সম্প্রীতি

সদাচরণ ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। সদাচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বড় হকদার হলেন আপন বাবা-মা, এরপর স্বামী, স্ত্রী, সন্তান ও নিকটাত্মীয়রা। সর্বোপরি মহান আল্লাহর সব সৃষ্টিই সদাচরণ পাওয়ার দাবিদার।

মহানবী (সা.) ইসলামের আলোকে যে সমাজ গড়ে তুলেছিলেন, তার ভিত্তি ছিল সততা, ন্যায়বিচার, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মানবিকতা বোধ। ইসলামে পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম প্রধান হলো নামাজ, আর সেই নামাজের মাধ্যমে আমরা মানবিকতা আর সাম্যের এক প্রকৃষ্ট নজির দেখতে পাই। একই কাতারে আমির-ফকির, সেখানে মানুষ হিসেবে কোনো ভে

সহনশীলতা মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি মহৎ গুণ। সহনশীলতা অর্থ সহ্য করার ক্ষমতা। প্রতিকূল অবস্থায় নিজের আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে দমন করা, শক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ধৈর্যধারণ করাই হলো সহনশীলতা।

পৃথিবীর সব মানুষই হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর সন্তান। এ কারণেই জগতের সব মানুষ পরস্পরের ভাই ভাই। একই বাবা-মা থেকে জন্ম নিয়ে বংশপরম্পরায় মানুষ বিভিন্ন জাতি-ধর্ম, দল-মত, সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসলাম শান্তি, নিরাপত্তা ও সহনশীলতার ধর্ম। মুসলিমপ্রধান দেশে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রীয় সমস্ত অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে। নাগরিকদের...

ইসলামের সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুন ও বিধিবিধানসংবলিত নির্ভুল ঐশী কিতাব পবিত্র কোরআন। এটিকে ‘হুদাল্লিল আলামিন’ বা ‘হুদাল্লিন্নাস’ অর্থাৎ, বিশ্ববাসীর জন্য পথনির্দেশক বা সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়েতের গ্রন্থ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সবাই একসঙ্গে দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি। এখানে কোনো হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ও মুসলিম পার্থক্য নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে চলব, একসঙ্গে থাকব বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

ইসলাম সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য, পরমতসহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধর্ম। মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-ছায়ায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষগুলোর সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ এসেছে কোরআন-হাদিসে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার।