বাংলাদেশের যেসব এলাকায় পোশাক কারখানা আছে সেসব এলাকা, বিশেষ করে ঢাকার নদী, খাল ও কলের পানিকে বিপজ্জনক মাত্রায় পার এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) বা ‘ফরেভার কেমিক্যালস’ বা চিরস্থায়ী রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে
দেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর আশপাশের জলাশয়ে প্রতিনিয়ত মিশছে বিপজ্জনক রাসায়নিক। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের নদী, খাল, বিল, এমনকি ট্যাপের পানিতেও এসব রাসায়নিক পাওয়া গেছে। মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক এতটাই ভয়ানক যে এগুলো ভাঙে না। শতকের পর শতক একই অবস্থায় থেকে যায়। এগুলোর
আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বই দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরা
এক সময় রংপুর নগরীর প্রাণ বলা হতো শ্যামাসুন্দীর খালকে। দখল-দূষণে এখন সেটি রংপুরের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সামান্য পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বর্ষায় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্যামাসুন্দরী খাল। তবে ১৫ কিলোমিটার খালটি পাঁচ কিলোমিটার (চেকপোস্ট থেকে শাপলা চত্বর) অংশ রংপুর স
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার শাখানদী হিসনা তার উৎপত্তিস্থল এলাকায় বাঁধের কারণে প্রবাহ হারিয়েছে এক যুগের বেশি সময় আগে। এখন দখল আর দূষণে প্রাণ যায় যায় অবস্থা নদীটির।
কুয়াইশ খাল, কৃষ্ণ খাল ও কাটাখালী খালের বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী। শিল্পবর্জ্যের দূষণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠেকানো গেলেও, গৃহস্থালি ও পোলট্রি বর্জ্য নদীটির জীববৈচিত্র্য নষ্ট করছে। এ কারণে দেশের ‘স্বাস্থ্য’ হিসেবে পরিচি
দখল ও দূষণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আতিয়ার খাল। চার কিলোমিটারের খালটির আশপাশে রয়েছে শতবিঘা ফসলি জমি। কিন্তু দখল, রাস্তা আর বাঁধ নির্মাণের কারণে কয়েক বছর ধরে খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এতে কয়েক হাজার কৃষক ফসল উৎপাদনে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
আমাদের দেশের ভারী শিল্প-কারখানাগুলো সাধারণত রাজধানী এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া দেশের বিভাগীয় শহর অথবা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভারী শিল্পকারখানাগুলো নজরে পড়ে। এতে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত বর্জ্যে শহরদূষণের পাশাপাশি নদী-খাল দূষণের শিকার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। শুধু তা-ই নয়, দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া
বগুড়ার শেরপুরে নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেটখৈর সকাল বাজার এলাকার ফুলজোড় নদীর তীরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। স্থানীয় ফুলজোড় নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন কর
পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী। দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলো।
দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদী। নদীর পারে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানার বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে পানি। আগের মতো নদীতে আর মিলছে না মাছ। এতে বিপাকে পড়েছেন নদীপারের মৎস্যজীবীরা।
পাবনার আটঘরিয়ায় দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চিকনাই নদ। অপরিকল্পিতভাবে স্লুইসগেট, সেতু, কালভার্ট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে দিন দিন নদটি সরু হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া নদে পাট জাগ দেওয়ায় এর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়েছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বেনজির আহমেদ চৌধুরী বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ পরিস্থিতিতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের যেমন স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকার রয়েছে, নদীরও স্বাভাবিক গতিপথে প্রবাহ হওয়ার অধিকার রয়েছে। অথচ আমরা ব্যক্তিস্বার্থে নদীকে দখল ও দূষণ করে নদীর প্রবাহ নষ্ট করে ফেলি।’ গত সো
ঢাকার সাভারে ধলেশ্বরী ও বংশী নদীসহ তুরাগ নদের ১৮৫টি স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারণে এসব নদ-নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরের পানিতে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের বাটি, পলিথিন ব্যাগ, কোমল পানীয়, পানির বোতলসহ নানা প্লাস্টিক বর্জ্য। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ট্যানারিসহ বিভিন্ন কারখানা সাভারের নদ-নদী ও পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত হয়ে এই এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ট্যানারিসহ বিভিন্ন কারখানা সাভারের নদ-নদী ও পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত হয়ে এই এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’ আজ সোমবার সাভারের চামড়া শিল্পনগরসহ ধলেশ্বরী নদী, খাল-বিল ও জলাধার দূষণের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শ