
ঢাকা: গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় গত বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর হওয়া আয়ের হিসাবে। এদিকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক সময় ব্যক্তির অজান্তেই তার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু বদল এনেছে। এতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো বিপাকে পড়তে পারে।
করোনা মহামারির এই সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের অনেকের মধ্যেই নজরদারির আওতায় পড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। এ ভয় অমূলকও নয়। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বয়স, রুচি ইত্যাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতিই বলে দেয়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর তথ্যের দিকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বেশ নজর রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপলের একটি উদাহরণ হাজির করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ স্মার্টফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সফটওয়্যার আপডেট আনে, যার বিরুদ্ধে নজরদারীর অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (আইওএস) এমন সব অ্যাপস সরবরাহ করছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নজরদারীর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করে। অবশ্য ব্যবহারকারীরা চাইলে এই চেষ্টা প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপগুলোর এই চেষ্টা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
কোনো ব্যবহারকারী যদি এসব অ্যাপকে নজরদারীর সম্মতি দিয়ে বসেন, তবে সে তথ্য নিশ্চিতভাবেই পাচার হয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের বিস্তার এই প্রক্রিয়ার সাফল্যই ঘোষণা করছে। গণমাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রুপএম–এর তথ্যমতে, এক দশক আগে বিশ্বব্যাপী মোট বিজ্ঞাপনের মাত্র ২০ শতাংশ ছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এক দশকের ব্যবধানে এই হার বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মহামারির সত্ত্বেও গত বছর এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের এই প্ল্যাটফর্ম জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ঠিক পরদিনই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেসবুক জানায়, তাদের ব্যবসা একই সময়ে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।
কিন্তু এই যে এত সব বিজ্ঞাপনী আয়, তার সবটাতেই টান দিয়ে বসতে পারে একটি শক্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। বিষয়টি এখন ভীষণভাবে আলোচনায় রয়েছে। এরই মধ্যে এই নীতি ভাঙার দায়ে ফেসবুকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে মামলা–মোকদ্দমার খবরও প্রকাশ পেয়েছে।
ইকোনমিস্ট জানায়, ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) নামে একটি আইন করে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যালফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট নামে একই ধরনের আরেকটি আইন হয় কাছাকাছি সময়ে। দুটি আইনই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগানোর পথকে কঠিন করেছে।
কিন্তু এসব আইনকে খুব একটা তোয়াক্কা করতে দেখা যাচ্ছে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি লঙ্ঘনের যেকোনো অভিযোগের বিপরীতে তারা প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে প্রস্তুত। কিন্তু ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার টুলগুলো অপসারণ করতে রাজি নয় তারা। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল সম্প্রতি কিছুটা ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সাফারি ওয়েব ব্রাউজার সেসব কুকিজ ব্লক করছে, যেগুলো বিজ্ঞাপনদাতারা সাধারণত ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করছে। নিজেদের ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে এমন পরিকল্পনা রয়েছে গুগলেরও।
তবে অ্যাপল যে পথে এগোচ্ছে, তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। কারণ, নিজেদের ডিভাইসের সেটিংসে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে বিভিন্ন অ্যাপের নজরদারী টুলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেবন।
আগেই বলা হয়েছে অ্যাপল এমন কিছু অ্যাপকে জায়গা করে দেয়, যা ব্যক্তির অজ্ঞাতেই বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব অ্যাপ আইডেন্টিফায়ার ফর অ্যাডভার্টাইজার (আইডিএফএ) কোডের মাধ্যমে এই নজরদারীর কাজটি করে। অ্যাপলের আনা নতুন পরিবর্তনের কারণে এখন এর ব্যবহারকারীরা চাইলে এখন থেকে অ্যাপগুলোকে এই কোড ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ রীতিমতো উল্টে দেবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জগৎকে। এ বিষয়ে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর প্রধান জন মিউ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় এই পদক্ষেপ বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
উদাহরণ হিসেবে গুগলের কথা বলা যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন খাত থেকে হওয়া ১৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চবারে লেখা বিভিন্ন শব্দের ওপর। আর আমাজন এ ক্ষেত্রে নজর রাখে তার ভোক্তাদের ওপর। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাতে আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠান নজর রাখে, তার ভোক্তারা কোন বিজ্ঞাপন দেখে শেষ পর্যন্ত কী কিনছেন তার ওপর। আর অ্যাপল তার আইফোন ব্যবহারকারীদের কে কোথায় কখন যাচ্ছে, তার সব হিসাব রাখে। আর ফেসবুক বরাবরই খেয়াল রাখে তার ব্যবহারকারীদের পছন্দ–অপছন্দের দিকে।
এ অবস্থায় অ্যাপলের ডিভাইসে আনা নতুন এই পরিবর্তন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত আগস্টেই অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে, তারা তাদের অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক থেকে আয় কমিয়ে আনছে। এতে বিপদে পড়বে অন্যরা। কারণ, অ্যাপল ঠিকই নিজের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এতে কোনো ব্যাত্যয়ও হবে না। ফলে মূল দুশ্চিন্তা এখন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখতে ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সুরক্ষানীতির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। আর সারা বিশ্বে অ্যাপলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এতই যে, তা উপেক্ষা করার সুযোগও তাদের হাতে নেই। ফলে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোয় আনা তথ্য সুরক্ষানীতি নিয়ে অন্যদের দুর্ভাবনা না থাকার কোনো কারণ আর থাকছে না।

ঢাকা: গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় গত বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর হওয়া আয়ের হিসাবে। এদিকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক সময় ব্যক্তির অজান্তেই তার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু বদল এনেছে। এতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো বিপাকে পড়তে পারে।
করোনা মহামারির এই সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের অনেকের মধ্যেই নজরদারির আওতায় পড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। এ ভয় অমূলকও নয়। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বয়স, রুচি ইত্যাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতিই বলে দেয়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর তথ্যের দিকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বেশ নজর রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপলের একটি উদাহরণ হাজির করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ স্মার্টফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সফটওয়্যার আপডেট আনে, যার বিরুদ্ধে নজরদারীর অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (আইওএস) এমন সব অ্যাপস সরবরাহ করছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নজরদারীর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করে। অবশ্য ব্যবহারকারীরা চাইলে এই চেষ্টা প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপগুলোর এই চেষ্টা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
কোনো ব্যবহারকারী যদি এসব অ্যাপকে নজরদারীর সম্মতি দিয়ে বসেন, তবে সে তথ্য নিশ্চিতভাবেই পাচার হয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের বিস্তার এই প্রক্রিয়ার সাফল্যই ঘোষণা করছে। গণমাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রুপএম–এর তথ্যমতে, এক দশক আগে বিশ্বব্যাপী মোট বিজ্ঞাপনের মাত্র ২০ শতাংশ ছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এক দশকের ব্যবধানে এই হার বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মহামারির সত্ত্বেও গত বছর এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের এই প্ল্যাটফর্ম জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ঠিক পরদিনই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেসবুক জানায়, তাদের ব্যবসা একই সময়ে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।
কিন্তু এই যে এত সব বিজ্ঞাপনী আয়, তার সবটাতেই টান দিয়ে বসতে পারে একটি শক্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। বিষয়টি এখন ভীষণভাবে আলোচনায় রয়েছে। এরই মধ্যে এই নীতি ভাঙার দায়ে ফেসবুকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে মামলা–মোকদ্দমার খবরও প্রকাশ পেয়েছে।
ইকোনমিস্ট জানায়, ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) নামে একটি আইন করে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যালফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট নামে একই ধরনের আরেকটি আইন হয় কাছাকাছি সময়ে। দুটি আইনই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগানোর পথকে কঠিন করেছে।
কিন্তু এসব আইনকে খুব একটা তোয়াক্কা করতে দেখা যাচ্ছে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি লঙ্ঘনের যেকোনো অভিযোগের বিপরীতে তারা প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে প্রস্তুত। কিন্তু ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার টুলগুলো অপসারণ করতে রাজি নয় তারা। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল সম্প্রতি কিছুটা ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সাফারি ওয়েব ব্রাউজার সেসব কুকিজ ব্লক করছে, যেগুলো বিজ্ঞাপনদাতারা সাধারণত ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করছে। নিজেদের ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে এমন পরিকল্পনা রয়েছে গুগলেরও।
তবে অ্যাপল যে পথে এগোচ্ছে, তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। কারণ, নিজেদের ডিভাইসের সেটিংসে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে বিভিন্ন অ্যাপের নজরদারী টুলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেবন।
আগেই বলা হয়েছে অ্যাপল এমন কিছু অ্যাপকে জায়গা করে দেয়, যা ব্যক্তির অজ্ঞাতেই বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব অ্যাপ আইডেন্টিফায়ার ফর অ্যাডভার্টাইজার (আইডিএফএ) কোডের মাধ্যমে এই নজরদারীর কাজটি করে। অ্যাপলের আনা নতুন পরিবর্তনের কারণে এখন এর ব্যবহারকারীরা চাইলে এখন থেকে অ্যাপগুলোকে এই কোড ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ রীতিমতো উল্টে দেবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জগৎকে। এ বিষয়ে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর প্রধান জন মিউ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় এই পদক্ষেপ বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
উদাহরণ হিসেবে গুগলের কথা বলা যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন খাত থেকে হওয়া ১৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চবারে লেখা বিভিন্ন শব্দের ওপর। আর আমাজন এ ক্ষেত্রে নজর রাখে তার ভোক্তাদের ওপর। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাতে আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠান নজর রাখে, তার ভোক্তারা কোন বিজ্ঞাপন দেখে শেষ পর্যন্ত কী কিনছেন তার ওপর। আর অ্যাপল তার আইফোন ব্যবহারকারীদের কে কোথায় কখন যাচ্ছে, তার সব হিসাব রাখে। আর ফেসবুক বরাবরই খেয়াল রাখে তার ব্যবহারকারীদের পছন্দ–অপছন্দের দিকে।
এ অবস্থায় অ্যাপলের ডিভাইসে আনা নতুন এই পরিবর্তন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত আগস্টেই অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে, তারা তাদের অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক থেকে আয় কমিয়ে আনছে। এতে বিপদে পড়বে অন্যরা। কারণ, অ্যাপল ঠিকই নিজের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এতে কোনো ব্যাত্যয়ও হবে না। ফলে মূল দুশ্চিন্তা এখন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখতে ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সুরক্ষানীতির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। আর সারা বিশ্বে অ্যাপলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এতই যে, তা উপেক্ষা করার সুযোগও তাদের হাতে নেই। ফলে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোয় আনা তথ্য সুরক্ষানীতি নিয়ে অন্যদের দুর্ভাবনা না থাকার কোনো কারণ আর থাকছে না।

বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়। কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত সে দেশে বসবাসের...
৮ ঘণ্টা আগে
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। কিন্তু এই প্রভাবশালী মুদ্রার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। জন্মভূমিতেই এখন এর প্রচলন নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়।
কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত আপনি সে দেশে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। কানাডার মতো দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে সেখানে শুধু বসবাস শুরু করার এবং অন্য সবার মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
তবে আরও কিছু দেশে স্থানীয় কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে দ্রুত সময়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার যায়। সাধারণত সেখানে কিছু সময় বসবাস করতে হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
ব্রাজিল: এক বছরে নাগরিকত্ব
পর্যটকদের জন্য ব্রাজিল বেশ জনপ্রিয় গন্তব্য। দেশটিতে রেসিডেনসি-বাই-ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামও চালু রয়েছে। তবে একজন ব্রাজিলিয়ানকে বিয়ে করলে, সেখানে মাত্র এক বছর টানা থাকার পরই আপনি দ্বিতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্রাজিল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে এবং এর পাসপোর্ট দিয়ে অনেক দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।
স্পেন: এক বছরের ট্যাক্স রেসিডেনসি
কোনো স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করলে প্রথম এক বছর ট্যাক্স দিয়ে থাকতে হবে। এরপরই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পাসপোর্ট দিয়ে পুরো বিশ্বের অনেক দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায়। তবে স্পেন সাধারণত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না।

পর্তুগাল: ৩ বছরের সম্পর্ক, বিদেশে থেকেও আবেদন
ইউরোপে গিয়ে যারা দ্বিতীয় পাসপোর্ট নিতে চান, তাঁদের জন্য পর্তুগাল বেশ জনপ্রিয় দেশ। আগে সাধারণ রেসিডেনসির মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে অন্তত ৬ বছর সময় লাগত দেশটিতে। সেটি সম্প্রতি বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। তবে পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করলে বা তাদের সঙ্গে তিন বছর ধরে সম্পর্কে থাকলে দ্রুত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য পর্তুগালের মাটিতে থাকতে হবে, এমন নিয়ম নেই। বিদেশে থেকেও একজন পর্তুগিজ জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তবে পর্তুগিজ ভাষা জানতে হবে।
মেক্সিকো: ২ বছর নাগরিকত্ব
মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ে করার পর দুই বছর সেখানে থাকতে হবে। তারপরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন হয়। ফলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে তিন বছর সময় কমানো যায়। মেক্সিকোর পাসপোর্টও বেশ শক্তিশালী। এটি দিয়ে ইউরোপের শেনজেনসহ ১৫৩টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।
আয়ারল্যান্ড: ৩ বছরের সম্পর্ক ও ১ বছরের রেসিডেনসি
আইরিশ নাগরিককে বিয়ে করার তিন বছর এবং দেশটিতে এক বছর বসবাস করলে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। যদিও বসবাসের সময়কালে উচ্চ আয়কর দিতে হতে পারে। তবে একবার আইরিশ পাসপোর্ট পেলে আপনি ইউরোপের যেকোনো জায়গায় বসবাস এবং পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
কলম্বিয়া: ২ বছরে নাগরিকত্ব
কলম্বিয়া লাতিন আমেরিকার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কোনো কলম্বিয়ান নাগরিককে বিয়ে করলে ৫ থেকে ১০ বছরের প্রক্রিয়া কমে মাত্র দুই বছরে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তবে আপনাকে স্প্যানিশ ভাষায় নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড: ৫ বছরের বিয়ে, বিদেশে থাকলে ৬ বছর
পৃথিবীর অন্যতম কাঙ্ক্ষিত এই দেশের নাগরিকত্ব পেতে একজন সুইস নাগরিকের স্বামী বা স্ত্রী পাঁচ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য জার্মান, ফরাসি বা ইতালীয় ভাষা জানতে হবে। তবে যদি বিয়ে অবস্থায় বিদেশে বাস করেন, তাহলে সময়সীমা ৬ বছরে পৌঁছাবে।
বেলিজ: ১ বছরের রেসিডেনসি
বেলিজের নাগরিককে বিয়ে করার পর সেখানে এক বছর বসবাস করার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। বেলিজ পাসপোর্ট ইউকে, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যায়। এটি একটি ইংরেজি ভাষী দেশ।
ইতালি: ইতালিতে ২ বছর, বিদেশে ৩ বছর
ইতালীয় নাগরিকের জীবনসঙ্গী ইতালিতে বসবাস করলে দুই বছর পর এবং বিদেশে বসবাস করলে তিন বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে।
সূত্র: নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট

বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়।
কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত আপনি সে দেশে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। কানাডার মতো দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে সেখানে শুধু বসবাস শুরু করার এবং অন্য সবার মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
তবে আরও কিছু দেশে স্থানীয় কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে দ্রুত সময়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার যায়। সাধারণত সেখানে কিছু সময় বসবাস করতে হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
ব্রাজিল: এক বছরে নাগরিকত্ব
পর্যটকদের জন্য ব্রাজিল বেশ জনপ্রিয় গন্তব্য। দেশটিতে রেসিডেনসি-বাই-ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামও চালু রয়েছে। তবে একজন ব্রাজিলিয়ানকে বিয়ে করলে, সেখানে মাত্র এক বছর টানা থাকার পরই আপনি দ্বিতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্রাজিল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে এবং এর পাসপোর্ট দিয়ে অনেক দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।
স্পেন: এক বছরের ট্যাক্স রেসিডেনসি
কোনো স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করলে প্রথম এক বছর ট্যাক্স দিয়ে থাকতে হবে। এরপরই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পাসপোর্ট দিয়ে পুরো বিশ্বের অনেক দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায়। তবে স্পেন সাধারণত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না।

পর্তুগাল: ৩ বছরের সম্পর্ক, বিদেশে থেকেও আবেদন
ইউরোপে গিয়ে যারা দ্বিতীয় পাসপোর্ট নিতে চান, তাঁদের জন্য পর্তুগাল বেশ জনপ্রিয় দেশ। আগে সাধারণ রেসিডেনসির মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে অন্তত ৬ বছর সময় লাগত দেশটিতে। সেটি সম্প্রতি বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। তবে পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করলে বা তাদের সঙ্গে তিন বছর ধরে সম্পর্কে থাকলে দ্রুত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য পর্তুগালের মাটিতে থাকতে হবে, এমন নিয়ম নেই। বিদেশে থেকেও একজন পর্তুগিজ জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তবে পর্তুগিজ ভাষা জানতে হবে।
মেক্সিকো: ২ বছর নাগরিকত্ব
মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ে করার পর দুই বছর সেখানে থাকতে হবে। তারপরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন হয়। ফলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে তিন বছর সময় কমানো যায়। মেক্সিকোর পাসপোর্টও বেশ শক্তিশালী। এটি দিয়ে ইউরোপের শেনজেনসহ ১৫৩টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।
আয়ারল্যান্ড: ৩ বছরের সম্পর্ক ও ১ বছরের রেসিডেনসি
আইরিশ নাগরিককে বিয়ে করার তিন বছর এবং দেশটিতে এক বছর বসবাস করলে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। যদিও বসবাসের সময়কালে উচ্চ আয়কর দিতে হতে পারে। তবে একবার আইরিশ পাসপোর্ট পেলে আপনি ইউরোপের যেকোনো জায়গায় বসবাস এবং পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
কলম্বিয়া: ২ বছরে নাগরিকত্ব
কলম্বিয়া লাতিন আমেরিকার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কোনো কলম্বিয়ান নাগরিককে বিয়ে করলে ৫ থেকে ১০ বছরের প্রক্রিয়া কমে মাত্র দুই বছরে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তবে আপনাকে স্প্যানিশ ভাষায় নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড: ৫ বছরের বিয়ে, বিদেশে থাকলে ৬ বছর
পৃথিবীর অন্যতম কাঙ্ক্ষিত এই দেশের নাগরিকত্ব পেতে একজন সুইস নাগরিকের স্বামী বা স্ত্রী পাঁচ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য জার্মান, ফরাসি বা ইতালীয় ভাষা জানতে হবে। তবে যদি বিয়ে অবস্থায় বিদেশে বাস করেন, তাহলে সময়সীমা ৬ বছরে পৌঁছাবে।
বেলিজ: ১ বছরের রেসিডেনসি
বেলিজের নাগরিককে বিয়ে করার পর সেখানে এক বছর বসবাস করার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। বেলিজ পাসপোর্ট ইউকে, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যায়। এটি একটি ইংরেজি ভাষী দেশ।
ইতালি: ইতালিতে ২ বছর, বিদেশে ৩ বছর
ইতালীয় নাগরিকের জীবনসঙ্গী ইতালিতে বসবাস করলে দুই বছর পর এবং বিদেশে বসবাস করলে তিন বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে।
সূত্র: নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট

গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। কিন্তু এই প্রভাবশালী মুদ্রার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। জন্মভূমিতেই এখন এর প্রচলন নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য

গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়। কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত সে দেশে বসবাসের...
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। কিন্তু এই প্রভাবশালী মুদ্রার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। জন্মভূমিতেই এখন এর প্রচলন নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং অবশ্যই তাঁর সেই বিখ্যাত গোপন রেসিপি। সেই ব্যক্তির নাম কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। ফাস্ট ফুডের জগতের অন্যতম ব্র্যান্ড কেএফসির উদ্যোক্তা তিনি। কেএফসি কেবল একটি রেস্টুরেন্ট চেইন নয়, এটি অধ্যবসায়, উদ্ভাবন এবং একটি গোপন রেসিপির গল্প।
যেভাবে শুরু হলো চিকেন ফ্রাইয়ের যাত্রা
কেএফসির লোগোর সেই চিরচেনা মুখ হলেন কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। ১৮৯০ সালে ইন্ডিয়ানার হেনরিভিলে জন্ম নেওয়া স্যান্ডার্সের জীবন শুরু হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। ১৩ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়ার পর তিনি স্টিমবোট পাইলট, ফায়ারম্যান, কৃষিসহ বহু ধরনের কাজ করেছেন। ১৯৩০-এর দশকে, তিনি কেনটাকির নর্থ করবিনের বাইরে একটি সার্ভিস স্টেশন নেন এবং সেখানেই শুরু করেন তাঁর ভাজা মুরগি বিক্রি। একসময় স্যান্ডার্স তাঁর সার্ভিস স্টেশনের জ্বালানি অংশটি বাদ দিয়ে সেটিকে একটি ১৪২ আসনের রোড সাইড ডিনার এবং মোটেল বানিয়ে ফেলেন। নাম দেন হারল্যান্ড স্যান্ডার্স ক্যাফে। তাঁর চিকেন ফ্রাই দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই চিকেন রান্না হতো ১১টি গোপন ভেষজ ও মসলার রেসিপিতে, প্রেশার কুকারে। স্যান্ডার্স ক্যাফে এখন ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব হিস্টরিক্যাল প্লেসেসের তালিকায় আছে। এখানে একটি জাদুঘরও রয়েছে।
হাল না ছাড়া সংগ্রাম এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্ম

ক্যাফে জনপ্রিয় হওয়ার কিছুদিন পরেই ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তখন ৬০ বছর বয়সী স্যান্ডার্স প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন; কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। পকেটে গোপন রেসিপি লেখা কাগজ নিয়ে ঘুরতে থাকেন দরজায় দরজায়। রেস্টুরেন্টের মালিকদের কাছে তাঁর রেসিপি দিয়ে মুরগি বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দিতে থাকেন। কথিত আছে, ১ হাজার ৯ বার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তিনি তাঁর প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি পান। অবশেষে ১৯৫২ সালে উটাহর সল্ট লেক সিটিতে পিটার হারম্যানের হাত ধরে প্রথম কেনটাকি ফ্রায়েড চিকেন ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলা হয়। হারম্যান কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজির পথই দেখাননি, তিনি জনপ্রিয় স্লোগান ‘ফিঙ্গার লিকিন গুড’-এরও জন্ম দেন। এই সময়ে স্যান্ডার্সও দেশজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির সুযোগ খুঁজতে এবং তার ব্যবসা বাড়াতে থাকেন।
আইকনিক লাল সাদা বালতি

কেএফসির মেনু প্রথম দিকে ছিল খুবই সাদামাটা। সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার পরিবেশনের ধারণা থেকে জন্ম নেয় কম্বো বক্স। সেখানে থাকত গরম ও মচমচে ভাজা মুরগি, গ্রেভি, ম্যাশড পটেটো, কোলস্লো অথবা গরম রোল ও মধু। এরপর এল সেই যুগান্তকারী উদ্ভাবন। ১৯৫৭ সালে কেএফসির আইকনিক লাল ও সাদা বালতি। এর প্রচারাভিযান শুরু হয়েছিল ব্যস্ত গৃহিণীদের লক্ষ্য করে। এখানে বলার চেষ্টা করা হয়েছিল, একটি বালতি পুরো পরিবারের জন্য যথেষ্ট এবং এটি গৃহিণীকে এক সন্ধ্যা ছুটি দেবে। ১৯৬৩ সালের মধ্যে কেএফসির জনপ্রিয়তা অভাবনীয় স্তরে পৌঁছায়। মাত্র তিন বছরে প্রায় ৪০০টি নতুন স্টোর খোলা হয়। স্যান্ডার্সের বয়স তখন ৭০-এর কোঠায়। তিনি বুঝতে পারেন, ব্যবসা তাঁর একার জন্য অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই এর এক বছর পর তিনি প্রতিষ্ঠানটি ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। তবে শর্ত থাকে, তিনি আজীবন বেতনভোগী দূত হিসেবে বোর্ডে থাকবেন এবং বিজ্ঞাপনে কাজ চালিয়ে যাবেন।
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কেএফসি উত্তর আমেরিকার বাইরেও ব্যবসা শুরু করে। তারা প্রথম আমেরিকান ফাস্ট ফুড চেইনগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারে তারা আত্মপ্রকাশ করে। এরপর জ্যামাইকা, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় আউটলেট খোলে কেএফসি।
মেনুর বিবর্তন
স্যান্ডার্সের মৃত্যুর পরও কেএফসির উদ্ভাবন চলতে থাকে। ১৯৮০-এর দশকে আসে চিকেন লিটল স্যান্ডউইচ, যা আকার ও দামের কারণে জনপ্রিয় ছিল। এরপর ১৯৮৪ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে জন্ম নেয় বিখ্যাত জিংগার, যা একটি স্পাইসি চিকেন ব্রেস্ট বার্গার। এখন বিশ্বজুড়ে ১২০টির বেশি দেশে এটি পাওয়া যায়। ১৯৯১ সালে ব্র্যান্ডটি তাদের নামকে সংক্ষিপ্ত করে কেএফসি রাখে। এর কারণ হিসেবে কেউ কেউ ফ্রায়েড শব্দটি থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে দূরত্ব তৈরি করার কথা বলেন। আবার কেউ এটিকে আধুনিকীকরণের অংশ মনে করেন।

’৯০-এর দশকের শুরুতে আসে হট উইংস। ১৯৯২ সালে তাদের মেনুতে নতুন সংযোজন ছিল পপকর্ন চিকেন, যা ছিল ছোট আকারের, মুচমুচে আবরণে ঢাকা চিকেন ব্রেস্টের টুকরো। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে ১৯৯৩ সালে আসে গ্রিলড চিকেন আইটেম কর্নেল’স রোটসেরি গোল্ড। পরে সালাদ ও কম ক্যালরির অপশনও যুক্ত হয়। ২০০৫ সালে ছোট আকারের ও কম দামের কেএফসি স্নাকার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালে কেএফসি তাদের স্থায়ী মেনুতে চিকেন নাগেটস যোগ করে, যা তৈরি হয় অরিজিনাল রেসিপি-কোটেড ব্রেস্ট মিট দিয়ে। এই নতুন নাগেটের জায়গা করে দিতে অবশ্য মেনু থেকে পপকর্ন চিকেন স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজও চলছে জল্পনাকল্পনা
২০২০ সালে কেএফসি পিৎজা হাটের সঙ্গে মিলে পপকর্ন চিকেন পিৎজা লঞ্চ করে। তারা ক্রকস জুতা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত হয়ে ফ্রায়েড চিকেন-থিমযুক্ত জুতা বাজারে আনে। আবার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তারা প্ল্যান্ট-বেসড প্রোটিন ব্র্যান্ড বিয়ন্ড মিটের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিয়ন্ড ফ্রায়েড চিকেন রেঞ্জ চালু করে। তবে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেএফসি তাদের সদর দপ্তর কেনটাকি থেকে টেক্সাসের প্ল্যানোতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্ত কেনটাকির বাসিন্দা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। তবে কেএফসি এখনো কেনটাকির সঙ্গে একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে। এ বছরের মার্চে কেএফসি তাদের এক দশকের মধ্যে প্রথম নতুন বাকেট ‘ডাঙ্ক-ইট বাকেট’ চালু করে।
সূত্র: লাভ ফুড

১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং অবশ্যই তাঁর সেই বিখ্যাত গোপন রেসিপি। সেই ব্যক্তির নাম কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। ফাস্ট ফুডের জগতের অন্যতম ব্র্যান্ড কেএফসির উদ্যোক্তা তিনি। কেএফসি কেবল একটি রেস্টুরেন্ট চেইন নয়, এটি অধ্যবসায়, উদ্ভাবন এবং একটি গোপন রেসিপির গল্প।
যেভাবে শুরু হলো চিকেন ফ্রাইয়ের যাত্রা
কেএফসির লোগোর সেই চিরচেনা মুখ হলেন কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। ১৮৯০ সালে ইন্ডিয়ানার হেনরিভিলে জন্ম নেওয়া স্যান্ডার্সের জীবন শুরু হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। ১৩ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়ার পর তিনি স্টিমবোট পাইলট, ফায়ারম্যান, কৃষিসহ বহু ধরনের কাজ করেছেন। ১৯৩০-এর দশকে, তিনি কেনটাকির নর্থ করবিনের বাইরে একটি সার্ভিস স্টেশন নেন এবং সেখানেই শুরু করেন তাঁর ভাজা মুরগি বিক্রি। একসময় স্যান্ডার্স তাঁর সার্ভিস স্টেশনের জ্বালানি অংশটি বাদ দিয়ে সেটিকে একটি ১৪২ আসনের রোড সাইড ডিনার এবং মোটেল বানিয়ে ফেলেন। নাম দেন হারল্যান্ড স্যান্ডার্স ক্যাফে। তাঁর চিকেন ফ্রাই দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই চিকেন রান্না হতো ১১টি গোপন ভেষজ ও মসলার রেসিপিতে, প্রেশার কুকারে। স্যান্ডার্স ক্যাফে এখন ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব হিস্টরিক্যাল প্লেসেসের তালিকায় আছে। এখানে একটি জাদুঘরও রয়েছে।
হাল না ছাড়া সংগ্রাম এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্ম

ক্যাফে জনপ্রিয় হওয়ার কিছুদিন পরেই ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তখন ৬০ বছর বয়সী স্যান্ডার্স প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন; কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। পকেটে গোপন রেসিপি লেখা কাগজ নিয়ে ঘুরতে থাকেন দরজায় দরজায়। রেস্টুরেন্টের মালিকদের কাছে তাঁর রেসিপি দিয়ে মুরগি বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দিতে থাকেন। কথিত আছে, ১ হাজার ৯ বার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তিনি তাঁর প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি পান। অবশেষে ১৯৫২ সালে উটাহর সল্ট লেক সিটিতে পিটার হারম্যানের হাত ধরে প্রথম কেনটাকি ফ্রায়েড চিকেন ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলা হয়। হারম্যান কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজির পথই দেখাননি, তিনি জনপ্রিয় স্লোগান ‘ফিঙ্গার লিকিন গুড’-এরও জন্ম দেন। এই সময়ে স্যান্ডার্সও দেশজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির সুযোগ খুঁজতে এবং তার ব্যবসা বাড়াতে থাকেন।
আইকনিক লাল সাদা বালতি

কেএফসির মেনু প্রথম দিকে ছিল খুবই সাদামাটা। সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার পরিবেশনের ধারণা থেকে জন্ম নেয় কম্বো বক্স। সেখানে থাকত গরম ও মচমচে ভাজা মুরগি, গ্রেভি, ম্যাশড পটেটো, কোলস্লো অথবা গরম রোল ও মধু। এরপর এল সেই যুগান্তকারী উদ্ভাবন। ১৯৫৭ সালে কেএফসির আইকনিক লাল ও সাদা বালতি। এর প্রচারাভিযান শুরু হয়েছিল ব্যস্ত গৃহিণীদের লক্ষ্য করে। এখানে বলার চেষ্টা করা হয়েছিল, একটি বালতি পুরো পরিবারের জন্য যথেষ্ট এবং এটি গৃহিণীকে এক সন্ধ্যা ছুটি দেবে। ১৯৬৩ সালের মধ্যে কেএফসির জনপ্রিয়তা অভাবনীয় স্তরে পৌঁছায়। মাত্র তিন বছরে প্রায় ৪০০টি নতুন স্টোর খোলা হয়। স্যান্ডার্সের বয়স তখন ৭০-এর কোঠায়। তিনি বুঝতে পারেন, ব্যবসা তাঁর একার জন্য অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই এর এক বছর পর তিনি প্রতিষ্ঠানটি ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। তবে শর্ত থাকে, তিনি আজীবন বেতনভোগী দূত হিসেবে বোর্ডে থাকবেন এবং বিজ্ঞাপনে কাজ চালিয়ে যাবেন।
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কেএফসি উত্তর আমেরিকার বাইরেও ব্যবসা শুরু করে। তারা প্রথম আমেরিকান ফাস্ট ফুড চেইনগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারে তারা আত্মপ্রকাশ করে। এরপর জ্যামাইকা, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় আউটলেট খোলে কেএফসি।
মেনুর বিবর্তন
স্যান্ডার্সের মৃত্যুর পরও কেএফসির উদ্ভাবন চলতে থাকে। ১৯৮০-এর দশকে আসে চিকেন লিটল স্যান্ডউইচ, যা আকার ও দামের কারণে জনপ্রিয় ছিল। এরপর ১৯৮৪ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে জন্ম নেয় বিখ্যাত জিংগার, যা একটি স্পাইসি চিকেন ব্রেস্ট বার্গার। এখন বিশ্বজুড়ে ১২০টির বেশি দেশে এটি পাওয়া যায়। ১৯৯১ সালে ব্র্যান্ডটি তাদের নামকে সংক্ষিপ্ত করে কেএফসি রাখে। এর কারণ হিসেবে কেউ কেউ ফ্রায়েড শব্দটি থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে দূরত্ব তৈরি করার কথা বলেন। আবার কেউ এটিকে আধুনিকীকরণের অংশ মনে করেন।

’৯০-এর দশকের শুরুতে আসে হট উইংস। ১৯৯২ সালে তাদের মেনুতে নতুন সংযোজন ছিল পপকর্ন চিকেন, যা ছিল ছোট আকারের, মুচমুচে আবরণে ঢাকা চিকেন ব্রেস্টের টুকরো। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে ১৯৯৩ সালে আসে গ্রিলড চিকেন আইটেম কর্নেল’স রোটসেরি গোল্ড। পরে সালাদ ও কম ক্যালরির অপশনও যুক্ত হয়। ২০০৫ সালে ছোট আকারের ও কম দামের কেএফসি স্নাকার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালে কেএফসি তাদের স্থায়ী মেনুতে চিকেন নাগেটস যোগ করে, যা তৈরি হয় অরিজিনাল রেসিপি-কোটেড ব্রেস্ট মিট দিয়ে। এই নতুন নাগেটের জায়গা করে দিতে অবশ্য মেনু থেকে পপকর্ন চিকেন স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজও চলছে জল্পনাকল্পনা
২০২০ সালে কেএফসি পিৎজা হাটের সঙ্গে মিলে পপকর্ন চিকেন পিৎজা লঞ্চ করে। তারা ক্রকস জুতা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত হয়ে ফ্রায়েড চিকেন-থিমযুক্ত জুতা বাজারে আনে। আবার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তারা প্ল্যান্ট-বেসড প্রোটিন ব্র্যান্ড বিয়ন্ড মিটের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিয়ন্ড ফ্রায়েড চিকেন রেঞ্জ চালু করে। তবে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেএফসি তাদের সদর দপ্তর কেনটাকি থেকে টেক্সাসের প্ল্যানোতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্ত কেনটাকির বাসিন্দা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। তবে কেএফসি এখনো কেনটাকির সঙ্গে একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে। এ বছরের মার্চে কেএফসি তাদের এক দশকের মধ্যে প্রথম নতুন বাকেট ‘ডাঙ্ক-ইট বাকেট’ চালু করে।
সূত্র: লাভ ফুড

গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়। কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত সে দেশে বসবাসের...
৮ ঘণ্টা আগে
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১০ ঘণ্টা আগে
আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। কিন্তু এই প্রভাবশালী মুদ্রার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। জন্মভূমিতেই এখন এর প্রচলন নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

টাকা হলে নাকি বাঘের দুধও পাওয়া যায়। আর মার্কিন ডলার হলে? শুধু মনে রাখুন, আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে বা ডলারের নামে তাদের মুদ্রার নাম রেখেছে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। উত্তর কোরিয়া থেকে সাইবেরিয়া, এমনকি উত্তর মেরুর রিসার্চ স্টেশন পর্যন্ত সবখানে ডলার গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, যে মার্কিন ডলারের এত দাপট, সেই ডলারের জন্ম হয়েছিল অন্য একটি দেশে। ১৫২০ সালে ‘থালার’ নামের সেই মুদ্রা তৈরি হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের ছোট্ট ইয়াখিমভ শহরে। কালক্রমে থালার হয়ে যায় ডলার। আরও মজার তথ্য হলো, ইয়াখিমভ শহরে এখন ডলার ব্যবহারের প্রচলন নেই।
ডলারের জন্মভূমি, কিন্তু ডলার নিষিদ্ধ
চেক-জার্মান সীমান্তের কাছে মাত্র ২ হাজার ৩০০ মানুষের ইয়াখিমভ শহরটি এখনো বেশ নিরিবিলি। একটি রাস্তা বরাবর সাজানো রেনেসাঁ যুগের পুরোনো ভবন, গথিক স্টাইলের বাড়ি, কিছু স্পা এবং একটি ছোট দুর্গ। প্রথম দেখে কেউই বুঝতে পারবে না, এটিই ডলারের জন্মস্থান।
কীভাবে জন্ম নিল থালার
১৫১৬ সালে এই পাহাড়ি এলাকায় সিলভার পাওয়া যায়। স্থানীয় ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউন্ট হায়ারোনিমাস শ্লিক এলাকাটির নাম দিলেন জোয়াখিমস্টাল। এখান থেকেই পরের নাম থালার। তখন ইউরোপে প্রতিটি রাজ্য নিজস্ব মুদ্রা বানাত। শ্লিক ১৫২০ সালে অনুমতি পেয়ে নিজের রুপার মুদ্রা বানালেন। সামনে ছিল জোয়াখিমের ছবি, পেছনে ছিল বোহেমিয়ার সিংহ।

শ্লিক দুটি বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলেন—
মুদ্রাটির ওজন ও আকার ইউরোপজুড়ে ব্যবহৃত গুলডেনগ্রোশেনের মতো রাখেন।
এর উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দেন, যা আগে কখনো হয়নি।
মাত্র ১০ বছরে ১ হাজার ৫০ জন মানুষের ছোট গ্রাম পরিণত হয় ১৮ হাজার মানুষের কর্মব্যস্ত শহরে। ৮ হাজার খনিশ্রমিক দিনরাত ১ হাজার খনিতে কাজ করে রুপা তুলত। ১৫৬০ সালের দিকে জায়গাটি ইউরোপের বড় সিলভারের উৎস হয়ে ওঠে। ১৬ শতকের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখের মতো থালার ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
থালার থেকে ডলার
১৫৬৬ সালে থালার এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, রোমান সাম্রাজ্য তাদের মানি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবেই থালারকে বেছে নেয়। এর পরবর্তী ৩০০ বছর ইউরোপসহ আফ্রিকা, আরব উপসাগর, ভারত, স্ক্যান্ডিনেভিয়া ইত্যাদি জায়গায় থালারের বিভিন্ন সংস্করণ ব্যবহৃত হতে থাকে।
থালারের নাম দেশভেদে বদলে যায়। যেমন:
এমনকি রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মলদোভার মুদ্রার নামও এসেছে থালারের সিংহ প্রতীক থেকে।
তবে আমেরিকান ডলার এসেছে ডাচ লায়ন ডলার থেকে। সতেরো শতকে ডাচরা নিউ আমস্টারডামে বা বর্তমান নিউ ইয়র্কে আসার পর এই মুদ্রা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। ১৭৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মুদ্রার নাম রাখে ডলার।
ডলারের জন্মভূমির অন্ধকার ইতিহাস
রুপা শেষ হয়ে গেলে ইয়াখিমভ শহরটির খনিতে পাওয়া যেতে থাকে এক রহস্যময় কালো খনিজ—উরেনিনাইট। অনেক শ্রমিক এ খনিজের সংস্পর্শে এসে ফুসফুস রোগে মারা যেত। ১৮৯৮ সালে গবেষক মারি কুরি এই খনিজ থেকে রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম আবিষ্কার করেন। তাঁর হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরে তিনি নোবেল পান এবং শেষমেশ বিকিরণজনিত রোগে মারা যান।
ইয়াখিমভ এমন একটি শহর, যেখানে পৃথিবীর প্রভাবশালী মুদ্রাটির জন্ম হয়েছিল। কিন্তু সে মুদ্রাই এখন সেখানে গ্রহণ করা হয় না। রুপার প্রাচুর্য থেকে শুরু হয়েছিল থালারের যাত্রা, যা পরে ডলার হয়ে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এই ছোট পাহাড়ি শহরই একসময় ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার মান নির্ধারণ করেছিল। আবার পরবর্তী সময়ে উরেনিনাইট ও রেডিয়ামের কারণে হয়ে উঠেছিল গবেষণা, বিপর্যয় আর সোভিয়েত যুগের রাজনৈতিক অত্যাচারের কেন্দ্র।
আজ ইয়াখিমভ ধীরে ধীরে তার অতীতের ক্ষত মুছে ফেলছে। পুরোনো খনিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, ধ্বংসপ্রায় বাড়িগুলো পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। আর থালার তৈরির সে রাজকীয় মিন্ট হাউস এখন ইতিহাসের জাদুঘর।
সূত্র: বিবিসি

টাকা হলে নাকি বাঘের দুধও পাওয়া যায়। আর মার্কিন ডলার হলে? শুধু মনে রাখুন, আজকের মার্কিন ডলার পৃথিবীর বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৮ শতাংশ ডলারে রাখা। ৩১টি দেশ তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহার করে বা ডলারের নামে তাদের মুদ্রার নাম রেখেছে। ৬৫টি দেশ তাদের মুদ্রাকে ডলারের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। উত্তর কোরিয়া থেকে সাইবেরিয়া, এমনকি উত্তর মেরুর রিসার্চ স্টেশন পর্যন্ত সবখানে ডলার গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, যে মার্কিন ডলারের এত দাপট, সেই ডলারের জন্ম হয়েছিল অন্য একটি দেশে। ১৫২০ সালে ‘থালার’ নামের সেই মুদ্রা তৈরি হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের ছোট্ট ইয়াখিমভ শহরে। কালক্রমে থালার হয়ে যায় ডলার। আরও মজার তথ্য হলো, ইয়াখিমভ শহরে এখন ডলার ব্যবহারের প্রচলন নেই।
ডলারের জন্মভূমি, কিন্তু ডলার নিষিদ্ধ
চেক-জার্মান সীমান্তের কাছে মাত্র ২ হাজার ৩০০ মানুষের ইয়াখিমভ শহরটি এখনো বেশ নিরিবিলি। একটি রাস্তা বরাবর সাজানো রেনেসাঁ যুগের পুরোনো ভবন, গথিক স্টাইলের বাড়ি, কিছু স্পা এবং একটি ছোট দুর্গ। প্রথম দেখে কেউই বুঝতে পারবে না, এটিই ডলারের জন্মস্থান।
কীভাবে জন্ম নিল থালার
১৫১৬ সালে এই পাহাড়ি এলাকায় সিলভার পাওয়া যায়। স্থানীয় ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউন্ট হায়ারোনিমাস শ্লিক এলাকাটির নাম দিলেন জোয়াখিমস্টাল। এখান থেকেই পরের নাম থালার। তখন ইউরোপে প্রতিটি রাজ্য নিজস্ব মুদ্রা বানাত। শ্লিক ১৫২০ সালে অনুমতি পেয়ে নিজের রুপার মুদ্রা বানালেন। সামনে ছিল জোয়াখিমের ছবি, পেছনে ছিল বোহেমিয়ার সিংহ।

শ্লিক দুটি বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলেন—
মুদ্রাটির ওজন ও আকার ইউরোপজুড়ে ব্যবহৃত গুলডেনগ্রোশেনের মতো রাখেন।
এর উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দেন, যা আগে কখনো হয়নি।
মাত্র ১০ বছরে ১ হাজার ৫০ জন মানুষের ছোট গ্রাম পরিণত হয় ১৮ হাজার মানুষের কর্মব্যস্ত শহরে। ৮ হাজার খনিশ্রমিক দিনরাত ১ হাজার খনিতে কাজ করে রুপা তুলত। ১৫৬০ সালের দিকে জায়গাটি ইউরোপের বড় সিলভারের উৎস হয়ে ওঠে। ১৬ শতকের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখের মতো থালার ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
থালার থেকে ডলার
১৫৬৬ সালে থালার এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, রোমান সাম্রাজ্য তাদের মানি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবেই থালারকে বেছে নেয়। এর পরবর্তী ৩০০ বছর ইউরোপসহ আফ্রিকা, আরব উপসাগর, ভারত, স্ক্যান্ডিনেভিয়া ইত্যাদি জায়গায় থালারের বিভিন্ন সংস্করণ ব্যবহৃত হতে থাকে।
থালারের নাম দেশভেদে বদলে যায়। যেমন:
এমনকি রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মলদোভার মুদ্রার নামও এসেছে থালারের সিংহ প্রতীক থেকে।
তবে আমেরিকান ডলার এসেছে ডাচ লায়ন ডলার থেকে। সতেরো শতকে ডাচরা নিউ আমস্টারডামে বা বর্তমান নিউ ইয়র্কে আসার পর এই মুদ্রা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। ১৭৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মুদ্রার নাম রাখে ডলার।
ডলারের জন্মভূমির অন্ধকার ইতিহাস
রুপা শেষ হয়ে গেলে ইয়াখিমভ শহরটির খনিতে পাওয়া যেতে থাকে এক রহস্যময় কালো খনিজ—উরেনিনাইট। অনেক শ্রমিক এ খনিজের সংস্পর্শে এসে ফুসফুস রোগে মারা যেত। ১৮৯৮ সালে গবেষক মারি কুরি এই খনিজ থেকে রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম আবিষ্কার করেন। তাঁর হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরে তিনি নোবেল পান এবং শেষমেশ বিকিরণজনিত রোগে মারা যান।
ইয়াখিমভ এমন একটি শহর, যেখানে পৃথিবীর প্রভাবশালী মুদ্রাটির জন্ম হয়েছিল। কিন্তু সে মুদ্রাই এখন সেখানে গ্রহণ করা হয় না। রুপার প্রাচুর্য থেকে শুরু হয়েছিল থালারের যাত্রা, যা পরে ডলার হয়ে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এই ছোট পাহাড়ি শহরই একসময় ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার মান নির্ধারণ করেছিল। আবার পরবর্তী সময়ে উরেনিনাইট ও রেডিয়ামের কারণে হয়ে উঠেছিল গবেষণা, বিপর্যয় আর সোভিয়েত যুগের রাজনৈতিক অত্যাচারের কেন্দ্র।
আজ ইয়াখিমভ ধীরে ধীরে তার অতীতের ক্ষত মুছে ফেলছে। পুরোনো খনিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, ধ্বংসপ্রায় বাড়িগুলো পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। আর থালার তৈরির সে রাজকীয় মিন্ট হাউস এখন ইতিহাসের জাদুঘর।
সূত্র: বিবিসি

গোটা বিশ্বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সময়ে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। এই ফুরসতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। ফলে দিনকে দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কদর বাড়ছে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট মিথ্যা তথ্য প্রচলিত রয়েছে। একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি এমন নয়। কোনো দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণত সে দেশে বসবাসের...
৮ ঘণ্টা আগে
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৩০ সালের দিকে কেনটাকিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি মনে করলেন, তিনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তিনি বিক্রি করবেন ভাজা মুরগি। একপর্যায়ে তিনি সফল হলেন। একপর্যায়ে তিনি ১৫০টির বেশি দেশে ৩০ হাজার আউটলেট নিয়ে এক বিশাল বৈশ্বিক সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন। শুনতে সহজ হলেও এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়...
১৩ ঘণ্টা আগে