সম্পাদকীয়
কবিতার পত্রিকা কৃত্তিবাসের সঙ্গে পঞ্চাশ-ষাটের দশকের কলকাতার নামী লেখকদের একটা সম্পর্ক আছে। পরবর্তীকালে যাঁরা কবি হিসেবে নাম করেছেন, যাঁদের কবিতা আবৃত্তি হয়েছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, তাঁদের অনেকেরই উত্থান এই কৃত্তিবাস থেকে।
কলকাতা সিটি কলেজের তিন ছাত্র সমীর রায়চৌধুরী, অশোক মৈত্র ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বন্ধু ছিলেন দীপক মজুমদার। তাঁরা লক্ষ করেন, বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় তরুণ কবিদের স্বাধীনতা নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ কম। তখনই ‘কৃত্তিবাস’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে বের হয় প্রথম সংখ্যা।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্ভবত কৃত্তিবাসের ২৫তম সংখ্যায় এসে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবটি অনেকের মনকেই দমিয়ে দিল। কিন্তু সে সময় কৃত্তিবাসের সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে ফেলা বেলাল চৌধুরী আর খণ্ডকালীন কবি নিমাই চট্টোপাধ্যায়ের মনে হলো, কৃত্তিবাস বন্ধ করা ঠিক হবে না। তাঁরা দুজন প্রস্তাব রাখলেন, তাঁরাই বের করবেন পত্রিকাটি। বেলাল চৌধুরীর বন্ধু অমল লাহিড়ি সে প্রস্তাব শুনে হাততালি দিয়ে উঠলেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘তথাস্তু।’
এবার তাহলে কাজে নেমে পড়া। লেখা আর বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কাজটাই আসল। কবিদের কাছ থেকে লেখা পাওয়া খুব কঠিন হলো না। একটা প্রেসও পাওয়া গেল। প্রচ্ছদ করলেন পূর্ণেন্দু পত্রী। খুবই হেলাফেলায় সামনে রাখা একটা কাগজের টুকরো ছিঁড়ে সামান্য কাটছাঁট করে আর আঠা দিয়ে জুড়ে তুলির কয়েক আঁচড়ে তৈরি হয়ে গেল সে প্রচ্ছদ। পূর্ণেন্দু পত্রী নিজের একটি কবিতাও দিলেন ছাপার জন্য।
সেই সংখ্যায় বেলাল চৌধুরীরা কয়েকজন নারী কবির কবিতাও ছেপেছিলেন। কবিতা সিংহ, দেবারতি মিত্র, সাধনা মুখোপাধ্যায়, অলকা চৌধুরী, নীতি নন্দী ছিলেন লেখকের তালিকায়। কবিতা ছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়, অলোকরঞ্জন, শঙ্খ ঘোষ, বিনয় মজুমদার, উৎপলকুমার বসুর। এ সংখ্যাতেই ছাপা হয়েছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কবিতাটি, যা পরে বিভিন্ন আবৃত্তিশিল্পীর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কবিতাটির নাম ‘উত্তরাধিকার’। যার প্রথম পঙ্ক্তি, ‘নবীন কিশোর তোমাকে দিলাম ভুবনডাঙার মেঘলা আকাশ’।
সূত্র: বেলাল চৌধুরী, নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়, পৃষ্ঠা ১৩২-১৩৩
কবিতার পত্রিকা কৃত্তিবাসের সঙ্গে পঞ্চাশ-ষাটের দশকের কলকাতার নামী লেখকদের একটা সম্পর্ক আছে। পরবর্তীকালে যাঁরা কবি হিসেবে নাম করেছেন, যাঁদের কবিতা আবৃত্তি হয়েছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, তাঁদের অনেকেরই উত্থান এই কৃত্তিবাস থেকে।
কলকাতা সিটি কলেজের তিন ছাত্র সমীর রায়চৌধুরী, অশোক মৈত্র ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বন্ধু ছিলেন দীপক মজুমদার। তাঁরা লক্ষ করেন, বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় তরুণ কবিদের স্বাধীনতা নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ কম। তখনই ‘কৃত্তিবাস’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে বের হয় প্রথম সংখ্যা।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্ভবত কৃত্তিবাসের ২৫তম সংখ্যায় এসে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবটি অনেকের মনকেই দমিয়ে দিল। কিন্তু সে সময় কৃত্তিবাসের সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে ফেলা বেলাল চৌধুরী আর খণ্ডকালীন কবি নিমাই চট্টোপাধ্যায়ের মনে হলো, কৃত্তিবাস বন্ধ করা ঠিক হবে না। তাঁরা দুজন প্রস্তাব রাখলেন, তাঁরাই বের করবেন পত্রিকাটি। বেলাল চৌধুরীর বন্ধু অমল লাহিড়ি সে প্রস্তাব শুনে হাততালি দিয়ে উঠলেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘তথাস্তু।’
এবার তাহলে কাজে নেমে পড়া। লেখা আর বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কাজটাই আসল। কবিদের কাছ থেকে লেখা পাওয়া খুব কঠিন হলো না। একটা প্রেসও পাওয়া গেল। প্রচ্ছদ করলেন পূর্ণেন্দু পত্রী। খুবই হেলাফেলায় সামনে রাখা একটা কাগজের টুকরো ছিঁড়ে সামান্য কাটছাঁট করে আর আঠা দিয়ে জুড়ে তুলির কয়েক আঁচড়ে তৈরি হয়ে গেল সে প্রচ্ছদ। পূর্ণেন্দু পত্রী নিজের একটি কবিতাও দিলেন ছাপার জন্য।
সেই সংখ্যায় বেলাল চৌধুরীরা কয়েকজন নারী কবির কবিতাও ছেপেছিলেন। কবিতা সিংহ, দেবারতি মিত্র, সাধনা মুখোপাধ্যায়, অলকা চৌধুরী, নীতি নন্দী ছিলেন লেখকের তালিকায়। কবিতা ছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়, অলোকরঞ্জন, শঙ্খ ঘোষ, বিনয় মজুমদার, উৎপলকুমার বসুর। এ সংখ্যাতেই ছাপা হয়েছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কবিতাটি, যা পরে বিভিন্ন আবৃত্তিশিল্পীর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কবিতাটির নাম ‘উত্তরাধিকার’। যার প্রথম পঙ্ক্তি, ‘নবীন কিশোর তোমাকে দিলাম ভুবনডাঙার মেঘলা আকাশ’।
সূত্র: বেলাল চৌধুরী, নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়, পৃষ্ঠা ১৩২-১৩৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে