মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
জীবন অগাধ
পরিণয়
আন্না নামের কমবয়সী মেয়েটি দস্তইয়েভ্স্কির মনে আলো জ্বেলেছিল। তখন ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’ লিখছেন দস্তইয়েভ্স্কি। আন্না ডিকটেশন নিচ্ছিলেন, তাই লেখার কাজটা এগোচ্ছিল ভালো। আন্নার বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা দিতেন তিনি। বৈঠকি গল্পে তাঁর তুলনা মেলা ভার। আন্নার মা, বোনেরা উৎকর্ণ হয়ে গল্প শুনত।
‘বাঁশি তোমায় দিয়ে যাব’
পঙ্কজ মল্লিক তখন বেতারে কাজ করছেন। একদিন অপরিচিত এক অবাঙালি তরুণ তাঁর অভিলাষ নিয়ে বেতারে এসেছেন। অনুষ্ঠান পরিচালক নৃপেন মজুমদার পঙ্কজকে ডেকে বললেন, ‘পঙ্কজ, দেখো তো, এই ছেলেটি রেডিওতে গাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তুমি ওর অডিশন নাও।’
প্রথম ইউরোপযাত্রা
নাটকে তখন ডুবে আছেন আলী যাকের। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর কীভাবে নাটকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন, সে কথা তিনি বলেছেন নানা আলোচনায়। এখানে শুধু জানিয়ে রাখা ভালো, ১৯৭৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কাউন্সিল মঞ্চে বাদল সরকারের ‘বাকি ইতিহাস’ নাটকটি ঘুরিয়ে দিয়েছিল আলী যাকেরের জীবনের মোড়।
মীরার জন্য সারপ্রাইজ
শচীন দেববর্মন তাঁর স্ত্রী মীরা দেববর্মনের ওপর খুব নির্ভরশীল ছিলেন। সংগীতজীবনে মীরা ছিলেন শচীনের প্রেরণা, উৎসাহ। শচীন দেববর্মনের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের অনেকগুলোই মীরার লেখা। কয়েকটি গানের প্রথম কলি উল্লেখ করলেই যে কেউ নিশ্চিত হবেন, শচীনের জন্য মীরার লেখা গানগুলোই এখনো আপনার কানে বাজে। ‘কে যাস রে, ভাটি গা
নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ
সত্যজিৎ রায় যে কাণ্ডটি করেছিলেন, তাতে মারলন ব্র্যান্ডোর একটি কাহিনি মনে পড়ে গিয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। ব্যাপারটা ছিল এ রকম: চার্লস চ্যাপলিন ঠিক করলেন, সোফিয়া লরেন আর মারলন ব্র্যান্ডোকে নিয়ে ছবি তৈরি করবেন। ছবিটির নাম ‘কাউন্টেস ফ্রম হংকং’।
প্যাট্রিস লুমুম্বা
সুলতানা কামালের বাবা আর মা, দুজনই খুব পড়ুয়া ছিলেন। ফলে তাঁদের ছয় সন্তানও বই পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেত। বাবা একদিন বললেন, ‘তোমাদের লাইব্রেরির নাম দাও মণি-মঞ্জুষা।’ এর পর থেকে সব বইয়ের ওপরে তাঁরা নিজেরাই ‘মণি-মঞ্জুষা পাঠাগার’ লিখতেন। বইগুলো বন্ধুদের মধ্যে আদান-প্রদান করা হতো।
ভুবন সোম
এক সপ্তাহের জন্য পুনে যাওয়ার কথা ছিল মৃণাল সেনের। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের একটি ওয়ার্কশপে যোগ দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন ছবির বিষয়ে আলোচনা হবে সেখানে, সেই প্রস্তুতি নিয়েই তিনি চলেছেন।
নির্বাচন ও শরৎচন্দ্র
দেশভাগের আগের কথা। বাংলায় তখন কাউন্সিল নির্বাচন হবে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় তাঁর দল গঠন করে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছেন। শক্তিমান প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে যাঁদের দাঁড় করালেন, তাঁরা ছিলেন অজ্ঞাতকুলশীল। কিন্তু দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তার তুলনা ছিল না তখন।
বিদায়ের পালা
ব্যাপারটা এমন নয় যে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই কমিউনিস্ট পার্টির নীতিভ্রম নিয়ে মনে প্রশ্ন জেগেছিল সলিল চৌধুরীর। স্বাধীনতা, অর্থাৎ দেশভাগের পর থেকেই গণনাট্য সংঘের কাজে পার্টি হয়ে উঠল দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে স্থূল সংকীর্ণতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ দেখা গেল। গণনাট্য সম্মেলন থেকে প
মনের ঝাল মেটানো
ছেলেবেলার দুটো অস্বাভাবিক ঘটনার কথা জীবনে ভোলেননি জসীমউদ্দীন। বড় হয়ে কবি হবেন, তা হয়তো তখন তিনি জানতেন না, কিন্তু মানুষ হতে হবে, সেটা বুঝতে পারতেন। একবার স্কুলের পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছেন। পাতলা কাগজে লেখা যায় না বলে পাঠ্যবইটা তিনি রেখেছিলেন কাগজের তলায়।
পড়াশোনার গুড়ে বালি
খুব সাধ ছিল ডাক্তারি পড়ার। সে স্বপ্নই দেখেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ডাক্তারদের সম্পর্কে একটা ভক্তিভাব ছিল বরাবরই। মনে হতো তখন, ডাক্তাররাই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কেন এ রকম মনে হতো, তারও কারণ আছে। ছেলেবেলা থেকে যে কজন চিকিৎসককে দেখেছেন তিনি, তাঁদের প্রত্যেকের চেহারা সুন্দর, ব্যবহার মার্জিত, সাধারণ মা
অচেনা ভানু
দেশভাগের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভর্নর বা রাজ্যপাল হয়েছিলেন রাজা গোপালাচারী। তাঁর সম্মানার্থে তিন দিনব্যাপী একটি বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তার কিছুদিন আগে তুলসী লাহিড়ীর লেখা ও সুশীল মজুমদার পরিচালিত ‘সর্বহারা’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। সেই সিনেমার সুরকার ছিলেন সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
নিধিপাগলা
দেবেশ রায়ের লেখা যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন তাঁর আত্মস্মৃতির যে বইটি আছে, তার নাম ‘জলের মিনার জাগাও’। কীভাবে এ নামটি তিনি পেলেন, সে কথা শুনতে খারাপ লাগবে না।
প্রথম অভিনয়
থিয়েটারে আজাদ আবুল কালাম এসেছিলেন কাকতালীয়ভাবে। তোতলামি ছিল তাঁর সঙ্গী। ফলে সংলাপ বলতে পারবেন, এ রকম বিশ্বাস ছিল না। মাসুদ আলী খান নামে এক বন্ধু ছিলেন আজাদের। বহুমুখী ছিল তাঁর প্রতিভা। আঁকতে পারতেন, গাইতে পারতেন, গিটার বাজাতে পারতেন। গান গাইতেন ভালো। ‘চন্দনা গো রাগ কোরো না’ বলে যে জনপ্রিয় বাংলা গ
৪৫০ টাকার চেক
সেলিম আল দীনের বাবা ঘুষের চাকরি করতেন কিন্তু ঘুষ খেতেন না। ফলে ছয় সন্তান নিয়ে সংসারটা চলত কায়ক্লেশে। তা নিয়ে মায়ের কোনো হা-হুতাশ ছিল না। হিসাবের মধ্যে চলতে হতো। ক্লাস সেভেন থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পর্যন্ত সেলিম আল দীন ছিলেন গ্রামে। বাবার বদলির চাকরি, তাই সন্তানদের পড়াশোনার কথা ভেবে পরিবারকে গ্রামেই র
ইলিয়াসের বাখোয়াজি
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে কলকাতায় গিয়ে উঠেছিলেন বাল্যবন্ধু দিলীপ রায়ের বাড়িতে। সেখান থেকেই ফোন করেছেন মিহির সেনগুপ্তকে। জেনে নিয়েছেন তাঁর অফিসের ঠিকানা। পরদিন
‘নবীন কিশোর’
কবিতার পত্রিকা কৃত্তিবাসের সঙ্গে পঞ্চাশ-ষাটের দশকের কলকাতার নামী লেখকদের একটা সম্পর্ক আছে। পরবর্তীকালে যাঁরা কবি হিসেবে নাম করেছেন, যাঁদের কবিতা আবৃত্তি হয়েছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, তাঁদের অনেকেরই উত্থান এই কৃত্তিবাস থেকে।