সহনশীলতা মহৎ গুণ

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৪: ৪১
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৭

সহনশীলতা মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি মহৎ গুণ। সহনশীলতা অর্থ সহ্য করার ক্ষমতা। প্রতিকূল অবস্থায় নিজের আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে দমন করা, শক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ধৈর্যধারণ করাই হলো সহনশীলতা। প্রত্যেক নবী-রাসুলই সহনশীল ও ক্ষমাশীল ছিলেন। মহান আল্লাহ বিভিন্ন পরীক্ষায় নিপতিত করে তাঁদের সহনশীল ও ধৈর্যশীল করে তুলেছেন।

সহনশীলতা এক অনুপম আদর্শ। মানবজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নতির জন্য সহনশীলতা খুবই প্রয়োজন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মানুষ যখন জুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ক্ষমা করে দেয়, তখন আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।’ সুরা আনফালের ৪৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সহনশীলতা অবলম্বন করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সহনশীলদের সঙ্গে থাকেন।’

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, ইমানের পর বিবেকের দাবি হলো মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, প্রত্যক সৎ ও অসৎ লোকের প্রতি অনুগ্রহ করা, সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকা এবং নম্রভাবে কথা বলা। মহানবী (সা.) সাহাবিদের প্রশ্ন করেন ‘তোমরা কি জানো জাহান্নাম কার জন্য হারাম?’ তাঁরা বলেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলই ভালো জানেন।’ তিনি বলেন, ‘তার জন্য জাহান্নাম হারাম, যে ভদ্র ও নম্র আচরণ করে।’

সহনশীলতার পুরস্কার প্রসঙ্গে আল্লাহ সুরা জুমারের ১০ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘সহনশীলদেরই তাদের প্রতিদান কোনো হিসাব ছাড়াই পূর্ণরূপে দেওয়া হবে।’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘সহনশীলতার প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’

ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজ সম্পাদনে আমরা সহনশীল হই। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিই। তবেই দুনিয়ায় লাভ করব অনাবিল তৃপ্তি এবং আখেরাতে পাব আল্লাহর সন্তুষ্টি।

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত