙ্গে আলোচনা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানই আইফোনের নতুন মডেলের পেরিস্কোপ লেন্সের মূল সরবরাহকারী হতে চলেছে। 

আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে তাইওয়ানভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিএসএমসির উৎপাদিত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির ‘অ্যাপল-এ১৭’ চিপ ব্যবহার করা হবে বলেও শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া আইফোনের নতুন সিরিজের চার্জিংয়ে থাকতে পারে ইউএসবি টাইপ-সি প্রযুক্তি। 

‘কাস্টমাইজড চার্জিং পোর্ট’ ব্যবহার করে থাকে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপল অন্যতম। কোম্পানিটি তাদের আইফোনের জন্য বিশেষ ধরনের চার্জার ব্যবহার করে থাকে। তবে অ্যাপল সর্বজনীন কেবল ব্যবহার না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে নতুন ডিভাইস বিক্রি করতে পারবে না। 

এর আগে মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ফোনগুলোর জন্য সর্বজনীন চার্জিং কেবল তৈরি করতে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আলাদা ফোনের জন্য আলাদা ধরনের চার্জিং কেবলের ঝামেলায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত