অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় গত বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর হওয়া আয়ের হিসাবে। এদিকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক সময় ব্যক্তির অজান্তেই তার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু বদল এনেছে। এতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো বিপাকে পড়তে পারে।
করোনা মহামারির এই সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের অনেকের মধ্যেই নজরদারির আওতায় পড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। এ ভয় অমূলকও নয়। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বয়স, রুচি ইত্যাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতিই বলে দেয়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর তথ্যের দিকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বেশ নজর রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপলের একটি উদাহরণ হাজির করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ স্মার্টফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সফটওয়্যার আপডেট আনে, যার বিরুদ্ধে নজরদারীর অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (আইওএস) এমন সব অ্যাপস সরবরাহ করছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নজরদারীর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করে। অবশ্য ব্যবহারকারীরা চাইলে এই চেষ্টা প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপগুলোর এই চেষ্টা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
কোনো ব্যবহারকারী যদি এসব অ্যাপকে নজরদারীর সম্মতি দিয়ে বসেন, তবে সে তথ্য নিশ্চিতভাবেই পাচার হয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের বিস্তার এই প্রক্রিয়ার সাফল্যই ঘোষণা করছে। গণমাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রুপএম–এর তথ্যমতে, এক দশক আগে বিশ্বব্যাপী মোট বিজ্ঞাপনের মাত্র ২০ শতাংশ ছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এক দশকের ব্যবধানে এই হার বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মহামারির সত্ত্বেও গত বছর এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের এই প্ল্যাটফর্ম জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ঠিক পরদিনই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেসবুক জানায়, তাদের ব্যবসা একই সময়ে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।
কিন্তু এই যে এত সব বিজ্ঞাপনী আয়, তার সবটাতেই টান দিয়ে বসতে পারে একটি শক্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। বিষয়টি এখন ভীষণভাবে আলোচনায় রয়েছে। এরই মধ্যে এই নীতি ভাঙার দায়ে ফেসবুকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে মামলা–মোকদ্দমার খবরও প্রকাশ পেয়েছে।
ইকোনমিস্ট জানায়, ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) নামে একটি আইন করে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যালফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট নামে একই ধরনের আরেকটি আইন হয় কাছাকাছি সময়ে। দুটি আইনই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগানোর পথকে কঠিন করেছে।
কিন্তু এসব আইনকে খুব একটা তোয়াক্কা করতে দেখা যাচ্ছে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি লঙ্ঘনের যেকোনো অভিযোগের বিপরীতে তারা প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে প্রস্তুত। কিন্তু ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার টুলগুলো অপসারণ করতে রাজি নয় তারা। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল সম্প্রতি কিছুটা ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সাফারি ওয়েব ব্রাউজার সেসব কুকিজ ব্লক করছে, যেগুলো বিজ্ঞাপনদাতারা সাধারণত ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করছে। নিজেদের ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে এমন পরিকল্পনা রয়েছে গুগলেরও।
তবে অ্যাপল যে পথে এগোচ্ছে, তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। কারণ, নিজেদের ডিভাইসের সেটিংসে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে বিভিন্ন অ্যাপের নজরদারী টুলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেবন।
আগেই বলা হয়েছে অ্যাপল এমন কিছু অ্যাপকে জায়গা করে দেয়, যা ব্যক্তির অজ্ঞাতেই বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব অ্যাপ আইডেন্টিফায়ার ফর অ্যাডভার্টাইজার (আইডিএফএ) কোডের মাধ্যমে এই নজরদারীর কাজটি করে। অ্যাপলের আনা নতুন পরিবর্তনের কারণে এখন এর ব্যবহারকারীরা চাইলে এখন থেকে অ্যাপগুলোকে এই কোড ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ রীতিমতো উল্টে দেবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জগৎকে। এ বিষয়ে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর প্রধান জন মিউ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় এই পদক্ষেপ বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
উদাহরণ হিসেবে গুগলের কথা বলা যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন খাত থেকে হওয়া ১৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চবারে লেখা বিভিন্ন শব্দের ওপর। আর আমাজন এ ক্ষেত্রে নজর রাখে তার ভোক্তাদের ওপর। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাতে আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠান নজর রাখে, তার ভোক্তারা কোন বিজ্ঞাপন দেখে শেষ পর্যন্ত কী কিনছেন তার ওপর। আর অ্যাপল তার আইফোন ব্যবহারকারীদের কে কোথায় কখন যাচ্ছে, তার সব হিসাব রাখে। আর ফেসবুক বরাবরই খেয়াল রাখে তার ব্যবহারকারীদের পছন্দ–অপছন্দের দিকে।
এ অবস্থায় অ্যাপলের ডিভাইসে আনা নতুন এই পরিবর্তন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত আগস্টেই অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে, তারা তাদের অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক থেকে আয় কমিয়ে আনছে। এতে বিপদে পড়বে অন্যরা। কারণ, অ্যাপল ঠিকই নিজের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এতে কোনো ব্যাত্যয়ও হবে না। ফলে মূল দুশ্চিন্তা এখন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখতে ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সুরক্ষানীতির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। আর সারা বিশ্বে অ্যাপলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এতই যে, তা উপেক্ষা করার সুযোগও তাদের হাতে নেই। ফলে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোয় আনা তথ্য সুরক্ষানীতি নিয়ে অন্যদের দুর্ভাবনা না থাকার কোনো কারণ আর থাকছে না।
ঢাকা: গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় গত বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর হওয়া আয়ের হিসাবে। এদিকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক সময় ব্যক্তির অজান্তেই তার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু বদল এনেছে। এতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো বিপাকে পড়তে পারে।
করোনা মহামারির এই সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের অনেকের মধ্যেই নজরদারির আওতায় পড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। এ ভয় অমূলকও নয়। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বয়স, রুচি ইত্যাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতিই বলে দেয়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর তথ্যের দিকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বেশ নজর রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপলের একটি উদাহরণ হাজির করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ স্মার্টফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সফটওয়্যার আপডেট আনে, যার বিরুদ্ধে নজরদারীর অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (আইওএস) এমন সব অ্যাপস সরবরাহ করছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নজরদারীর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করে। অবশ্য ব্যবহারকারীরা চাইলে এই চেষ্টা প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপগুলোর এই চেষ্টা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
কোনো ব্যবহারকারী যদি এসব অ্যাপকে নজরদারীর সম্মতি দিয়ে বসেন, তবে সে তথ্য নিশ্চিতভাবেই পাচার হয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের বিস্তার এই প্রক্রিয়ার সাফল্যই ঘোষণা করছে। গণমাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রুপএম–এর তথ্যমতে, এক দশক আগে বিশ্বব্যাপী মোট বিজ্ঞাপনের মাত্র ২০ শতাংশ ছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এক দশকের ব্যবধানে এই হার বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মহামারির সত্ত্বেও গত বছর এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের এই প্ল্যাটফর্ম জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ঠিক পরদিনই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেসবুক জানায়, তাদের ব্যবসা একই সময়ে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।
কিন্তু এই যে এত সব বিজ্ঞাপনী আয়, তার সবটাতেই টান দিয়ে বসতে পারে একটি শক্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। বিষয়টি এখন ভীষণভাবে আলোচনায় রয়েছে। এরই মধ্যে এই নীতি ভাঙার দায়ে ফেসবুকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে মামলা–মোকদ্দমার খবরও প্রকাশ পেয়েছে।
ইকোনমিস্ট জানায়, ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) নামে একটি আইন করে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যালফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট নামে একই ধরনের আরেকটি আইন হয় কাছাকাছি সময়ে। দুটি আইনই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগানোর পথকে কঠিন করেছে।
কিন্তু এসব আইনকে খুব একটা তোয়াক্কা করতে দেখা যাচ্ছে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি লঙ্ঘনের যেকোনো অভিযোগের বিপরীতে তারা প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে প্রস্তুত। কিন্তু ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার টুলগুলো অপসারণ করতে রাজি নয় তারা। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল সম্প্রতি কিছুটা ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সাফারি ওয়েব ব্রাউজার সেসব কুকিজ ব্লক করছে, যেগুলো বিজ্ঞাপনদাতারা সাধারণত ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করছে। নিজেদের ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে এমন পরিকল্পনা রয়েছে গুগলেরও।
তবে অ্যাপল যে পথে এগোচ্ছে, তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। কারণ, নিজেদের ডিভাইসের সেটিংসে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে বিভিন্ন অ্যাপের নজরদারী টুলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেবন।
আগেই বলা হয়েছে অ্যাপল এমন কিছু অ্যাপকে জায়গা করে দেয়, যা ব্যক্তির অজ্ঞাতেই বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব অ্যাপ আইডেন্টিফায়ার ফর অ্যাডভার্টাইজার (আইডিএফএ) কোডের মাধ্যমে এই নজরদারীর কাজটি করে। অ্যাপলের আনা নতুন পরিবর্তনের কারণে এখন এর ব্যবহারকারীরা চাইলে এখন থেকে অ্যাপগুলোকে এই কোড ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ রীতিমতো উল্টে দেবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জগৎকে। এ বিষয়ে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর প্রধান জন মিউ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় এই পদক্ষেপ বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
উদাহরণ হিসেবে গুগলের কথা বলা যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন খাত থেকে হওয়া ১৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চবারে লেখা বিভিন্ন শব্দের ওপর। আর আমাজন এ ক্ষেত্রে নজর রাখে তার ভোক্তাদের ওপর। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাতে আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠান নজর রাখে, তার ভোক্তারা কোন বিজ্ঞাপন দেখে শেষ পর্যন্ত কী কিনছেন তার ওপর। আর অ্যাপল তার আইফোন ব্যবহারকারীদের কে কোথায় কখন যাচ্ছে, তার সব হিসাব রাখে। আর ফেসবুক বরাবরই খেয়াল রাখে তার ব্যবহারকারীদের পছন্দ–অপছন্দের দিকে।
এ অবস্থায় অ্যাপলের ডিভাইসে আনা নতুন এই পরিবর্তন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত আগস্টেই অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে, তারা তাদের অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক থেকে আয় কমিয়ে আনছে। এতে বিপদে পড়বে অন্যরা। কারণ, অ্যাপল ঠিকই নিজের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এতে কোনো ব্যাত্যয়ও হবে না। ফলে মূল দুশ্চিন্তা এখন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখতে ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সুরক্ষানীতির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। আর সারা বিশ্বে অ্যাপলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এতই যে, তা উপেক্ষা করার সুযোগও তাদের হাতে নেই। ফলে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোয় আনা তথ্য সুরক্ষানীতি নিয়ে অন্যদের দুর্ভাবনা না থাকার কোনো কারণ আর থাকছে না।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সিমিলার ওয়েবের মতে, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের দিক থেকে থ্রেডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে ব্লুস্কাই। বর্তমানে ব্লুস্কাইয়ের অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ। এরপরেই রয়েছে থ্রেডস।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
১ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১ দিন আগে