অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার সাভারে ধলেশ্বরী ও বংশী নদীসহ তুরাগ নদের ১৮৫টি স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারণে এসব নদ-নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সঙ্গে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে নদ-নদী ও খাল দূষণের চিত্র তুলে ধরা হয়।নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৩৮টি স্থানে, সাভার সদর ইউনিয়নের ১০টি, পাথালিয়ায় ২২টি, ইয়ারপুরে ১১টি, আশুলিয়ায় ১৪টি, বিরুলিয়ায় ১০টি, কাউন্দিয়ায় ১৭টি, আমিনবাজারে দুটি, ভাকুর্তা ইউনিয়নের দুটিসহ সাভার পৌর এলাকার ৫৯টি স্থানে কঠিন ও তরল বর্জ্য ফেলে বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগের পানি দূষিত করা হচ্ছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মীসহ কারখানার মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থানে বর্জ্য ফেলে চলেছেন।
দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ধলেশ্বরী ও বংশী নদীতে। ধলেশ্বরীর পানি দূষিত হওয়ার অন্যতম কারণ তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার চামড়াশিল্প নগর। সেখানকার ট্যানারির কেমিক্যালযুক্ত কঠিন ও তরল বর্জ্য ড্রেন বা পাইপের মাধ্যমে নদীতে ফেলা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারসহ গৃহস্থালি বর্জ্যও খালের মাধ্যমে ধলেশ্বরীতে ফেলা হয়। পাশের বংশী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্যে। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার একমাত্র আধার বংশী নদী ও আশপাশের এলাকা।
বিরুলিয়ায় একাধিক কারখানার তরল বর্জ্য ফেলা হয় তুরাগ নদে। ড্রেন ও পাইপের মাধ্যমে নিয়মিত বর্জ্য ফেলে নদের পানি দূষিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যেও তুরাগ নদের পানি দূষিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও দূষণের অভিযোগ রয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য ধরে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধানে গিয়ে নদ-নদীতে বর্জ্য ফেলার সত্যতা পাওয়া যায়। রিকশা-ভ্যান ও হাতে করে এনে নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার পৌর এলাকার বক্তারপুরে বংশী নদীতে বেকারির বর্জ্য ফেলছিলেন আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি। বড় একটি পলিথিনে করে তিনি বংশী নদীতে বর্জ্য ফেলেন।
জানতে চাইলে আব্দুল মতিন বলেন, তাঁরা বিভিন্ন বেকারির বর্জ্য সংগ্রহ করে ব্যবসা করেন। এ জন্য বংশী নদীর তীরে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন। বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রথমে ওই ঘরে রাখেন। পরে বাছাই করে বিক্রিযোগ্য সামগ্রী রেখে বাকি সব নদীতে ফেলে দেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বংশী নদীসহ অন্যান্য নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি। রাতে ও ভোরে বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও যা হয়নি, কয়েক দিনে তা আশা করা যায় না। কিন্তু সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা মুশকিল। তবে আমার ধারণা, নদ-নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি।’
সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি বলেন, গত ২৫ জুলাই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাভার উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভার পর থেকে পৌরসভার পক্ষ থেকে নদীতে কোনো বর্জ্য ফেলা হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ ফেলছেন। তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। সতর্ক না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার সাভারে ধলেশ্বরী ও বংশী নদীসহ তুরাগ নদের ১৮৫টি স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারণে এসব নদ-নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সঙ্গে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে নদ-নদী ও খাল দূষণের চিত্র তুলে ধরা হয়।নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৩৮টি স্থানে, সাভার সদর ইউনিয়নের ১০টি, পাথালিয়ায় ২২টি, ইয়ারপুরে ১১টি, আশুলিয়ায় ১৪টি, বিরুলিয়ায় ১০টি, কাউন্দিয়ায় ১৭টি, আমিনবাজারে দুটি, ভাকুর্তা ইউনিয়নের দুটিসহ সাভার পৌর এলাকার ৫৯টি স্থানে কঠিন ও তরল বর্জ্য ফেলে বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগের পানি দূষিত করা হচ্ছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মীসহ কারখানার মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থানে বর্জ্য ফেলে চলেছেন।
দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ধলেশ্বরী ও বংশী নদীতে। ধলেশ্বরীর পানি দূষিত হওয়ার অন্যতম কারণ তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার চামড়াশিল্প নগর। সেখানকার ট্যানারির কেমিক্যালযুক্ত কঠিন ও তরল বর্জ্য ড্রেন বা পাইপের মাধ্যমে নদীতে ফেলা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারসহ গৃহস্থালি বর্জ্যও খালের মাধ্যমে ধলেশ্বরীতে ফেলা হয়। পাশের বংশী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্যে। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার একমাত্র আধার বংশী নদী ও আশপাশের এলাকা।
বিরুলিয়ায় একাধিক কারখানার তরল বর্জ্য ফেলা হয় তুরাগ নদে। ড্রেন ও পাইপের মাধ্যমে নিয়মিত বর্জ্য ফেলে নদের পানি দূষিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যেও তুরাগ নদের পানি দূষিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও দূষণের অভিযোগ রয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য ধরে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধানে গিয়ে নদ-নদীতে বর্জ্য ফেলার সত্যতা পাওয়া যায়। রিকশা-ভ্যান ও হাতে করে এনে নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার পৌর এলাকার বক্তারপুরে বংশী নদীতে বেকারির বর্জ্য ফেলছিলেন আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি। বড় একটি পলিথিনে করে তিনি বংশী নদীতে বর্জ্য ফেলেন।
জানতে চাইলে আব্দুল মতিন বলেন, তাঁরা বিভিন্ন বেকারির বর্জ্য সংগ্রহ করে ব্যবসা করেন। এ জন্য বংশী নদীর তীরে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন। বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রথমে ওই ঘরে রাখেন। পরে বাছাই করে বিক্রিযোগ্য সামগ্রী রেখে বাকি সব নদীতে ফেলে দেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বংশী নদীসহ অন্যান্য নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি। রাতে ও ভোরে বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও যা হয়নি, কয়েক দিনে তা আশা করা যায় না। কিন্তু সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা মুশকিল। তবে আমার ধারণা, নদ-নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি।’
সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি বলেন, গত ২৫ জুলাই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাভার উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভার পর থেকে পৌরসভার পক্ষ থেকে নদীতে কোনো বর্জ্য ফেলা হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ ফেলছেন। তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। সতর্ক না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে